আমাকে ভূলে যেও “সুবর্ণা” আমার চোখে আলো আছে, কিন্তু আমার পৃথিবীটা আজ অন্ধকারে ঢাকা।
সেখানে আছে হতাশা আর একরাশ গ্লানি। দুচোখ হাত-পা থাকতেও আজ আমি পঙ্গু। সারা শরীর আজ অবশ হয়ে গেছে। এই ভাবে বেঁচে থাকা বড় বেশি বেদনাদায়ক,। না পারছি বাঁচতে না পারছি মরতে। জীবনের ভার আর সইতে পারছি না।
প্রত্যাশার ভারে ন্যুব্জ। চোখের জল চোখের কোনায় ধরে রাখি। লোকলজ্জায় প্রাণ খুলে কাঁদতেও পারি না। কিন্তু প্রতিনিয়ত হূদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বুকে পাথর চেপে আছি এই আশায় যে, সব অন্ধকার কেটে যাবে। ভোরের আলোয় যেমন অন্ধকার পৃথিবী আলোকিত হয়, তেমনি একটি নতুন সকালের অপেক্ষায় আছি।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সেই সকালটি আর কখনো আসবে না! আমি যত জীবনকে আঁকড়ে ধরতে চাই, ততই জীবন আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। জীবনের গলিপথে শুধু একটি ‘ছায়া’ দেখতে পাই। কিন্তু আমি সেই ছায়া মাড়াতে চাই না। আজ নিরুপায় এই কথাটি কাকে বুঝাবো হয়তো একদিন স্বপ্নের পথে পথ হাঁটব। তারপর তারা হয়ে সুর্বনার খবর নেব। সেই দিন তাকে বলব, কেন তার খবর নিতে পারিনা। কেন তার ফোন ধরি না।
কেন তাকে দেখতে যাইনা।হয়তো চলার মধ্যে তোমার কাছে অনেক কিছু চেয়ে গেছি তুমি আমাকে পাওয়ার আশায় দিয়ে গেছ।আজো বাহিরে বের হলে হাঁত খরচের টাকাটা চাওয়ার ইচ্ছে করছে,কিন্তু আজ আমার বেকার জীবনের এ চাবিটা কেউ কেড়ে নিল না তাই তুমিও আমার ভার নিতে পারবেনা।তাই পারলে আমায় ভূলে যেও সুবর্ণা।