ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর ফজিলত কি? 

0
35

আল্লাহ তালার সুন্দর সুন্দর গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে একটি হলো “জুল জালালি ওয়াল ইকরাম”। অনেকের মতে এটি ইসমে আজম বা বড় নাম। কেননা এটি রুবুবিয়্যাহ ও উলুহিয়্যার সমস্ত গুণাগুণকে শামিল করেছে। জালাল শব্দের অর্থ মর্যাদাবান এবং ইকরাম অর্থ সম্মানিত।আল্লাহর বড়ত্ব বা শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করতে যেসকল নামে ডাকা হয় সেগুলোকে বলে ইসমে আজম। এই দুই শব্দের মধ্যে ‘ইসম’ অর্থ হলো নাম আর ‘আজম’ অর্থ মহান বা শ্রেষ্ঠ। আল্লাহর এই নামটি কুরআনে  এসেছে দুইবার সূরা আর রাহমানের ২৭ নম্বর ও ৭৮ নম্বর আয়াতে। ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর অর্থ সমস্ত সৃষ্টি জগতের মালিক, যিনি সৃষ্টিকুল হতে ভয় পাওয়ার হকদার ও একমাত্র প্রশংসার যোগ্য, মহত্ব, বড়ত্ব,দয়া ও ইহসানের অধিকারী। আজকে আমরা জানবো ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম জিকিরের ফজিলত। 

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এর ফজিলত 

‘জুল জালালি ওয়াল ইকরাম’ মহান আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর একটি। তবে আল্লাহকে ডাকার সময় এই নামের আগে যখন ‘ইয়া’ যুক্ত হবে তখন বলতে হবে ‘যাল জালালি ওয়াল ইকরাম’। এভাবে ‘ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম’ অর্থাৎ ‘হে মহা মর্যাদাবান ও মহা সম্মানিত’ বলে ডাকতে হবে।

এই নাম পাঠের ফজিলত সম্পর্কে প্রিয় নবীজি (সাঃ) একটি হাদিসে বলেছেন –  ‘তোমরা সবসময় ‘ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম’ পাঠ করাকে অপরিহার্য করে নাও (তিরমিজি : ৩৫২৫)। অর্থাৎ সদা সর্বদা এই নাম পাঠ করার প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ আদায়ের পরে বসা অবস্থায় বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া যাল জালালী ওয়াল ইকরাম।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, আপনি সালাম (শান্তি নিরাপত্তা প্রদানকারী), আপনার পক্ষ থেকেই সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তা) আসে। আপনি বরকতময়, হে মহিমময় মহানুভব।’ (মুসলিম : ৫৯১-৫৯২) 

সুন্নাহ মতে প্রতিটি নামাজের পর ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম বলে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।একবার  আনাস (রাঃ) নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে বসা ছিলেন। তখন ঐখানে এক ব্যক্তি এসে নামাজ আদায় করল এবং এই দোয়াটি পাঠ করল-‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আনতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম।’ 

ঐ সময় রাসুল (সাঃ) বললেন, ‘তুমি আল্লাহর দরবারে ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করেছ,যে নামে ডাকলে মহান আল্লাহ সাড়া দেন এবং কিছু চাইলে তা দান করেন।’ (সুনানে তিরমিজি : ৩৫৪৪, আবু দাউদ ১৪৯৫, নাসাঈ, ১৩০)। 

আবুল হাসান আশআরি (রহ.) ও ইমাম আবু জাফর তাবারি (রহ.) বলেন, আল্লাহ তাআলার প্রতিটি গুণবাচক নামই ইসমে আজমের অন্তর্ভুক্ত। যদি কোন ব্যক্তি এটি নিয়মিত পাঠ করে,তবে আল্লাহ তাআলা এর আমলকারীর দুনিয়া ও পরকালের সব কাজ-কর্ম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে দেবেন।

সারকথা 

মহান রাব্বুল আলামীন যেন মুসলিম উম্মাহকে তাঁর এ সুন্দর গুণবাচক নাম ‘জাল জালালি ওয়াল ইকরাম’ এর ফজিলত জেনে নিয়মিত আমল করার তাওফিক দান করেন। আমিন ইয়া রব্বুল আলামীন। 

Visited 209 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here