সল্প আয়ের মধ্যে জীবন পরিচালনে খরচ কমিয়ে চলার জন্য অনেকেই চেষ্টা করে। তবে সঠিক ভাবে খরচ কমানোর উপায় সম্পর্কে না জানার কারনে ফাইন্যান্সিয়াল বিষয়গত দিক থেকে অনেকেই সফল হতে পারে না। আপনি যদি তাদের মধ্য থেকে একজন হয়ে থাকেন যিনি বুজতে পারছেন না খরচ কমাতে করনীয় কাজ কি হবে – তবে এখান থেকে শিখে নিতে পারবেন মেজর কিছু উপায় যা ব্যাসিক পর্যায়ে আপনার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ডেইলি লাইফে খরচ অনেকটাই কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে।
২০২৩ সালে এসে ব্যক্তিক, সামাজিক, রাষ্ট্র ও পুরো বিশ্বব্যাপী যে ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে তার উপর ভিত্তি করে বললে বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো নিজের আর্থিক দিকগুলো সচল রাখা। বর্তমানে অন্যান্য সকল জ্ঞানের পাশাপাশি আর্থিক জ্ঞান থাকাটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মানি ম্যানেজমেন্ট এর যথাযথ জ্ঞান না থাকার কারণে অনেকেই নিজের আয় করা অর্থের সিংহভাগই খরচ করে ফেলে এমন খাতে যেখানে খরচ না করলেও সমস্যা হতো না। দিনশেষে এরকম মানুষেরাই আর্থিক অনাটনের মধ্যে পরে থাকে।
বর্তমান বিশ্বে ডলার রেট বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। আমাদের যাবতীয় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলোর নাম এখন আকাশচুম্বু অবস্থা। এমতাবস্থায় নিজেদের স্বল্প আয়ের মধ্যে আর্থিক সকল সমস্যার সমাধান এবং খরচ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চায় অনেকেই।
তবে প্রশ্ন উঠে চাইলে কি নিজেদের যাবতীয় খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ সম্ভব। হিউম্যান সাইকোলজি এবং মার্কেটিং স্ট্রাটেজি অনুসরণ করে বিভিন্ন বিজনেসম্যান এবং সেলসম্যানরা যেভাবে মানুষের কাছ থেকে অন্য গ্রহের উদ্ভূত করে ক্রেতাদের পকেটের টাকা নিয়ে যায়, ঠিক একই রকম কিছু স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করে কিভাবে নিজেদের স্বল্প আয়ের থেকে খরচ কমানো যায় সেটি নিয়ে কভার করতে যাচ্ছি একটু আর্টিকেল। জানাবো খরচ কমানোর উপায় সম্পর্কে । এ পর্যায়ে এরূপ কয়েকটি স্টাইটেজি প্রদান করা হলো।
সাতটি খরচ কমানোর উপায় এর স্ট্রাটেজি
১. সঞ্চয় করার মানসিকতা থাকা
আমরা যদি পিপড়া বা পিপীলিকার একটিভিটিস এর ওপর একটু লক্ষ্য করি, তাহলে এই ব্যাপারটি বুঝতে অনেকটাই সুবিধা হবে। পিপিলিকারা কি করে? তারা সারা বছর বিভিন্ন স্থান থেকে খাদ্য আহরণ করে জমা করে রাখে বর্ষাকালের জন্য। কারণ এটা তারা জানে যে চাইলেও বর্ষাকালে তারা তাদের গুহা থেকে বের হয়ে, খাদ্য আহরণ করতে পারবে না।
তাই বর্ষাকালে নিজেদের জীবিকার জন্য তারা সারা বছরই পরিশ্রম করে এবং সেই সময়টিতে আয়েশ করে বেঁচে থাকে নিশ্চিন্ত হয়ে। এই ব্যাপারটি বলার মানে এই নয় যে, আপনাকে সারা বছর খাদ্য আহরণ করে বসে থাকতে হবে এবং বর্ষাকালে সেগুলোকে ভক্ষণ করতে হবে। আমি আমি এটা বুঝাতে চাচ্ছি যে, আপনার মধ্যে সঞ্চয় করার মানসিকতাটি প্রবল ভাবে থাকতে হবে। পিপিলিকার ঘটনার দিকে আরেকটু লক্ষ্য করি তাদের মধ্যে সঞ্চয়ের ব্যাপারটি বেশ লক্ষণীয়। তারা সারা বছর খাদ্য সঞ্চয় করে রাখে এবং যখন প্রয়োজন হয় তখন সেই সঞ্চিত খাদ্য থেকে তা গ্রহণ করে। তদ্রূপ আপনাকেও আপনার অর্থের সঞ্চয় করতে হবে এবং যখন একান্ত সেই অর্থের প্রয়োজন হবে তখন সঞ্চিত অর্থ থেকে আপনি আপনার বেসিক প্রয়োজন পূরণ করতে পারবেন। আপনার যদি সঞ্চয় করার মানসিকতাই না থাকে তাহলে কখনোই নিজের অর্থ ধরে রাখতে পারবেন না সেটি কোননার কোনোভাবে আপনার কাছ থেকে চলে যাবে বা খরচ হয়ে যাবে।
যার কারণে খরচ কমানোর প্রধান এবং সর্বপ্রথম স্ট্র্যাটে যেটি হল আপনাকে সঞ্চয়ী মনোভাব রাখতে হবে। আপনার মানসিকতা যখন সঞ্চয় কেন্দ্রিক হবে তখন আপনি অনর্থক খরচ থেকে বিরত থাকবেন। তাই খরচ কমাতে করণীয় সঞ্চয়ী মনোভাব তৈরি করা।
২. প্রথমেই সঞ্চয়ের টাকা সরিয়ে রাখুন
সঞ্চয় করতে হবে কিংবা সঞ্চয় করা উচিত এটা আমরা সকলেই জানি কিন্তু বুঝে উঠতে পারিনা সঞ্চয় আসলে করব কিভাবে!! আপনি যখনই আপনার পুরো মাসের আয় হাতে পান তখন সর্বপ্রথম কাজ হলো আপনার নির্দিষ্ট করা সঞ্চয়ের টাকা সরিয়ে রাখা।
কেন এটা করবেন?
দেখুন অর্থ বা টাকা এমন এক জিনিস যা কখনো একটি হাতে বহাল থাকেনা। এটি প্রতিনিয়ত হাত বদল হয়ে থাকে। আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনার আয় করা টাকা আপনি নিজের কাছে রেখে প্রয়োজনীয় সকল চাহিদা পূরণ করে অবশিষ্ট যা থাকবে তা সঞ্চয়ের জন্য রাখবেন তাহলে এটা কখনোই সম্ভব হবে না। মাস শেষ হওয়ার আগে দেখবেন আপনার হাতে থাকা অবশিষ্ট টাকার পরিমাণ শূন্য।
আপনাকে প্রথমে একটি রোড ম্যাপ তৈরি করে ফেলতে হবে আপনার অর্থের খরচ সমূহের। যার প্রথম স্টেপটি হবে আপনি যত পরিমান অর্থ প্রতি মাসে সঞ্চয় করতে চাচ্ছেন সেই পরিমাণ অর্থ বা টাকা হাতে টাকা আসার পরপরই সেটিকে আলাদা করে রাখা। সঞ্চিত অর্থ আলাদা করে রাখার পরবর্তীতে আপনাকে কি কি করতে হবে নিজের খরচ কমানোর জন্য তা নিম্নের স্টেপগুলোতে ধারাবাহিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।
৩. না করলেই নয় এমন খরচের তালিকা করুন
জীবন যাপনের জন্য প্রতিমাসে এমন কিছু খাতে খরচ করতে হয় যেকোনো না করলেই নয়। মানে এই যে আমি সেই খরচ গুলোর কথা বোঝাতে চাচ্ছি যেগুলো আপনাকে করতে হবে যেমন: পুরো মাসের বাজার খরচ, বাসা ভাড়া, বিভিন্ন বিল ও শিক্ষানবিশ বেতন-প্রদান, চিকিৎসা ও বেসিক বস্ত্র খাতে খরচ গুলো।
এইগুলো একদম প্রাথমিক খরচ এবং এগুলো এমন খরচ যা প্রতি মাসেই করতে হয় এবং এগুলোর মধ্যে থেকে কোন খরচ আপনি কোনভাবেই না করে থাকতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আপনার অর্জিত আয় থেকে সঞ্চিত টাকা যখন সরিয়ে রাখবেন তারপর যা অবশিষ্ট থাকবে সেখান থেকে এজাতীয় প্রয়োজনীয় ও প্রাথমিক খরচের জন্য যা অর্থ ব্যয় করতে হবে তা আলাদা করুন।
খরচ কমানোর মানে এটা কখনোই না যে আপনি প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখবেন, খরচ কমানোর মানে এই যে আপনি নিজের অর্জিত অর্থ অহেতুক নষ্ট করা থেকে বিরত থাকবেন।
৪. প্রতিদিনের খরচের হিসেব করুন
এ পর্যায়ে আপনাকে প্রতিদিনের খরচ হিসাব ভুক্ত করতে হবে। এটা কেন করবেন? যখন আপনি আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ গুলো হিসাব ভুক্ত করবেন এবং বারবার সেগুলোর উপর দৃষ্টিপাত করবেন, তখন সেখান থেকে এমন কিছু খরচ বেরিয়ে আসবে বা আপনার চোখে পড়বে যেগুলো করাটাকে আপনার অহেতুক মনে হবে।
তাছাড়া প্রথমেই যদি প্রতিদিনকার খরচের তালিকা করে ফেলেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় খরচগুলো ইতিমধ্যেই লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে যার প্রেক্ষিতে আপনি আপনার পুরো মাসের আর্থিক অবস্থা তৈরি করবেন তাহলে প্রতিদিনকার সেই খরচ গুলো থেকে অতিরিক্ত কোন খরচ আপনার করতে ইচ্ছে করবে না। অথবা কারণবশত যদি সেই খরচ গুলো থেকেও অতিরিক্ত খরচ করেও ফেলে আপনার সাব-কনসেন্স মাইন্ড সেগুলোকে স্মরণ রাখবে এবং আপনাকে এটি জানান দিবে আপনি আপনার লক্ষ্য থেকে সরে এসেছে যা পুনরায় রিকভার করা প্রয়োজন। এবং এভাবেই প্রতিদিনের খরচ তালিকাভুক্ত করার মাধ্যমে মূল খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব।
প্রথম প্রথম এই কাজটি করতে বেশ বিরক্ত লাগবে এবং মনে হবে এটির আসলে কোন প্রয়োজনই নেই কিন্তু যখন একটি নির্দিষ্ট সময় ধরা যাক এক মাস এই বিরক্তিকর কাজটি করার মাধ্যমে যে উপকারটি পাবেন তারপর আপনার উপলব্ধি হবে এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর মেথড।
৫. কিছু কেনার আগে ৭ দিন ভাবুন
মোটামুটি সকল মানুষের একটি সাধারণ সাইকোলজি এই যে হাতে যখন প্রচুর অর্থ থাকে বা মাসের শুরুতে প্রচুর কেনাকাটা করার ইচ্ছে করে। আর যখনই কোন কিছু কিনতে যাওয়া হয় তখন সেই জিনিসটা তোকে না হবেই তার পাশাপাশি আশেপাশে এমন অনেক সৌখিন লোভনীয় পণ্য থাকবে যেগুলো দেখে কোন উপকার চিন্তাভাবনা না করেই তাৎক্ষণিক কিনে ফেলতে ইচ্ছে করবে। মার্কেটিং এ অনেকগুলো স্ট্যাটিজ এর মধ্যে একটি অন্যতম মেজর স্টেটেজি হল মানুষের সামনে সেগুলো উপস্থাপন করা যেগুলো খুব দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং মানুষ সেগুলোকে পাওয়ার জন্য কোন প্রকার চিন্তাভাবনা না করে নিজের পকেটের অর্থ ব্যয় করতেও রাজি থাকে। আপনি যদি নিজের খরচ কমিয়ে আনতে চান তবে মোটেও এই ফাঁদে পা দেয়া যাবেনা।
তাহলে উপায় কি? উপায় হচ্ছে আপনি যদি কোন পণ্য বা দ্রব্য কিনতে চান সেটা কেনার আগে সাত দিন সেই পণ্যটিকে অপেক্ষায় রাখুন। অপেক্ষা রাখার কারণ হলো আপনার সাবকনসেন্স এবং কনসেন্স মাইন্ড কে এটা বোঝানো যে এই পণ্যটি কি আদৌ আপনার তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে ও তার মধ্যে পড়ে কিনা।
যদি কোন পণ্য কেনার প্রয়োজনীয়তার অনুভব সাতদিন পরেও বহাল থাকে তবে অবশ্যই আপনার সেই পণ্যটি নিজের চাহিদা পূরণ করার জন্য দরকার। তবে দেখা গেছে আমরা প্রতিনিয়ত এমন কিছু পণ্য কিনে থাকি যেগুলো শুধুমাত্র শখের পশে বা দেখামাত্রই তাৎক্ষণিক চিন্তাভাবনা না করে কিনে থাকি যা কিনা আদৌ আমাদের এখনই প্রয়োজন নয় বা সেগুলো না কিনলেও আমাদের তেমন একটা ক্ষতি হতো না। আপনার ক্ষেত্রেও যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তবে যে কোন পণ্য কেনার আগে অবশ্যই সাত দিন সে পণ্যটিকে অপেক্ষায় রাখুন।
তবে এটাও ঠিক যে আমাদের সখ গুলো পূরণ করার সময় এখনই। তাই যদি এমনটা হয় যে আপনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে পণ্যটি গ্রহণ করার এবং এতে করে আপনার মানি ম্যানেজমেন্টের কোন অসুবিধা হবে না তবে অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত বা ক্রয় করা উচিত।
৬. হাত খরচের টাকা আলাদা রাখুন
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এমন কিছু খরচ রয়েছে যা চলাচল পথে করতেই হয়। সেই জাতীয় খরচ যা আমাদের ডেইলি খরচের আওতায় না তবে ডেইলিই খরচ হয়েই থাকে এবং এটা অনেকটা আমাদের স্বজ্ঞান ও অবচেতন ভাবে ঘটে থাকে – এমন খরচ গুলোকেই এই তালিকায় রাখা হবে।
সকল প্রয়োজনীয় খরচ আলাদা করার পর যে অর্থ অবশিষ্ট থাকে সেখান থেকেই এই খাতে অর্থ নির্ধারন করে নিতে হবে। এবং কেবল রেখে দিলেই হবে না বরং হাত খরচের টাকা সর্বদা আলাদা করে রেখে দিতে হবে যাতে করে প্রয়োজনীয় খরচ বা অন্য কোন খাতের সাথে এই টাকা না মিলে যায়।
এ কাজের মাধ্যমে প্রতিমাসে হাত খরচে কত টাকা খরচ হচ্ছে তা যেমন হিসাব ভুক্ত করা হবে পাশাপাশি উক্ত খাতে কত টাকা খরচ হচ্ছে এবং কত টাকা খরচ করা উচিত সেটির পার্থক্যও জানা যাবে।
আরেকটি বিষয় এখানে গুরুতরভাবে কাজ করে যে আপনি যখন আপনার হাত খরচের টাকা নির্দিষ্ট করে রাখবেন তখন ওই পরিমাণ টাকার থেকে বেশি খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তাৎক্ষণিক সচেতন হয়ে যেতে পারবেন যার ফলে অতিরিক্ত খরচের প্রবণতা আপনার থাকবে না।
৭. ক্যাশ টাকায় কেনাকাটা করুন
বর্তমানে যেই হারে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বাড়ছে সেই একই হারে মানুষের খরচের মাত্রা ও দিন দিন বাড়ছে। মার্কেটিং ও অ্যাটেনশন সংগ্রহের মাধ্যমে অনলাইনে এমন সব লোভনীয় সৌখিন পন্য প্রদর্শন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত যা কেনা করবে আপনি বিন্দুমাত্র পরিকল্পনা করছে না বা সেটির তাৎক্ষণিক কোন ব্যবহার আপনার নেই। কিন্তু তারপরেও অনলাইনে একটি পণ্য কেনার পাশাপাশি সেই পন্য রিলেটেড আরো অন্যান্যপূর্ণ আপনাকে এমনভাবে সাজেস্ট করে বা এমনভাবে আপনার সামনে চলে আসে যেটা দেখে আপনি বেশ প্রভাবিত হয়ে যান।
আপনার প্রয়োজন না থাকার সত্বেও আপনাকে এমন ফিল করানো হয় যা নিজেকে উক্ত পূর্ণ থেকে বঞ্চিত মনে করাবে। এবং এখানে পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। যখন অনলাইনে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে ফেলেন তখন সেই পণ্য খোঁজা থেকে শুরু করে সে পণ্যর ক্রয় সংক্রান্ত সকল কাজ সংঘটিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে আপনি অবচেতনভাবে বিভিন্ন আনুষঙ্গিক অন্যান্য পণ্যের উপর আকৃষ্ট হন এবং কেনার জন্য ইচ্ছা পোষণ করে এবং এভাবেই আপনার পরিকল্পনাকে ধ্বংস করে প্রতিনিয়ত আয়ের একটি বড় অংশ খরচ করানো হচ্ছে।
কিন্তু যখন আপনি অফলাইনে বা লোকাল বাজার থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকেন তখন কেবলমাত্র নির্দিষ্ট পণ্যটি কেনার পরপর ই উক্ত স্থান ত্যাগ করেন। অথবা যেহেতু আপনি পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে বিনিময় স্বরূপ ক্যাশ টাকা পরিশোধ করেন এক্ষেত্রে কনসেন্সলি কিছু একটা আপনার নিকট থেকে কিছু একটা হারিয়ে যাওয়ার অনুভূতি প্রদান করে।
তাছাড়া দেখা গেছে ভার্চুয়াল কেনাকাটার ক্ষেত্রে যেহেতু লেনদেন করার ক্ষেত্রে ক্যাশ টাকা আদান প্রদান করা হয় না সেহেতু পণ্যটা অর্জনই মূল দৃষ্টিতে থাকে এর পিছনে অর্থ হারানোর চিন্তাটি নয়।
তাই এখানে বলা হয়েছে খরচ কমানোর উপায় হিসেবে ক্যাশ টাকাতে কেনাকাটা করলে নির্দিষ্ট অন্য ছাড়া অন্যান্য পণ্য তে যেহেতু খরচ হবে না সেহেতু আপনার ওভারঅল খরচের তালিকায় অতিরিক্ত খরচ যুক্ত হবে না তাই খরচ কমাতে অবশ্যই ক্যাশ টাকায় কেনাকাটা করা উচিত।
পরিশেষে কিছু কথা
দেখুন, আয় করবেন আপনি – খরচও করবেন আপনি। কিন্তু আয়ের মধ্যে থেকে কোন অংশটা খরচ করলে আর্থিক অবস্থা আপনার স্বাভাবিক জীবন যাপনের পথে বাধা হয়ে দাড়াবে না, সেটি খুজে বের করে সেই অনুযায়ী কাজ করা আপনার দায়িত্ব। এমন কোনো টিপস বা উপায় কাজ করবে না যদি কি-না আপনি নিজ উদ্যোগে প্রবল ইচ্ছায় উক্ত কাজটি করতে চাইবেন।
আর্টিকেলটিতে খরচ কমানোর উপায় হিসেবে যে করনীয় কাজ গুলোর কথা বলা হয়েছে তা খুবই ব্যাসিক, একেক জনের লাইফ স্ট্যাইল অনুযায়ী উপায়ের মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা দেখা দিবে। কিন্তু এখানে থাকা উপায় গুলোর সাথে যোজন বিয়োজন করার মাধ্যমে সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার ফাইন্যান্সিয়াল প্লান গুলো। আর সাথে থাকুন বাংলা আলো ওয়েবসাইটের কারন এখানে আপনার আর্থিক বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্য থাকবে অনেক প্রয়োজনীয় টিপস।