বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে জনতা ব্যাংক বেশ জনপ্রিয়। আপনি যদি জনতা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তবে উক্ত আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এখানে কভার করা হবে সে সকল বিষয় সম্পর্কে যা একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে প্রয়োজন হয়।
১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যখন ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড এর আওতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্মোহিত করার জন্য বেশকিছু গঠন করা হয় তার মধ্যে অন্যতম ছিল জনতা ব্যাংক। যা পরবর্তীতে 2007 সালে জয়েন স্টক অফ রেজিস্টার এর সাথে নিবন্ধিত হয় জনতা ব্যাংক লিমিটেড নামে পরিচিতি লাভ করেছে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে পুনর্গঠিত হয়।
জনতা ব্যাংকের কার্যক্রম শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয় রয়েছে দেশের বাইরে। আরব আমিরাতে জনতা ব্যাংকের চারটি শাখাসহ বাংলাদেশের রয়েছে ৯১৫ টি শাখা যেখানে কর্মরত রয়েছে ১১,৪৬৩ জন সুদক্ষ কর্মচারী এবং কর্মকর্তাগণ।
দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে খুব গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি ব্যাংকটির বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে থাকে। জনতা ব্যাংকের অবদানের কারণে এবং জনতা ব্যাংকের সফলতার জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বর্ণপদক সহ বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছে।
এই পর্যায়ে জানাবো জনতা ব্যাংক সম্পর্কে, যেখানে থাকবে জনতা ব্যাংকের গ্রাহক সেবা থেকে শুরু করে একাউন্টের ধরন এবং সেই একাউন্ট কিভাবে খোলা যায় সেই নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
জনতা ব্যাংকে কত ধরনের একাউন্ট খোলা যায়?
প্রয়োজনে সুবিধার্থে জনতা ব্যাংক রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি উক্ত ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য। অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অবশ্যই যেকোনো একটি ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে এগোতে হবে। জনতা ব্যাংকের অধীনে ধাকা একাউন্টের ধরন গুলো হলো:
- ব্যক্তিক হিসাব
- অ-ব্যক্তিক হিসাব
- সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের হিসাব
- এফডিআর ( স্থায়ী আমানত ), সঞ্চয় স্কিম, বিশেষ স্কিম হিসাব
মূলত এ ক্যাটেগরির উপর ভিত্তি করে জনতা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। পরবর্তী ধাপে জানাবো জনতা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে।
জনতা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন?
এই পর্যায়ে জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য যেসকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন ডকুমেন্টস গুলো সম্পর্কে জানাবো। এক্ষেত্রে যেহেতু একাউন্টের ধরন ভিন্ন, তাই প্রয়োজনীয়তায়ও ভিন্নতা দেখা দেবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ক্যাটেগরিতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে ধাপে ধাপে তা উপস্থাপন করা হলো।
ব্যক্তিক হিসাব খুলতে কি কি লাগে?
ব্যক্তি পর্যায়ের হিসাব বলতে এখানে ব্যক্তিগত হিসাব খোলা কে বোঝানো হয়েছে এক্ষেত্রে একক ব্যক্তির আইডেন্টি ভেরিফাই করার জন্য যে সকল তথ্য একাউন্ট তো প্রয়োজনীয় সেই সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুলো সাবমিট করতে হবে। এখানে যে সকল তথ্য প্রদান করতে হয় সেগুলো হলো:
১) জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধন কার্ড – যেকোনো একটির কপি প্রয়োজন হবে।
২) দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৩) নমিনীর তথ্য ও সত্যায়িত ছবি।
৪) তাছাড়া বিভিন্ন ডকুমেন্টস যা আইডেন্টিটি ভেরিফাই করে সেগুলোর প্রয়োজন হবে।
৫) টিন আইডি যদি থাকে তবে দিতে পারেন, এক্ষেত্রে কর ১৫% এর বদলে ১০% দিতে হবে।
এফডিআর ( স্থায়ী আমানত ), সঞ্চয় স্কিম, বিশেষ স্কিম – হিসাব খুলতে কি কি লাগে?
১) পরিচয়পত্র: যে ব্যক্তি নামে অ্যাকাউন্ট করা হচ্ছে সেই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি। তাছাড়া যাকে নমিনি করে একাউন্ট খোলা হবে সেই নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্র/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্ট অথবা জন্ম নিবন্ধন এর যেকোনো একটি কপি।
ডকুমেন্টসগুলো অবশ্য সত্যায়িত হতে হবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, ওয়ার্ড কমিশনার প্রমূখ ব্যক্তিবর্গের দ্বারা। এক্ষেত্রে আপনি যেকোনো একজনের কাছ থেকে উক্ত কাজ করলেই হবে।
২) ইউটিলিটি বিল: বিদ্যুৎ অথবা পানি যেকোনো একটি বিলের কাগজ প্রদান করতে হবে ঠিকানার সত্যতা যাচাই করার জন্য এক্ষেত্রে কাগজ গত তিন মাসের মধ্যে হতে হবে।
৩) ইন্ট্রোডিউস এর নাম্বার: ইন্ট্রোডিউস আর বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে সেই ব্যক্তিকে যার মাধ্যমে আবেদনকারী ব্যক্তি জনতা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য উৎসাহিত হয়েছে এক্ষেত্রে ইতিমধ্যে জনতা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে এমন একটি ব্যক্তির পরিচয় প্রদান করতে হবে। তবে যদি আপনার ঐরকম ভাবে কেউ পরিচিত না থেকে থাকে তবে ব্যাংক কর্মকর্তাদের জানালে তারা আপনাকে সাহায্য করবে।
৪) পাসপোর্ট সাইজের ছবি: আবেদনকারী এবং নমিনি দুই কপি করে মোট 4 কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি প্রয়োজন হবে। ছবিগুলো অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে।
৫) আবেদন ফরম: অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য অবশ্যই আবেদন ফরম এর প্রয়োজন হবে এক্ষেত্রে আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে যাচ্ছেন তার প্রেক্ষিতে আবেদন ফরমের ভিন্নতা রয়েছে। আপনি যে ক্যাটেগরির অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইছেন তার আবেদন ফরম জনতা ব্যাংকের যেকোন শাখা থেকে অথবা অনলাইনে পেয়ে যাবেন।
জনতা ব্যাংকের যে কোন শাখায় দিয়ে সেখানে আবেদন ফরম পূরণ করুন অথবা নিজের ঘরে বসে পূরণ করে সেখানে নিয়ে জমা দিলেই হবে।
৬) ট্যাক্স অথবা ভ্যাট এর কাগজের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
৭) একাউন্ট সচল করার জন্য উক্ত একাউন্টে 500 থেকে 1000 টাকা ইনস্ট্যান্ট জমা রাখার প্রয়োজন। যার কারণে যখন একাউন্ট করতে যাবেন তখনই উক্ত টাকা প্রদান করতে হবে।
সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের হিসাব খোলার জন্য যা যা লাগবে
১) কোম্পানির মেমোরেন্ডাম ও সার্টিফাইড আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন। রেজুলেশন বা বোর্ডের সভাপতি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত, পরিচালকের ঘোষনা পত্র জমা দিতে হবে।
২) লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ব্যবসা শুরু করার জন্য যে সার্টিফিকেট রয়েছে সেটির কপি প্রদান করতে হবে।
৩) সর্বনিম্ন পাঁচ জন শেয়ারহোল্ডার এবং একাউন্ট পরিচালনাকারীর প্রত্যায়নপত্রের প্রয়োজন হবে এক্ষেত্রে যদি উক্ত কোম্পানিতে পাঁচজনের কম শেয়ারহোল্ডার থাকে তবে সবার ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে হবে। এখানে ব্যক্তিগত তথ্য বলতে সেভিং একাউন্ট বা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট খুলতে যে সকল তথ্য গুলো দিতে হয় সেগুলো জমা দিতে হবে উপরে ক্যাটাগরি অনুযায়ী যে সকল তথ্য প্রদান করতে হয়েছে সেই সকল তথ্য গুলো দিতে হয়।
৪) প্রত্যয়ন পত্রে স্বাক্ষরকারীদের ছবি, ট্রেড লাইসেন্স এর কপি জমা দিতে হবে।
৫) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এর ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পূর্ণ পরিচিতি প্রদান করতে হবে এবং একাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত নথিপত্র অতিরিক্তভাবে সংযোজন করতে হবে।
জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার ফরম ডাউনলোড
যদিও আপনি সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে সেখানে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রথম গ্রহণ করে সেখানে পূরণ করতে পারেন। তবে অনেকেই অনলাইন থেকে ফরম ডাউনলোড করে নিজে থেকে করে ব্যাংকে নিয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনি এখানে ক্লিক করে উপরে উল্লেখিত সব ধরনের ক্যাটাগরির একাউন্ট ফরম পেয়ে যাবেন।
জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
ইতিমধ্যে উল্লেখিত ক্যাটাগরি গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি অথবা একাধিক ব্যাংক একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে উল্লেখিত যে সকল ডকুমেন্ট বা তথ্যগুলো চাওয়া হয়েছে সেগুলো প্রদান করার মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্ট খোলা সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই চলে যেতে হবে নির্দিষ্ট জনতা ব্যাংকের যে কোন ব্রাঞ্চে।
ব্রাঞ্চ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার নিজস্ব লোকেশন যাচাই-বাছাই করে নেবেন। কেননা যেকোনো প্রয়োজনে আপনাকে ব্যাংকে যেতে হতেই পারে এক্ষেত্রে নিকটতম ব্র্যাঞ্চে একাউন্ট খোলা শ্রেয়।
যদিও অনেকগুলো ব্যাংক বর্তমানে অনলাইনে একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা রেখেছে তবে জনতা ব্যাংক এখন অব্দি ঐরকম ভাবে কোন সুবিধা চালু বা সচল রাখে নি যার কারনে আপনাকে জনতা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে উক্ত কার্য সম্পাদন করতে হবে।
জনতা ব্যাংক একাউন্ট দেখা ও ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম
অন্যান্য ব্যাংকের মত জনতা ব্যাংক এতোটা আপডেট এখন অব্দি যার কারনে অন্যান্য ব্যাংকের মত করে সহজে ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন না। তারপরেও ব্যাংকের একাউন্ট চেক করার জন্য বেসিক যে মাধ্যম সেটা অবশ্যই দেখতে পারে।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জনতা ব্যাংকের একাউন্ট ব্যালেন্স চেক
প্রতিটা ব্যাংকের ন্যায় জনতা ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা রয়েছে তবে তা প্রত্যেকটা ব্র্যাঞ্চে নয়। আপনার নিকটবর্তী কোন ব্রাঞ্চে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে তা দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
অতঃপর ব্যাংকে গিয়ে আপনার একাউন্টে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে রেজিস্ট্রেশন প্রসেস সেখানে থাকা ব্যাংক কর্মকর্তারা করে দিবে। এক্ষেত্রে আপনাকে যা প্রদান করতে হবে তা হল আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি।
একবার ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে পরবর্তীতে আপনি যেকোনো স্থান থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জনতা ব্যাংকের ইউজার পোর্টাল থেকে ব্যাংক একাউন্ট চেক করতে পারবেন।
সরাসরি ব্যাংকে ভিজিট করে একাউন্ট ব্যালেন্স চেক
সবচেয়ে পুরাতন যে পদ্ধতি রয়েছে ব্যাংক একাউন্ট চেক করার তাহলে সরাসরি ব্যাংকে ভিজিট করা। ব্যাংকে যাওয়ার পর সেখানে থাকা কর্মকর্তাদের কাছে আপনার অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি প্রদান করে উক্ত একাউন্টে থাকা ব্যালেন্সের পরিমাণ জানতে চাওয়া হলে তারা আপনাকে সেই বিষয়ে তথ্য প্রদান করবে।
জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা সমূহ
জনতা ব্যাংক হলো বাংলাদেশের একটি সরকারি ব্যাংক। অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংক থেকে সরকারি ব্যাংকে অর্থ রাখা অনেকটা কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে যেহেতু এটি সরকারীভাবে সেহেতু বিভিন্ন সেক্টরে উক্ত ব্যাংকের একাউন্টে ব্যবহার রয়েছে।
প্রতিটি ব্যক্তির আলাদা আলাদা প্রয়োজন এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির হিসাব খোলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যার মাধ্যমে যে কেউ তার কাঙ্খিত চাহিদা পূরণ করার জন্য উক্ত ক্যাটাগরির ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে যেতে পারবে।
সেভিংস একাউন্ট এর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন 500 জমা রাখার মাধ্যমে একাউন্ট সচল রাখা যায়। একাউন্ট করার পরপরই আপনাকে 10 পাতা দেওয়া হবে যার মূল্য 30 টাকা। তাছাড়া সারাদেশে জনতা ব্যাংকের এটিএম বুথ রয়েছে যেখান থেকে টাকা জমা উত্তোলন করা যায় এবং উক্ত কাদের জন্য আপনাকে প্রদান করা হবে এটিএম কার্ড যার জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
পরিশেষে কিছু কথা
অতঃপর এই ছিল জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সংক্রান্ত আর্টিকেল যেখানে আলোচনা করা হয়েছে জনতা ব্যাংকের বেসিক কিছু তথ্য, একাউন্ট এর প্রকারভেদ, কোন ধরনের একাউন্ট করতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়, কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট করতে হয় এবং জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে। আপনি যদি অন্যান্য ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান এবং ব্যাংক সংক্রান্ত খুটিনাটি সকল আপডেট পেতে চান তবে অবশ্যই বাংলা আলো ওয়েবসাইটের ব্যাংক কয়টি অনুসরণ করুন।