জাপান যাওয়ার ইচ্ছা? বাংলাদেশ থেকে জাপান ভিসা পেতে হলে কি করতে হবে, কত টাকা খরচ, কোথায় আবেদন করবেন, কি কি লাগবে সব বিষয়ে জানুন এই আর্টিকেল থেকে।
জাপান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ দেশ। এটি উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত, এবং পশ্চিমে জাপান সাগর দ্বারা সীমাবদ্ধ, উত্তরে ওখটস্ক সাগর থেকে পূর্ব চীন সাগর এবং দক্ষিণে তাইওয়ানের দিকে প্রসারিত। বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। বাংলাদেশ এর অনেক নাগরিকরাই জাপানে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন।
সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশী নাগরিকরা জাপানি প্রতিনিয়তই ভ্রমন করছেন। জাপানে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশী নাগরিকরা বেশ কয়েক ধরনের ভিসা পেয়ে যায়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ভিসা রয়েছে, যেমনঃ জাপান ফ্যামিলী ভিজিট ভিসা, জাপান স্টুডেন্ট ভিসা, জাপান কাজের ভিসা, জাপান টুরিস্ট ভিসা, জাপান বিজনেস ভিসা ইত্যাদি।
তবে ভিসার প্রসেসিং এর প্রথম ধাপেই ভিসার ধরন সমুহ, ভিসা তৈরীর খরচ, ভিসার মেয়াদকাল, ভিসা আবেদন করার নিয়ম সমুহ ইত্যাদি এমন আরও বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় জেনে নেওয়া উচিত৷ আমাদের আজকের আর্টিকেল টি তাদের জন্যই যারা বাংলাদেশ থেকে জাপান ভ্রমন এ যেতে চাচ্ছেন।
তবে কোনো প্রকার ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় না পড়ে সহজ ভাবে সকল কাজ সম্পন্ন করে ফেলতে চাচ্ছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পুর্ন পড়ার মাধ্যমেই আপনি জানতে পারবেন জাপান ভিসা সংক্রান্ত সকল প্রকার প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক….
জাপান ভিসার ধরন, সময়, মেয়াদ
ক) জাপান ফ্যামিলী ভিজিট ভিসাঃ
ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলে এই ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগে প্রায় ৯ থেকে ১০ কার্য দিবস এর মতো।
ভিসার মেয়াদ কালঃ এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকে প্রায় ৫ বছর পর্যন্ত।
খ) জাপান স্টুডেন্ট ভিসাঃ
ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলে এই ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগে প্রায় ২ থেকে ৩ মাস এর মতো।
ভিসার মেয়াদ কালঃ এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকে প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর পর্যন্ত।
গ) জাপান কাজের ভিসাঃ
ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলে এই ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগে প্রায় ৫ থেকে ১০ কার্য দিবস এর মতো।
ভিসার মেয়াদ কালঃ এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকে প্রায় ৫ বছর পর্যন্ত।
ঘ) জাপান টুরিস্ট ভিসাঃ
ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলে এই ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগে প্রায় ৯ থেকে ১০ কার্য দিবস এর মতো।
ভিসার মেয়াদ কালঃ এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকে প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত।
জাপান ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন
ক) জাপান ফ্যামিলী ভিজিট ভিসাঃ
১. একটি মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
২. ভিসা আবেদন পত্র: তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে।
৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত।
৪. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন পত্র: আপনাকে অবশ্যই একটি স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।
৫. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।
৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি।
৭. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় কোথায় ভ্রমন করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।
৮. লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টসঃ বাংলাদেশ এর ভোটার আইডি কার্ড এর মেইন কপি এবং ফটোকপি থাকা জরুরি।
৯. ম্যারেজ সার্টিফিকেটঃ বিয়ের আসল সার্টিফিকেট আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
খ) জাপান স্টুডেন্ট ভিসাঃ
১. মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
২. স্টুডেন্ট ভিসা এর আবেদন পত্র: সঠিক তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে।
৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত এবং ছবি গুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হওয়া উচিত হবে।
৪. কভার লেটার: আবেদন কারীর সম্পুর্ন বিবরণ থাকতে হবে। তার সাথে পাসপোর্ট এর বিস্তারিত বিবরণ এবং ভ্রমণ এর জন্য বিশদ বিবরণ। স্টুডেন্ট এর ব্যয় কারা বহন করবে তার বিবরন উল্লেখ থাকা একটি কভারিং লেটার তৈরী করতে হবে।
৫. তালিকা ভুক্তির নিশ্চিতকরণ: আপনি যেই বিশ্ববিদ্যালয় এ অধ্যয়ন করতে চান সেখানে গ্রহণ যোগ্যতা পত্রসহ, কিন্তু সীমাবদ্ধ নয়, মনোনীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সকল তথ্য দিতে হবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয় এর টিউশন ফি এর পেমেন্ট এর রসিদ: একটি অর্থ প্রদান এর রসিদ থাকতে হবে যার মাধ্যমে বোঝা যাবে যে আপনি প্রতিষ্ঠান কে সঠিক পরিমান এর অর্থ প্রদান করেছেন কিনা।
৭. একাডেমিক ডকুমেন্টস: আপনার সমস্ত একাডেমিক ডকুমেন্ট দূতাবাস তথা কনস্যুলেট এ জমা দিতে হবে এবং তার সাথে সত্যায়িত করে নিতে হবে।
৮. আর্থিক অর্থ প্রদান: আপনার পড়াশোনার সময় খরচ কভার করার জন্য আর্থিক উপায় এর সঠিক প্রমাণ সমুহ উল্লেখ রাখতে হবে।
৯. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনা -র টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।
১০. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে। তার সাথে ফটোকপি ও থাকতে হবে।
এছাড়াও আরো প্রয়োজন
১১. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি। তার সাথে ফটোকপি ও থাকতে হবে।
১২. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় পড়াশোনা করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।
১৩. IELTS স্কোর এর সার্টিফিকেট: IELTS কোর্স করা কালীন পরিক্ষার স্কোর এর সার্টিফিকেট আবেদন পত্রের সাথে প্রদান করতে হবে।
গ) জাপান কাজের ভিসাঃ
১. মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
২. ভিসা আবেদন পত্র: তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে।
৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হওয়া উচিত হবে।
৪. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।
৫. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।
৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি।
৭. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।
৮. আইডেন্টিটি ডকুমেন্টসঃ বাংলাদেশ এর ভোটার আইডি কার্ড এর মেইন কপি এবং ফটোকপি থাকা জরুরি।
৯. কোম্পানী কতৃক অফার লেটারঃ যেই কোম্পানী কাজ এর অফার করছে তাদের অফার লেটার।
১০. স্পন্সর এর আকামার কপিঃ কাজ এর জন্য যার মাধ্যমে স্পন্সর করা হচ্ছে তার আকামার কপি দিতে হবে।
ঘ) জাপান টুরিস্ট ভিসাঃ
১. মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
২. ভিসা আবেদন পত্র: তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে।
৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত।
৪. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।
৫. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।
৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি।
৭. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় কোথায় ভ্রমন করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।
৮. আইডেন্টিটি ডকুমেন্টসঃ বাংলাদেশ এর ভোটার আইডি কার্ড এর মেইন কপি এবং ফটোকপি থাকা জরুরি।
জাপান ভিসা করতে কত টাকা লাগে
ক) জাপান ফ্যামিলী ভিজিট ভিসাঃ
একক প্রবেশ INR 1,500
ডাবল এন্ট্রি 2000 INR
একাধিক এন্ট্রি INR 2,500
খ) জাপান স্টুডেন্ট ভিসাঃ
জাপানি দূতাবাসের মতে, বাংলাদেশ থেকে জাপানে পড়াশোনার মোট মাসিক খরচ প্রায় ¥80, 000 (~BDT 60, 000)। এটি জাপান এর বিভিন্ন অবস্থান, বিশ্ববিদ্যালয় বা আপনি যে প্রোগ্রামে আবেদন করেন তার ভিত্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে। প্রথম বছর এর গড় একাডেমিক ফি সংক্ষিপ্ত ভাবে নীচে দেওয়া হল।
গ) জাপান কাজের ভিসাঃ
জাপান ভিসার জন্য ফি নিম্নরূপ:
একক -প্রবেশ ভিসা: 3,0 0 0 ইয়েন।
ডাবল- এন্ট্রি বা একাধিক- এন্ট্রি ভিসা: 6,0 0 0 ইয়েন।
ঘ) জাপান টুরিস্ট ভিসাঃ
একক প্রবেশ এর ক্ষেত্রে INR 1, 500
ডাবল এন্ট্রি এর ক্ষেত্রে 2, 000 INR
একাধিক এন্ট্রি এর ক্ষেত্রে INR 2, 500
জাপান ভিসা কিভাবে করতে হয় বা নিয়ম
1. কীভাবে “ভিসা আবেদন পত্র” পাবেন এবং পূরণ করবেন
(ক) জাপানি ভিসার আবেদন পত্র প্রতি কর্ম দিবসে দূতাবাস এর গেটে বিতরণ করা হয় এবং আপনি ভিসা আবেদন পত্রে ক্লিক করে ও এটি পেতে পারেন। এছাড়াও, একই ফর্ম ইন্টারনেট অনুসন্ধানে “জাপান ভিসা ফর্ম” মূল শব্দ গুলির সাথে পাওয়া যাবে।
(খ) ফর্মগুলি অবশ্যই এটি সম্পূর্ণ রূপে পূরণ করতে হবে৷, তা না হলে ভিসা আবেদন গ্রহণ যোগ্য হবে না।
(গ) ফটোগুলি 2 ইঞ্চি x 2 ইঞ্চি ব্যবহার করা উচিত, 6 মাসের মধ্যে তোলা ছবি দিয়ে ফর্ম পুরন করা উচিত।
2. কিভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়
(ক) জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীর দ্বারা প্রতি কর্ম দিবসে 9:00 থেকে 11:00 পর্যন্ত।
(খ) প্রয়োজনীয় সকল নথি সহ আপনার আবেদন পত্র জমা দিন।
(গ) আপনি যখন আপনার আবেদন জমা দেবেন তখন আপনি একটি “আবেদন রসিদ” পাবেন।
(ঘ) যদি আপনি প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি জমা না দেন বা আপনার শেষ ভিসা প্রত্যাখ্যান এর পর 6 মাস অতিক্রান্ত না হয় তবে আমরা অস্বীকার করতে পারি।
(ঙ) আপনার ভ্রমণের আগে ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য অত্যন্ত সুপারিশ করা হয়।
3. কিভাবে সাক্ষাত্কারে অংশগ্রহণ করবে্ন
(ক) আপনার আবেদন জমা দেওয়ার একই সময়ে সাক্ষাৎকার এর সময় অনুষ্ঠিত হবে।
(খ) ইন্টারভিউ শেষে, আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হবে কিভাবে আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন।
(গ) এই তথ্যটি আবেদন এর রসিদেও লেখা আছে।
4. কিভাবে আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন
(ক) ভিসা অফিস থেকে পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে এবং নির্দেশিত দিনে 14:30 থেকে 15:30 পর্যন্ত সমস্ত মূল নথি জমা দিয়ে ফেরত দিই।
(খ) আপনাকে আবেদন এর রসিদ জমা দিতে হবে। (গ) আপনি যদি এটি নিতে অন্য কাউকে পাঠান, তাহলে আপনার বৈধ স্বাক্ষর সহ আবেদন এর রসিদ এবং অনুমোদন প্রস্তুত করুন।
একাধিক ভিসা
আপনি যদি জাপানে ঘন ঘন ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন, প্রতিটিতে 90 দিনের কম সময় থাকে এবং কোনো পুরস্কারমূলক কার্যক্রম না থাকে, 1 বছরের জন্য একটি মাল্টিপল ভিসা পাওয়া যায়। আপনার আবেদনের সাথে নিম্নলিখিত অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় নথিগুলি প্রস্তুত করুন:
(i) ব্যাখ্যামূলক চিঠি (প্রয়োজনীয়তা, দর্শনের ফ্রিকোয়েন্সি এবং আপনার সামাজিক অবস্থান ইত্যাদি উল্লেখ করে),
(ii) প্রমাণ সংক্রান্ত নথি।
অনাবাসিক আবেদন
আবেদনকারী রা বাংলাদেশ এর বাসিন্দা না হলে বা বাংলাদেশি নাগরিক না হলে ভিসার আবেদন গ্রহণ করা হয় না। এমনকি যদি আবেদন কারী একজন বাংলাদেশী নাগরিক হন কিন্তু যিনি অন্য দেশে থাকেন এবং নথি পত্র বসবাস এর দেশ দ্বারা জারি করা হয় তাহলে নথি যাচাইয়ের জন্য দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। মানবতার মামলার ক্ষেত্রে ভিসা বিভাগে যোগাযোগ করুন।
ফি সংক্রান্ত বিষয়
বাংলাদেশ জাতীয়তার জন্য কোন ফি নেই। অন্যান্য জাতীয়, দূতাবাস জিজ্ঞাসা করুন.
যোগাযোগ
সরাসরি কনস্যুলার বিভাগে ফ্যাক্স বা মেইলের মাধ্যমে নথিপত্র যেমন আমন্ত্রণপত্র, অনুরোধ পত্র, তদন্ত পত্র ইত্যাদি পাঠাবেন না। আমরা এই ধরনের নথির উত্তর দিই না। প্রতারণামূলক আবেদনকারী, অভিযোগ, তথ্য ফাঁস ইত্যাদির মতো গোপন তথ্যের জন্য, “ভিসা পরিষেবার জন্য বিশেষ ইউনিট” জাপান দূতাবাসে একটি চিঠি পাঠান।
জাপান ভিসার আবেদন কেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য
১. যোগাযোগ: জাপান কনস্যুলার ও ভিসা সেকশন এর দূতাবাস-
ঠিকানা: প্লট নং- ৫ নং ও ৭ নং, দুতাবাশ রোড, পোস্ট অফিস – ৪৫৮, বারিধারা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ফোন নাম্বার: +88 0-2- 22 22- 600 10
ইমেইল নাম্বার: consular@dc.mofa.go.jp
eojbd@dc.mofa.go.jp
ফ্যাক্স নাম্বার: +88 0-2 -98 41 591
+88 0-2 -98 82 700
ওয়েব নাম্বার: https://www.bd.emb-japan.go.jp
২. ঠিকানা: নূর জাহান টাওয়ার, ঢাকা- ১০০০
মোবাইল নাম্বার: +88 01 907- 074 753
৩. ঠিকানা: 15/ 5, রুম- 09, 3য় তলা, আকরাম টাওয়ার, বিজয় নগর, ঢাকা -1000, বাংলাদেশ। অবস্থিত: আকরাম টাওয়ার
মোবাইল নাম্বার: +88 017 11- 530 718
জাপান ভিসা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা
১. জাপানি ভিসা কি খোলা আছে?
বর্তমানে, সমস্ত বিদেশী নাগরিক যারা নতুন ভাবে জাপান এ প্রবেশ করতে ইচ্ছুক তাদের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ব্যতীত পুনঃ প্রবেশ পারমিট আছে। দয়া করে মনে রাখবেন যে COVID-19 মহামারী দ্বারা সৃষ্ট প্রভাবের কারণে, ভিসা অনুমোদন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি সময় নিতে পারে।
২. জাপানে চাকরি পাওয়া কি সহজ?
জাপানে চাকরি খোঁজা আপনার দেশের তুলনায় আরও কঠিন হতে পারে কারণ হয়তো আপনি যে চাকরি টির জন্য চেষ্টা করছেন তার চাহিদা নেই। অথবা আপনার কাছে কিছু দক্ষতা রয়েছে যা কোম্পানি টি খুঁজছে, কিন্তু তারা যা খুঁজছে তা নয়।
৩. আমি বাংলাদেশ থেকে কিভাবে জাপানে পড়তে যেতে পারি?
জাপান সরকার এর শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (মনবুকাগাকুশো / মেক্সটি) জাপানি বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুলে পড়তে ইচ্ছুক বিদেশী শিক্ষার্থী দের জন্য বৃত্তি প্রদান করে। শুধুমাত্র বাংলাদেশী নাগরিকরা এই প্রোগ্রাম গুলির জন্য আবেদন করতে পারেন।
৪. জাপানের ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়া কি কঠিন?
বেশিরভাগ লোক এর জাপান এ যাওয়ার জন্য একটি ট্যুরিস্ট ভিসা বাছাই করে থাকেন, কারন এটি হলো সবচেয়ে সহজ উপায়। আপনার দেশ এর উপর নির্ভর করে, আপনার থাকার সর্বোচ্চ সময়কাল আলাদা হবে এবং 1 থেকে 3 মাসের মধ্যে হবে। কিছু লোক এর জন্য, আপনি দেশ ছেড়ে ফিরে আসতে পারেন এবং আরও বেশি সময় থাকার জন্য আরেকটি ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে পারেন।
৫. জাপান কি কাজের ভিসার জন্য উন্মুক্ত?
1 এপ্রিল, 2019 থেকে জাপান সরকার বিভিন্ন শিল্পে শ্রমের ঘাটতি মেটাতে নির্দিষ্ট দক্ষ ভিসা (tokutei ginou, 特 定 技 能) নাম এর পরিচিত নতুন ভিসা চালু করেছে। নতুন শর্তে 345, 000 এরও বেশি বিদেশী কর্মী কে জাপানে প্রবেশ এর অনুমতি দেওয়া হবে।
ইতিকথা
আজকের এই ভিসা সংক্রান্ত আর্টিকেল টির মাধ্যমে আমরা জাপান ভিসা সংক্রান্ত নানান রকম এর প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আজকের এই আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে অবশ্যই বিভিন্ন ধরন এর অজানা সকল প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পেরেছেন।
তারপর ও আমরা চাইবো আপনি যখন ই জাপান যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে সকল তথ্য তৈরি করবেন তখন অবশ্যই ভালো ভাবে যাচাই বাছাই করে শুরু করবেন। কারন আমরা কখনই চাইবো না আপনি কোনোই কোনো ধরন এর প্রতারণা -র শিকার হন। এছাড়াও তার পাশা পাশি অবশ্যই আপনি সম্পূর্ণ রকম এর বৈধ পন্থায় জাপান এ গমন করবেন। আমরা সব সময় আশা করি আপনার জাপান যাত্রা শুভ হোক।