টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম জানতে এই আর্টিকেলটি পুরো পড়তে হবে। টিন সার্টিফিকেট কি এবং এটা কি কারনে প্রয়োজন ও ব্যবহার করা হয় সেই সম্পর্কে পূর্বেই বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সেই সকল বিষয়ে জানতে চাইলে সেই আর্টিকেল গুলো দেখে আসতে পারেন। তবে আজের আলোচনার বিষয় ভিন্ন। আজকে জানাবো টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে।
এখন সাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে কি কারনে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়? এই আর্টিকেলটিতে কি টিন সার্টিফিকেট ব্যবহার না করার রেকোমেন্ড করা হবে? নাহ, বিষয়টা তেমন না। টিন সার্টিফিকেট অবশ্যই ব্যবহার করা উচিৎ, এবং কাদের জন্য উচিৎ সেটাও ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে। তবে স্পেশাল কিছু কারন অবশ্যই রয়েছে যেগুলোর কারনে অনেকের টিন সার্টিফিকেটটি বাতিল করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আজকের আর্টিকেলে সেই বিষয়ে জানাবো এবং টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কেও জানানো হবে। তবে প্রথমেই জেনে নেই কোন কারনে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়।
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার কারন সমূহ
আয়কর নিবন্ধন বা টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার ক্ষেত্রে বেশি একটা কারন নেই, কিছু কারন আছে যা মেজর বাকি গুলো অহেতুক। যেহেতু জানানো উচিৎ তাই বলছি –
১) করযোগ্য আয় সীমা থেকে নিচে চলে গেলে: এটা সাভাবিক বিষয় যে আপনি যদি টিন সার্টিফিকেট হোল্ডার হয়ে থাকেন এবং আপনার আয় করযোগ্য আয় সীমার মধ্যে থেকে থাকে তবে আপনাকে প্রতিবছর অবশ্যই আয়কর প্রদান পূর্বক আয়কর রিটার্ন দাখিলা প্রদান করতে হবে। যদি আপনার আয় এই কোনো বছর আয়কর যোগ্য সীমার মধ্যে থেকে না থাকে তবেও পরপর তিন বছর আয়কর রিটার্ন দাখিলা করতে হবে। এবং তার পরবর্তী বছর থেকে আর তা করতে হবে না।
এই পর্যায়ে আপনি যদি এমন কোনো সিচুয়েশনে থাকেন যে আগের বছর গুলোতে আয় আয়কর যোগ্য সীমায় ছিলো এবং এই বছর বা আগামী বছর থেকে থাকবে না তাহলে আপনি টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এই সিচুয়েশন ভালো ভাবে বোঝাতে একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, ধরা যাক আপনি একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এবং আপনি রিটায়ার করেছেন, যার কারনে এখন থেকে আপনার আয় করযোগ্য সীমার মধ্যে পৌছাবে না, এই পর্যায়ে আপনি টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার আবেদন করতে পারেন।
২) টিন সার্টিফিকেটধারী ব্যাক্তি মারা গেলে: যদি এমন হয় যে আপনার পরিবারের কারো টিন সার্টিফিকেট ছিলো এবং সেই ব্যাক্তি মারা গিয়েছে, এই পর্যায়ে দুইটা কাজ করা যায়। প্রথমত, আপনি চাইলে প্রতি বছর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলা জমা দেয়ার মাধ্যমে সেটা বহাল রাখতে পারেন, অথবা তা বাতিল করার জন্য আবেদন করতে পারেন। অনেক সময়ই দেখা যাবে টিন সার্টিফিকেট থাকার কারনে বেশ ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। তার হাত থেকে বাচতে চাইলে অবশ্যই সেই সার্টিফিকেট বাতিল করা উচিৎ।
এই তো গেলো মুখ্য কারন যে কেনো টিন সার্টিফিকেট বাতিল করা উচিৎ। এই পর্যায়ে জানানো হবে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার ক্ষেত্রে কোন কোন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে।
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রয়োজন
প্রতিটা কাজ করার জন্যই প্রমান ও দলিলের প্রয়োজন হয়। আপনি যখন টিন সার্টিফিকেট করতে গিয়েছিলেন তখন বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পরেছিলো। নিয়মের ধারাবাহিকতায় আপনি যখন আয়কর নিবন্ধনটি বাতিল করতে যাবেন তখনও ভেরিফাইয়ের জন্য আপনার কাছ থেকে বেশ কিছু ডকুমেন্টস চাওয়া হবে। সেগুলো হচ্ছে –
- টিন সার্টিফিকেট যে ব্যক্তির নামে করা তার জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন
- আয়কর এর ফটোকপি
- টিন সার্টিফিকেট
- ব্যক্তি যদি মৃত হয়ে থাকে তবে তার মৃত্যু সনদ
- উক্তযুক্ত কারন যে কেনো আপনি টিন সার্টিফিকেটটি বাতিল করতে চাচ্ছেন।
টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম
অতঃপর সেই বিষয় সম্পর্কে এখন বলা যায় যা জানার জন্য আর্টিকেলটি পড়ছিলেন। এত সময় ধরে যে বিষয় গুলো সম্পর্কে বলা হচ্ছিলো তা এই বিষয়ের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জরিত। যাই হোক, আপনি যখন টিন সার্টিফিকেট করেছিলেন তখন দেখা গিয়েছে তা দুই ভাবে করা যায়। অনলাইনে এবং অফলাইনে (আয়কর অফিসে গিয়ে) কিন্তু কিছুটা ভিন্নতা দেখা যায় যখন প্রশ্ন উঠে আয়কর নিবন্ধনটি বাতিল করার ক্ষেত্রে। আপনি অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকে আয়কর নিবন্ধন বা টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে পারবেন না। আপনাকে অবশ্যই আয়কর অফিসে উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টস সহ উপস্থিত হতে হবে। এবং সেখানে ফর্ম পূরনের মাধ্যমে পুরো প্রসেসটি সম্পন্ন করতে হবে।
–
পরিশেষে, এই ছিলো টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আর্টিকেল যেখানে জানানো হয়েছে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করা বিষয়ক তথ্য এবং এই বিষয়ের সাথে জরিত অন্যান্য প্রতক্ষ বিষয় গুলো সম্পর্কে। আশা করি প্রতিটা বিষয়ের সহজ উপস্থাপন ব্যাপারটা বুজতে আপনাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। টিন সার্টিফিকেটের সাথে জরিত অন্যান্য বিষয়ে জানতে এখানে ক্লিক করুন।