তুরস্ক ভিসা | ধরন, খরচ, মেয়াদ, আবেদন নিয়ম | বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক ভিসা

0
78
বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক ভিসা পাওয়ার উপায়

তুরস্ক যাওয়ার ইচ্ছা? বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক ভিসা পেতে হলে কি করতে হবে, কত টাকা খরচ, কোথায় আবেদন করবেন, কি কি লাগবে সব বিষয়ে জানুন এই আর্টিকেল থেকে।

 

কম খরচে বিদেশ ভ্রমন করার ক্ষেত্রে তুরস্ক অন্যতম বিখ্যাত একটি দেশ। প্রতি বছরই অনেক অনেক বাঙালী নাগরিকরা তুরস্ক ভ্রমণ করছে নানা ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে।

 

তুরস্কে ভ্রমন করতে পারবেন বিভিন্ন প্রকারের ভিসার মাধ্যমে। তাদের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ভিসা, যেমনঃ ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা, এডুকেশন ভিসা, এম্পয়মেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা ইত্যাদি আরও নানা রকম এর ভিসা।

 

আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা তুরস্ক ভ্রমণ এর জন্য বেশ কিছু আলাদা ধরন এর জনপ্রিয় ভিসার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এছাড়াও আজকে আরও জানবেন সেই সকল ভিসার ধরন, খরচ, মেয়াদ, আবেদন এর নিয়ম ইত্যাদি খুটিনাটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক…

 

তুরস্ক ভিসার ধরন, সময়, মেয়াদ

 

১. তুরস্ক এডুকেশন ভিসাঃ 

 

তুরস্ক এডুকেশন ভিসা প্রসেসিং এর সময় কাল- সকল কাগজ পত্র সঠিক থাকলে এই ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগতে পারে আনুমানিক ৩ দিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত।

তুরস্ক এডুকেশন ভিসার মেয়াদ কাল- স্টুডেন্ট রা সাধারণত ১ বছর পর্যন্ত তুরস্ক তে বৈধ ভাবে অবস্থান করতে পারে। এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট রা তাদের উচ্চ শিক্ষা শেষ করা পর্যন্ত তুরস্কে থাকতে পারেন।

 

২. তুরস্ক এমপ্লয়মেন্ট ভিসাঃ 

 

তুরস্ক এমপ্লয়মেন্ট ভিসা প্রসেসিং এর সময় কাল- সঠিক ভাবে এপ্লিকেশন করা হয়ে গেলে তুরস্ক এম্পয়মেন্ট ভিসা টির প্রসেসিং হতে সময় লেগে থাকে প্রায় ২৫ দিন থেকে ৩০ দিন সময় পর্যন্ত।

তুরস্ক এমপ্লয়মেন্ট ভিসার মেয়াদ কাল- এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকে প্রায় ১ বছর থেকে শুরু করে ২ বছর পর্যন্ত। এই ভিসা টির রিনিউ করে পেশাজীবি রা কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে তুরস্কে তাদের ইচ্ছা মতো সময় বৈধ ভাবে অবস্থান করতে পারবেন।

 

৩. তুরস্ক টুরিস্ট ভিসাঃ 

 

তুরস্ক টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এর সময় কাল- সকল কাগজ পত্র সঠিক থাকলে এই ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগতে পারে আনুমানিক ১৫ কার্য দিবস পর্যন্ত। টুরিস্ট এই ভিসার মাধ্যমে যে কোনো জায়গায় ভ্রমন করতে পারবেন।

 

তুরস্ক টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কাল- এই ভিসার মাধ্যমে টুরিস্ট রা ৬০ দিন থেকে ১৮০ দিন পর্যন্ত তুরস্কে বৈধ ভাবে অবস্থান করতে পারবেন।

 

৪. তুরস্ক ফ্যামিলি ভিজিট ভিসাঃ 

 

তুরস্ক ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা প্রসেসিং এর সময় কাল-  সকল কাগজ পত্র সঠিক থাকলে তুরস্ক ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লেগে থাকে প্রায় ১৫ কার্য দিবস এর মতো।

তুরস্ক ফ্যামিলি ভিজিট ভিসার মেয়াদ কাল-

ফ্যামিলি ভিজিট ভিসার মেয়াদ কাল থাকে প্রায় ১৮০ দিন পর্যন্ত। তুরস্কে থাকা প্রবাসী দের পরিবার এর সকল সদস্য রা ফ্যামিলি ভিজিট ভিসার মাধ্যমে সেখানে বৈধ ভাবে বসবাস করতে পারে।

 

তুরস্ক ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন

ক. তুরস্ক এডুকেশন ভিসাঃ 

 

১. মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

২. স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন এর পত্র: সঠিক তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে। 

৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হওয়া উচিত হবে।

৪. কভার লেটার: আবেদন কারীর সম্পুর্ন বিবরণ থাকতে হবে। তার সাথে পাসপোর্ট এর বিস্তারিত বিবরণ এবং তুরস্ক ভ্রমণ এর জন্য বিশদ বিবরণ। স্টুডেন্ট এর ব্যয় কারা বহন করবে তার বিবরন উল্লেখ থাকা একটি কভারিং লেটার তৈরী করতে হবে।

৫. তালিকা ভুক্তির নিশ্চিতকরণ: আপনি যেই বিশ্ববিদ্যালয় এ অধ্যয়ন করতে চান সেখানে গ্রহণ যোগ্যতা পত্রসহ, কিন্তু সীমাবদ্ধ নয়, মনোনীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সকল তথ্য দিতে হবে।

৬. বিশ্ববিদ্যালয় এর টিউশন ফি এর পেমেন্ট এর রসিদ: একটি অর্থ প্রদান এর রসিদ থাকতে হবে যার মাধ্যমে বোঝা যাবে যে আপনি প্রতিষ্ঠান কে সঠিক পরিমান এর অর্থ প্রদান করেছেন কিনা।

৭. একাডেমিক ডকুমেন্টস: আপনার সমস্ত একাডেমিক ডকুমেন্ট তুরস্ক দূতাবাস তথা কনস্যুলেট এ জমা দিতে হবে এবং তার সাথে সত্যায়িত করে নিতে হবে।

৮. আর্থিক অর্থ প্রদান: আপনার পড়াশোনার সময় খরচ কভার করার জন্য আর্থিক উপায় এর সঠিক প্রমাণ সমুহ উল্লেখ রাখতে হবে।

৯. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই তুরস্ক কতৃক স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনা -র টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।

১০. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে। তার সাথে ফটোকপি ও থাকতে হবে।

১১. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি। তার সাথে ফটোকপি ও থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রয়োজন

১২. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় পড়াশোনা করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।

১৩. IELTS স্কোর এর সার্টিফিকেট: IELTS কোর্স করা কালীন পরিক্ষার স্কোর এর সার্টিফিকেট আবেদন পত্রের সাথে প্রদান করতে হবে।

 

খ. তুরস্ক এমপ্লয়মেন্ট ভিসাঃ 

 

১. মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

২. ভিসা আবেদন পত্র: তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে। 

৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হওয়া উচিত হবে।

৪. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই তুরস্ক থেকে স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।

৫. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।

৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি। 

৭. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় কোথায় ভ্রমন করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।

৮. আইডেন্টিটি ডকুমেন্টসঃ বাংলাদেশ এর ভোটার আইডি কার্ড এর মেইন কপি এবং ফটোকপি থাকা জরুরি।

৯. কোম্পানী কতৃক অফার লেটারঃ যেই কোম্পানী কাজ এর অফার করছে তাদের অফার লেটার।

১০. স্পন্সর এর আকামার কপিঃ কাজ এর জন্য যার মাধ্যমে স্পন্সর করা হচ্ছে তার আকামার কপি দিতে হবে।

 

গ. তুরস্ক টুরিস্ট ভিসাঃ 

 

১. মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

২. ভিসা আবেদন পত্র: তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে। 

৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হওয়া উচিত হবে।

৪. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই তুরস্ক থেকে স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।

৫. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।

৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি। 

৭. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় কোথায় ভ্রমন করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।

৮. আইডেন্টিটি ডকুমেন্টসঃ বাংলাদেশ এর ভোটার আইডি কার্ড এর মেইন কপি এবং ফটোকপি থাকা জরুরি। 

 

ঘ. তুরস্ক ফ্যামিলি ভিজিট ভিসাঃ 

 

১. মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

২. ভিসা আবেদন পত্র: তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে। 

৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হওয়া উচিত হবে।

৪. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই তুরস্ক থেকে স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।

৫. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।

৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি। 

৭. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় কোথায় ভ্রমন করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।

৮. আইডেন্টিটি ডকুমেন্টসঃ বাংলাদেশ এর ভোটার আইডি কার্ড এর মেইন কপি এবং ফটোকপি থাকা জরুরি।

৯. ম্যারেজ সার্টিফিকেটঃ লিগের বিয়ের কাগজ পত্র জমা দিতে হবে আবেদন পত্র টির সাথে।

তুরস্ক ভিসা করতে কত টাকা লাগে

 

১. তুরস্ক এডুকেশন ভিসাঃ 

 

স্টুডেন্ট রা স্কলারশিপ এর মাধ্যমে ফ্রি তেই তুরস্কে অবস্থান করতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নতে আছে। 

 

২. তুরস্ক এমপ্লয়মেন্ট ভিসাঃ 

 

অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট সার্টিফিকেট এক বছর পর্যন্ত €১১৯

ওয়ার্ক পারমিট সার্টিফিকেট দুই বছর পর্যন্ত €২৩৮

ওয়ার্ক পারমিট সার্টিফিকেট তিন বছর পর্যন্ত € ৩৫৭

তুরস্ক স্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট সার্টিফিকেট € ১১৮৯

তুরস্ক স্বাধীন ওয়ার্ক পারমিট সার্টিফিকেট € ১১৮৯ 

সুরক্ষার অধীনে সিরিয়ান দের জন্য ওয়ার্ক পারমিট এক বছরের মান € ৪৪

প্রতিটি প্রশংসা পত্র এর জন্য মূল্যবান কাগজ এর ফি € ১৪

 

৩. তুরস্ক টুরিস্ট ভিসাঃ 

 

সিঙ্গেল এন্ট্রি – সকল বাংলাদেশ এর নাগরিক দের জন্য প্রায় € ৫৫, (U A E এর জন্য প্রায় € ১১৭) 

ডাবল এন্ট্রি- সকল বাংলাদেশ এর নাগরিক দের জন্য  প্রায় € ১১০, (U A E এর জন্য প্রায় € ২৩৩) 

একাধিক প্রবেশ – সকল বাংলাদেশ এর নাগরিক দের জন্য প্রায় € ১৮০, (U A E এর জন্য প্রায় € ৪৫৬)

 

৪. তুরস্ক ফ্যামিলি ভিজিট ভিসাঃ 

 

সিঙ্গেল এন্ট্রি – সকল বাংলাদেশ এর নাগরিক দের জন্য প্রায় € ৫৫, (U A E এর জন্য প্রায় € ১১৭) স

ডাবল এন্ট্রি- সকল বাংলাদেশ এর নাগরিক দের জন্য  প্রায় € ১১০, (U A E এর জন্য প্রায় € ২৩৩) 

একাধিক প্রবেশ – সকল বাংলাদেশ এর নাগরিক দের জন্য প্রায় € ১৮০, (U A E এর জন্য প্রায় €৪৫৬)

 

তুরস্ক ভিসা কিভাবে করতে হয় বা নিয়ম

 

১ম ধাপঃ ভিসা বাছাই- 

যে ধরন এর ভিসা -র মাধ্যমে তুরস্ক যেতে চাচ্ছেন সেটি সবার প্রথমে বাছাই করে নিতে হবে। 

 

২য় ধাপঃ প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ – 

ভিসা আবেদন পত্র টির সাথে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য গুছিয়ে নিয়ে এটাচ করে দিতে হবে। অবশ্যই সকল লিগেল ডকুমেন্টস সরবরাহ করবেন।

 

৩য় ধাপঃ ভিসা আবেদন শুরু- 

তুরস্ক ভিসার জন্য আপনার জন্য প্রযোজ্য আবেদন টি সঠিক ভাবে অনলাইন এর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন। অনলাইন এর মাধ্যমে ভিসার আবেদন করার কারনে প্রথমেই আপনাকে ভিসার জন্য করা আবেদন ফর্ম টি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এবং তার সাথে সাথেই ডাউনলোড করা ফর্মটি তে সকল সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে পূরন করে নিতে হবে।

 

৪র্থ ধাপঃ সাক্ষাৎকার টি লিপিবদ্ধ করুন- 

তুরস্ক ভিসার জন্য আপনার জন্য প্রযোজ্য সাক্ষাৎকার টি সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ করে নিতে ভুলবেন না। ভিসা অফিস এ গিয়ে আপনার সাক্ষাৎকার এ অংশগ্রহণ করুন।

 

৫ম ধাপঃ পেমেন্ট প্রদান করুন – 

যেই ভিসার মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করছেন, তার জন্য যেই পরমান পেমেন্ট ধার্য করা হয়েছে তা সঠিক ভাবে প্রদান করে নিতে হবে। এবং তার সাথে সাথে পেমেন্ট এর জন্য দেওয়া রিসিট টি ও সংগ্রহ করে নিতে ভুলবেন না। কারন পরবর্তী সময়ে এই রিসিট টি প্রয়োজন হতে পারে।

 

৬ষ্ট ধাপঃ পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিন- 

শেষ পর্যায়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিবেন। আপনার তুরস্ক যাওয়ার ফ্লাইট এর ডেট টি ও জেনে নিবেন।

 

তুরস্ক ভিসার আবেদন কেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য

 

এখন আপনাদের জানাবো বাংলাদেশে অবস্থানরত তুরস্কের ভিসা আবেদন কেন্দ্র সংক্রান্ত সকল তথ্য সমূহঃ

 

১. ঠিকানাঃ বাড়ি নং- ৭৭, রোড নং- ১১, ব্লক নং -এম, ২য় তলা, বনানী মডেল টাউন, ঢাকা বিভাগ- ১২১৩, বাংলাদেশ, 

ফোন নাম্বার- 

09 614- 001 177 

ইমেইল এড্রেস- 

manager.dhk@reiredint.com

ওয়েবসাইট এড্রেস –

 http://www.reiredint.com

 

২. ঠিকানাঃ ৬, মাদানী এভিনিউ, বারিধারা কূটনৈতিক অঞ্চল, ঢাকা- ১২১২

টেলিফোন নাম্বার-

 + 880 960 480 01 00 

+880 170 496 79 48 (কেবল কনস্যুলার এর বিভাগ / জরুরী),

0173 339 16 86 (শুধু মাত্র দূতাবাস / জরুরি) ফ্যাক্স নাম্বার-

+88 0 960 480 01 39

ইমেইল এড্রেস – e-Mailembassy.dhaka@mfa.gov.tr

ওয়েব সাইট এড্রেস-

http://dhaka.emb.mfa.gov.tr

 

তুরস্ক ভিসা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা

১. তুরস্ক কি বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত?

 

তুরস্ক সব জাতীয়তা -র পর্যটক দের জন্যই উন্মুক্ত। ২০২২ সালে তুরস্কে যেতে ইচ্ছুক সকল বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী দের অবশ্যই সর্বশেষ এন্ট্রি COVID-19 বিধি নিষেধ এবং প্রয়োজনীয় তার সাথে পরামর্শ করতে হবে। তারপর তারা চাইলে তুরস্ক ভ্রমণ করতে পারেন।

 

২. তুরস্ক এর ভিসা পাওয়া কি কঠিন?

 

তুরস্কের ভিসা পাওয়া খুব একটা কঠিন নয়। এছাড়া ও আপনি তুর্কি ভিসা পেতে আপনার দেশের তুর্কি বিদেশী মিশন বা কনস্যুলেট এ আবেদন করতে পারেন। এই ধরন এর আবেদন এর জন্য, প্রয়োজনীয় সকল নথি প্রস্তুত করা এবং আবেদন এর মানদণ্ড পূরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

৩. তুরস্কের স্টুডেন্ট ভিসা কি প্রত্যাখ্যান করা হয়?

 

যদি আপনার আবেদন একটি অসম্পূর্ণ আবেদন এর কারণে প্রত্যাখ্যান করা হয়, তবে আপনাকে কোনো ত্রুটি সংশোধন করার পর অন্য ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনার প্রত্যাখ্যান পত্র পাওয়ার ২৪ ঘন্টা পরে আপনি একটি নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এবং তার সাথে সমস্ত তথ্য সঠিক হলে আপনি আবেদন এর পরের তিন দিনের মধ্যে আপনার ভিসা পেয়ে যেতে পারেন।

 

৪. তুরস্কে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া কি সহজ?

 

তুরস্কে কাজ করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসা পেতে নিকট তম তুর্কি মিশন এ আবেদন করে নিতে হবে। আপনার পাসপোর্ট, ভিসা আবেদন পত্র এবং আপনার নিয়োগ কর্তার একটি চিঠি আপনার আবেদন এর জন্য প্রয়োজনীয় নথি। এই সকল বিষয় সঠিক থাকলে তুরস্কে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া খুব কঠিন কিছু নয়।

 

৫. তুরস্কে কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে?

 

“আইটি নিয়োগের বাজার বেড়েছে। বিশেষ করে সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, DevOps, ক্লাউড সিস্টেম, সাইবার সিকিউরিটি, ডেটা এবং অটোমেশন এর বিশেষজ্ঞ দের জন্য অনুসন্ধান বেড়েছে,” তুরস্কে চাহিদাযুক্ত আইটি চাকরির তালিকায় স্ক্রাম মাস্টার এবং বিজনেস অ্যানালিস্টের মতো ভূমিকা যুক্ত করা হয়েছে।

 

শেষ কথা

 

আজকের এই আর্টিকেল টিতে থাকা সকল প্রকার তথ্য গুলো যদি আপনি অনুসরণ করেন তাহলে আপনি তুরস্ক ভিসা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকার জটিল ব্যপার থেকে খুব সহজ ভাবেউ মুক্তি পেয়ে যেতে পারেন।আমরা সবসময় আশা করি আপনার তুরস্ক তে ভ্রমন এর যাত্রা টি শুভ হোক।

 

তবে আরো কিছু ব্যাপার অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, সেটা হলো আপনি সেই সময় তুরস্ক ভিসা প্রসেসিং করবেন সে সময় আরও ভালো ভাবে বিস্তারিত বিষয় সমুহ অবশ্যই যাচাই – বাছাই করে নিবেন। কারন তা না হলে প্রতারিত হবার অনেক সম্ভাবনা থাকতে পারে। এছাড়াও যেকোনো ভিসা সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন 

 

Visited 105 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here