দুবাই ভিসা | ধরন, খরচ, মেয়াদ, আবেদন নিয়ম | বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা

0
249
দুবাই ভিসা | ধরন, খরচ, মেয়াদ, আবেদন নিয়ম | বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা

দুবাই যাওয়ার ইচ্ছা? বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা পেতে হলে কি করতে হবে, কত টাকা খরচ, কোথায় আবেদন করবেন, কি কি লাগবে সব বিষয়ে জানুন এই আর্টিকেল থেকে।

দুবাই সংযুক্ত আরব আমিরাত এর একটি বিশাল শহর এবং আমিরাত যা বিলাসবহুল কেনাকাটা, অতি আধুনিক স্থাপত্য এবং একটি প্রাণবন্ত নাইট লাইফ দৃশ্যের জন্য ব্যাপক পরিচিত। প্রতি বছরই দুবাইয়ে বাংলাদেশ থেকে অনেক অনেক নাগরিক রা বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে এবং অন্যান্য উদ্দেশ্য নিয়ে ভ্রমন করে থাকেন। 

দুবাইয়ে আরও আছে বিশ্ব বিখ্যাত বুর্জ খলিফা যার উচ্চতা প্রায় ৮৩০ মিটার এবং এটি আকাশচুম্বী স্কাইলাইন এ আধিপত্য বিস্তার করে। এর পাদ দেশে দুবাই ফাউন্টেন রয়েছে, যেখানে জেট এবং আলো সঙ্গীত এর কোরিওগ্রাফি করা হয়েছে। কৃত্রিম দ্বীপ এর ঠিক উপকূলে রয়েছে আটলান্টিস, দ্য পাম, জল এবং সামুদ্রিক প্রাণী দের পার্ক সহ একটি রিসোর্ট। 

এ সকল দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করার জন্য অনেক টুরিস্ট রা বাংলাদেশ থেকে দুবাই গিয়ে থাকেন। তবে যে কারনেই দুবাই যান না কেনো সবার প্রথমে আপনার প্রয়োজন হবে দুবাই এর লিগেল ভিসা। আপনাদের মধ্যে যারা দুবাই এ যাওয়ার প্লান করছেন  তাদের অবশ্যই দুবাই ভিসার প্রসেসিং এর প্রথম ধাপেই দুবাই ভিসার ধরন সমুহ, দুবাই এর ভিসা তৈরীর খরচ, ভিসার মেয়াদ কতো কাল থাকবে, দুবাই ভিসার আবেদন করার নিয়ম সমুহ ইত্যাদি এমন আরও বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় জেনে নেওয়া উচিত৷

আমাদের আজকের দুবাই ভিসা সংক্রান্ত আর্টিকেল টি তাদের জন্যই যারা বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভ্রমন এ যেতে চাচ্ছেন। তবে কোনো প্রকার ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় না পড়ে সহজভাবে সকল কাজ সম্পন্ন করে ফেলতে চাচ্ছেন। আজকের এই আর্টিকেল টি সম্পুর্ন পড়ার মাধ্যমেই আপনি জেনে যেতে পারবেন দুবাই ভিসা সংক্রান্ত সকল প্রকার প্র‍য়োজনীয় তথ্য সমূহ। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক…. 

দুবাই ভিসার ধরন, সময়, মেয়াদ

ক. দুবাই টুরিস্ট ভিসাঃ 

দুবাই টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ এই ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে প্রায় ৩ থেকে ৪ দিন এর মতো।

দুবাই টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কালঃ এই ভিসার মেয়াদ কাল ৬০ দিন এর মতো।

খ. দুবাই স্টুডেন্ট ভিসাঃ 

দুবাই স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ এই ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন এর মতো।

দুবাই স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ কালঃ এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকে প্রায় ২ থেকে ৫ বছর এর মতো।

গ. দুবাই ফ্যামিলি ভিজিট ভিসাঃ

দুবাই ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ এই ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে প্রায় ১৫ থেকে ১৭ দিন এর মতো।

দুবাই ফ্যামিলি ভিজিট ভিসার মেয়াদ কালঃ  এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকে প্রায় ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন এর মতো।

ঘ. দুবাই এমপ্লয়মেন্ট ভিসাঃ

দুবাই এমপ্লয়মেন্ট ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ এই ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে প্রায় ৫ দিন এর মতো।

এমপ্লয়মেন্ট ভিসার মেয়াদ কালঃ এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকে প্রায় ১ থেকে ৩ বছর এর মতো।

দুবাই ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন

ক. দুবাই টুরিস্ট ভিসাঃ 

১. একটি মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

২. একটি টুরিস্ট ভিসা আবেদন পত্র: তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে।

৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত।

৪. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন পত্র: আপনাকে অবশ্যই একটি স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।

৫. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।

৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি।

৭. দুবাই আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় কোথায় ভ্রমন করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।

৮. লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টসঃ বাংলাদেশ এর ভোটার আইডি কার্ড এর মেইন কপি এবং ফটোকপি থাকা জরুরি।

খ. দুবাই স্টুডেন্ট ভিসাঃ 

১. একটি মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট:  একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

২. স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন এর পত্র: সঠিক তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে।

৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হওয়া উচিত হবে।

৪. কভার লেটার: আবেদন কারীর সম্পুর্ন বিবরণ থাকতে হবে। তার সাথে পাসপোর্ট এর বিস্তারিত বিবরণ এবং দুবাই ভ্রমণ এর জন্য বিশদ বিবরণ। স্টুডেন্ট এর ব্যয় কারা বহন করবে তার বিবরন উল্লেখ থাকা একটি কভারিং লেটার তৈরী করতে হবে।

৫. তালিকা ভুক্তির নিশ্চিতকরণ: আপনি যেই বিশ্ববিদ্যালয় এ অধ্যয়ন করতে চান সেখানে গ্রহণ যোগ্যতা পত্রসহ, কিন্তু সীমাবদ্ধ নয়, মনোনীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সকল তথ্য দিতে হবে।

৬. দুবাই বিশ্ববিদ্যালয় এর টিউশন ফি এর পেমেন্ট এর রসিদ: একটি অর্থ প্রদান এর রসিদ থাকতে হবে যার মাধ্যমে বোঝা যাবে যে আপনি প্রতিষ্ঠান কে সঠিক পরিমান এর অর্থ প্রদান করেছেন কিনা।

৭. একাডেমিক ডকুমেন্টস: আপনার সমস্ত একাডেমিক ডকুমেন্ট দুবাই দূতাবাস তথা কনস্যুলেট এ জমা দিতে হবে এবং তার সাথে সত্যায়িত করে নিতে হবে।

৮. আর্থিক অর্থ প্রদান: আপনার পড়াশোনার সময় খরচ কভার করার জন্য আর্থিক উপায় এর সঠিক প্রমাণ সমুহ উল্লেখ রাখতে হবে।

৯. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনা -র টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।

১০. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে। তার সাথে ফটোকপি ও থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রয়োজন

১১. একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি। তার সাথে ফটোকপি ও থাকতে হবে।

১২. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: দুবাই তে আপনি কোন ইন্সটিটিউট এ পড়াশোনা করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।

১৩. IELTS স্কোর এর সার্টিফিকেট: IELTS কোর্স করা কালীন পরিক্ষার স্কোর এর সার্টিফিকেট আবেদন পত্রের সাথে প্রদান করতে হবে।

গ. দুবাই ফ্যামিলি ভিজিট ভিসাঃ

১. একটি মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

২. ভিসা আবেদন পত্র: তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে।

৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত।

৪. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন পত্র: আপনাকে অবশ্যই একটি স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।

৫. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।

৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি।

৭. দুবাই আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় কোথায় ভ্রমন করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।

৮. লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টসঃ বাংলাদেশ এর ভোটার আইডি কার্ড এর মেইন কপি এবং ফটোকপি থাকা জরুরি।

৯. ম্যারেজ সার্টিফিকেটঃ বিয়ের আসল সার্টিফিকেট আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে।

ঘ. দুবাই এমপ্লয়মেন্ট ভিসাঃ

১. মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা বান্ছনীয় যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

২. ভিসা আবেদন পত্র: তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে।

৩. ফটো স্পেসিফিকেশন: আপনার ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মি. মি x ৪৫ মি. মি। সেই ছবি গুলো ৬ মাস এর মধ্যে তোলা উচিত এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হওয়া উচিত হবে।

৪. স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসা পত্র নিয়ে নিতে হবে। করোনার টিকা দিয়েছেন কিনা তার ও একটি কপি আবেদন পত্র টির সাথে জমা দিতে হবে।

৫. জন্ম নিবন্ধন পত্র: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।

৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর একটি আসল কপি।

৭. আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনাকে অবশ্যই আবাসন এর বিবরণ দেখাতে হবে।

৮. আইডেন্টিটি ডকুমেন্টসঃ বাংলাদেশ এর ভোটার আইডি কার্ড এর মেইন কপি এবং ফটোকপি থাকা জরুরি।

৯. দুবাই এর কোম্পানী কতৃক অফার লেটারঃ যেই কোম্পানী কাজ এর অফার করছে তাদের অফার লেটার।

১০. স্পন্সর এর আকামার কপিঃ কাজ এর জন্য যার মাধ্যমে স্পন্সর করা হচ্ছে তার আকামার কপি দিতে হবে।

দুবাই ভিসা করতে কত টাকা লাগে

ক. দুবাই টুরিস্ট ভিসাঃ এই ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় 8, 900 /- BDT

খ. দুবাই স্টুডেন্ট ভিসাঃ এই ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় AED 100

গ. দুবাই ফ্যামিলি ভিজিট ভিসাঃ এই ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় AED 100

ঘ. দুবাই এমপ্লয়মেন্ট ভিসাঃ এই ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় 70 00 AED ( 1,900 USD).

দুবাই ভিসা কিভাবে করতে হয় বা নিয়ম

১ম ধাপঃ ভিসা বাছাই- প্রথমেই ভিসা বাছাই করে নিতে হবে অর্থাৎ যেই ভিসার মাধ্যমে আপনি দুবাই ভ্রমণ করবেন সেটি সবার প্রথম বাছাই করবেন। 

২য় ধাপঃ সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ –

দুবাই ভিসা আবেদন পত্র টির সাথে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় তথ্য গুছিয়ে নিয়ে এটাচ করে দিতে হবে। অবশ্যই সবসময় সকল লিগেল ডকুমেন্টস সরবরাহ করবেন।

৩য় ধাপঃ আপনার দুবাই ভিসা আবেদন শুরু-

দুবাই ভিসার জন্য আপনার জন্য প্রযোজ্য আবেদন টি সঠিক ভাবে অনলাইন এর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন। অনলাইন এর মাধ্যমে ভিসার আবেদন করার কারনে প্রথমেই আপনাকে ভিসার জন্য করা আবেদন ফর্ম টি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এবং তার সাথে সাথেই ডাউনলোড করা ফর্মটি তে সকল সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে পূরন করে নিতে হবে।

৪র্থ ধাপঃ আপনার সাক্ষাৎকার টি লিপিবদ্ধ করুন-

দুবাই ভিসার জন্য আপনার জন্য প্রযোজ্য সাক্ষাৎকার টি সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ করে নিতে ভুলবেন না। ভিসা অফিস এ গিয়ে আপনার সাক্ষাৎকার এ অংশগ্রহণ করুন।

৫ম ধাপঃ পেমেন্ট প্রদান করুন –

যেই ভিসার মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করছেন, তার জন্য যেই পরমান পেমেন্ট ধার্য করা হয়েছে তা সঠিক ভাবে প্রদান করে নিতে হবে। এবং তার সাথে সাথে পেমেন্ট এর জন্য দেওয়া রিসিট টি ও সংগ্রহ করে নিতে ভুলবেন না। কারন পরবর্তী সময়ে এই রিসিট টি প্রয়োজন হতে পারে।

৬ষ্ট ধাপঃ দুবাই ভিসার পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিন-

শেষ পর্যায়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিবেন। আপনার দুবাই যাওয়ার ফ্লাইট এর সঠিক ডেট টি ও জেনে নিবেন।

দুবাই ভিসার আবেদন কেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য

আর্টিকেল টির এই পর্যায়- এ আপনারা জানাবেন বাংলাদেশ এর যে সকল ভিসার আবেদন কেন্দ্র এর মাধ্যমে দুবাই এর ভিসা তৈরী করা যায় সে সকল ভিসা আবেদন কেন্দ্র এর বিস্তারিত তথ্য সমূহঃ

ঢাকায় অবস্থিত দুবাই ভিসার আবেদন কেন্দ্র- ঠিকানাঃ  হাউস নং ১৯১, গুলশান উত্তর এভিনিউ, গুলশান ২ নং, ঢাকা – ১২১২। 

টেলিফোন নাম্বারঃ

১. (+88 0) 2 988- 22 44

২. (+88 0) 2 988- 22 77

ফ্যাক্স নাম্বারঃ

(+88 0) 2 882- 32 25

ইমেইল এড্রেসঃ

Emaildhakaemb@mofaic.gov.ae

টুইটার এড্রেসঃ

twitter.com/UAEEmbassyDhaka

অফিস এর সময়ঃ অ্যাপয়েন্টমেন্ট এর মাধ্যমে।

হেড অফ মিশনঃ আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি, রাষ্ট্রদূত। 

ঢাকা, বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাসে দেওয়া পরিষেবাগুলির একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ

১. পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া।

২. ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া।

৩. নির্দিষ্ট নথি নোটারাইজ।

৪. নথির বৈধকরণ।

৫. জরুরী ভ্রমণ।

৬. নথি প্রদান।

৭. চারিত্রিক সনদপত্র।

সাধারণ ভিসার প্রকারভেদ এর ক্ষেত্রে যোগ্য দেশের নাগরিক রা ভিসা ছাড়াই সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করতে পারবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত অর্থাৎ দুবাই এর ভিসার সবচেয়ে সাধারণ প্রকার গুলি নিচে দেওয়া হলোঃ

১. পর্যটন ভিসা।

২.ব্যবসা ভিসা।

৩. এমপ্লয়মেন্ট ভিসা।

৪. আবাসিক ভিসা।

৫. শিক্ষার্থী ভিসা।

৬. সংযুক্ত আরব আমিরাত এর বাসিন্দা দের জন্য অবসর ভিসা।

৭. রোগীর প্রবেশ এর অনুমতি।

৮. ট্রানজিট ভিসা।

* সংযুক্ত আরব আমিরাত এর কনস্যুলার বিভাগ (ভিসা আবেদন এর জন্য)-

এমপোরি ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টার, বাড়ি নম্বর- ৬, রোড নম্বর- ৯৩, গুলশান এভিনিউ (গুলশান-২, নতুন বাজার রোড), ঢাকা- ১২১২।

দুবাই ভিসা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা

১. বাংলাদেশী রা কি এখন দুবাই যেতে পারবেন?

সমস্ত দেশ থেকে দুবাই ভ্রমণ কারী যাত্রী দের (G C C অন্তর্ভুক্ত) অবশ্যই একটি নেতিবাচক COVID- 19 RT- PCR পরীক্ষার প্রশংসা পত্র থাকতে হবে একটি পরীক্ষার জন্য যা যাত্রার ৭২ ঘন্টা র বেশি আগে নেওয়া হয়নি। COVID- 19 RT PCR পরীক্ষার প্রশংসা পত্র অবশ্যই যাত্রীর প্রস্থান এর দেশে একটি অনুমোদিত সুবিধা দ্বারা জারি করা উচিত।

২. আমি কি অনলাইনে দুবাই ভিসা আবেদন করতে পারি?

আপনি ওটিএ (অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি) বা দুবাই ভিসা প্রসেসিং সেন্টার (ডি ভি পি সি) এর মাধ্যমে অনলাইন এ দুবাই ভিসার আবেদন করতে পারেন। আপনি সরাসরি এমিরেটস এর সাথে আপনার ফ্লাইট এর টিকিট বুক করতে এবং পরবর্তী তে অনলাইন এ দুবাই ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে পারেন।

৩. দুবাই তে চাকরি পাওয়া কি সহজ?

আপনি যদি দুবাই কোম্পানি তে নিযুক্ত হন তবে সেখানে কাজ পাওয়া বেশ সহজ। যেহেতু একটি কাজের ভিসা প্রয়োজন, তাই আপনাকে একটি অবস্থানের প্রস্তাব দেওয়ার পরে দুবাইতে যাওয়া সবচেয়ে সহজ।

৪. দুবাইয়ে পড়া কি ব্যয় বহুল?

দুবাই তে স্নাতক প্রোগ্রাম এর জন্য টিউশন ফি প্রতি বছর 37 500 থেকে 70 000 AED এবং জীবন যাত্রার ব্যয় প্রতি বছর 2600 থেকে 3900 AED এর মধ্যে। দুবাই তে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম এর জন্য টিউশন ফি প্রতি বছর 55 000 থেকে 75 000 AED এবং জীবন যাত্রার ব্যয় প্রতি বছর 2600 থেকে 3900 AED এর মধ্যে।

৫. দুবাইতে আপনি কত বয়সে কাজ করতে পারেন?

সংযুক্ত আরব আমিরাত এর শ্রম আইন 15 বছর এর কম বয়সী কাউকে আমিরা তে কাজ করার অনুমতি দেয় না। যাইহোক, দুবাই এর বাসিন্দারা যাদের বয়স 15 থেকে 18 বছর এর মধ্যে তারা ইন্টার্ন শিপ এবং অন্যান্য চাকরি র জন্য আবেদন করতে পারেন, শর্ত থাকে যে কাজ এর শর্ত এবং কাজ এর সময় 18 বছর এর কম কর্মচারী দের জন্য U A E শ্রম আইন দ্বারা নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে।

৬. পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দুবাই ভিসা চেক করা যায়?

জী হ্যাঁ, করা যায়। এক্ষেত্রে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দুবাই ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন।

ইতিকথা

আশা করি আজকে -র এই দুবাই ভিসা সংক্রান্ত আর্টিকেল টি সম্পুর্ন পড়ার পরে দুবাই ভিসা সংক্রান্ত অনেক জটিল তথ্য ই খুব সহজে জানতে পেরেছেন।  তাছাড়া ও তার পাশাপাশি এ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য গুলো আপনার ভবিষ্যত এর দুবাই ভ্রমণ এর জন্য অবশ্যই কাজে লাগবে।

তবে আপনার উচিত হবে দুবাই ভ্রমণ এর পূর্বেই বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিসা সংক্রান্ত সকল প্রকার  প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ অবশ্যই সরাসরি যাচাই- বাছাই করে নেওয়া। তারপর দুবাই ভিসা এর প্রসেসিং এর সকল কাজ শুরু করা এবং আপনার দুবাই এর বৈধ ভ্রমন টি আরও আনন্দময় করে তোলা।

Visited 304 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here