নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূ ধর্ষণের মামলা অন্যতম আসামি নুর হোসেন বাদল (২২) ও মো. মাইন উদ্দিন সাজু (২১) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ড শেষে আজ রোববার তাদের আদালতে তোলা হয়।
আজ বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসফিকুল হক তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড গ্রহণ করেন। এ নিয়ে ধর্ষণের মামলা, গ্রেপ্তার সাত জন নিজেদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলেন।
বাংলা আলো নিউজ এর সকল খবর দেখতে ক্লিক করুন :
এর আগে সকালে ঘটনাস্থল একলাশপুরে গিয়ে নির্যাতিতা নীরর বাড়ি গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে পিবিআই। ঘর থেকে জামা-কাপড়, বালিশ, বিছনার চাদরসহ মামলার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত দল। এসময় বাড়ির পাশের খাল এবং পুকুর থেকে আরো কিছু আলামত উদ্ধারের জন্য জাল ফেলে ও ডুবুরি নামিয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়। পরে স্থানীয় লোকজনকে সাক্ষী করে আলামতগুলোর জব্দ তালিকা প্রস্তুতের পর জেলা পিবিআই কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারি জানান, আলামতগুলো পরীক্ষার-নিরীক্ষার পর মামলার তদন্ত কাজে ব্যবহার করা হবে এবং প্রয়োজনে আদালতেও উপস্থাপন করা হবে।
স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার ও তার বাহিনীর সদস্যদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২ অক্টোবর রাতে ওই নারীর বসত ঘরে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তাকে বিবস্ত্র করে এবং নির্যাতনের দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে। ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লাইক,কমেন্ট,শেয়ার করে খবর গুলো সবাই কে দেখার সুযোগ করে দিন