বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম ও অন্যন্য তথ্য ২০২৩ 

0
84

বিকাশ সেভিংস একাউন্ট 

বিকাশ সম্পর্কে ব্যাসিক তথ্য 

Bkash বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস। বিকাশ সকলকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন করার এক্সপ্রিরিয়ান্সকে দিয়েছে অন্যরকম অগ্রগতি। মানি ইন মোশন এলএলসি যা কি-না একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোম্পানি, তার সাথে অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ব্যাংক “ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড” ২০১১ সালে এই সেবাটি চালু করেছিল।

বিকাশ থেকে আপনি যেরুপ সেবা গ্রহন করতে পারেন সেগুলো হলো: 

১) মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস: বিকাশ ব্যবহারকারীদের তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অর্থ পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে, এয়ারটাইম টপ-আপ ক্রয় করতে এবং অন্যান্য বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন করতে সক্ষম করে।

২) নিবন্ধন: বিকাশ ব্যবহার করার জন্য, ব্যক্তিদের একটি অ্যাকাউন্টের জন্য নিবন্ধন করতে হবে। এটি অনুমোদিত বিকাশ এজেন্টে গিয়ে বা বিকাশ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে করত পারবেন। যার কারণে বিকাশে লেনদেন যথেষ্ট পরিমাণের নিরাপদ এবং কোনো প্রকার লেনদেনগত সমস্যা হলে তা সরাসরি তাদের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে সমস্যার সমাধান করে দিবে। 

৩) বিকাশ অ্যাকাউন্টের ধরন: বিকাশ দুটি ধরণের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এবং মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টগুলি এমন লোকেদের জন্য যারা প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য বিকাশ ব্যবহার করে। মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবসার জন্য বোঝানো হয় এবং তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট করার সুযোগ দিয়ে থাকে।

৪) বিকাশ অ্যাপ: বিকাশ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় ডিভাইসের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। অ্যাপ এর মাধ্যমে যেকোনো লেনদেন করা, অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করা এবং সুবিধামত তাদের আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সহ আরো অন্যান্য অনেক সুবিধা প্রদান করে।

৫) সবচেয়ে বেশি হাইলাইটেড এবং এই আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্য যেটা তা হচ্ছে, সেভিংস। বিকাশের মাধ্যমে এখন সেভিংস করা সম্ভব। আপনাকে নতুন করে কোনো ধরনের ব্যাংক একাউন্ট কিংবা অন্য কোনো ডকুমেন্টস প্রদান করা ছাড়াই সরাসরি বিকাশ থেকে নিদিষ্ট সময় ও পরিমাণ অর্থের সেভিংস করতে পারবেন। এই বিষয়টি নিয়ে থাকবে বিস্তারিত তথ্য এবারের আর্টিকেলে। Stay Turn… 

বিকাশ সেভিংস । বিকাশ থেকে টাকা জমানো 

সাধারণত দেখা যায়, কেউ যদি কোনো সঞ্চয় হিসাব বা সেভিংস একাউন্ট খুলতে চায় – তাকে হয়তো কোনো ব্যাংক অথবা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে প্রতি মাসের টাকা জমা দিয়ে আসতে হয়। অন্যদিকে মানুষ এখন প্রচন্ড ব্যস্ত, মানুষের সময় মূল্য কতটা তারা ঠিক ভাবেই জানে বুজে। আর তাই তো এখন আমরা সকল কাজ সহজ ও সময়ের মধ্যে করতে চাই। পাশাপাশি যখন কাজটি সরাসরি গিয়ে করতে হতো তখন প্রায় সময় বিভিন্ন কাজের চাপে এই ব্যাপারটা মাথা থেকে সরে যেতো। যার কারণে এক বা একাধিক মাসের মুনাফা অর্জন হতো না। 

এই ধরনের সমস্যার জন্য সঠিক সমাধান হয়ে এসেছে বিকাশ। দিচ্ছে আপনাকে সময় ও শ্রম। বিকাশের মাধ্যমে টাকা জমালে আপনাকে কোথাও গিয়ে অর্থ জমা দিতে হবে না। আপনাকে অর্থ জমার নিদিষ্ট তারিখ মনে রাখতে হবে না। এবং নিশ্চিন্তে কাঙ্ক্ষিত সময়ের পরে মুনাফা সহ মূল অর্থ বিকাশের মাধ্যমেই পেয়ে যাবেন। থাকছে না কোনো Hidden Fee এবার একটা প্রশ্ন অবশ্যই আপনার মনে জাগতে পারে যা হলো, “এই অর্থটাকি বিকাশ নিজে জমা রাখবে?” মূলত না, এটা জমা হবে সরাসরি ব্যাংকে। বিকাশ আপনাকে একাধিক ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট করার সুযোগ দিচ্ছে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই। সকল কার্যক্রম হবে বিকাশের মাধ্যমে তবে আপনার অর্থ সঞ্চয়ে রাখবে ব্যাংক। 

এবার নিশ্চই বিকাশে সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য ইন্টারেস্ট খুজে পাচ্ছেন? তবে জেনে নিন কিভাবে বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলা যায়।

সংক্ষেপে বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম 

খুব সহজ ও সংক্ষেপে বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবো। সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। 

  • ফোন থেকে বিকাশ অ্যাপ এ লগিন করুন
  • ড্যাশবোর্ড থেকে “সেভিংস” নামক অপশনটি খুজে সেটায় ক্লিক করুন
  • কিছু নিয়ম ও শর্ত প্রদর্শন হবে যা সম্মতি দিয়ে এগিয়ে যান
  • হাইলাইট হওয়া “নতুন সেভিংস একাউন্ট” অপশনে ক্লিক করুন
  • কত সময় ও সেভিংস ধরন (মাস ভিত্তিক) সিলেক্ট করুন
  • কি পরিমাণ অর্থ সেভিং করতে চাচ্ছেন তা সিলেক্ট করুন
  • মোট জমা ও প্রাপ্তি কত হবে তা দেখাবে
  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও নমিনির তথ্য দিন
  • সেভিংসের উদ্দেশ্য উল্লেখ্য করুন

এই পর্যায়ে পুরো বিষয় গুলোর সামারি দেখাবে। সব ঠিক ঠাক থাকলে নিয়ম ও শর্তবলী পড়ুন এবং সম্মতি জানান। সবশেষে বিকাশ পিন সাবমিট করে একাউন্ট খোলার কাজ সমাপ্ত ঘটান। That’s all. 

বিকাশ সেভিংস স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য 

এই পর্যায়ে জানাবো বিকাশের সেভিংস স্কিমের কিছু শর্ত সম্পর্কে যা বিকাশ নিজেই জানিয়েছে। এখানে সরাসরি সেসব তথ্য কপি পেস্ট না করে সহজে বিষয় গুলো বুজিয়ে দিচ্ছি। 

আপনি চাইলে এক বিকাশ একাউন্ট থেকে একাধিক সেভিংস স্কিম চালু করতে পারবেন। একাধিক এমাউন্টের একাধিক মেয়াদের এমনকি একাধিক ব্যাংকেও। এটা অবশ্যই একটা ভালো ফিচার্স। 

একাউন্ট খোলার সময় একজনকে নমিনি হিসাবে সিলেক্ট করলেন, কিন্তু পর সময়ে মনে হলো আপনার নমিনি চেঞ্জ করা উচিৎ। এমতাবস্থায় স্বাভাবিক ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ভোগান্তি পোহাতে হলেও বিকাশের মাধ্যমে তা করতে পারবেন খুব সহজেই। 

যখন সেভিংস স্কিম শেষ হবে, আপনি আপনার মূল টাকা ও মুনাফা সহিত আপনার বিকাশ একাউন্টে পেয়ে যাবেন। এবং সবচেয়ে দারুন ব্যাপার এই যে, উক্ত টাকা ক্যাশআউট করবে কোনো ধরনের ক্যাশআউট ফি দিতে হবে না। সম্পূর্ণ ফ্রীতেই ক্যাশআউট করতে পারবেন উক্ত অর্থ। 

কমপক্ষে ৩ মাস শেষ হওয়া আগ অব্দি কোনো ভাবে সেভিং স্কিম ক্লোজ করা যাবে না (বাংলাদেশ ব্যাংক এর বিধি-বিধান অনুযায়ী) তবে ৩ মাস পার হওয়ার পর যদি মনে হয় সেভিং স্কিমটি রাখবে না তখন সেটি বাতিল করতে বা একক্যাশমেন্টের জন্য রিকুয়েস্ট করতে পারবেন এবং তা আপনার মূল একাউন্টে যুক্ত হয়ে যাবে। 

এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, সম্পুর্ণ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি সেভিং একাউন্ট ক্লোজ করে দেন তবে সম্পূর্ণ মুনাফা (যেমনটা নির্ধারণ করা হয়েছিলো) সেটি পাবেন না। 

সবশেষ আপডেট অনুযায়ী এই হলো বিকাশের সেভিংস একাউন্ট কেন্দ্রিক সর্বশেষ আপডেট। তবে বিকাশ যেকোনো সময় যেকোনো শর্ত যুক্ত কিংবা বাদ দেয়ার অধিকার রাখে। এমনটা হলে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট কিংবা এই পোস্টেই পেয়ে যাবেন। তাই অবশ্যই অনুসরণ করুন বাংলা আলো ওয়েবসাইটটিকে। 

বিকাশ সেভিংয়ের নিয়ম 

এই পর্যায়ে বিকাশে সেভিংস একাউন্ট পরিচালন সংক্রান্ত কিছু নিয়ম জানাবো। এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা, এটা জানার মাধ্যমেই সঠিক উপায়ে সেভিংস একাউন্টটি সচল রাখতে এবং ভবিষ্যতে এখান থেকে অর্থ সহ মুনাফা পাবেন। 

সবার প্রথমেই যে বিষয়টি জানাতে হয় তা হলো, সেভিংস একাউন্টটি আপনি সর্বনিম্ম ২ বছর এবং সর্বোচ্চ ৪ বছর অব্দি করতে পারবেন। এর মাধ্যমে বুঝা গেলো এটি একটি সল্প মেয়াদী সঞ্চয় হিসাব। 

প্রশ্ন হচ্ছে, “আপনি সর্বনিম্ম কত ও সর্বোচ্চ কত টাকা জমা রাখতে পারবেন বিকাশের মাধ্যেম?” well, এখানে আপনাকে সর্বনিম্ম ৫০০ টাকার মাধ্যমে সেভিং একাউন্ট খোলা ও পরিচালনা করার সুযোগ দিচ্ছে। আপনি প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে জমা করতে পারবেন। আর সর্বোচ্চ এর কথা বললে ৩০০০ টাকার বেশি কোনো ভাবে বিকাশের মাধ্যমে সেভিং করা যাবে না। আপনি প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা সর্বোচ্চ ৪ বছরের জন্য সেভিংস করতে পারবেন। 

বিকাশ সেভিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম এই যে, বিকাশ তো স্বাভাবিক ভাবেই আপনার বিকাশ একাউন্টে থাকা অর্থ কেটে নিয়ে সেভিংস একাউন্টে পৌছে দিবে। এখন কোনো কারণে যদি বিকাশ অর্থ ট্রান্সফার করতে ব্যর্থ হয়। হতে পারে আপনার একাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স নেই, কিংবা আপনার একাউন্টটি সচল নয়। এক্ষেত্রে সেভিংস এর তারিখ থেকে আগামী ৭ দিন অব্দি উক্ত পরিমাণ অর্থ নেয়ার চেষ্টা করবে। এবং ৭ দিনের মধ্যেও যদি সেটা পরিশোধ না করা হয় তবে আপনি উক্ত দিনের মুনাফা থেকে বঞ্চিত হবেন। 

বিকাশ সেভিংসে মুনাফার হার 

এবার একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক। এটা স্বাভাবিক যে, একেক ব্যাংকে মুনাফার হার একেক রকমের হয়ে থাকে। কোনো ব্যাংকে কম কোনো ব্যাংকে বেশি মুনাফা দিয়ে থাকে গ্রাহককে আকৃষ্ট করার জন্য। এখানেও সে বিষয়টি লক্ষ্যনীয়। 

বর্তমানে বিকাশের সাথে সেভিংস স্কিমে যুক্ত হয়েছে তিনটি ব্যাংক। ব্যাংক গুলোর নাম হলো: 

  • আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড
  • ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড 
  • মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড 

এই তিনটি ব্যাংক পৃথক পৃথক ভাবে মুনাফার হার প্রদান করছে। আপনি যে ব্যাংকের উপর ভরসা করেন কিংবা যে ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান সেটার প্রদানকৃত মুনাফার হারের উপর নির্ভর করে মেয়াদ শেষে মুনাফা প্রদান করা হবে। 

এক্ষেত্রে এই তিনটি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে কম মুনাফার হার প্রদান করছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড যার পরিমান ৫.৫% এরপর যে ব্যাংকটির অবস্থান সেটা হলো ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, এবং তাদের মুনাফার হার ৬%। সবশেষে এবং সেভিংস একাউন্টে সবচেয়ে বেশি মুনাফা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হলো আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড যা হচ্ছে ৭%। 

তাহলে দেখা যাচ্ছে বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার মাধ্যমে আপনি সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ মুনাফা পেয়ে যাচ্ছেন এবং এখানে আপনাকে কোনো সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে না। আপনার হয়ে সকল কাজ করবে বিকাশ স্বয়ং। পাশাপাশি যখন মুনাফা সহ মুল অর্থ আপনার কাছে আসবে তখন সে অর্থ উত্তোলন করার জন্য কোনো প্রকার চার্জ প্রদান করতে হচ্ছে না বিকাশকে।

আরেকটি হাইলাইট করার বিষয় এই যে, আপনি বিকাশের মাধ্যমে দুই ধরণের সেভিংস করতে পারবেন। আপনি যদি সুদ বা মুনাফা গ্রহন করতে চান তবে সাধারণ সেভিংস একাউন্টে সেভিংস করতে পারবেন। অন্যদিকে আপনি যদি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক সেভিংস করতে চান তবে বিকাশের মাধ্যমেই ইসলামী সেভিংস একাউন্ট খোলার সুযোগ থাকছে। সেক্ষেত্রে আপনি যখন একাউন্ট খুলতে শুরু করবেন সে সময়ই উক্ত বিষয়ে আপনার কাছ থেকে জেনে নেয়া হবে। 

পরিশেষে কিছু কথা 

এই ছিলো বিস্তারিত ভাবে বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম ও এটাকে কেন্দ্র করে থাকা অন্যন্য তথ্য, যার উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন যে বিকাশে সেভিংস একাউন্ট খুলবেন কি-না। প্রকৃতপক্ষে দেখতে গেলে এটা খুব ভালো একটা সুযোগ সঞ্চয়ের দিকে নিজেকে ঢেলে দেয়াতে। খুব অল্প পরিমাণ থেকেই এখানে সঞ্চয় করতে পারছেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই। এখানে বলা প্রতিটা নিয়ম ও শর্ত বিকাশ থেকে সংগৃহীত এবং যতক্ষন না অব্দি নতুন কোনো আপডেট আসছে এটাই বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম। 

Visited 32 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here