হবিগঞ্জ জেলা মহিলাদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
রোববার, নভেম্বর ১৪, ২০২১, হবিগঞ্জ জেলা মহিলাদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ে হবিগঞ্জ জেলা মহিলাদলের কর্মীসভা উদ্বোধন করেন মহিলাদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস।
বেলা ১২টায় তিনি দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সভার উদ্বোধন করেন। সভায় আফরোজা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে দেশের মানুষ নিরপাদ নয়।
এই সরকারের দুঃশাসনে দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। এই সরকার মতায় থাকলে মানুষকে না খেয়ে মরতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া কোন ওয়াদাই আওয়ামী লীগ সরকার বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
এদেশের মানুষকে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াতে পারেনি, ঘরে ঘরে চাকুরী দিতে পারেনি, মানুষের জান মালের নিরাপত্তা দিতে পারেনি, মা-বোনের ইজ্জতের নিরাপত্তা দিতে পারেনি।
আওয়ামী লীগ পেরেছে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করতে, লুটপাটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতারা গাড়ি-বাড়ির মালিক হতে পেরেছেন।
তাই দেশের মানুষকে বাচাঁতে, দেশকে রা করতে হলে গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পতন নিশ্চিত করতে হবে।
আফরোজা আব্বাস আরও বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিভাবে মোকাবেলা করতে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে আওয়ামী লীগ পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করছে।
পুলিশ ছাড়া আওয়ামী লীগ রাজপথে বিএনপির সামনে এক মিনিটও দাড়াতে পারবে না।
তিনি পুলিশ প্রশাসনকে দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ।
সভায় জি কে গউছ বলেন- হবিগঞ্জে মহিলাদল অত্যন্ত সু-সংগঠিত ও অতিতের যে কোন সময়ের চেয়ে শক্তিশালী।
মানুষের ভোটাধিকার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে মহিলা দল রাজপথ ছাড়েনি।
লুটেরা আওয়ামী লীগ যখনই ভোট কেন্দ্র দখল করেছে মহিলাদলের কর্মীরা অতন্ত্র প্রহরীর ন্যায় ভোট সেন্টারে দাড়িয়েছে।
প্রত্যকটি নির্বাচনে মহিলাদল আমার পাশে ছিল। তাই সর্ব অবস্থায় তাদের পাশে থেকে হবিগঞ্জে মহিলাদলকে সংগঠিত করেছি। যার প্রমাণ আজকের কর্মীসভা।
কোন বাধাঁই তাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। প্রশাসনের সকল বাধাঁ বিপত্তি উপো করে আজকের সভায় হাজার হাজার মহিলা উপস্থিত হয়েছেন।
ইনশাআল্লাহ, এই মহিলাদলকে সাথে নিয়েই গণআন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলাদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।
মহিলাদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট বিভাগীয় টিম লিডার সাবেক এমপি শাম্মী আক্তারের সভাপতিত্বে
এবং হবিগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির
আহ্বায়ক আবুল হাশিম, যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী এনামুল হক ও এডভোকেট এনামুল হক সেলিম, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্রফেসর এনামুল হক,
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সদস্য তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ
সম্পাদক জালাল আহমেদ, মহিলাদলের সিলেট বিভাগীয় টিমের সদস্য এডভোকেট রোকসানা বেগম, আমিনা চৌধুরী রুমি, শায়লা কবির শেপি। সভায় বক্তব্য রাখেন,
জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দা লাভলী সুলতানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরজাহান বেগম, বাহুবল উপজেলা মহিলাদলের আহ্বায়ক নাদিরা খানম, বানিয়াচং উপজেলা মহিলাদলের আহ্বায়ক
তানিয়া খানম, সদর উপজেলা মহিলাদলের আহ্বায়ক আইরিন আক্তার, লাখাই উপজেলা মহিলাদলের আহ্বায়ক পান্না আক্তার,
হবিগঞ্জ পৌর মহিলাদলের আহ্বায়ক সুরাইয়া খানম রাখি, আফরোজা চৌধুরী, শিমু আক্তার, রিজভী
আক্তার, আমিনা বেগম, সামিনা বেগম, মুনিরা আক্তার, রুজিনা বেগম, পারভিন আক্তার, সালমা বেগম, নাজমা বেগম,
ফাতেমা বেগম, আফসার জাহান হাসি, সফর চান, আছিয়া বেগম, রুজিনা বেগম, জুসনা বেগম, মিনা বেগম প্রমুখ।
সভায় এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিনকে সভাপতি, সৈয়দা লাভলী সুলতানাকে সাধারণ সম্পাদক ও সুরাইয়া খানম রাখিকে সাংগঠনিক
সম্পাদক করে হবিগঞ্জ জেলা মহিলাদলের ১২ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।