ওসমান আল-হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।
তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য আজ (৩০ জুন) কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে যুক্ত হচ্ছে ৩ টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা।
(High Flow Nasal Cannula-HFNC) হস্তান্তর করা হয়েছে।
যা ইতোপূর্বে কক্সবাজারের কোন হাসপাতালে ছিল না। তারমধ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ২ টি ও ঢাকাস্থ কক্সবাজার জেলা সমিতির ১ টি।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে হস্তান্তর
অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, হাই ফ্লু ন্যাজাল ক্যানোলা স্থাপন কক্সবাজারবাসীর দাবী ছিল।
আমিও কক্সবাজারের নাগরিক হিসেবে সেটির প্রয়োজনীয় তীব্রভাবে আনুভব করেছি। তাই যত দ্রুত সম্ভব শূণ্যতা পূরণের চেষ্টা করেছি।
প্রশাসনের সবাই এ বিষয়ে আন্তরিক ছিল বিধায় প্রাথমিকভাবে ৩টি হাই ফ্লু ন্যাজাল ক্যানোলা ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল
আফসার, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, সদর হাসপাতালের সুপার ডা মোহাম্মদ মহিউদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের,
কক্সবাজার চেম্বারের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা, সিনিয়র সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ প্রমুখ।
এগুলো দ্রুত ফাংশনাল করার জন্য সাথে ঢাকা থেকে টেকনিক্যাল পারসনও কক্সবাজার আসছেন বলে জানা গেছে।
কোভিড পজিটিভ ব্যক্তির অক্সিজেন সেচুরেশন নেমে গেলে হাই ফ্লো অক্সিজেন থেরাপি খুবই কার্যকর। এতে বেঁচে যেতে পারে সংকটাপন্ন রোগীর জীবন।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের তৈরি প্রতিটি এয়ারবু হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার দাম ১৫ লাখ টাকা করে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, সদর হাসপাতালে আজকে ৩টি হাই ফ্লু ন্যাজাল ক্যানোলা স্থাপন করা হলো। আরো ৭ টি HFNC ক্রয় ও স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তারমধ্যে ইউএনএইচসিআর কর্তৃক ৩ টি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এর মেয়র কর্তৃক ১টি, কক্সবাজার পৌরসভা মেয়র
কর্তৃক ১টি, যুক্তরাজ্যস্থ কক্সবাজার সমিতি কর্তৃক ১টি ও শ্রিম্প হ্যাচারি এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (সেব) কর্তৃক ১টি।
তিনি মনে করেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে এ চিকিৎসা উপকরণসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।