–
আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইনে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার জন্য কোনো আইডিয়া খুজে থাকেন তবে আপনি একদম যথাযথ স্থানেই এসেছেন কারন উক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো কিভাবে যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা শুরু করা যায় এবং এগিয়ে নেয়া যায়।
আপনি যদি ফেসবুকে মোটামোটি এক্টিভ হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই কখন ও না কখনও ফেক্সিলোড করে দেয়ার বিজ্ঞাপন দেখেছেন অথবা পোস্ট করতে দেখেন। এবার স্বাভাবিক ভাবে একটা প্রশ্ন জাগতে পারে, যেখানে বিভিন মোবাইল ব্যাংকিং প্লাটফর্ম থেকে শুরু করে সব ধরনের সিম কোম্পানির নিজস্ব অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ করা যায় বা অফার কেনা যায় সেখানে কেউ কেনো অপরিচিত একটা স্থান থেকে ফেক্সিলোড করাবে?
অবশ্যই কারন আছে, সেই কারন নিয়ে আজকে আলোচনা করবো পাশাপাশি জানাবো কিভাবে আপনিও অনলাইনে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করে আয় করতে পারবেন। তবে তার আগে ভালো ভাবে বুজে নেই কি হয় এবং কিভাবে হয় অনলাইনের ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা।
এটা আমরা সকলেই জানি যে ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসাতে রিটেইলারদের ১০০০ টাকার বিপরীতে ১০২৮ টাকা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে একজন রিটেইলার পুরো ১০০০ টাকার রিচার্জ করালে লাভ থাকে ২৮ টাকা যা খুবই সামান্য। এবং দেখা যায় তাও অনেক অনেক রিটেইলার আছে বাংলাদেশে। তাহলে প্রশ্ন জাগে যে এই সামান্য লাভে তাদের চলে কিভাবে?
আসলে তাদের আয় কেবল এই ১০০০ এর ২৮ টাকার মধ্যেই সীমাবন্ধ নয়। বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভ ও প্যাকেজ সেল করে বড় অংকের কমিশন তারা পেয়ে থাকে। উদাহরণ সরূপ বলা যায়, এয়ার্টেল সিমের মধ্যে ৩০ জিবি এম্বির রেগুলার প্রাইজ যেখানে ৩৪০ টাকার কাছাকাছি সেখানে একজন রিটেইলারের খরচ পড়ে ২৭০ টাকার মত। মানে কেবল একটি প্যাকেজেই ৭০ টাকা লাভ। এমন ডেইলি ১০ টা প্যাকেজ বা ড্রাইভ সেল করতে পারলেই তাদের ওভারল পুসিয়ে যায়।
কিন্তু এটা তো সেসব রিটেইলারের হিসাব যারা সরাসরি সিম কোম্পানির সাথে ডিল করে, যার জন্য নিয়ে বসতে হয় একটি দোকান, নিতে হয় রিচার্জ করার আলাদা আলাদা সিম। তাহলে অনলাইনে কিভাবে ঘটে ব্যাপারটা?
আসুন জানি অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসাটা করে থাকে অনেকে। তারা মূলত নরমাল রিচার্জ বিক্রি করে না বরং বিভিন্ন অফার যুক্ত এসব ড্রাইভ প্যাকেজ গুলো বিক্রি করে থাকে। এক্ষেত্রে সাহায্য করে বড় বড় টেলিকম কোম্পানিরা। তারা বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রসেসিং করে মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে যেখান থেকে আপনি এসব প্যাকেজ নিয়ে রিসেল করতে পারবেন। এবং এখানে যে ব্যাপারটা ঘটে থাকে সেটা বুজাচ্ছি।
পূর্বের এক্সাম্পলটি ধরেই আগানো যাক, সেখানে দেখানো হয়েছিলো এয়ার্টেল সিমের ৩০ জিবির রেগুলার দাম ৩৪০ টাকা। এবার আপনি সেসকল টেলিকম কোম্পানির সফটওয়্যার থেকে ২৭০-২৮০ টাকায় কিনতে পারবেন এবং সেটা যদি আপনি ৩০০ টাকায়ও বিক্রি করেন তাহলে ২০-৩০ টাকা আয় হচ্ছে আপনার। আর যারা কাস্টমার, তারা কেনো কিনবে? তারা কিনবে কারন তারা রেগুলার প্রাইজ থেকে আরো ৪০ টাকা কমে একই অফার গ্রহন করতে পারছে আপনার কাছ থেকে। এবং টেলিকমের লাভ কি? তারা এক সাথে অনেক গুলো প্যাকেজ সেল করতে পারতেছে এতে তাদের একত্রে অনেক লাভ হচ্ছে।
এতো সময় ধরে বুজালাম কিভাবে অনলাইনে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা পরিচালন করা হয় এবং কিভাবে একেক ধাপে ধাপে ডিল হয়ে থাকে। এবার জানাবো কিভাবে আপনিও এগুলোর থেকে কোনো এক ধাপ অনুসরণ করে আপনিও ব্যবসা পরিচালন করতে পারবেন।
যদি সরাসরি রিটেইলার হয়ে ব্যবসা করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই একটি দোকান, ট্রেড লাইসেন্স, সিম কোম্পানির SR দের সাথে যোগাযোগ করে রিচার্জ করার সিম ক্রয় এবং রেগুলার SR দের কাছ থেকে ব্যালেন্স লোড করে নিতে হবে।
এতে যেমন আপনি অফলাইনে রিচার্জের ব্যবসা করতে পারবেন তেমনই অনলাইনেও বিভিন্ন ড্রাইভ বিক্রি করে আয় করতে পারবেন, এতে আপনারই ডাবল লাভ হবে।
যেহেতু আপনি সরাসরি দোকান দিয়ে উক্ত ব্যাবসাটি করতে পারবেন না তাই আপনার জন্য ভালো হবে অনলাইনের প্রসেসটি অনুসরণ করা। যদিও উক্ত কাজে লাভের পরিমাণ কিছুটা কম তবুও তা সন্তুষ্টজনক হবে।
আপনাকে প্রথমেই যা করতে হবে তা হলো যেসকল টেলিকম কোম্পানি অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাইভ বিক্রির সার্ভিসটি প্রদান করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আমি এখানে স্পেসিফিক কোনো প্রোভাইডারের স্পন্সর করছি না বা কোনো প্রোভাইডারকে প্রোমোট বা মেনশন ও করছি না। আপনি গুগলে সার্চ করে এসব ইজি রিচার্জ / অনলাইন ফ্লেক্সিলোড একাউন্ট ক্রয় করতে পারবেন।
আপনি যে কোম্পানি গুলোর কাছ থেকে একাউন্ট ক্রিয়েট করেন না কেনো তার আগে কোম্পানি সম্পর্কে ভালো ভাবে রিসার্স করে নিবেন তারা বিশ্বস্ত কিনা। বর্তমানে এই ব্যবসা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করায় অনেক অনেক টেলিকম কোম্পানি তৈরি হয়েছে যা গুনে শেষ করা যাবে না।
আমাদের উদ্দেশ্য আপনাকে Authentic ও সত্য তথ্য গুলো প্রদান করা, কোনো প্রকার স্পন্সর বা প্রোমোট করা যা তাই স্পেসিফিক কোনো কোম্পানির কথা উল্লেখ্য করা হয় নি। তবে কমন যে বিষয় গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে In deep তথ্য তুলে ধরা হবে।
আমি দেখেছি প্রায় সব গুলো টেলিকমই ওয়ান টাইম পেমেন্টের মাধ্যমে একাউন্ট তৈরি করার সুযোগ করে দিয়ে থাকে। তারপর সেই একাউন্টে ব্যালেন্স লোড করার জন্য বলা হয়ে থাকে। আপনি চাইলে ১০০০ টাকা দিয়েও শুরু করতে পারবেন।
অনলাইনে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করার একটি বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে আপনাকে একেক সিমে লোড করার জন্য একেক নাম্বারের প্রয়োজন হবে না। আপনি কেবল একটি নাম্বার ব্যবহার করার মাধ্যমেই একাউন্ট করে সেই একাউন্ট থেকে অ্যাপ, এস এম এস করে মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন। এতে করে আপনার যেমন খরচ কমে যাবে তেমনই ঝামেলা মুক্ত ইন্টারফেসের মাধ্যমে ব্যবসা করে যেতে পারবেন।
আনুমানিক সব ধরনের টেলিকম কোম্পানিই একই রকমের প্রাইজ রেঞ্জে অফার দিয়ে থাকে। যদিও কিছুটা আপডাউন হবে প্রাইজগত দিক থেকে এবং এটাই স্বাভাবিক।
এ কাজের জন্য আপনাকে নিদিষ্ট একাউন্টে লগিন করে সেই একাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স রাখতে হবে। এবং সেখানে থাকা অপশন গুলোর মধ্যে থেকে যে ড্রাইভ প্যাকটি আপনি সেল করতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করবেন। যে নাম্বারে অফার পাঠাতে চান সেটা দিবেন এবং প্রাইজিং টা সেট করে দিলেই সেটা প্রসেসিং এ চলে যাবে।
টেলিকম কোম্পানির গুলোর মধ্যে কিছু অটোমেটিক সফটওয়্যার সিস্টেমে এবং অনেকে হিউম্যান ওয়ার্কের মাধ্যমে কিছু সময়ের মধ্যেই সেই অফারটি কাঙ্ক্ষিত নাম্বারে পাঠিয়ে দিবে।
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি ধাপ, মূলত আপনি আগে যা কিছু করেছেন সেগুলো হলো আপনার ব্যবয়া সাজিয়ে তোলা। এবার আপনার কাজ হবে কাস্টমার নিয়ে আসা এবং ব্যবসা পরিচালন করে যাওয়া।
আপনাকে প্রথমেই একটি ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ ক্রিয়েট করতে হবে। যেখানে আপনি আপনার অফার গুলো সম্পর্কে জানাবেন। আপনি প্রতিদিন ডেইলি আপডেটের মত আজকে কত টাকায় কোন অফারটি পাওয়া যাচ্ছে সেটা জানিয়ে পোস্ট করবেন।
প্রথম দিকে কেউ আপনার কাছ থেকে নিবে না বা আপনাকে বিশ্বাস করতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক। এর জন্য হতাশ হওয়া যাবে না। আপনি ফেসবুকে এডস দেয়ার মাধ্যমে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে টার্গেটেড লোকদের মাঝে বিজ্ঞাপন চালাবেন। সেখানে লোকদের জানাবেন আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে।
যখন আপনার একটা বিশ্বস্ত ট্যাগ গায়ে লেগে যাবে তখন থেকে আর আপনার তেমন পরিশ্রম করতে হবে না। অফার পোস্ট করার পরেই লোকেরা আপনাকে খুজে নিবে অফার প্রাইজে ড্রাইভ প্যাক গুলো কেনার জন্য কারন এখানে রয়েছে কাস্টমারসের অনেক লাভ।
আরেকটা বিষয় বলার মাধ্যমে আর্টিকেলটি সমাপ্ত করতে চাচ্ছি যে, আপনাকে অবশ্যই সকল ধরনের পেমেন্ট গেটওয়ে অপশন গুলো রাখতে হবে যাতে করে যেকোনো উপায়ে আপনার কাছ থেকে অফার গুলো গ্রহন করতে পারে। এক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং প্লাটফর্ম গুলো অবশ্যই থাকা উচিৎ।
পরিশেষে, জানালাম অনলাইনে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা আইডিয়া সংক্রান্ত বিস্তারিত আর্টিকেল যেখানে আলোচনা রয়েছে ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা সম্পর্কে এবং কিভাবে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করে আয় করতে পারবেন। মনে রাখবেন, আল্লাহ ব্যবসাকে করেছে হালাল তাই কাউকে না ঠকিয়ে সঠিক উপায় ব্যবসা পরিচালনা করলে অবশ্যই সফল হবেন। ধন্যবাদ।
শরীর ভালো তো মন ভালো” ছোটবেলা থেকে আমরা এই কথায় অভ্যস্ত হলেও ঠিকঠাকভাবে মানতে নারাজ। মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক স্বাস্থ্য…
লাললালালালালালালালালালালালালালালালালালালালা যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায়তবে প্রেমিকা কোথায় আর প্রেমই বা কোথায়?যদি দিশেহারা ইশারাতে প্রেমই ডেকে যায়তবে…
ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে। কাতারে ফুটবল…
এআইয়ের সাহায্যে সরু রাস্তার নির্দেশনাও দেখতে পারবেন চালকরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কুয়াশা ও বন্যার পানি রয়েছে কি-না, তা গুগল ম্যাপসের…
রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে একটুতেই রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে কটূ কথা বলে আফসোস করতে হয়? এবার একটু…
সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং দুদেশের জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে ১. ইসলামপন্থি কিংবা জঙ্গিরা নয় সম্প্রতি যে আন্দোলনের মুখে শেখ…
This website uses cookies.