আরিফ আজাদের বই সমূহ বা বইয়ের নাম গুলো লিস্ট আকারে প্রকাশ ও সেই বই গুলোর শর্ট রিভিউ করার মাধ্যেম সাজানো হয়েছে পুরো আর্টিকেলটি। এখানে রয়েছে আরিফ আজাদের মোট ১০ টি বইয়ের তালিকা ও সেই বই গুলোর তথ্য।
আমরা যারা নিয়মিত কিংবা অনিয়মিত বই পড়ে থাকি তারা কম বেশি আরিফ আজাদের সম্পর্কে শুনেছেনই। আজকে আলোচনা করবো আরিফ আজাদকে নিয়ে এবং তার লেখা বই গুলো নিয়ে। এখন অব্দি তার হাতের ছোয়া পরেছে মোট ১০ টি বইতে। নিম্মে সেই ১০ টি বইয়ের নাম ও খুবই অল্প কথায় ব্যাসিক রিভিউটি দিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করবো। তাহলে শুরু করা যাক।
আরিফ আজাদের বই সমূহ নাম ও শর্ট সামারি
এবার একেক করে ১০ টি বইয়ের নাম সংক্ষিপ্ত রিভিউ দিয়ে যাবো।
১) বেলা ফুরাবার আগে
বর্তমান সময়ে প্রভাবিত কিছু সমস্যা ও সমাধানের কথা দিয়ে সাজানো হয়েছে আরিফ আজাদের বেলা ফুরাবার আগে বইটি। সমস্যা গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে যুগের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা গুলোকে এবং সমাধান দেয়া হয়েছে আল কুরআন থেকে।
বইটিতে সমস্যা নিয়েই কথা হয়নি বরং তার পাশাপাশি সমাধান ও আমাদের ভেতরের সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলার ব্যাপারে জানানো হয়েছে। বইটি বেশ কিছু অনুচ্ছেদে বিভক্ত। বইটি লেখা গল্পের মতন, লেখক গল্পের আকারে কুরআন ও হাদিসের মাধ্যমে মানুষের – বিশেষ করে তরুন সমাজের সমস্যার সমাধান দেয়া হয়েছে। যেহেতু গল্পের আকারে লিখা তাই উক্ত বিষয় গুলো বুজতে কোনো অসুবিধা হবে না পাঠকের।
আরিফ আজাদের সেরা রিচার্স বই প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ এর মধ্যে অনেকেই সাজিদ হওয়ার ইচ্ছা প্রসণ করার পর তাকে জিজ্ঞাস করা হয় সাজিদ হতে হলে কি করতে হবে। তখন তিনি বলেছিলেন, “সাজিদ হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম যা করতে হবে তা হলো বেলা ফুরাবার আগে বইটি পড়া”
২) মা, মা, মা এবং বাবা
আরিফ আজাদের এই বইটিও সাজানো হয়েছে গল্পের আলোকে। প্রথম গল্পটিতে স্থান পেয়েছে এক মায়ের চিঠি যেখানে একটা সন্তান গর্বে আসার পর থেকে শুরু করে ঐ সন্তানের গর্ভে সন্তান আসার আগ অব্দি সকল অনুভূতির প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে প্রতিফলিত হয়েছে ভালোবাসা, টান, ও হাহাকার।
দ্বিতীয় গল্পের রয়েছে এক বাবার গল্প। যুবক কালে যার জীবন ছিলো উছৃঙ্খল। একদা এক সময় একটি অন্ধ মেয়েকে পায়ে ল্যাং মেরে ফেলে দেয়। আল্লাহ এর লিলাখেলায় তার প্রথন সন্তান হয় অন্ধ যাকে সব সময় অবহেলার মধ্যে রেখে দেয়। পরবর্তীতে তার আরো দুইজন সন্তান হয় যাদের আদর যত্ন বেশি করে থাকেন। তবে সেই ছেলেটি একদিন এমন কিছু করলো যা বদলে দেয় তার বাবার জীবন। কি হয়েছিলো তা না হয় বইটি পড়েই বুজে নিবেন। তবে গল্পটি শেষ করতে পারবেন তো ঠিক তবে চোখের পানি বন্ধ রাখতে পারবেন না ঠিক।
এমনই এক এক করে ১০ টি দারুন শিক্ষামূলক গল্পে সাজানো হয়েছে পুরো বইটি। দারুন এই বইটি পড়লে আপনি পিতা-মাতা সম্পর্কে দৃষ্টিভংগী বদলাতে বাধ্য হয়ে যাবেন। তাছাড়া কুরআন হাদিসের আলোকে সাজানো সমাধান গুলো আপনাকে করবে মুগ্ধ।
৩) প্রত্যাবর্তন
এই বইটিতে লেখক আপনাকে চিরচেনা গল্পের জালে এভাবেই জরাবে আপনি নিজের স্মৃতির ঘোরে গিয়ে ভাবতে শুরু করবেন যে, করেছিলাম কি ফেলে আসা সময়ে? কতটা অহেতুক কাজে নিজের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় গুলো নষ্ট করেছি যেখানে আছে কেবল পাপ আর পাপ। এভাবেই কাটিয়ে একদিন হুট করে মসজিদের মাইকে বলে দিবে ওমুক জনের ওমুক জন আর নেই এই সুন্দর জগতে, চলে গেছে সে দুনিয়ায় যেখানেই মানুষের কাটবে অনন্তকাল।
দিনশেষে লেখক দেখিবে দিবে সেই পথ যে পথে হাটতে বলেছেন আমাদের নবী রাসুল। করা সকল ভুল গুলোর জন্য আল্লাহ এর কাছে ক্ষমা চেয়ে জীবনকে নতুন করে গুছিয়ে শুরু করার জন্য। জানানো হয়েছে দুইটা পথ সম্পর্কে যেখানে ১ম টি হলো জীবনের রেস আর ২য় টি হলো জীবনের কমফোর্ট জোনের খোজ। বইটি আপনাকে শেখাবে অতীতের সকল কষ্ট, দুঃখ, মন খারাপ ও নিজের খারাপ অভিজ্ঞতা গুলো ফেলে প্রত্যাবর্তন করা আল্লাহ এর দিকে।
৪) গল্পগুলো অন্যরকম
আমরা জীবনকে তুলনা করা করতে পারি নদীর সাথে। নদী যেখানে থামে, সেখানেই জন্ম দেয় নতুন গল্পের। নদীর প্রতিটি কল্লোল যেন একেকটি গল্প এবং প্রতিটি বাঁক একেকটি উপাখ্যান। জীবনকে আমরা একটি শ্রাবণ মুখর সন্ধ্যাও বলতেই পারি, যেখানে বৃষ্টির শব্দ শোনায় গল্পের মতো, ঝিরিঝিরি স্নিগ্ধ বাতাসকে গল্পের কাহিনির মতো লাগে জীবন্ত।
জীবন কি তাহলে বয়ে চলা কোনো নদী কিংবা আকাশ ভেঙে ঝরঝর করে নেমে আসা কোনো শ্রাবণ-দিনের বৃষ্টি? জীবন কি নিছক উথাল-পাতাল কোনো তরঙ্গের ভেলকি কিংবা গা শীতল করা কোনো স্নিগ্ধ বাতাসের সুর? না। জীবন এর চেয়েও বেশিকিছু। জীবন এর চেয়েও বেশি দুরন্ত, বেশি চঞ্চল আর বেশি আকস্মিক।
জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে জীবন রূপকথার চেয়েও বেশি অবিশ্বাস্য হয়ে ওঠে। জীবনের বাঁকে বাঁকে, মোড়ে মোড়ে, ঘটনা-প্রতি-ঘটনায় জন্ম নেয় হৃদয়ের আকুতি-মিনতি, প্রেম-ভালোবাসা, সুখ আর দুঃখ। এজন্যেই জীবন দুরন্ত, দুর্বিনীত ও চঞ্চল। এজন্যেই জীবন অন্যরকম। সেই অন্যরকম জীবনে জন্ম নেওয়া একগুচ্ছ গল্প দিয়েই সাজানো ‘গল্পগুলো অন্যরকম’ বইটি।
৫) এবার ভিন্ন কিছু হোক
প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত। মাঝে মাঝে আফসোস লাগে—এভাবে একটা জীবন চলতে পারে? এভাবেই কি ক্ষয়ে যাওয়ার কথা আস্ত একটা জীবন? কী পাওয়ার বদলে কী হারাচ্ছি জীবন থেকে?
জীবনে একটা বদল প্রয়োজন, একটা পরিবর্তন ভীষণ জরুরি—তা আমরা জানি। কিন্তু কীভাবে শুরু করবো? ঠিক কোথা থেকে যাত্রা করবো নতুন এক দিনের? কীভাবে মেলে ধরবো নিজের সবটুকু সম্ভাবনা? কীভাবে পেছনে ফেলে আসবো সকল ব্যর্থতা? যে অন্ধকারে হারিয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছি নিজেকে, কীভাবে সেখানে ঘটবে আলোর স্ফুরণ?
একটা নতুন ভোরে, দখিনের জানালার পাশে বসে কিংবা পছন্দের কোনো জায়গা আর সময়-সুযোগ বুঝে খুলে বসতে পারেন ‘এবার ভিন্ন কিছু হোক’ বইটি। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর পাবার আশায় আপনি চাতক পাখির মতো তাকিয়ে, হৃদয়ের উঠোনে যে এক পশলা ঝুম বৃষ্টির প্রতীক্ষায় আপনি গুনে চলেছেন অজস্র প্রহর, ইনশাআল্লাহ বইটি আপনাকে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তগুলো উপহার দেবে। জীবনের এক নতুন উপাখ্যান রচনায় বইটি হতে পারে আপনার নিত্যদিনের সাথি [১]
৬) প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ – ১ ও ২
বর্তমান যুগ হলো প্রেজেন্টাশানের যুগ। একটা জিনিসকে আপনি কিভাবে, কতোটা সহজে, কতোটা সাবলীলভাবে, কতোটা মাধুর্যতায় প্রেজেন্টেশান করছেন তার উপর কিন্তু অনেক কিছুই নির্ভর করে। ন্যাচারালি, মানুষের একটা স্বভাব হচ্ছে – এরা তত্ত্বকথা খুব কম হজম করতে পারে। এরা চায় সহজবোধ্যতা।
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ এর লেখক আরিফ আজাদ ঠিক এই পদ্ধতিই বেছে নিয়েছেন। তিনি গতানুগতিক লেকচার বা তত্বকথার ধাঁচে না গিয়ে, বক্তব্যের বিষয়গুলোকে গল্পের ধাঁচে ফেলে সাজিয়েছেন। প্রতিটি গল্পের শুরুতেই আছে মজার, আগ্রহ উদ্দীপক একটি সূচনা।
কোথাও বা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদের সাথে তাঁর বন্ধু আরিফের খুনসুটি, কোথাও বা মজার কোন স্মৃতির রোমন্থন, কোথাও বা আছে সিরিয়াস কোন ব্যাপারে সিরিয়াস কোন হুশিয়ারি। গল্পে মজা আছে, আনন্দ আছে। মোটামুটি, সার্থক গল্পে যা যা উপাদান থাকা দরকার, যা যা থাকলে পাঠকের গল্প পাঠে বিরক্তি আসেনা, রুচি হারায় না- তার সবকিছুর এক সম্মিলিত সন্নিবেশ যেন লেখক আরিফ আজাদের এই সিরিজের একেকটি এপিসোড। গল্পে গল্পে যুক্তি খন্ডন, পাল্টা যুক্তি ছুঁড়ে দেওয়া, পরম মমতায় অবিশ্বাসের অন্ধকার দূরীকরণে এ যেন এক বিশ্বস্ত শিল্পী [২]
৭) নবি-জীবনের গল্প
আরিফ আজাদের নতুন বই ‘নবি জীবনের গল্প’। প্রিয় নবিকে ভিন্নভাবে দেখার দূরবীক্ষণ যন্ত্র। সীরাতের বাঁকে বাঁকে ছড়িয়ে থাকা নববি মণিমুক্তো। নবি জীবনের প্রতিটি পঙ্ক্তি বাঙ্ময় হয়ে আছে নানা ঘটনা-মাধুর্যে। বড় অমূল্য সেই মুহূর্তগুলো। আরিফ আজাদ এই বইতে সেই মুহূর্তগুলো এঁকেছেন কলমের কালিতে। গল্পে গল্পে তিনি দেখিয়েছেন প্রিয় নবি কেমন ছিলেন ঘরে-বাইরে, মসজিদে-মজলিসে, মদীনার অলিতে গলিতে, সাহাবিদের ঘরদোরে, শক্ত চাটাইয়ে, কেমন সময় কাটতো প্রিয়তমা স্ত্রীদের সাথে কিংবা নিশি জাগরণে রবের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে।
.
পাঠক এই বইতে আবিষ্কার করবেন এমন একজন ব্যক্তিকে, যিনি ছিলেন মানুষ, আবার একই সাথে আল্লাহর দূত। সৃষ্টির সেরা হয়েও যার জীবনটা কাটতো অতি সাধারণভাবে, তবে ছিল মনুষ্যের সেরা রূপ। নবিকুলের শিরোমণিকে আসুন আমরাও নতুন করে জানি। [৩]
৮) জীবন যেখানে যেমন
আরিফ আজাদের নতুন বই ‘জীবন যেখানে যেমন’। এবারের বইটি এমন কিছু জীবন ঘনিষ্ঠ গল্প শোনাবে, যা আপনার আমার সবার জীবনের গল্প। কিন্তু অবচেতন মনে সেগুলো আমরা এড়িয়ে চলি। গল্পগুলো আমাদের ভাবাবে। জীবন নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাবে। উদ্বুদ্ধ করবে জীবন নিয়ে আমাদের স্বপ্নগুলো নতুন করে গড়তে। জাগতিক ব্যস্ততার জাঁতাকলে পিষ্ট হওয়া হৃদয়ে ঘটাবে নতুন জীবনের সঞ্চার। এমন কিছু গল্পও এবার থাকবে, যেগুলো আমরা চাই না কারও জীবনে আসুক। তবে প্রতিটি গল্পই আমাদের বাধ্য করবে থমকে দাঁড়াতে, কতোবার যে চোখযুগল ঝাপসা হয়ে আসবে ইয়াত্তা নেই। জীবন যেখানে যেমন।
৯) আরজ আলী সমীপে
আরজ আলী মাতুব্বর। জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা তার ছিলনা। তবে স্বশিক্ষিত ছিলেন। লোকমুখে শুনা যায় ধর্মের প্রতি একধরনের বিতৃষ্ণা থেকে উনি কলম ধরেছিলেন। বিজ্ঞানমনস্কতার নামে আরজ আলীরা যে ভূলটা করেন তা হলো ধর্ম, বিজ্ঞান,এবং দর্শনকে একই ক্যাটাগরিতে নিয়ে আসা।
অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনেরর কম্বিনেশনে পানি সৃষ্টি হয়- তা বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। চুরি করলে হাত কর্তন করা অথবা যিনা করলে পাথর মেরে হত্যা করা অথবা কাউকে হত্যার বিনিময়ে হত্যা করা ধর্মের আলোচ্য বিষয়।
দর্শনে এ সমন্ধে কিছু বলা থাকলেও বিজ্ঞানে কিছুই নেই। এমতাবস্থায়, ভিন্ন ভিন্ন আলোচ্য বিষয়কে যদি একই বাটখারায় ওজন করাটা নিতান্ত বোকামি। হাস্যকর ব্যাপার হলো আজ্ঞেয়বাদী, নাস্তিক, স্যেকুলার’রা বিজ্ঞানমনস্কতার নামে তিনটি আলাদা টপিক কে একই বাটখারায় ওজন করে।
.
আরজ আলী সাহেব সমাজে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার কে মূল ইসলামভেবে প্রশ্ন করেছেন। অথচ অধিকাংশ প্রচলিত কুসংস্কারের সাথে কুরআন হাদিসের কোনো সম্পর্ক নেই। আরজ আলী সাহেব কী ভুল করেছেন, উনার প্রশ্নের সোর্স কতটুকু সত্য? উনি কি আদতে সত্যের সন্ধান করেছেন? তার পুঙ্খানুপুঙ্খ উত্তর মিলবে ” আরজ আলী সমীপে’ বইটি থেকে।
১০) জবাব
আমরা হয়ত অনেকেই জানি না, জনপ্রিয় লেখক আরিফ আজাদের তৃতীয় আরেকটি বই এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। ‘জবাব’। তবে এখানে শুধু আরিফ আজাদের লেখা নয়, বইটিতে বাংলাদেশের প্রথিতযশা যে কয়েকজন লেখক ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সংশয়মূলক কিছু প্রশ্নের জবাব এবং ইসলামের সত্যতা নিয়ে লিখেছেন, তাদের লেখাও আছেন। তাঁরা হচ্ছেন:
.
ডা. শামসুল আরেফিন শক্তি, মুশফিকুর রহমান মিনার, রাফান আহমেদ, শিহাব আহমেদ তুহিন, আরিফুল ইসলাম, জাকারিয়া মাসুদ, মহিউদ্দিন রূপম, মুরসালিন নিলয়-সহ প্রমুখ।
সম্পাদনা করেছেন: মুফতি তারেকুজ্জামান, মুফতি আবুল হাসানাত কাসিম, উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ, জাকিয়া সিদ্দীকি।
লেখা শেষে কিছু কথা
পরিশেষে এটা ছিলো একটি পরিচয় পর্ব মূলক আর্টিকেল যেখানে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক আরিফ আজাদের বই রয়েছে সেই বই গুলোর নাম ও সেই বইয়ের সংক্ষেপে কিছু রিভিউ উল্লেখ্য করেছি যাতে করে পাঠকের বুজতে সুবিধা হয় বই গুলো পড়া উচিৎ কি না। আপনি যদি বই পড়তে ভালোবাসেন, বই পড়ার আগে সেই বইয়ের সম্পর্কে কিছু জেনে নিতে ভালোবাসেন তবে বাংলা আলোর পক্ষ থেকে আপনার জন্য রয়েছে বই রিভিউ নামক ক্যাটাগরিটি, যেখানে রয়েছে জনপ্রিয় সব বইয়ের তালিকা ও সংক্ষেপ রিভিউ।