ইতালি ভিসা সরকারের নতুন গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে দুইটি ক্যাটাগরিতে 30 টি দেশ থেকে সর্বমোট 30,850 লোক নিবে এক বছরে।
প্রথম ক্যাটাগরিতে শ্রমিক ভিসায় 12 হাজার 850 জন লোক নিবে। এবং দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে কৃষি,পর্যটন, হোটেল ম্যানেজমেন্টে 18 হাজার লোক নিবে।
13 – 21 তারিখের মধ্যে আবেদনের প্রসেস করতে হবে।
প্রথম ক্যাটাগরির আবেদনের সাবমিট শুরু হবে 22 তারিখ থেকে এবং দ্বিতীয় ক্যাটাগরির আবেদনের সাবমিট শুরু হবে 27 তারিখ থেকে। সাবমিটের শেষ তারিখ 31 ডিসেম্বর।
বাংলা আলো নতুন নতুন খবর দেখতে ভিজিট করুন।
কিভাবে আবেদন করবেন: সরাসরি কেউ আবেদন করতে পারবেন না। তবে আপনারা দুইটি পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারেন-
প্রথম পদ্ধতি- কোন আত্মীয়-স্বজন ইতালিতে থাকলে অথবা পরিচিত বা কাছের কাউকে দিয়ে ইতালি সরকারের কাছে আপনি আবেদন করতে পারেন।
দ্বিতীয় পদ্ধতি: কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সাথে চুক্তি করে আবেদন করাতে পারেন। আবেদন করা মানে ইতালিতে চলে যাওয়া না।
আবেদন করার পর আপনি নির্বাচিত হলে বাকি কাজগুলো করতে হবে। মনে রাখবেন এই প্রক্রিয়ায় ইতালি যাওয়ার সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
আবেদন করার যোগ্যতা: আবেদন করার পরে যদি আপনি নির্বাচিত হন তাহলে -পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড,শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ,কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র(যদি থাকে) লাগবে। অবশ্যই বয়স 18 বছরের বেশি হতে হবে। ছেলে মেয়ে উভয় আবেদন করতে পারবেন।
ইতালি ভিসা খরচ: এই অংশটুকু বোঝার জন্য দুই-তিনবার পড়বেন।
অবশ্যই মাথায় রাখবেন এখানে দুই ধরনের ভিসা একটা সিজনাল আরেকটা হচ্ছে নন সিজনাল।
যারা নন সিজনাল ভিসায় যাবে তারা সেখানে পার্মানেন্ট থেকে কাজ করতে পারবে। নন সিজনাল ভিসায় যেতে হলে অবশ্যই তাদের অতিরিক্ত কিছু যোগ্যতা লাগবে।
আর যারা সিজনাল ভিসায় যাবে তারা সেখানে 6 – 9 মাস পর্যন্ত থাকতে পারবে।
এখন আপনি এই সময়ে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং কত টাকা দিয়ে আপনার যাওয়া উচিত হবে এটা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আর আপনি যার মাধ্যমে যাবেন অথবা যেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যাবেন তারা আপনার কাছ থেকে কত টাকা নিবে এটা আসলেই তাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর এই 30850 জন লোক শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে না 30 টা দেশ থেকে নিবে।
কিছু মানুষ এই সুযোগটার জন্য বসে আছে, তারা আপনাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে টাকাপয়সা নেয়ার জন্য ওৎ পেতে আছে। তাদের খপ্পরে পরে টাকা-পয়সা সব উজার করে দিবেন না।
বুঝে শুনে জেনে লেনদেন করবেন। আমি আবারও বলি যদি আপনার কোনো আত্মীয়-স্বজন বা কাছের মানুষ ইতালি থাকে তাদের মাধ্যমে এপ্লাই করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে,কারো সাথে চুক্তিভিত্তিক এপ্লাই করলে সেটা নিজ দায়িত্বে করবেন।
কেউ এই চিন্তা করবেন না যে সিজনাল বিষয় গিয়ে সেখান থেকে যাবেন। তাহলে হয়তো আমাদের জন্য ইতালির দরজা আবার বন্ধ হয়ে যাবে।
সেখানে গিয়ে অবৈধভাবে থাকা এবং ভিসার মেয়াদ শেষে ফিরে না আসার জন্যই 2012 সাল থেকে এই পর্যন্ত বাংলাদেশীদের জন্য ইতালির ভিসা বন্ধ ছিল।
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা ২০২০
ইতালিতে বেতন কত
ইতালির ভিসা কবে খুলবে ২০২০
ইতালির ভিসার দাম কত
ইতালি ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং
ইতালিতে বৈধ হওয়ার উপায়
স্পন্সর ভিসা কি
মাল্টা ভিসা প্রসেসিং
ইতালি সিজনাল ভিসা
সেনজেন ভিসা আবেদনের নিয়ম
ইতালি টুরিস্ট ভিসা ২০২০
ইতালি ভ্রমণ ভিসা
ইতালি ভিসা ফরম
কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
ইতালির বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা