সৌন্দর্যের চাকচিক্যতা বাড়াতে আমরা কমবেশি সকলেই এলোভেরার নাম শুনেছি। এটি সৌন্দর্যের পাশাপাশি অনেক রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রেও গভীর ভূমিকা পালন করে। তাই আপনাদের এলোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানাবো।
অ্যালোভেরা একটি রসালো উদ্ভিদ যার ভিতর আছে ভিটামিন এ, সি, ই ইত্যাদি। এটির আরেক নাম ঘৃতকুমারী।
রূপচর্চার সর্বপ্রথম শিখরে আছে এলোভেরা। ছোট থেকে বড় যেকোনো বয়সের মানুষ এলোভেরা ব্যবহার করতে পারে নির্দ্বিধায়। কিশোরীদের জন্য রূপচর্চা এবং চুল চর্চায় এলোভেরার গুরুত্ব অপরিসীম।
আর যাদের হাত পায়ের জয়েন্টে ব্যথা তাদের জন্য এলোভেরা এক হারবাল ঔষধ হিসেবে কাজ করে। এলোভেরার উপকারিতা ও গুনাগুন অপরিসীম।
এলোভেরার জেল বাচ্চাদের হাত-পায়ের লোশন হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এলোভেরার ক্ষতিকারক দিক খুব কম।
প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত মেয়েদের সৌন্দর্য রক্ষার্থে প্রথম গাইড হিসেবে এলোভেরা ব্যবহৃত হয়।
শুধু সৌন্দর্যের জন্যই না সৌন্দর্যের পাশাপাশি নানান রোগের ঔষধ হিসেবে এলোভেরা ব্যবহার করা হয়।
বৃদ্ধদের শরীর ব্যথা, শরীর ঠান্ডা, মাথা ঠান্ডা রাখার কাজে এর ভূমিকা অনেক। এলোভেরা ডায়াবেটিস এর প্রতিষেধক হিসেবে বড় ভূমিকা পালন করে।
এটি রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এলোভেরায় আছে এমন কিছু খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা নিমিষেই শরীরে ফ্যাট কমিয়ে ফেলে।
একটি মানুষের সৌন্দর্য এবং সুস্থ শরীরের প্রতীক এলোভেরা। তাই মানব জীবনে এলোভেরার উপকারিতা অপরিসীম।
আর ও পড়ুন
থানকুনি পাতার উপকারিতা-অপকারিতা ও গুনাগুন
আমলকি উপকারিতা অপকারিতা গুণাবলি ও সিরাপ
এলোভেরা এমনই একটি উদ্ভিদ যা একের অধিক কাজ করে। আর চুলের যত্নে এলোভেরা অনন্য। চুলের সমস্ত সমস্যার সমাধানে হল এলোভেরা।
বর্তমানে মেয়েদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো চুল পড়া। আর চুল পড়া রোধে এলোভেরা হলো একমাত্র ও কার্যকরী পন্থা।
চুল পড়া রোধের পাশাপাশি চুলকে মসৃণ ও কোমল করতে এলোভেরার জুড়ি নেই। এলোভেরা ব্যবহারের ফলে চুল হয় ঘন কালো ও মসৃণ।
এলোভেরার জেল মাথার স্কাল্পে মেসেজ করলে চুল দ্রুত লম্বা হয়। এটি মাথার ত্বকের এলার্জি দূর করে, মাথার খুশকি দূর করতে সাহায্য করে, চুল ফাটা রোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
এলোভেরার জেল ব্যবহারে মাথার চুল সিল্কি হয়।এলোভেরায় আছে ভিটামিন সি যা চুলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। চুলের জন্য এলোভেরার গুরুত্ব অতুলনীয়।
Like Cm to Inches Converter Visit Now
কাঁচা এলোভেরা মানব জীবনে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উদ্ভিদ। এটি যেমন মানুষের ত্বককে সুন্দর রাখতে সহায়তা করে তেমনি কাঁচা এলোভেরা খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সহজেই।
এটির গুণাবলীর জন্য এটি সারা বিশ্বে এখন জনপ্রিয়। এটি একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ, যা আমাদের দেহের ভিতরের রোগ নিরাময়ে সক্ষম।
গবেষণায় প্রমাণিত, এটি খাওয়ার ফলে মানুষের শরীর সতেজ থাকে আর ক্লান্তি দূর হয়। কাঁচা এলোভেরার জুস খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে।
এটির ভিতরে এমন কিছু ভিটামিনস রয়েছে যা খেলে মানুষের পুষ্টির ঘাটতি ,ভিটামিনের ঘাটতি নিমিষেই দূর হয়ে যায়।
এলোভেরা খাওয়ার ফলে শরীরের সমস্ত ছোট বড় রোগ থেকে উপশম পাওয়া যায়। এটি খাওয়ার ফলে খুব সহজেই শরীর সতেজ হয়ে ওঠে।
কাঁচা এলোভেরা শুধু খাওয়া না, ব্যবহারেও এর গুনাগুন অনেক। মুখের উজ্জলতা বাড়াতে কাঁচা এলোভেরার জুড়ি নেই।
এটি নিয়মিত ব্যবহারে একটি সুস্থ ত্বক পাওয়া সম্ভব। ড্যামেজ স্কিন রিপেয়ারে এটির গুরুত্ব অবর্ণনীয়। কাঁচা এলোভেরা মাথার স্কাল্পে ব্যবহারের ফলে চুল খুব তাড়াতাড়ি লম্বা হয়।
চুলের খুশকি দূর হয়। এলোভেরাতে নানান ধরনের কার্যকরী ভিটামিন আছে যা আমাদেরকে সুস্থ রাখতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
এলোভেরা একটি ম্যাজিক্যাল উপাদান, যা ব্যবহার ও খাওয়ার ফলে শরীরে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। হার্টসুস্থ রাখতে এলোভেরার অবদান অনেক।
এছাড়া এটা রক্তের দূষিত কোলেস্টরেলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই হার্ট অ্যাটাকের মাত্রা হ্রাস পায়। এটি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এটি খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি, মিনারেল এর ঘাটতি পূরণ হয় ।আর ডায়েট এর ক্ষেত্রে এলোভেরা সবকিছুর ঊর্ধ্বে।
এটি খেলে শরীরের ফ্যাট নষ্ট হয় ,যার কারণে শরীর সতেজ থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটা অনেক উপকারী।
রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে আনার ক্ষমতা থাকে এলোভেরায়, যার কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এটি খাওয়ার ফলে শরীরের ক্ষত হওয়ার ভয় থাকে না, কারণ এটির মধ্যে আছে এমন কিছু উপাদান যা খুব সহজেই ক্ষত ভরাট করে দেয়।
শরীরের জয়েন্টে ব্যথা দূর করতে এলোভেরা জাদুকরী উপাদান হিসেবে কাজ করে। হাড়কে শক্ত করে।
শুধু তাই নয় এলোভেরায় আছে ভিটামিন সি যা দাঁত কে রাখে সুস্থ ও মজবুত। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগকে আয়ত্ত করে ফেলে এলোভেরা। এটি হজমশক্তি বাড়ায়।
এলোভেরার আঠালো রস খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের দূষিত পদার্থ গুলো মলদ্বারের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। দূষিত রক্ত বের করে দেয় এটি।
এলোভেরা শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয় যার কারণে আপনার স্ট্রেস কমে যাবে।
বলা যেতে পারে এটি খাওয়ার ফলে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবেও সুস্থতা লাভ করা যায়।
ত্বকের যত্নে এলোভেরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের যত্নে এখন সকলেই এলোভেরা ব্যবহার করে থাকে। এদিকে নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
এলোভেরা ত্বককে ন্যাচারালি ফর্সা করে। মুখে পোরসের গর্ত ভরাট করে দেয়। নিয়মিত এলোভেরা ব্যবহারে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রোদে পোড়া ভাব শেষ করে নিমিষেই। এলোভেরা কে আমরা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করতে পারি। যেমন ক্লিনজার হিসেবে এলোভেরা অন্যতম।
এটি ত্বককে চামড়ার ভিতরে থেকে পরিষ্কার করে। তারপর ফেসপ্যাক হিসেবেও আমরা ব্যবহার করতে পারি।
এলোভেরা ফেসপ্যাক ত্বককে নরম ও ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। ত্বককে উজ্জ্বল করে, ত্বকের ভিতরের মরা কোষ কে বের করে আনে, এর ফলে ত্বক থাকে সুস্থ ও জীবাণুমুক্ত।
এলোভেরা জেল আমরা নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। এলোভেরা জেল সারারাত মুখে লাগিয়ে সকালে মুখ ধুয়ে ফেললে খুব ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।
মুখে ব্রনের দাগ থাকলে তা চলে যায়। এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটি খুব ভালো কাজ করে।
তাই নিয়মিত এলোভেরা ত্বকে লাগালে ,আপনিও আপনার স্কিনকে সুন্দর ,উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় বানাতে পারবেন।
এলোভেরা যেমন সর্বগুণে অনন্য ,তেমনি এটার কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এলোভেরা কে নিয়মিত পান না করে এটি সপ্তাহে একদিন খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
কেননা এটা নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার কিডনিতে সমস্যা হতে পারে।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এলোভেরা নিষিদ্ধ। এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে এবং স্তন্যদানকারী কোন মহিলা এটি খেতে পারবে না।
এতে করে বাচ্চার সেই দুধ পানের ফলে, তার ক্ষতি হতে পারে।
বিজ্ঞানীদের মতে, এলোভেরা জেল বের করার সময় ভুলবশত অ্যালো লেটেক্স বের হতে পারে যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।
অ্যালো লেটেক্স খুব মারাত্মক। এটি শরীরে প্রবেশের ফলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। ডায়রিয়া ও হয়।
ছোট বাচ্চার পেটে গেলে তাদের পেটে ব্যথা শুরু হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে।
তাই আমরা এলোভেরা সেবন করলেও সেটা ডোজ হিসেবে ব্যবহার করব এবং সম্পূর্ন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করব।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আমাদের সুস্থ থাকা প্রয়োজন। সুস্থতার পাশাপাশি মানুষ তার সৌন্দর্য নিয়েও বেশ চিন্তিত।
আর এই সব কিছুর জন্য প্রয়োজন এলোভেরা।
এলোভেরা আমাদের জীবনে বিভিন্ন কাজে লাগে । আমাদের সৌন্দর্য বজায় রাখার পেছনে এলোভেরা এক অতুলনীয় অবদান রয়েছে। এর ব্যবহারে আমরা একটি সুন্দর নরম ও উজ্জ্বল ত্বক পাই।
এটি ব্যবহারে ত্বকের সমস্ত ব্যাকটেরিয়ার বিনাশ হয়। মুখের পিম্পল এর জন্য এটির ব্যবহার খুব ভালো ফল পাওয়া যায়।
ত্বকের চুলকানির জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ত্বকের র্যাশিং হলে, এটি ব্যবহারে ভালো হয়ে যায়। রোদে পোড়া ভাব দূর করে, ত্বককে ফর্সা করে। চুলের যত্নে এলোভেরা অনেক উপকারী।
এলোভেরা তেল দিলে চুল তাড়াতাড়ি লম্বা হয়। এলোভেরা তেল মাথায় মেসেজ করলে চুল পড়া বন্ধ হয়।
এটি মাথার খুশকি দূর করে। মাথার উকুন, চুলকানি এলোভেরার মাধ্যমে দূর হয় ।
শুধু তাই নয় বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এলোভেরা প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
এলোভেরা হার্টকে ভালো রাখে হূদরোগ কমিয়ে আনে। শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
শরীরের হাড় শক্ত করে, যার ফলে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা হয়না। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরের ক্ষত ভরাট করে।
দাঁতের যত্নেও এলোভেরা উপকারী। দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর করে ,দাঁত মজবুত করে।
এলোভেরায় এমন অনেক গুণাবলী রয়েছে যা মানুষের জীবন ও সৌন্দর্যকে অক্ষত রাখতে সহায়তা করে।
শরীর ভালো তো মন ভালো” ছোটবেলা থেকে আমরা এই কথায় অভ্যস্ত হলেও ঠিকঠাকভাবে মানতে নারাজ। মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক স্বাস্থ্য…
লাললালালালালালালালালালালালালালালালালালালালা যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায়তবে প্রেমিকা কোথায় আর প্রেমই বা কোথায়?যদি দিশেহারা ইশারাতে প্রেমই ডেকে যায়তবে…
ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে। কাতারে ফুটবল…
এআইয়ের সাহায্যে সরু রাস্তার নির্দেশনাও দেখতে পারবেন চালকরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কুয়াশা ও বন্যার পানি রয়েছে কি-না, তা গুগল ম্যাপসের…
রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে একটুতেই রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে কটূ কথা বলে আফসোস করতে হয়? এবার একটু…
সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং দুদেশের জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে ১. ইসলামপন্থি কিংবা জঙ্গিরা নয় সম্প্রতি যে আন্দোলনের মুখে শেখ…
This website uses cookies.