ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে।
কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজিত হচ্ছে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে। এ উপলক্ষে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে।
গত বছরের জুলাইয়ে প্রথমবারের মতো সমুদ্রপথে প্রায় সাড়ে তিন হাজার গাছের চারা বাংলাদেশ থেকে কাতার পৌঁছায়। দোহার আল নাইমি ল্যান্ডস্কেপিং নামের এক নার্সারি এগুলো আমদানি করে। চালানটির শিপমেন্টে নিয়োজিত ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) প্রতিষ্ঠান সেভারেল কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিজরা এন্টারপ্রাইজ ওই সব চারা দুটি ট্রাকে করে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে। এরপর সেগুলো পতেঙ্গার ইস্টার্ন লজিস্টিক ডিপোতে রাখা হয়। পরে একটি ৪০ ফুটের হিমায়িত কনটেইনারে চারাগুলো লোড করা হয়। কাস্টমস ক্লিয়ারিং শেষে গত ১১ জুন চারাগুলো নিয়ে জাহাজ রওনা দেয়।’
চারাগাছগুলোর মধ্যে ফলদ যেমন, তেমনি বনজ গাছও আছে। এসবের মধ্যে মাল্টা, লেবু, আম, জাম, কাঁঠাল, বটগাছ, নিম, বাউকুল ইত্যাদির চারা আছে। কুমিল্লার মো. রাকিবুল হাসানের পিতা দোহায় নার্সারি ব্যবসা চালু করেছেন আড়াই দশক আগে। আল নাইমি তাদেরই প্রতিষ্ঠান। কাতারে তাদের তিনটি সুবিশাল খামার রয়েছে। এগুলোর সবগুলোর মিলিত আয়তন তিন লাখ বর্গমিটার। রাকিবুল বলছিলেন, ‘গত তিন বছর ধরে আমরা চেষ্টা চালিয়ে তবেই সফল হলাম। আগেও আমরা চারা গাছ এনেছি তবে তা কার্গোতে করে। ফুটবল স্টেডিয়ামগুলোর আশপাশে এসব চারা লাগানো হবে।’
রাকিবুল আরো বলেন, ‘যদি সরকার রপ্তানি বিষয়ক কাগজপত্র তৈরি সহজ করে তবে আমরা আরো আমদানি করতে পারব। দেশ লাভবান হবে।