কিভাবে মোবাইল ফ্লাশ দিতে হয় | নিজেই নিজের এন্ড্রয়েড ফোনে ফ্লাশ দিন

0
49

এন্ড্রয়েড ফোন যখন কোনো সমস্যা করে বা যখন অনেক ধীর গতির যায় তখন অনেকে মোবাইল ফ্লাশ দেওয়ার কথা বলে থাকে। তবে কি এই ফ্লাশ দেয়া জানুন বিস্তারিত

আমরা তখন আমাদের পছন্দের এন্ড্রয়েড ফোনটিকে ফ্লাশ দেওয়ার জন্য ভাবি। কিন্তু অনেকে তো জানেন না কিভাবে মোবাইল ফ্লাশ দিতে হয় এই সম্পর্কে।

আর যারা সাধারণত এই সম্পর্কে তেমন জানেননা তারা ফ্লাশ দিতে গিয়ে অনেক অসুবিধায় পড়ে থাকেন।

তাই আপনাদেরকে বলবো যে কিভাবে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনটি তে কোন সমস্যা হলে খুব সহজেই ফ্ল্যাশ দিবেন সে সম্পর্কে।

তাহলে চলুন প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক..

মোবাইল ফ্লাশ কেন দিতে হয়

 

কেউ মোবাইলে ইচ্ছে করে ফ্লাশ দিতে চায় না।স্মার্টফোনটির যখন ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন সফটওয়্যারের কারণে ধীর গতির হয়ে যায় বা ঘন ঘন হ্যাক করা শুরু করে তখন অনেকে ফ্লাশ দেওয়ার কথা বলে থাকে।

ফ্লাশ দেওয়ার ফলে আবার স্মার্টফোনের কার্যক্রম ভালোভাবে শুরু হয়ে থাকে। যার ফলে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী স্মার্টফোন ব্যবহারের উন্নত অভিজ্ঞতা পেয়ে থাকে। সাধারণত এই কারণেই মোবাইল ফ্লাশ দিতে হয়।

তাছাড়া অনেকে আরো অনেক কারণে মোবাইল ফ্লাশ দিয়ে থাকে।মোবাইল ফ্লাশ দেওয়ার বেশ কয়েকটি ভালো সুবিধা রয়েছে।

কিভাবে মোবাইল ফ্লাশ দিতে হয়

আপনাদের ফোনে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনারা ইচ্ছে করলে খুব সহজেই আপনাদের স্মার্টফোনটিকে ফ্লাশ দিতে পারবেন। আমি এবার আপনাদের কে বলব কিভাবে মোবাইল ফ্লাশ দিতে হয় সে সম্পর্কে।

১. মোবাইল ফ্লাশ দেওয়ার জন্য প্রথম পর্যায়ে আপনার মোবাইলটি সুইচ অফ করতে হবে। মেমোরি কার্ড খুলে নিতে হবে আপনার স্মার্টফোন থেকে।

২. সিম কার্ড এবং মেমোরি কার্ড খোলার পর একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যেন মোবাইলটি অন না হয়।

৩. তারপর আপনার মোবাইলের Volume up Button + Home Key + Power Button” একসাথে চেপে ধরুন। যদি আপনার ফোনে হোম কী না থাকে তাহলে বাকি দুইটা প্রেস করলেও হবে।

৪. তারপর দেখবেন একটি DOS এর মত স্কিন বা রিকভারি স্ক্রীন আসবে।তারপর এই স্কিনে কয়েকটি অপশন দেখতে পারবেন।

আর সেখানে “wipe data/factory reset” এরকম কিছুও একটা দেখতে পারবেন।

৫. তারপর আপনি ভলিউম কি ব্যবহার করে কার্সর টি ওপরে নিচে সরাতে পারবেন।তারপর আপনাকে কার্সরটি সরিয়ে wipe data/factory reset” অপশন এ ক্লিক করতে হবে।

৬. নেক্সট ইয়েস বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনারা দেখতে পারবেন মোবাইলটি নিজ থেকে কিছু কাজ করবে।

৭. অত:পর সেই কাজগুলো হয়ে গেলে আবার সেই রিকভারি স্ক্রীন আসবে। এবার আপনাকে সেখান থেকে Reboot System Now” এ ক্লিক করতে হবে। তারপর দেখবেন আপনার মোবাইলটি রিস্টার্ট হবে।

এখন আপনার কাজ মোটামুটি শেষ। মোবাইলটি অন হয়ে গেলে আপনাকে কিছু সেটিংস কার্যকরীভাবে ঠিক করে নিতে হবে।

এখন আপনি যে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করবেন এটি একদম ব্যান্ড নিউ স্মার্টফোন। আপনি চাইলে যেকোন স্মার্টফোনে এই পদ্ধতিতে ফ্লাস মারতে পারেন।

সাধারণত যত অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস আছে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনারা খুব সহজেই আপনার ফোনটিকে ফ্লাশ মারতে পারবেন।আশাকরি কিভাবে মোবাইলে ফ্লাশ মারতে হয় বুঝতে পেরেছেন।

মোবাইলে ফ্লাশ মারার কিছু সুবিধা

 

১. ফোনে মূলত কোন ধরনের বাগ ত্রুটি থাকলে অনেক সময় ফ্লাশ দেওয়ার মাধ্যমে সেটি ঠিক হয়ে যায়।

২. কাস্টম রম ইন্সটল করার জন্য রম পরিবর্তন বা আপগ্রেড করার জন্য ফ্ল্যাশ দেওয়া ভালো।

৩. মোবাইলে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে আপনি যদি মোবাইলটিতে ফ্লাশ দেন তাহলে আবার এর কার্যক্রম নতুনভাবে শুরু হবে।

৪. মোবাইলের সিকিউরিটি জনিত কোন ধরনের সমস্যায় পড়লে মোবাইল ফ্লাশ দিতে হয় তাহলে পরবর্তীতে আবার সিকিউরিটি সমস্যা ঠিক করা যায়।

৫. মোবাইল ফ্লাশ দেওয়ার মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোনে থাকা ক্ষতিকর বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস মারা যায়।

আমাদের শেষ কথা

আশা করি আপনারা যারা আজকের আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ বিস্তারিত মনোযোগ সহকারে করতে পেরেছেন তারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে মোবাইল ফ্লাশ দেওয়ার নিয়ম বা কিভাবে মোবাইল ফ্লাশ দিতে হয় সেই সম্পর্কে।

তাছাড়া মোবাইল ফ্লাশ দেওয়ার ফলে কি কি সুবিধা আপনারা পাবেন এর মাধ্যমে আপনারা সে বিষয়গুলো আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।

এরপরও যদি কিভাবে মোবাইলে ফ্লাশ দিতে হয় এই সম্পর্কে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে বা কোন বিষয় বুঝতে না পেরে থাকেন আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

 

Visited 123 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here