ছুটি গিয়ে আটকে পরা প্রবাসী রা ভেকসিন নেওয়ার আগে এই পোস্টটি পরে নিবেন।
আগামী ১৯শে জুন থেকে সকল প্রবাসীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দান কর্মসূচী গ্রহন করেছেন বাংলাদেশ সরকার। যাদের BMET card অথবা প্রবাসী কল্যান কার্ড আছে শুধুমাত্র তারাই এই টিকা পাবেন। আর টিকা দেওয়া হবে চিনের তৈরি সিনেফার্মার ভেকসিন।
প্রতিটি জেলা উপজেলায় হাসপাতাল থেকেই এই টিকা নিতে পারবেন। কিন্তু এখানে কথা হচ্ছে মধ্যেপ্রাচ্যের প্রায় সকল দেশ গুলোতে যে টিকা গুলু অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
যে টিকা নিলে একজন প্রবাসী কর্মী তার দেশে থেকে ফিরে আসতে পারবে, সেই টিকা কি বাংলাদেশের আটকে পরা প্রবাসীরা পাচ্ছেন?
প্রবাসীদের জন্য যে টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে এই টিকা কতোটা কল্যান বয়ে আনবে প্রবাসীদের জন্য?…
মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সকল দেশ গুলুতে ফাইজার, অস্ট্রাজেনিকা, মডারনা ও জনসনের টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই টিকা গুলু যদি কোন প্রবাসী নিয়ে থাকে তাহলে সে পুনরায় প্রবেশ করতে পারবে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ গুলোতে।
বিশেষ করে প্রবাসীরা Fizer / astrazenica এই দুটির মধ্যেও যদি ১ টি ভেকসিন নিতে পারেন, তাহলেও তারা ফিরে যেতে পারবেন। অনেক প্রবাসীর ১ টি ভেকসিন ও নেওয়া আছে মধ্যেপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশগুলো থেকে। তারা এখন ইচ্ছা করলেই পারবে না অন্য গ্রুপের ভেকসিন নিতে।
তারা ইতিপূর্বে যে কোম্পানির ভেক্সিন নিয়েছেন সেই গ্রুপের ভেকসিন’ই নিতে হবে। অথবা কোন প্রবাসীকে যদি চিনের সিনেফার্মা ভেক্সিন দেওয়া হয় তাহলে তার জন্য কোন সুফল বয়ে আনবে না।
কারন পরবর্তীতে সে ইচ্ছা করলেই অন্য গ্রুপের ভেকসিন নিতে পারবেন না।
তাই ভেকসিন নেওয়ার আগে ভেবে চিন্তে ভেকসিন নিতে হবে সবাইকে। যে ভেক্সিন নিলে একজন প্রবাসী তার কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন সেই ভেকসিন নিতে হবে সবাইকে।
অনেকে হয়তোবা ভাবতে পারেন, ভেক্সিন নিয়ে নেই হয়তো কিছুদিন পর অনুমতি দেবে। এই চিন্তা থেকে দূরে থাকুন।
সরকারের কাছে সবাই আবেদন করুন সবাইকে যেন পাসপোর্ট নাম্বার এর মাধ্যমে অস্ট্রাজেনিকা অথবা ফাইজার ভেক্সিন দেওয়া হয়।
সকল প্রবাসীদের সতর্ক করার জন্য পোস্টটি শেয়ার করুন।