তাকওয়া কি । তাকওয়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য

0
34
তাকওয়া কি । তাকওয়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য

তাকওয়া কি? তাকওয়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য 

তাকওয়া আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা, পরহেজ করা ইত্যাদি। শরিয়তের পরিভাষায় তাকওয়া হলো, একমাত্র আল্লাহর ভয়ে যাবতীয় অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। যে ব্যক্তির মধ্যে তাকওয়া থাকে তাকে মুত্তাকি বলা হয়। সৎ গুণাবলির মধ্যে তাকওয়া হচ্ছে অন্যতম। যার মধ্যে তাকওয়া থাকে সে পার্থিব জীবনের লোভে কোনো খারাপ কাজ করে না এবং পরকালীন জীবনের কল্যাণ ও মঙ্গলের কাজে সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রাখে।

তাকওয়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য :

তাকওয়া মানুষ চরিত্রের অন্যতম সম্পদ। ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনের মূল ভিত্তি হচ্ছে তাকওয়া। ব্যক্তিগত ও জাতীয় পর্যায়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর জীবনযাপনের চালিকাশক্তি হচ্ছে তাকওয়া। মানব জীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় কর। (সূরা আলে ইমরান-১০২)

আরও ইরশাদ হয়েছে- এবং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আর মনে রেখ, নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকিদের সঙ্গে আছেন। (সূরা বাকারা-১৯৪)। তাকওয়া আল্লাহর নৈকট্য ও ভালোবাসা লাভ করার উপায়। কোরআন মাজিদে এরশাদ হয়েছে- নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন। (সূরা তাওবা-৪)

আল্লাহ তায়ালা অপর আয়াতে এরশাদ করেন- মুত্তাকিরা থাকবে নিরাপদ স্থানে। (সূরা দুখান-৫১)

মুত্তাকিরা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহপাকের বাণী- তোমাদের মাঝে সে ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকি। (সূরা হজুরাত-১৩)

তাকওয়া শুধু মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয় না, বরং তা জান্নাতে প্রবেশ করতেও সাহায্য করে। যেমন মহান আল্লাহপাকের বাণী- আর যে ব্যক্তি তার রবের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং নিজেকে কুপ্রবৃত্তি থেকে ফিরিয়ে রাখে, নিশ্চয় জান্নাত হবে তার আবাসস্থল। (সূরা নাযি’আত : ৪০-৪১)

Visited 3 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here