ধনী হতে চায় না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। যে যেই প্রফেশনের মানুষ হোক না কেনো ধনী হওয়ার ইচ্ছা সকলের মাঝেই বিধ্যম। তবে আপনি কি জানেন আপনার নিজের ধনী হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে কোন কোন পদক্ষেপ?
আমাদের সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে যে, ধনীরাই কেবল ধনী হয় গরিবরা না। প্রথমত বলবো এটা সব চেয়ে বড় একটা মিথ্যে কথা। কিন্তু ওয়েট, অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবতে গেলে এটাও যথেষ্ট পরিমানের সত্যি একটা কথা। এখন প্রশ্ন আসবে সেটা ব্যাখ্যা কি?
এমন বেশ কিছু ফর্মুলা আছে যেগুলো অনুসরণের মাধ্যমেই মূলত ধনীরা ধনী হচ্ছে প্রতিনিয়ত আর গবীব কিংবা মধ্যবিত্তরা তাদের রেগুলার লাইফ লিড করতে করতেই পার করে দিচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষাগত দিক থেকে একটা বোড় অবদান আসে এক্ষেত্রে।
ওয়েট, এখানে কিন্তু মোটেও একাডেমিক শিক্ষার কথা বলিনি। এখানে বোঝানো হয়েছে অর্থ সংক্রান্ত শিক্ষার কথা। এবার এই অর্থগত শিক্ষা জিনিসটাই আবার কি ? গননা তো সবাই করতে পারে, ইনকাম তো সবারই হয়, কিন্তু বস টাকাকে ধরে রাখতে ক’জনইবা পারে?
আচ্ছা অনেক হলো জ্ঞানী কথা বার্তা এখন মুল বিষয়ে আসা যাক। কোন যে সকল ভুল যা আপনার ধনী হওয়া থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে বা যে ভুলগুলো ধনী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দেখে নিন স্টেও বাই স্টেপ আর আপনি নিজে এসব ভুল করেন কিনা সেটার যাচাই করে শুধরে নিন।
প্রথমেই একটা বিষয়ে ক্লিয়ার করে রাখি যে ভুল আসলে কি? অথবা এমনটা বলা যায় যে অর্থ সংক্রান্ত ভুল মূলত কি? মূলত অর্থ ব্যবস্থাপনার কাজ ঠিকভাবে না করাটাই অর্থ সংক্রান্ত ভুল বলে থাকি। এবার রিসোর্স মোতাবেক অর্থ সংক্রান্ত খেলাধুলার ৬ টি পর্যায় বেড়িয়ে আসছে যেগুলো যে ৬ টি কার্যক্রম ধনীরা কখনও করে না এবং মধ্যবিত্তরা প্রায়ই করে থাকে। এক এক করে প্রতিটা ক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে বিস্তারিত জানাচ্ছি।
আপনার বয়স যদি হয় ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে তাহলে এই স্টেপটি আপনার জন্য খুব জরুরি। কম্পোর্ট জোন হলো যেই অবস্থানটা যা আপনি সব সময় নিরাপদে থাকার জন্য খুজে থাকেন। জম্ম থেকে শুরু করেই মানুষ চায় কম্ফোর্ট জোন যেখানে থাকবে না কিছু হারানোর ভয়।
নিশ্চিন্তে থাকার জন্য অনেকেই অনেক প্রকার চ্যালেঞ্জিং কাজকে স্কিপ করে থাকে। এমন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসবে, নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জিং কাজে নিজেকে ইনভল্ব করতে হবে। কাজকে ভয় না পেয়ে তা করার জন্য ইচ্ছাশক্তি জাগিয়ে তুলতে হবে।
জীবনে একটা সময় আসে যখন বাবা মা এর আশ্রয় স্থান থেকে বেরিয়ে এসে খুজে নিতে হয় নিজের অবস্থান। পৃথিবীতে নিজের অস্তিত্ব রয়েছে তা জানান দিতে হবে। নিজের মত করে জীবন সাজানোর জন্য পরিবারের কম্পোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে।
আপনি যদি আশে পাশের সফল মানুষদের দিকে তাকান তবে একটা বিষয় আপনি লক্ষ্য করবেন যে তাদের মধ্যে কেউই আজীবন কম্ফোর্ট জোনের মধ্যে থেকে সাফলতা অর্জন করেনি। তাই আপনি যদি এখন ও নিজেকে কম্ফোর্ট জোনের মধ্যে রেখে থাকেন তাহলে তার থেকে বেরিয়ে আসুন।
আচ্ছা একটা বিষয় এখানে ক্লিয়ার করে রাখা উচিৎ যে, কম্ফোর্ট জোনের থেকে বেরিয়ে আসা কখনি এমন না যে বাসা বাড়ি থেকে নিজেকে দূরে রেখে একা একা থাকা। এটার মূল উদ্দেশ্য হবে নিজেকে নিজেই গুছিয়ে আনা নিজের খরচ নিজের মেইন্টেইন করার মত অবস্থানে চলে আসা।
দেখুন, অপরের উপর নির্ভর থাকা কখনই কারো কাছে গ্রহনযোগ্য বলে মনে হবে নাহ। আপনি যেই হোন না কেনো শিক্ষার্থী, চাকরিজীবি অথবা ব্যবসায়ী। অপরের উপর নির্ভর করে কখনই নিজেকে সাফলতার চূড়ায় দেখতে পারবেন নাহ। নিজের মধ্যে স্বাধীন মনভাব আনার প্রয়োজনীয়তা খুব।
নিজের মত করে কাজ করতে পারা, নিজের আইডিয়া অনুযায়ী চলতে পারার মধ্যেই সফলতা লুকাহিত। মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব তাই সবার সাথে মিলেমিশেই থাকতে হবে , একে অপরের পরিপূরক হিসেবেই গন্য করা হবে তবে এটা কখনই দীর্ঘ সময়ের জন্য যেনো না হয়ে উঠে সে বিষয়েও খেয়াল রাখা জরুরি।
ধনীরা কখনও কোনো বিষয়ে কারো উপর নির্ভর হয়ে থাকে না। তারা তাদের আইডিয়া, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এটাকে কাটিয়ে উঠার জন্য ভিন্ন রকমের অপশনাল আইডিয়া খুজে বের করবে। নিজেদের ব্যাকআপ প্লান তারা নিজেরাই তৈরি করে থাকে।
এ কারনে ধনী হওয়ার পথে বাধা হিসেবে দীর্ঘ সময়ের জন্য কারো উপর বা কোনো জিনিসের উপর নির্ভর হয়ে থাকাও মোক্ষম একটা কারন। তাই এটাকে আপনাকে কাটিয়ে উঠার জন্য জরুরি স্টেপ খুজে সেটা অনুসরণ করতে হবে।
আমাকে যদি এক কথা বলতে বলা হয় যে কেনো ধনীরা আরো ধনী হয় এবং মধ্যবিত্তরা তেমনই রয়ে যায়? কি আছে এর মধ্যকার রহস্য? আমি তার জবাবে বলবো অর্থ সংক্রান্ত জ্ঞানের কথা।
অর্থ এমন একটা এলিমেন্ট যা হাত বদল করতেই থাকে। অর্থ এমন একটা এলিমেন্ট যা আপনি সঠিক ব্যবহার জানলে এটাকে কাজে লাগিয়ে লাগাতার এটাকে বৃদ্ধি করতে পারবেন আর যদি এর সম্পর্কে সঠিক ধারনা না রাখেন তাহলে সহজেই অর্থকে হারিয়ে ফেলবেন।
অর্থ সব সময় তার কাছেই থাকতে পছন্দ করে যে এটাকে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম। জানতে ইচ্ছুক হতে পারেন অর্থের জ্ঞান জিনিস টা আবার কি ? এটি সেই জ্ঞান যা এখনও আমাদের স্কুল কলেজে শিক্ষা প্রদান করা হয় না তবে লাইফের প্রতিটি স্টেপে প্রয়োজন হয়। এর আওতায় রয়েছে
মূলত এই সব বিষয়ে প্রতিটা মানুষের সচ্ছ জ্ঞান থাকা খুবই জরুরি। ধনীরা এসব বিষয়ে খুব বেশি ভালো ভাবে জানে বলেই তারা এতে দক্ষ ও অর্থকে কন্ট্রোল করতে সক্ষম। কিন্তু মধ্যবিত্তরা অর্থের জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে ব্যাপক উদাসীন যার কারনে মধ্যবিত্তদের ধনী হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি হয়
কি, কখনো না কখনো এই কাজটা অবশ্যই করেছেন তাইনা? আসলে মাঝে মাঝে না প্রায় সময়ই আমরা এমন কাজটা করে থাকি। অন্যকে দোষ দিয়ে নিজেকে সেভ জোনে নিয়ে যাওয়া অনেকের নিত্য দিনকার ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে।
তবে প্রকৃতপক্ষে কি আমাদের এমন করা উচিৎ ছিলো? কিংবা যাদের মত আমরা হতে চাচ্ছি তারা কি এমন ছিলো? উত্তর হচ্ছে না, মোটেও না। তাহলে কেমন তারা? তারা এই আচরনের সম্পুন্ন ভিন্ন মানসিকতার।
এর কারন হচ্ছে আপনি যে কাজই করুন না কেন সে কাজের ভালো ও খারাপ উভয় দিকই আপনার নিজের গ্রহন করা উচিৎ। ভালো হলে সেটার ক্রেডিট নেয়ার পাশাপাশি মন্দ হলে সেটার দায় বহন ও ভুল থেকে পরবর্তী শিক্ষা গ্রহনের মানসিকতা থাকা উচিৎ।
এতে করে আপনার সহপাঠির কাছে আপনার ইমপ্রেশন যেমন ভালো থাকবে পাশাপাশি আপনার নীতিগত দিক থেকে নিজেকে ঠিক রাখতে পারবেন। আমাদের মনে রাখা উচিৎ যতটাই সফলতা আমরা দেখি সেসব কিছুই নৈতিক ভাবেই গড়া। অনৈতিক জিনিসের স্থায়ীত্ব বেশিক্ষন থাকে না।
তাই নিজেকে সফল করতে এবং নিজেকে উন্নত করার ক্ষেত্রে অন্যকে দোষারোপের কাজ কখনই করবো না এটি ধনী হওয়ার পথে বাধা ও সৃষ্টি করে থাকে।
এমন সব কাজ করা যেসবের প্রাথমিক উদ্দেশ্যই লোক দেখানো বা শো অফ করার জন্য এসব থেকে দূরে থাকা উচিৎ কারন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো হয় অপ্রয়োজীয়। এগুলোতে টাকা খরচ করার ক্ষেত্রে থাকে না মৌলিক চাহিদার পূরনের স্বাদ থাকে কেবল বিলাসীতা।
লোক দেখানো কাজের মাধ্যমে নিজের প্রয়োজনের খরচ করা থেকে অহেতুক খরচের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পায়।
ধরা যাক আপনার কাছে একটি এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন রয়েছে। আপনার প্রাথমিক সব চাহিদাই এর দ্বারা পুরন হচ্ছে। তবুও আপনি লোক দেখানোর জন্য আইফোন নিতে চাচ্ছেন। এটা মূলত আপনার লোক দেখানো কাজ।
এক্ষেত্রে আপনার চিন্তা করা উচিৎ যে, হয়তো আপনার এই বিলাসিতাময় লোক দেখানো কাজের মাধ্যমে আগামী বেশ কিছু সময় আর্থিক দিক থেকে দুর্বল থাকতে হতে পারে।
তাই কখনই নিজের প্রয়োজন ছাড়া লোক দেখানো কাজ করতে যাবেন না। এটি আপনার সফলতার পথে, আপনার ধনী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
লক্ষ্য করে দেখবেন, যারা গরিব + মধ্যবিত্ত তাদের মধ্যে ঋন নেয়ার একটা প্রবনতা ব্যাপক ভাবে কাজ করে।
প্রয়োজন যাই হোক ঋনের মাধ্যমে তা সমাধান করা সম্ভব এমন এক মনভাব তাদের মধ্যে থেকে থাকে। লোন নেয়া যেতেই পারে এক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকার কথা না তবে যেসকল ঋন বিনা কারনে দায় সৃষ্টি করে এবং দায় কাটিয়ে তোলার জন্য সম্পদ সৃষ্টি না করে সেসব ঋন গ্রহন থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন।
দু’য়েকটা উদাহরণ এর মাধ্যমে বিষয়টা ক্লিয়ার করে নেই, আমাদের আশেপাশে এমন অনেক লোকেই আছে যারা দেখবেন লোন নিয়ে বাড়ি, গাড়ি, বাইক বা বিলাশ বহুল সম্পদ গড়ে তোলে। আচ্ছা একটু ভাবুন তো, আপনি কি সত্যিই সেটা সম্পদ হিসেবেই দেখছেন? আপনার নিজের সম্পদ? ঠিক ভাবে পর্যবেক্ষন করলে উত্তর আসবে – “না”। কারন এগুলো আপনার ব্যক্তিগত উপার্জিত আয় থেকে করা নয়। বরং এই অর্থ সম্পুর্নটাই লোন গ্রহনের মাধ্যমে তাই পুরো সম্পদ টাই দায়।
আর এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদি দায় গুলোই আপনার ধনী হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে থাকে। তাই অতীব প্রয়োজন ছাড়া ঋন গ্রহনকে না বলুন।
এতোক্ষন যেসকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা বেশ কিছু বিজ্ঞ, বই এবং পরামর্শের ভিত্তিতে তৈরি করা। তবে আপনি যদি শক্ত ভাবে ধারনা গুলোকে গ্রহন করেন তাহলে আশা করা যায় আপনার আর্থিক পথ অবশ্যই পূর্বের থেকে উন্নতি হবে।
শরীর ভালো তো মন ভালো” ছোটবেলা থেকে আমরা এই কথায় অভ্যস্ত হলেও ঠিকঠাকভাবে মানতে নারাজ। মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক স্বাস্থ্য…
লাললালালালালালালালালালালালালালালালালালালালা যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায়তবে প্রেমিকা কোথায় আর প্রেমই বা কোথায়?যদি দিশেহারা ইশারাতে প্রেমই ডেকে যায়তবে…
ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে। কাতারে ফুটবল…
এআইয়ের সাহায্যে সরু রাস্তার নির্দেশনাও দেখতে পারবেন চালকরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কুয়াশা ও বন্যার পানি রয়েছে কি-না, তা গুগল ম্যাপসের…
রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে একটুতেই রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে কটূ কথা বলে আফসোস করতে হয়? এবার একটু…
সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং দুদেশের জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে ১. ইসলামপন্থি কিংবা জঙ্গিরা নয় সম্প্রতি যে আন্দোলনের মুখে শেখ…
This website uses cookies.