পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

0
15

আপনার জন্ম নিবন্ধনটি কি অনলাইনে নেই? আজকের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে জানতে পারবেন কিভাবে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন করা যায়। বর্তমানে পুরাতন বা হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন আর কোন কাজে ব্যবহার হচ্ছে না। তাই আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য অবশ্যই অনলাইনে থাকতে হবে  অর্থাৎ জন্মনিবন্ধন ডিজিটাল বা অনলাইন হতে হবে। এই অনলাইন করার জন্য বেশ কিছু কাজ করতে হবে। কিভাবে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করবেন। কোথায় থেকে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করবেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হবে।তো চলুন,দেরি না করে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে ডিজিটাল করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম 

আপনি যদি অতীতের দিনগুলো কথাগুলো চিন্তা করেন। তবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, ঐ সময়ের জন্ম নিবন্ধন করলে দেয়া হতো হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার জন্ম নিবন্ধন সনদ ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে।

আর এই জন্ম নিবন্ধন সনদটি সরকারী কোন ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকতো না। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট অফিসে নির্ধারিত একটি রেজিষ্ট্রারে এন্ট্রি করা হতো। এই জন্ম নিবন্ধন সনদ নাম্বারটি হতো ১৬ সংখ্যার। 

তবে এখন সহজ কিছু ধাপ অতিক্রম করে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন সহজেই অনলাইন করা যায়।

১ম ধাপ

পুরাতন তোমার নতুন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে প্রথমেই আপনাকে এই ওয়েবসাইটের লিঙ্কে যেতে হবে – [ https://bdris.gov.bd/ ]

২য় ধাপ

এই ধাপে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কোথা থেকে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি সংগ্রহ করতে চান বর্তমান ঠিকানা থেকে সংগ্রহ করতে চাইলে জন্মস্থান সিলেক্ট করুন।  আর বর্তমান ঠিকানা থেকে সংগ্রহ করতে চাইলে বর্তমান ঠিকানা সিলেক্ট করুন। 

৩য় ধাপ

এই ধাপে আপনাকে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। 

১) প্রথমে জন্ম নিবন্ধনকারী নাম বাংলা ও ইংরেজিতে লিখতে হবে।ইংরেজিতে লিখার ক্ষেত্রে সব বড় হাতের অক্ষর দিতে হবে।

২) এরপরে আপনার জন্মতারিখটি প্রদান করুন

৩) জন্মতারিখটি দেওয়ার পর আপনি পিতামাতার কততম সন্তান সেটি এবং আপনার লিঙ্গ নির্বাচন করুন।

৪) আবেদন কারীর ঠিকানা দিন।

৫) এরপর সবকিছু ভালো মতো দেখে পরবর্তী বাটনে চাপুন।

৪র্থ ধাপ 

এখন আপনাকে আরো একটি ফর্ম পূরন করতে হবে। 

১) প্রথমে নিবন্ধনকারীর পিতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার লিখতে হবে।তারপরের ঘরে পিতার নাম বড় অক্ষরে বাংলা ও ইংরেজিতে লিখতে হবে।

২) এই ঘরে নিবন্ধনকারীর পিতার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার ও জাতীয়তা উল্লেখ করতে হবে।

৩) এরপর একই নিয়মে মাতার তথ্যও পূরন করতে হবে।

৪) সবকিছু ঠিক থাকলে পরবর্তী বাটনে চাপুন। 

ধাপ ৫ঃ 

এই ধাপে আপনাকে ঠিকানা লিখতে হবে। আপনার জন্মস্থানের ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই হলে ‘একই’ অপশন টি নির্বাচন করুন। 

ঠিকানা লিখার পর পরবর্তী বাটনে চাপুন। 

ধাপ ৬ঃ 

এখানে আবেদনকারীর সাথে নিবন্ধনকারীর সম্পর্ক কী সেই তথ্য দিতে হবে।তবে নিবন্ধনকারী ১৮ বছর বয়সের হলে নিজেই আবেদন করতে পারবেন।

ধাপ ৭ঃ 

উল্লেখ করা সব তথ্য যদি ঠিক থাকে তাহলে তাহলে এই ধাপে আবার আপনাকে তথ্যগুলো দেখার সুযোগ দেওয়া হবে।সবকিছু ঠিক থাকলে পরবর্তী বাটনে চাপুন। 

ধাপ ৮ঃ 

সকল তথ্য ঠিক থাকলে সাবমিট করা হয়ে গেলে আপনাকে একটা আবেদন নাম্বার দিবে।এই আবেদন নাম্বার ব্যবহার করে আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন। ‘আবেদন পত্র প্রিন্ট করুন’ বাটনে চেপে আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করে রাখুন।

ধাপ ৯ঃ 

আবেদন করার ১৫ দিন পর সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে যেতে হবে। প্রিন্ট কপি ও অন্য সকল কাগজ জমা দিলে জন্মনিবন্ধন সনদ পত্র টি পেয়ে যাবেন।

জন্মনিবন্ধন অনলাইন করার প্রয়োজনীয়তা

এখনো আমরা যারা জাতীয় পরিচয়পত্র বা NID কার্ড সংগ্রহ করতে পারিনি বা যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ একান্ত প্রয়োজন। কারণ এটি ছাড়া ১৮ বছরের নিচে কোন বাংলাদেশী নাগরিকের সরকারী বা বেসরকারী সেবা পাওয়া অসম্ভব প্রায় । যেসব সেবা পেতে জন্ম নিবন্ধন সনদ একান্ত প্রয়োজন তা হলো-

শিশুর স্কুলে ভর্তি,বিভিন্ন টিকা প্রদান,জাতীয় পরিচয়পত্র বা NID,স্কুল জীবনের সার্টিফিকেট,

পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি।

শেষকথা 

আমাদের দেশে একটি চলমান হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সেহেতু এটি অনলাইন করার নিয়ম জানা সবারই  উচিৎ। আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি নিজে নিজেই আপনার বা আপনার পরিবারের যে কোন সদস্যের পুরাতন হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধনের সনদ অনলাইনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত আরো অন্যান্য তথ্য জানতে ভিজিট করুন বাংলা আলো ওয়েবসাইটের জাতীয় ক্যাটাগরিটি। 

Visited 19 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here