বেসরকারী ব্যাংকের মধ্যে ব্যাংক এশিয়া বেশ জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত ব্যাংক হিসেবেই পরিচিত। যার কারনে অনেকেই আছে ব্যাংক এশিয়া একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জেনে উক্ত ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে ইচ্ছুক, মূলত তাদের জন্য তথ্য বহুল আর্টিকেল সাজানো হয়েছে। যেখানে থাকছে ব্যাংক এশিয়ায় একাউন্ট খোলা সংক্রান্ত সকল বিষয়। এবং সেই সকল তথ্য এবং পদ্ধতি যা একজন নতুন গ্রাহক ব্যাংক এশিয়ায় একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে সম্মুখীন হবে।
তৃতীয় প্রজন্মের পাবলিক লিমিটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক হিসেবে ব্যাংক এশিয়ার সুখ্যাতি রয়েছে। ১৯৯৯সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ব্যাংক এশিয়ার বর্তমানে 23 বছরে পদার্পণ করেছে। বাংলাদেশের যতগুলো লিডিং ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে ব্যাংক এশিয়া অন্যতম যাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৮৯ বিলিয়ন, উক্ত ব্যাংকের বর্তমানে ডিপোজিট অর্থের পরিমাণ ২০৭ বিলিয়ন এবং সারাদেশে ব্যাংকটির মোট ১২৬ টির বেশি আউটলেট রয়েছে।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ব্যাংকটির সম্পর্কে যদি বলা হয় তবে উক্ত ব্যাংকে বর্তমানে কর্মী সংখ্যা হল ২৬০৪ জন যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেশে ছড়িয়ে থাকা মোট ১৩০ টি ব্রাঞ্চে। এবং সবচেয়ে হাইলাইটিং বিষয় তা হল ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট এর সংখ্যা বর্তমানে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে।
গ্রাহকের প্রয়োজন অনুসারে প্রতিটি সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে একাধিক ধরনের হিসাব খোলার ব্যবস্থা রেখেছে ব্যাংক এশিয়া। এয়ারটেল নেট অফার করা হবে ব্যাংকের সংক্রান্ত সকল তথ্য জানানো হবে ব্যাংক এশিয়ার মধ্যে গ্রাহকরা কি কি ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে এবং ঐ সকল একাউন্ট খোলার জন্য যেসকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন সেগুলো জানিয়ে দেয়া হবে। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যাংক এশিয়ায় একাউন্ট খোলার জন্য কোন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে সেটিও উল্লেখ থাকবে পুরো আর্টিকেল জুড়ে।
ব্যাংক এশিয়া একাউন্ট ধরন ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
এই ফোল্ডারে যান এবং ব্যাংক এশিয়া গ্রাহকদের জন্য কোন কোন ধরনের একাউন্ট খোলার সুবিধা রেখেছে। পাশাপাশি সেইসকল একাউন্ট খোলার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে এবং উক্ত একাউন্টে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আপনাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।
বোঝার সুবিধার্থে একাউন্টগুলোকে তিনটি বিভক্ত করা হয়েছে তার প্রথমটি হচ্ছে ডিপোজিট একাউন্ট এখানে থাকবে সে সকল একাউন্ট জেলা সঞ্চয় সংক্রান্ত বিষয় খোলা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে থাকছে স্টুডেন্ট একাউন্ট যেটা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ। অতঃপর অন্যান্য একাউন্টের ঘরে রাখা হয়েছে সে সকল অ্যাকাউন্ট গুলো যেগুলো ডিপোজিট অথবা স্টুডেন্ট একাউন্ট ব্যতীত এবং অন্যান্য ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে।
ডিপোজিট একাউন্ট
সেভিংস একাউন্ট
সেভিং একাউন্ট সেসকল একাউন্ট কে বোঝানো হয় যেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ডিপোজিট করা হয় এটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যার থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণের ইন্টারেস্ট বা গ্রহণ করা হয়। বাৎসরিক হা রে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের জন্য নিদিষ্ট পরিমাণের সুদ ধার্য করা হয় এরুপ একাউন্ট গুলোতে।
ফিচার্স সমূহ
- থাকছে চেক-বুক সুবিধা
- নিরাপদ আমানত লকার সুবিধা
- এক শাখা থেকে অন্য শাখায় তহবিল স্থানান্তর করার সুবিধা
- মেইল ট্রান্সফারের সুবিধা
- টেলিগ্রাফিক স্থানান্তর করা যাবে
- স্থায়ী নির্দেশের ব্যবস্থায় তহবিল স্থানান্তর
- ক্লিয়ারিং হাউসের মাধ্যমে চেক সংগ্রহ
- অনলাইন ব্যাংকিং সেবা
- এসএমএস ব্যাংকিং
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং
- ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন
- ব্যাংক এশিয়া এটিএম কার্ড সার্ভিস
প্রয়োজন ডকুমেন্টস
- অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম পূরণ করা
- প্রতিটি অ্যাকাউন্টধারী এবং মনোনীতদের জন্য পাসপোর্ট আকারের ছবি
- জাতীয়/ভোটার আইডি, পাসপোর্ট বা গ্রাহক এবং মনোনীতদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো শনাক্তকরণের প্রমাণ
- ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (TIN)
ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট
সেভিংস একাউন্টে যেমন আপনি যেকোনো সময় অর্থ জমা প্রদান করতে পারেন এবং উক্ত টাকার উপরে আপনাকে নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করা হবে ঠিক একই রকম ব্যাপার ফিক্স ডিপোজিট একাউন্ট এর ক্ষেত্রে ঘটে থাকে তবে এখানে একটি মেজর পার্থক্য হলো এখানে আপনি যে অর্থ জমা রাখবেন সেটিং একটি নির্দিষ্ট এমাউন্টের হতে হবে তুলনামূলক বড় এমাউন্টের হতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের আগে কোনভাবেই অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন না। যার কারণে উক্ত অর্থের বিপরীতে আপনাকে দেওয়া হবে চড়া হারে ইন্টারেস্ট।
ফিচার্স সমূহ
- এটি একটি মেয়াদ ভিত্তিক আমানত একাউন্ট সেখানেই নির্দিষ্ট পরিমাণের সুদের নির্ভরতা দেয়
- আকর্ষণীয় সুদের হার প্রদান করা হয়
- প্রায় ৯০% ঋণ সুবিধা পাওয়া যায়
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
- অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম
- ন্যাশনাল আইডি/ পাসপোর্ট/ গ্রাহক ও মনোনীতদের ড্রাইভিং লাইসেন্স
- গ্রাহক এবং মনোনীতদের সাম্প্রতিক ছবি
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা
- স্বাক্ষরিত শর্তাবলী
- টিআইএন সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়)
কারেন্ট একাউন্ট
ব্যবসায় কার্যক্রমের জন্য পরিচালিত হয়ে থাকে কারেন্ট একাউন্ট পাথরটি হিসাব সমূহ। এই ধরনের একাউন্টে কোন প্রকারের পিন্টারেস্ট প্রদান করা হয় না। তবে ব্যাংক নিজেদের সার্ভিস চার্জ অবশ্যই করবেন উক্ত একাউন্ট থেকে। বিশেষ করে যাদের প্রতিদিন অসংখ্য ট্রানজেকশন করা হয় ব্যাংকের মাধ্যমে তারা উক্ত একাউন্টে খুলে থাকে। এই একাউন্টে কার্যক্রম হল টাকা জমা ও উত্তোলন।
হাইলাইটেড ফিচারস
- চেক-বুক সুবিধা প্রদান করা হয়
- নিরাপদ আমানত লকার সুবিধা দেয়া থাকে
- বিদেশী রেমিট্যান্স সংগ্রহ করার ব্যবস্থা থাকে উক্ত একাউন্টে
- এক শাখা থেকে অন্য শাখায় সহজে তহবিল স্থানান্তর করা যায়
- চাহিদা খসড়া প্রদান করা হয়
- মেইল ট্রান্সফার সুবিধা থাকছে
- টেলিগ্রাফিক স্থানান্তর সুবিধা থাকছে
- ক্লিয়ারিং হাউসের মাধ্যমে চেক সংগ্রহ
- অনলাইন ব্যাংকিং সেবা
- এসএমএস ব্যাংকিং
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং
- ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন
- ব্যাংক এশিয়া এটিএম কার্ড সার্ভিস প্রদান করা হয়
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
- অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম পূরণ করা
- প্রতিটি অ্যাকাউন্টধারী এবং মনোনীতদের জন্য পাসপোর্ট আকারের ছবি
- জাতীয়/ভোটার আইডি, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রাহক এবং মনোনীতদের মতো শনাক্তকরণের প্রমাণ
- ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন)
- ট্রেড লাইসেন্স (যদি থাকে)
- ঠিকানার প্রমাণ – ইউটিলিটি বিলের কপি
স্টুডেন্ট একাউন্ট
দুরন্ত (স্কুল ব্যাংকিং)
ব্যাংক এশিয়া কর্তৃক নির্ধারিত কেবলমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত একাউন্টের নাম দুরন্ত যাকে স্কুল ব্যাংকিং নামে চিহ্নিত করা হয়। সাধারণত 0 বয়স থেকে শুরু করে 18 বছর পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থী অথবা শিশুদের জন্য উক্ত একাউন্ট বরাদ্দ। একাউন্ট এর মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থী অথবা শিশুদের মধ্যে অর্থ সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধি করা।
হাইলাইটেড ফিচার্স
- সুদের হার হবে স্বাভাবিক সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট হারের সর্বোচ্চ ব্যান্ড
- দৈনিক ব্যালেন্স ভিত্তিতে সুদের হিসাব।
- দুরন্তোর জন্য কোন ইনসিডেন্টাল চার্জ নেই।
- প্রথম বছরের জন্য বিনামূল্যে এটিএম (ডেবিট) কার্ড সুবিধা।
- বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা।
- ফান্ড ট্রান্সফার/চেক বুক সুবিধা।
- ক্লিয়ারিং হাউসের মাধ্যমে চেক সংগ্রহ
- অনলাইন ব্যাংকিং সেবা
- এসএমএস ব্যাংকিং
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং
- ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
- অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম পূরণ করা হয়েছে
- প্রতিটি অ্যাকাউন্টধারী এবং মনোনীতদের জন্য পাসপোর্ট আকারের ছবি
- পরিচয়ের প্রমাণ যেমন জাতীয়/ভোটার আইডি, পাসপোর্ট বা গ্রাহক এবং মনোনীতদের ড্রাইভিং লাইসেন্স; জন্ম সনদ
- স্টুডেন্ট আইডি কার্ড (যদি থাকে)
অন্যান্য একাউন্ট
ফরেন কারেন্সি একাউন্ট
প্রতিটি দেশের নিজস্ব কারেন্সি রয়েছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কারেন্সি কন্ট্রোল করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদি কোনো গ্রাহকের এক দেশ থেকে অন্য দেশের কারেন্সিতে লেনদেন করার প্রয়োজন হয় তবে ফরেন কারেন্সি একাউন্ট খুলে উক্ত কাজটি সম্পন্ন করতে পারে এবং উক্ত সুবিধা দিচ্ছে ব্যাংক এশিয়া।
কারা একাউন্ট করতে পারবে?
- বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকরা
- বাংলাদেশ এবং বিদেশী সংস্থাগুলি বাংলাদেশে বা বিদেশে কাজ করছে
- বিদেশী মিশন এবং তাদের প্রবাসী কর্মচারীরা
যারা বাংলাদেশে অবস্থান করে এবং বিভিন্ন কারণবশত দেশের বাইরে অর্থ প্রদান করতে হয় সে ক্ষেত্রে তারা রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে এক্ষেত্রে তাদের যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে তা হচ্ছে:
- সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
- পাসপোর্টের ফটোকপি
- ওয়ার্ক পারমিটের ফটোকপি
- বেতন সার্টিফিকেট বা নিয়োগকর্তার সার্টিফিকেট
- বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের জন্য তাদের এই সমস্ত নথি জমা দিতে হবে না তবে নিয়োগকর্তার শংসাপত্র অবশ্যই আবশ্যক।
যারা বাংলাদেশের নাগরিক নয় তবে বিভিন্ন কারণবশত বাংলাদেশের অর্থ প্রদান করতে হয় এক্ষেত্রে তারা যেহেতু বাংলাদেশের কারেন্সি সরাসরি ব্যবহার করতে পারছে না তাই তারা নিজস্ব কারেন্সি থেকে বাংলাদেশের কারেন্সি কনভার্ট করে দেশে টাকা পাঠাতে হবে এক্ষেত্রে সাহায্য করবে এশিয়া ব্যাংক এবং উক্ত একাউন্টের নাম হবে non-resident ফরেন কারেন্সি একাউন্ট। কেউ যদি এরূপ একাউন্ট করতে চায় তবে তার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হবে।
- পাসপোর্টের ফটোকপি
- নাগরিকত্ব শংসাপত্র যদি পাওয়া যায়
- জনশক্তি রপ্তানির জন্য আমাদের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে শংসাপত্র বা অনুমোদন
- লেনদেনের জন্য অ্যাকাউন্ট হোল্ডার দ্বারা একজন মনোনীত বা অনুমোদিত ব্যক্তি নির্বাচন করা হবে
- এই অ্যাকাউন্টের অধীনে মনোনীত ব্যক্তি যেকোনো বিদেশী মুদ্রার বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রা TK পাবেন।
ইসলামিক ব্যাংকিং
যদিও বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকের জন্য নির্দিষ্ট করা কিছু ব্যাংক অবশ্যই রয়েছে তার পরেও যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক তারাও ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে থাকে যার অন্যতম উদাহরণ ব্যাংক এশিয়ার ইসলামিক ব্যাংকিং। সম্পূর্ণ শরিয়া মোতাবেক এখানে ব্যাংকিং কার্যক্রম করা হয় এবং উক্ত খাতে ব্যাংক এশিয়ার যে সকল উদ্দেশ্য তা নিম্নলিখিত।
- গ্রাহকদের সুদমুক্ত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করুন।
- ইসলামী মূল্যবোধের সাথে একদল উদ্যোক্তা গড়ে তোলা।
- ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার গুণগত ভিত্তি শক্তিশালীকরণ।
- এবং ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের জন্য প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ আপগ্রেড করা।
এজেন্ট ব্যাংকিং
তাছাড়া আপনি যদি এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা গ্রহণ করতে চান তবে ব্যাংক এশিয়া দিচ্ছে সেই সুযোগ দেওয়া ব্যাংক এশিয়ার বর্তমানে 5129 আউটলেট রয়েছে যেখানে 7083 পার্টনার্স এবং সারাদেশে 64 জেলা এবং 532 টি উপজেলায় রয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখা। আরো ক্ষুদ্রতম করে বলতে গেলে বাংলাদেশ ধাকা ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে ৪১১৪ টি 403 ইউনিয়ন ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধা।
এজেন্ট ব্যাংকিং এর মধ্যে আপনি যেই সেবাগুলো পাচ্ছেন সেগুলো নিম্নলিখিত:
- ক্যাশ টাকা জমা দেয়া
- টাকা উত্তোলন করা
- এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে অর্থ ট্রানস্ফার
- ফরেন রেমিটেন্স গ্রহণ
- যেকোনো ধরনের বিল পরিশোধের সুবিধা
- এস এম ই লোন প্রসেসিং
- এবং সবশেষে ডেবিট-ক্রেডিট সহজে কোন ধরনের কার্ড ব্যবহার
ব্যাংক এশিয়া একাউন্ট খুলতে প্রয়োজনীয় ফরম
ব্যাংক এশিয়ায় একাউন্ট খোলা খুব সহজ। যেকোনো ব্যক্তি সহজ কিছু পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে ব্যাংক এশিয়ায় একাউন্ট খুলতে পারে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলিমেন্ট যা ছাড়া ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায় না সেটি হচ্ছে ব্যাংক একাউন্ট খোলার ফরম। আপনি যখন একাউন্ট করতে যাবেন তখন ফরমটি আপনার হাতে হস্তান্তর করা হবে সেটা আপনাকে পূরণ করে সেটা পুনরায় জমা দিতে হবে। তবে আপনি যদি চান ওই ফরমটি বাসা থেকে ঠিকভাবে পরে পূরণ করে তারপর ব্যাংকে নিয়ে যেতে সেটিও করতে পারবেন। তার জন্য প্রয়োজন হবে ব্যাংক এশিয়ার একাউন্ট খোলার ফরম। অনলাইনে ব্যাংক এশিয়ায় যেকোনো অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ফরমটি পেতে এখানে ক্লিক করুন।
ব্যাংক এশিয়া একাউন্ট খোলার নিয়ম
সরাসরি – ব্যাংক এশিয়া একাউন্ট খোলার নিয়ম
প্রতিটি ব্যাংকের ন্যায় ব্যাংক এশিয়াতে সরাসরি ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে একাউন্ট খোলার সুবিধা থাকছে। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট করতে চাচ্ছেন। উপরে ইতিমধ্যে জানিয়েছি ব্যাংক এশিয়ায় কত ধরনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং সেই সকল একাউন্ট খুলতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন এবং ঐ সকল একাউন্ট এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ও জানিয়েছি।
আপনি কোন অ্যাকাউন্ট খুলতে যাচ্ছেন সেটি নির্ধারণ করার পর উক্ত একাউন্টের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো হাতে নিয়ে সরাসরি ব্যাংকে চলে যেতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ যেকোনো একটি এশিয়া ব্যাংকের শাখায় উপস্থিত হলেই হবে। এই পর্যায়ে সেখানে থাকা ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে জানাতে হবে আপনি নতুন ব্যাঙ্ক একাউন্ট খুলতে যাচ্ছেন। তার আপনাকে একটি ফ্রম দিবে যে ফর্ম এর কথা কিছুক্ষণ আগে বলছিলাম। এই ফরমটি পূরণ করবেন এবং ফরমের সাথে উক্ত একাউন্টের জন্য যে সকল ডকুমেন্ট গুলো নিয়ে এসেছিলেন সেগুলো ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করবেন।
তারা আপনার সকল ডকুমেন্টগুলো ভেরিফাই করবে। এক্ষেত্রে কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে। সেখানে উপস্থিত থেকেই আপনি ব্যাংক একাউন্ট খোলার সকল প্রসেস দেখতে পারবেন। একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে আপনাকে জানানো হবে এবং ব্যাংক একাউন্ট এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল উপাদান উপকরণ আপনাকে হস্তান্তর করা হবে। সে সকল উপাদান গুলোর মধ্যে হাইলাইটেড উপাদানগুলো হচ্ছে: অ্যাকাউন্ট নাম্বার, চেক পাতা বা চেক বই, ক্ষেত্রবিশেষে ডেবিট কার্ড অথবা এটিএম কার্ড।
অনলাইনে ব্যাংক এশিয়া একাউন্ট খোলার নিয়ম
প্রযুক্তির আধুনিকায়নের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম হয়েছে এখন খুব বেশি সহজ। এখন একাউন্ট খোলার জন্য কষ্ট করে ব্যাংকে যেতে হবে না ঘরে বসে নিজেই পারবেন যেকোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে। ব্যাংক এশিয়া অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা প্রদান করছে।
অনলাইনে ব্যাংক এশিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য এখানে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য যে আপনি এখান থেকে কেবলমাত্র কারেন্ট একাউন্ট এবং সেভিংস একাউন্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার জন্য আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টস সাথে অবশ্যই রাখতে হবে সেগুলো হচ্ছে:
1. পরিচয়কারীর (পরিচয়কারীকে অবশ্যই ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের অ্যাকাউন্টধারী হতে হবে।
2. অ্যাকাউন্টধারীর NID/পাসপোর্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথির ফটোকপি।
3. টিআইএন শংসাপত্র (যদি থাকে)।
4. অ্যাকাউন্টধারীর (গুলি) দ্বারা প্রত্যয়িত মনোনীত ব্যক্তির একটি (1) কপি পাসপোর্ট সাইজের সাম্প্রতিক ছবি৷
5.মনোনীত ব্যক্তির NID/পাসপোর্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথির ফটোকপি।
এরপর সেখানে প্রতিটি ধাপ সহজে উপস্থাপন করা হয়েছে যেগুলো অনুসরণের মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যাংক একাউন্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন পরবর্তী আবেদন সম্পন্ন হলে সেখানে থাকা অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস নামক অপশন থেকে দেখতে পারবেন আপনার আবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছে কিনা যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে আপনি ব্যাংকে গিয়ে একাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় জিনিস নিয়ে আসতে পারবেন।
ব্যাংক এশিয়া একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম
ব্যাংক এশিয়ার ব্যালেন্স চেক করা খুব সহজ এ ক্ষেত্রে মোট চারটি অপশন অ্যাভেলেবল রয়েছে একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করার জন্য। আমরা ইতিমধ্যে একটি আর্টিকেলে জানিয়েছি কিভাবে এবং কোন পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে ব্যাংক এশিয়ার একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করা যায়। আপনি এখানে ক্লিক করে সরাসরি সেই নিয়ম চারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ব্যাংক এশিয়া একাউন্ট খোলার নিয়ম সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
১) ইন্ট্রোডিউসার বলতে এখানে কী বোঝানো হয়েছে?
আপনার পরিচিত এমন কোন ব্যক্তি যার ইতিমধ্যে ব্যাংক এশিয়ায় একাউন্ট রয়েছে সেই ব্যক্তি কে ব্যাংক এশিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে ইন্ট্রোডিউসার বোঝানো হয়েছে। যখন একাউন্ট খুলতে যাবেন তখন এরূপ একটি ব্যক্তি কে আপনার প্রয়োজন হবে তবে যদি আপনার পরিচয়টা আমন কোন ব্যক্তি না থেকে থাকে তবে সরাসরি ব্যাংকে থাকা কর্মরত কর্মীদেরকে জানালে তারা আপনাকে সাহায্য করবে।
২) ব্যাংক একাউন্টের সাথে ডেবিট কার্ড কিভাবে পাওয়া যাবে?
আপনি যে একাউন্টি খুলে থাকেন না কেন উক্ত একাউন্টের সাথে আপনি অন্তত একটি ডেবিট কার্ড অবশ্যই পাবেন এক্ষেত্রে আপনাকে আবেদন করতে হবে ডেবিট কার্ডের জন্য।
৩) ব্যাংক একাউন্টের সাথে কিভাবে চেক বই পাওয়া যায়?
প্রত্যেকটি একাউন্ট এর ক্ষেত্রে না হলেও অধিকাংশ একাউন্ট ক্ষেত্রে চেক বই প্রদান করা হয়। একে চেকের জন্য আলাদা একটি চার্জ নির্ধারণ করা থাকে এবং আপনার জন্য চেক প্রস্তুতকরণের এক থেকে তিন দিন সময় লাগে।
৪) ব্যাংক এশিয়া কি ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম সেবা প্রদান করে?
অবশ্যই, ব্যাংক স্মার্ট অ্যাপ নামক নিজস্ব একটি অ্যাপ যেখানে প্রত্যেকটি ব্যাংক একাউন্ট হোল্ডার তাদের একাউন্টকে উক্ত এতে যুক্ত করার মাধ্যমে সহজে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
পরিশেষে কিছু কথা
অতঃপর এই ছিলো ব্যাংক এশিয়া সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আর্টিকেল যেখানে জানানো হয়েছে ব্যাংক এশিয়া একাউন্ট খোলার নিয়ম ও কত ধরনের একাউন্ট রয়েছে গ্রাহক সেবার জন্য সেই বিষয়ে বিস্তারিত। আপনি যদি ব্যাংক এশিয়া ব্যতীত দেশের অন্যান্য ব্যাংকের একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তবে অনুসরণ করুন বাংলা আলো ওয়েবসাইটের ব্যাংক নামক ক্যাটাগরিটি।