এক দেশ থেকে আরেক দেশের যাওয়ার অনুমতি পত্র হিসেবে ভিসা প্রয়োজন হয়। ভিসা কি তা জানাটা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই সচ্ছ ধারনা নিন..
ভিসা নামটি তো আপনারা প্রায়ই শুনে থাকেন। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা ভিসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন না। ব্যক্তিগত অথবা প্রাতিষ্ঠানিক কোন কাজের জন্য যদি আপনারা কোন সময় বিদেশ ভ্রমণ করতে চান তাহলে অবশ্যই ভিসার প্রয়োজন হয়।
তাই বর্তমান সময়ে একজন ব্যক্তির ভিসা সম্পর্কিত বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখাটা আবশ্যক। তাই এর পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের এই সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের সমাধান দেওয়া হবে।
পোষ্টের মাধ্যমে আলোচনা করা হবে ভিসা কি, ভিসা কত প্রকার এবং ভিসা কিভাবে করতে হয় সেই সম্পর্কে
আপনাদের এর জন্য অবশ্যই আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি বিস্তারিত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক ভিসা কি?
ভিসা হচ্ছে এক ধরনের অনুমতি ছাড়পত্র। অর্থাৎ আপনি এক দেশ থেকে যদি অন্য দেশে ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনার ভিসার প্রয়োজন হবে।
সহজ ভাষায় যদি বলা যায়, ভিসা হচ্ছে এমন একটি অনুমতি পত্র যা একটি দেশ কোন বিদেশী নাগরিক কে ওই দেশে প্রবেশ করার জন্য দিয়ে থাকে।
আপনারা চাইলে বৈধভাবে কোন সময় কোন দেশে ভিসা ছাড়া যেতে পারবেন না। ভিসা ছাড়া বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করাকে অবৈধ অভিবাসন হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
তাই যে কোন দেশ ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন অবশ্যই হবে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থাকে যেগুলো সাধারণত ভিসা প্রদান করে থাকে। দূতাবাসের কনস্যুলার শাখার মাধ্যমে ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে।
সব জিনিসের যেমন কিছু প্রকারভেদ রয়েছে তেমনি ভিসার ক্ষেত্রে কিছু প্রকারভেদ লক্ষণীয়।আমাদের দেশে যারা ভ্রমণ করে থাকে তাদেরকে মোট ৩৩ রকমের ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে।
ভিসার অনেক ধরনের প্রকারভেদ এর মধ্যে কিছু প্রকারভেদ সম্পর্কে বলা হলো। যেমন, স্টুডেন্ট ভিসা, কর্ম ভিসা, ব্যবসায়িক ভিসা, পর্যটন ভিসা, সাংবাদিক ভিসা, সহ আরো অনেক ধরনের ভিসা রয়েছে।তাহলে তো জনপ্রিয় কিছু ভিসার নাম সম্পর্কে জানলেন চলেন এবার জেনে নেওয়া যাক সেই সকল ভিসা সম্পর্কে কিছু তথ্য –
স্টুডেন্ট ভিসা হচ্ছে খুবই জনপ্রিয় একটি ভিসা।সাধারণত বিদেশে যখন ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার জন্য যেয়ে থাকে তখন তারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে থাকেন। অনেকে স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে বিদেশে গিয়ে কাজ করার মাধ্যমে পড়াশোনার খরচ চালিয়ে থাকেন।
যারা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেয়ে থাকেন তাদের জন্য মেডিকেল ভিসার প্রয়োজন হয়ে থাকে। অর্থাৎ বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে গেলে জাল ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় সেটি হচ্ছে মেডিকেল ভিসা।
ব্যবসায়িক বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীদের জন্য।বিশেষ করে যাদের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের বড় প্রজেক্ট এর কাজে বিভিন্ন সময় বিদেশে যেতে হয়। তাদের জন্য এই ভিসাটি প্রযোজ্য।
কোন দেশ ভ্রমণ করার জন্য যে ভিসার আবেদন করা হয়ে থাকে সেই ভিসা কেই বলা হয়ে থাকে টুরিস্ট ভিসা বা ভ্রমণ ভিসা।যারা বিদেশ ভ্রমণ করতে চান তারা অনেক ক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন।
যারা নির্দিষ্ট কিছু সময় বা খুব কম সময়ের মধ্যে বাইরের কোন দেশ ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য সাধারণত নন ইমিগ্রান্ট ভিসা দেওয়া হয়।
সাধারণত এই ভিসাটা দেওয়া হয়ে থাকে খুব কম সময়ের জন্য। যখন এক দেশ থেকে অন্য কোনো দেশে যাওয়ার সময় তৃতীয় কোন দেশ থেকে ভ্রমণ করতে হয় তখন এই ভিসা দেওয়া হয়।সর্বোচ্চ পাঁচ দিন এই ভিসাটা নেওয়ার মাধ্যমে কোন দেশে অবস্থান করা যাবে।
এই ভিসাগুলো ছাড়া আরও অনেক ধরনের ভিসা রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আজ আর বললাম না।সাধারণত এই ভিসা গুলো খুবই জনপ্রিয় এবং সচরাচর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পরিশেষে, বিদেশ ভ্রমণ করার জন্য ভিসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিচার সম্পর্কিত সঠিক তথ্য কম বেশী সকলেরই জেনে রাখা উচিত। আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বিষয় সম্পর্কিত অনেক তথ্যই আপনারা জানতে পেরেছেন।
এক এক দেশ ভিত্তিক ভিসা পাওয়ার নিয়ম, খবর, উপায় সহ ভিসার বিস্তারিত ইনফরমেশন পাবেন আমাদের ভিসা নামক ক্যাটাগরিতে। ভিসা ক্যাটাগরি দেখতে একখানে ক্লিক করুন।
মানুষের মন যেহেতু আছে এটা ভালো কিংবা খারাপ থাকবে এটা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। একটা…
বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে সাথে, ভালো মানের মেডিকেল কলেজের তালিকা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।…
গল্পের বই পছন্দ করেন? পড়ার জন্য সেরা গল্পের খোজে আছেন? সে সুবাদে অনলাইনে সার্চ করে…
যারা সঠিক তথ্যটি জানেনা তাদের অনেকের ধারণা - ভিসা এবং পাসপোর্ট মূলত একই কাজ করে…
আপনার কি Loan বা ঋণ প্রয়োজন? আচ্ছা আপনি কি একজন প্রবাসী কিংবা আপনার পরিবারের কেউ…
একজন মুমিন ব্যক্তি হিসেবে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত আপনি যে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাকে…