মার্কেটিং ক্ষেত্র গুলোর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও লাভজনক মাধ্যম হচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং। তবে চলুন জেনে নেয়া যাক সিপিএ মার্কেটিং বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য।
সিপিএ মার্কেটিং কি ? সিপিএ মার্কেটিং কাদের জন্য?
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে তো জানেনই। যদি পূর্বের ধারনা না থাকে তবে ডিজিটাল মার্কেটিং লিংকটি থেকে বিস্তারিত জেনে নিন। আচ্ছা যেহেতু মার্কেটিং শব্দটা চলে আসলোই তাহলে বলছি, মার্কেটিং মূলত প্রচার প্রচারণা। এটি দুই ভাবে করা হয় – অনলাইনে এবং অফলাইনে। যেটা অনলাইনে করা হয় সেটাকে ডিজিটাল বলে আখ্যায়িত করা হয়। এক্ষেত্রে সিপিএ মার্কেটিং হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি শাখা। তবে কেবল একটি শাখাই নয় গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রায় অনেক অংশ কাজ হয়েই থাকে সিপিএ মার্কেটিং এর অন্তভুক্তে।
সিপিএ মার্কেটিং এর পুরো নাম হচ্ছে Click Per Action. যার মানে এই যে কোনো একটি কাজ সম্পুর্ণ করার ক্ষেত্রে ক্লিক করার বিষয় জরিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ক্লিক হবে কিসে? সেটা বিস্তারিত আলোচনা করবো সিপিসি কাজের অফার নামক হেডিং এ। আপাতত এটুকু ধারনা রাখুন যে সিপিসি এর মূল কাজ হলো কাঙ্ক্ষিত সাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসা। হতে পারে যেটা যেকোনো ধরনের সাইট। এবং এখানে ট্রাফিক বলতে বোঝানো হয়েছে মানুষদের। ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এ আসা লোকজনকে ট্রাফিক বলা হয়।
ব্যাসিক ভাবে সিপিসি মার্কেটিং কি সেটা বললাম এবার কথা হচ্ছে সিপিসি মার্কেটিং কাদের জন্য? এটা মূলত সেই সকল লোকের জন্য যারা নিজের ব্যবসা, পণ্য, সেবা, ওয়েবসাইট, অ্যাপ প্রোমোশনের জন্য ট্রাফিক খুজে থাকে। অন্যদিকে এটা তাদের জন্যও যারা অর্থের বিনিময়ে এই জাতীয় কাজ করতে ইচ্ছা প্রশন করে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে যারা কাজের অর্ডার করে এবং যারা সেই কাজের অর্ডার গ্রহন করে উক্ত কাজ করে থাকে উভয় পক্ষই লাভবান হয়।
সিপিএ মার্কেটিং শিখতে কি প্রয়োজন?
এবার জানুন সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ করতে হলে কি কি করা লাগবে বা যারা শিখতে চায় তাদের কি কি করা প্রয়োজন? অবশ্যই এটি একটি লং প্রজেক্ট যার একেবারে শুরতে তেমন একটা আর্নিং নাও হতে পারে আর না হওয়াটাই সাভাবিক। তবে যখন শুরু হবে তখন অনেক পরিমানেই হবে। উক্ত কাজ করতে বা শিখতে আপনার অবশ্যই প্রয়োজন এই সকল কাজ গুলো :
- ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
- ওয়েবসাইট, ব্লগ, আর্টিকেল, SEO সম্পর্কে ধারনা
- নিজের কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগ অথবা ইউটিউব চ্যানেল
- সব সময় ইন্টারনেট কানেকশন সহ মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ
- প্রতিদিন কম করে হলেও ৩ থেকে ৪ ঘন্টা উক্ত কাজের জন্য
- প্রচুর ধৈহ্য এবং অনলাইনে আয়ের তীব্র ইচ্ছা
- মিনিমাম ১ বছর সময় আর্নিং ভালো ভাবে তৈরি করে নিতে
উপরের উল্লেখিত কন্ডিশন গুলো যদি ফুলফিল করতে পারবেন বলে মনে করেন তবে আর্টিকেলটি পুরো পড়তে পারেন, লাভ বিহীন ক্ষতি হবে না কথা দিলাম।
সিপিএ মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে?
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা টপিক। আপনি যে কাজটি করছেন সেটা কিভাবে কাজ করে সেটা না জানা থাকলে কাজটি সঠিক ভাবে পরিচালনা করা যাবে নাহ। এক্ষেত্রে অবশ্যই জানা প্রয়োজন কিভাবে কাজ করে সিপিএ মার্কেটিং এর সিস্টেম।
এখানে তিনটা পক্ষের সংমিশ্রন ঘটে থাকে। ১) পাবলিশার বা প্রকাশক ২) এডভারটাইজার বা বিজ্ঞাপনদাতা ৩) এড নেটওয়ার্ক।
প্রকাশকের কাজ হলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে, ব্লগে, ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রকাশ ও প্রচারণা করা। এক্ষেত্রে আপনি যদি সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ করেন তবে পাবলিশার হবেন আপনি নিজেই। বিজ্ঞাপন দাতা তিনি যে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকবে বা যার জন্য বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে। এবং সবশেষে এড নেটওয়ার্ক হলো সেই মাধ্যম যেখানে বিজ্ঞাপন প্রচরক এবং বিজ্ঞাপনদাতার মিলন ঘটে।
সিপিএ এর কাজে কি কি অফার পাওয়া যায়?
১) Pay Per Download : আপনার প্রচার করা লিংক থেকে কেউ যদি কোনো কিছু ডাউনলোড করে থাকে। হতে পারে সেটা কোনো গেম, সফটওয়্যার, অ্যাপ বা যা কিছু। এটা নির্ভর করবে আপনি কোন নিশ নিয়ে কাজ করছেন তার উপর। তবে এটার মূল বিষয় এই যে প্রতি ডাউনলোডের জন্য আপনাকে পেমেন্ট করা হবে।
২) Pay Per Lead : আপনার প্রোভাইড করা লিংক থেকে বা আপনার প্রচারনার মাধ্যমে কেউ যদি নিজের ইমেইল সাবমিট করে থাকে বা কোনো ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্মে সাইন আপ করে থাকে তবে আপনি প্রতি সাইন আপ বা ইমেইল সাবমিশনের ক্ষেত্রে পেমেন্ট পেয়ে থাকবেন।
৩) Pay Per Sale : এটি সবচেয়ে কার্যকর একটা উপায় অর্থ আয়ের কারন এটার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পেমেন্ট দেয়া হয়ে থাকে। পে পার সেল এর ব্যাপারটা হচ্ছে আপনি যখন কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন করছেন তখন কেউ যদি আপনার প্রদান করা লিংক থেকে সেই পণ্যটি ক্রয় করে তবে ওই মুল্যের অর্থ থেকে নিদিষ্ট কিছু অর্থ আপনাকে দেয়া হবে।
এগুলো ছাড়াও আরো কিছু সিপিএ অফার রয়েছে যেগুলোর বিস্তারিত জানানো প্রয়োজন হবে না, যখন কাজ শুরু করবেন তখন এমনিতে বোঝা যাবে এসব ব্যাপার। যাদের শট নাম গুলো হচ্ছে :
- Financial
- Casual Dating
- Health and Beauty
- Gaming
- PIN Submit
- Survey
- Mobile App
- Travel, Ecommerce
সিপিএ মার্কেটিংয়ে জানতে হবে এমন কিছু শব্দ এবং পাশাপাশি সিপিএ মার্কেটিং এর কাজে অফার গুলো অন্যান্য আরো যেসব নামে থাকবে সেগুলো হলো :
Call Offer : অফার লিংকে ক্লিক করার পর কেউ যদি কল করে থাকে তবে আপনাকে পেমেন্ট করা হবে
Publisher : যে বিজ্ঞাপন গুলো প্রচার করে থাকে। এখানে আপনার কথা বোঝানো হয়েছে
Advertiser : যে আপনাকে বিজ্ঞাপন দিবে বা যার বিজ্ঞাপন আপনি প্রকাশ করবেন
Form Fill-up : কেউ যদি নিজের নাম, ঠিকানা, ইমেইল এড্রেস দিয়ে আপনার প্রোভাইড করা লিংক বা ফর্ম ফিলাপ করে সেক্ষেত্রে আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে
Sign Up : কেউ যদি উক্ত লিংক বা প্লাটফর্ম থেকে সাইন আপ করে থাকে যেটাকে আমরা Pay Per Lead ও বলে থাকি। উক্ত কাজের জন্য আপনাকে পেমেন্ট করা হবে।
Download : কোনো ফাইল ডাউনলোডের ক্ষেত্রে পেমেন্ট করা হলে
Submit Zip Code : এটি খুব সাধারণ কাজ। ভিজিটর কেবল তাদের জিপ কোডটি সাবমিট করবে।
EPC : এখানে প্রতি ক্লিকে আয়ের ব্যাপারটি বোঝানো হয়েছে। প্রতিটা লিংক ক্লিকে অর্থ প্রদান করা হবে।
Survey : পরিসংখ্যান মূলক কাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে এখান থেকে আয় করার ব্যবস্থা থাকে।
কোথায় সিপিএ মার্কেটিং এর অফার পাওয়া যায়
সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ যতই পপুলার হচ্ছে নিত্যনতুন সাইট চালু হচ্ছে সিপিএ মার্কেটিংকে কেন্দ্র করে। তবে মূল বিষয় হলো এদের মধ্যে বেশির ভাগই ফেক হয়ে থাকে। কিছু তৈরি হয় কয়েকদিন সচল থেকে আবার বন্ধ হয়ে যায়। আবার অনেক সাইট আছে যেখানে পেমেন্ট করে ঠিক আছে তবে সেসব সাইটের অফার মূল্য গুলো এতই কম যা করার মত নয়। তাই খুব বেছে এমন কয়েকটি সাইট এর খোজ করেছি যা তুলনামূলক ভালো বলে গণ্য করা যায়, সেগুলো হচ্ছে :
- CPAGrip
- ADwork Media
- CPA Lead
- Yeah Mobi
- Matomy
- Clicks Mob
- Avazu
- Click Dealer
- Go Wide
- Exchange (APX)
এগুলো খুজে পেতে বেশি একটা কষ্ট করতে হবে না। গুগলে সাইট গুলোর নাম সার্চ করলেই পাওয়া যাবে। যথেষ্ট পপুলার সাইট গুলো সিপিএ মার্কেটিং এর সেক্টরে। এবার জানতে হবে এই সকল সাইট গুলোতে কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
সিপিএ মার্কেট প্লেসে রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম
মোটামোটি সব গুলোতেই অনেকটা একই ধরনের নিয়ম। তাই কমন যে হাইলাইটেড বিষয় গুলো আছে সেসব বলছি। যেকোনো সাইটেই রেজিস্ট্রেশন করতে আপনার কয়েকটি জিনিস মাস্ট থাকতে হবে সেগুলো হচ্ছে – আপনার নাম, ঠিকানা, ইমেইল এড্রেস। এগুলোর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করবেন। তবে কাজ এখানেই শেষ নয়।
প্রতিটা সাইটে রেজিস্ট্রেশন করার সময় জানতে চায় আপনার প্রোমোশন মেথড সম্পর্কে এবং কিভাবে প্রচারণা চালাবেন সেই প্লান সম্পর্কে। এক্ষেত্রে আপনার পরিকল্পনা গুলো বিস্তারিত জানাবেন। অবশ্যই এখানে ইংরেজি ভাষা গ্রহনীয় হবে। আসলে প্রতিটা বিষয় হবে ইংরেজিতে তাই আপনার অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় মোটামোটি জ্ঞান থাকতে হবে। আচ্ছা এবার একটু ধারনা দেই যে কি রকম হবে ব্যাখ্যাটা।
“I am planning to advertise my links and earn money by creating websites, youtube videos, and also advertising with PPC and PPV(Bing ads, Facebook ads, and lead impact). And I plan on making a website for each niche I have and also plan on doing some SEO to get it high on the Google ranking system. I will dedicate and spend a few hours of my day to achieving this. I hope to be earning from your website soon.”
পরবর্তীতে জিজ্ঞাস করা হবে আপনি কি Incentive Traffic আনবেন নাকি সেক্ষেত্রে অবশ্যই No দিবেন। এর কারন হচ্ছে Incentive Traffic হলো আপনার পরিচিত লোকদের দিয়ে ক্লিক করানো ট্রাফিক। উক্ত কাজটি কোনো সাইটই গ্রহন করে না। সকলেই ইউনিক ট্রাফিক চায়। এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট থাকলে সেই সাইটের লিংক দিয়ে দিবেন অথবা ইউটিউব চ্যানেলের লিংক দিবেন।
কিভাবে অফার প্রোমোট করতে হয়?
আচ্ছা সব তো করে ফেললেন, সিপিএ মার্কেটিং কি, এটা কিভাবে করা যায়, রেজিস্ট্রেশন সহ যাবতীয় খুঁটিনাটি তবে এখন ও একটা বিষয় জানার বাকি থেকেই যায়। তা হচ্ছে – উক্ত অফার গুলো কালেক্ট করে সেগুলো কিভাবে প্রোমোট করবেন সেই ব্যাপারটা। কারন যদি সঠিক ভাবে প্রোমোট না করতে পারেন তবে ভালো ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন না, আর ট্রাফিক না আসলে আপনার আয় হওয়ার কোনো চান্স নেই।
প্রথমেই আপনাকে একটি নিশ সিলেক্ট করতে হবে যেটিকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক জেনারেট করবেন। উদাহরনের খাতিরে ধরে নেয়া যাক আপনি হেলথ ও ফিটনেস নিশটি সিলেক্ট করলেন। এবার আপনার কাজ হবে এই নিশ এর উপর আকৃষ্ট মানুষকে একত্রে করা। এক্ষেত্রে আপনি উক্ত নিশের ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে সেখানে হেলথ ও ফিটনেস মূলক আর্টিকেল লিখে এস ই ও করার মাধ্যমে তা লোকেদের মাধ্যে ছরিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ বা সর্বোচ্চ মানুষের কাছে সেটা তুলে ধরবেন। তাছাড়া আপনি ইউটিউবে চ্যানেল ক্রিয়েট করার মাধ্যমে একই কাজ করতে পারবেন।
যাদের এসব বিষয় জানার ইচ্ছা আছে তারা এমনিতেই আপনার ব্যাপার গুলোতে প্রভাবিত হয়ে আপনার দেয়া নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করবে আর এভাবে আপনি লাভবান হবেন। তবে সবচেয়ে বেশি লাভ হবে যদি সোসাল মিডিয়া থেকে ট্রাফিক জেনারেট করতে পারেন। কারন সোসাল মিডিয়ায় ট্রাফিক পাওয়া খুব বেশি কঠিন হবে নাহ। এক্ষেত্রে আপনাকে নিশ অনুযায়ী গ্রুপ তৈরি করে ধিরে ধিরে মেম্বার বাড়াতে হবে। যেমনটা বলেছিলাম এটা অনেক অংশেই সময় সাপেক্ষ কাজ তাই ধৈয্য সহকারে পুরো ব্যাপার গুলো দেখতে হবে।
সিপিএ মার্কেটিং এর সুবিধা
বর্তমানে সব ধরনের অনলাইন বেসড প্রতিষ্ঠান সিপিএ মার্কেটিং এর উপর জোর দিচ্ছে যা কিন্তু শুধু শধুই নয় এর অবশ্যই এমন সব সুবিধা আছে যাতে করে তারা বেশি লাভবান হচ্ছে। নিম্মের সিপিএ মার্কেটিং এর বেশ কিছু সুবিধা সম্পর্কে জানানো হচ্ছে :
১) যদি পাবলিশারের দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করা হয় তবে উক্ত সেক্টরে প্রচুর পরিমানের লাভ লক্ষনীয়। কারন এটি এমন একটি সেক্টর যেখানে সঠিক ভাবে একবার কাজ সেটাপ করে নিয়ে সেখান থেকে সব সময় আয় আসতেই থাকবে। অনেক বেশি কাজের শ্রেনী বিভাগ থাকার কারনে যখন যেকোনো কাজে শিফট হওয়া যাবে। একাধিক নিশে ব্যাপার থাকায় এক সাথে অনেক গুলো নিশ নিয়ে কাজ করা যাবে।
২) ব্যবসায়ী এর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও এটা অনেকটা লাভজনক মার্কেটিং উপায় কারন এখানে ইস্ট্যান্ট ট্রাফিক পাওয়া যাচ্ছে এবং সেই সকল গ্রাহক আসছে যারা প্রকৃত পক্ষে পণ্যের উপর আকৃষ্ট তাই ব্যবসায় এর ক্ষেত্রে বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার পসিবিলিটি খুব বেশি।
৩) ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করার ক্ষেত্রে সিপিএ মার্কেটিং থেকে বেস্ট অন্য কোনো উপায় নেই। কারন এখানে যে ট্রাফিক গুলো আসবে সেটা আপনার ব্যবসায়ের উপর ইন্টারেস্টেড। যদি তারা প্রাথমিক ভাবে আপনার প্রোভাইড করা পণ্য সামগ্রি না ও ক্রয় করে থাকে তবুও পরবরতীতে এটা আপনার জন্য ভালো একটা আউটপুট আসবে কারন উক্ত কাজের মাধ্যমে আপনার ব্যবসায় এর পরিচিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সিপিএ মার্কেটিং এর কাজে রেভিনিউ এর পরিমাণ
মূলত সিপিএ মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে তিন ধরন কাজ লক্ষনীয়। একটি হচ্ছে ছোট খাটো কাজ যেমন ইমেইল ক্রিয়েট করা, ইউটিউব ভিডিও দেখা বা এমন জাতীয় ছোট খাটো কাজ গুলো। এগুলো করার জন্য প্রতিটার ক্ষেত্রে আপনাকে ০.১ সেন্ট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ ডলার অব্দি দেয়া হবে।
তারপর আসে একটু ভারি কাজ যেমন কোনো অ্যাপ বা সফটওয়্যার ডাউনলোড, ইমেইল সাবমিশন টাইপ কাজে মূলত ১ ডলার থেকে ১০ ডলার অব্দি পেমেন্ট দেয়া হয়ে থাকে।
এবং সবশেষে আসে সকল প্রকার ভারি কাজ গুলো যেমন ডকুমেন্টের কোনো কাজ বা বড় কোনো প্রজেক্টের ইনফরমেশন কেন্দ্রিক সার্ভেতে ১০ ডলার থেকে ১০০ ডলার অব্দি দেয়া হয়ে থাকে।
তবে হ্যা অবশ্যই এইসব প্রাইজ গুলো নির্ভর করবে আপনার লোকেশন ও কাজের কোয়ান্টিটির উপর। সব সময় সর্বোচ্চ মূল্য আশা করা যাবে নাহ। এবং প্রাইজ অবশ্যই সময়ের সাথে উঠানামা করবে।
আরেকটা বিষয় বলে রাখা ভালো যা হচ্ছে পেমেন্ট সিস্টেম। যেহেতু বেশির ভাগ কাজই করা হয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইয়েন্টদের যেহেতু পেমেন্ট অপশন অবশ্যই সেই হিসেবেই হবে এক্ষেত্রে পেপাল, পেওনিয়ন, ইন্টারন্যাশনাল ডুয়েল কারেন্সির ব্যাংক একাউন্ট/ মাস্টার অথবা ভিসা কার্ড, বিটকয়েন ইত্যাদি। যদি আপনার কাছে এগুলো না থেকে থাকে তবে মার্কেট প্লেস থেকে কাজ করলেও পেমেন্ট উঠানো সম্ভব হবে নাহ তাউ অবশ্যই এগুলো করে রাখবেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ক্রিপ্টোকারেন্সির ওয়ে গুলো সচল রাখতে পারেন। কারন এগুলোই হলো পৃথিবীর ভবিষৎ ডিজিটাল মুদ্রা।
পরিশেষে, এই ছিলো যাবতীয় সকল তথ্য সিপিএ মার্কেটিং কি এবং সিপিএ মার্কেটিং কাদের জন্য সেই বিষয়ে। যার পাশাপাশি আলোচনা করা হয়েছে সিপিএ মার্কেটিং এর সাথে জরিত অন্যান্য ব্যাপার গুলো সম্পর্কে।