সিরিজের প্রথম ম্যাচে জেতা ম্যাচ ফসকে গেল বাংলাদেশের
৩ ম্যাচ টিটুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শের এ বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
তাতে ১-০ তে পিছিয়ে গেল টাইগাররা। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন আফিফ।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে শুরু টা ভালো হয়নি টাইগারদের।
ওপেনার হয়ে টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ার শুরু করা সাইফ ফিরে যান মাত্র ১ রানে, আরেক ওপেনার নাঈমও ফিরে যান ১ রান করেই।
টপ অর্ডারের শান্ত করেন ১৪ বলে ৭ রান। ১৫ রানে ৩ উইকেট খোয়ানো বাংলাদেশ কে চাপের মুখ থেকে আলোর পথ দেখান আফিফ ও সোহান।
আফিফের ব্যাটে আসে ৩৬ ও সোহান করেন ২৮ রান। তবে শেষ দিকে ১২৭ রান সংগ্রহের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন মাহেদি হাসান।
২ ছয় ও ১ চারে ২০ বলে ৩০ রান করলে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান তোলে টাইগাররা।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন হাসান আলি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা পায় পাকিস্তানও।
বিশ্বকাপে দারুন করা দুই ওপেনার ব্যর্থ ছিলেন এদিন।
দলীয় ১৬ রানে রিজওয়ানের স্ট্যাম্প উঠিয়ে দল কে ব্রেকথ্রু এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাবর আজম কে ফেরান তাসকিন আহমেদ।
কোন রান না করে দ্রুতই বিদায় নেন হায়দার আলি ও শোয়েব মালিক। তাতে ম্যাচের লাগাম পায় বাংলাদেশ।
তবে ফাখার জামান ও খুশদিল আলির জুটি ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পাশাপাশি ম্যাচ নিয়ে যায় পাকিস্তানের পক্ষে।
দলীয় ৮০ রানে ফাখার ও ৯৬ রানে খুশদিল কে ফেরালে আবারও ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সাদাব খান ও নওয়াজের ৩৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৪ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় এনে দেয় পাকিস্তান কে।
স্বীকৃত বোলার হিসেবে এই ম্যাচে সুযোগ পান লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, যিনি সুযোগ পান নি বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে।
তবে তাকে দিয়ে এদিন করানো হয়নি বোলিং। শেষ ওভারে মাত্র ২ বল করেন তিনি।
ম্যাচ হারের পর আমিনুল বিপ্লব কে বোলার হিসেবে নেয়ার পর না বোলিং না করানোর কারন জিজ্ঞেস করলে বেশ অদ্ভুত যুক্তি দেন তিনি।
রিয়াদ বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল বোলিং করানোর। দুইজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থাকার কারণে আমাকে বোলিং করতে হয়।’
উল্লেখ্য, ম্যাচের শেষ ওভারে বোলিং করতে আসেন বিপ্লব, যেখানে ৪ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে যায় পাকিস্তান। তাতে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল তারা।