Warning: ftp_pwd() expects parameter 1 to be resource, null given in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 230

Warning: ftp_pwd() expects parameter 1 to be resource, null given in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 230

Warning: ftp_mkdir() expects parameter 1 to be resource, null given in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 580

Warning: fopen(/tmp/index-2txvz8.tmp): failed to open stream: Disk quota exceeded in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 190

Warning: unlink(/tmp/index-2txvz8.tmp): No such file or directory in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 193
সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা: পুষ্টির গোপন রহস্য
স্বাস্থ্য-টিপস

সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা: পুষ্টির গোপন রহস্য

সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শাকসবজি, ফল, প্রোটিন, এবং পর্যাপ্ত জল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলা উচিত। সুস্থ থাকার জন্য সঠিক খাদ্যতালিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি, ফল, প্রোটিন এবং পর্যাপ্ত জল অন্তর্ভুক্ত করলে শরীর সুস্থ থাকে। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত চিনি স্বাস্থ্যহানিকর হতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। শাকসবজি এবং ফল আমাদের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে। 

অন্যদিকে প্রোটিন শরীরের পেশী এবং টিস্যু গঠনে সহায়ক। পর্যাপ্ত জল শরীরের হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এবং বিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। এই সব উপাদান একত্রিত করে একটি সুষম খাদ্যতালিকা তৈরি করলে আমরা দীর্ঘকাল সুস্থ থাকতে পারি।

Table Of Contents
  1. সুস্থ থাকার জন্য খাবারের গুরুত্ব
  2. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
  3. ফাইবারে ভরপুর খাবার
  4. ভিটামিন ও খনিজ
  5. স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং তেল
  6. জল এবং তরল পানীয়
  7. অতিরিক্ত চিনি ও লবণ এড়িয়ে চলা
  8. ওজন নিয়ন্ত্রণে খাবারের প্রভাব
  9. খাবার তালিকা তৈরির কৌশল
  10. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের সুফল
  11. Frequently Asked Questions
  12. মন্তব্য

সুস্থ থাকার জন্য খাবারের গুরুত্ব

সুস্থ থাকার জন্য খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের শরীরের সঠিক কার্যক্রম, শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক খাবারের অভ্যাস আমাদের জীবনকে সুস্থ ও সজীব রাখতে সহায়ক। 

আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের সঠিক কার্যক্রমের জন্য সঠিক খাবার প্রয়োজন। সঠিক খাবার আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই সঠিক খাবার এবং শরীরের সম্পর্ক অটুট।

পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য

সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবারের কোনও বিকল্প নেই। পুষ্টি আমাদের দেহের জন্য শক্তি সরবরাহ করে। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকা উচিত।

পুষ্টি উপাদানউৎসউপকারিতা
প্রোটিনমাছ, ডিম, মাংসপেশী গঠন ও মেরামত
কার্বোহাইড্রেটভাত, রুটি, আলুশক্তির উৎস
ভিটামিনফল, সবজিরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

  • শাক-সবজি: প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খাওয়া উচিত।
  • ফল-মূল: ফল-মূল ভিটামিনের উৎস।
  • প্রোটিন: প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
  1. প্রতিদিন শাক-সবজি খাওয়া উচিত।
  2. প্রতিদিন ফল-মূল খাওয়া উচিত।
  3. প্রতিদিন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন শরীরের কোষ গঠনে, মাংসপেশি তৈরি করতে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। প্রোটিনের বিভিন্ন উৎস রয়েছে যা আমাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারি।

আমিষের উৎস

আমিষ প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎস। আমিষ প্রোটিন শরীরের জন্য সহজে গ্রহণযোগ্য এবং প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে।

  • মাংস: গরুর মাংস, মুরগির মাংস, হাঁসের মাংস ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ।
  • মাছ: ইলিশ, রুই, কাতলা, চিংড়ি ইত্যাদি মাছ প্রোটিনে ভরপুর।
  • ডিম: ডিমের সাদা অংশ বিশেষ করে প্রোটিন সমৃদ্ধ।
  • দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য: দুধ, দই, পনির ইত্যাদি প্রোটিনের ভালো উৎস।

উদ্ভিজ্জ প্রোটিন

উদ্ভিজ্জ প্রোটিনও প্রোটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এবং সহজে পাওয়া যায়।

  • ডাল: মসুর ডাল, মুগ ডাল, ছোলার ডাল ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ।
  • বাদাম: কাজু, আখরোট, বাদাম ইত্যাদি প্রোটিনের ভালো উৎস।
  • বীজ: তিল, সূর্যমুখী বীজ, চিয়া বীজ প্রোটিনে ভরপুর।
  • সবজি: পালং শাক, ব্রকলি, মটরশুঁটি ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজি।

ফাইবারে ভরপুর খাবার

ফাইবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে। শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফাইবারযুক্ত খাবার থাকা উচিত।

ফলমূলের ভূমিকা

  • আপেল
  • কমলা
  • কলা
  • পেয়ারা

ফলমূলে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। প্রতিদিন ফলমূল খেলে শরীর সুস্থ থাকে।

শাকসবজির প্রয়োজনীয়তা

শাকসবজিফাইবারের পরিমাণ (প্রতি ১০০ গ্রাম)
পালং শাক২.২ গ্রাম
গাজর২.৮ গ্রাম
ব্রোকোলি২.৬ গ্রাম
কুমড়া১.৫ গ্রাম

শাকসবজি হজমে সাহায্য করে। এটি শরীরের টক্সিন বের করে দেয়। প্রতিদিন শাকসবজি খেলে শরীর ভালো থাকে।

ভিটামিন ও খনিজ

ভিটামিন ও খনিজ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের বিভিন্ন কার্যকলাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাবারে এই উপাদানগুলো থাকা প্রয়োজন। নিচে ভিটামিন ও খনিজের উৎস এবং তাদের কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

বিভিন্ন ভিটামিনের উৎস

  • ভিটামিন এ: গাজর, মিষ্টি আলু, পালং শাক, ডিমের কুসুম
  • ভিটামিন বি: বাদাম, ডাল, ডিম, সবুজ শাকসবজি
  • ভিটামিন সি: কমলা, লেবু, আম, ব্রোকলি
  • ভিটামিন ডি: সূর্যের আলো, মাছ, ডিম
  • ভিটামিন ই: বাদাম, সূর্যমুখী তেল, শাকসবজি
  • ভিটামিন কে: পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকোলি

শরীরে খনিজের কাজ

খনিজকাজউৎস
ক্যালসিয়ামহাড় শক্তিশালী করেদুধ, দই, পনির
আয়রনরক্তে অক্সিজেন পরিবহনলাল মাংস, পালং শাক, ডাল
ম্যাগনেসিয়ামপেশী ও স্নায়ু কার্যকলাপবাদাম, শাকসবজি, ডাল
পটাসিয়ামরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকলা, আলু, টমেটো

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং তেল

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং তেল আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি আমাদের শক্তি জোগায়, ত্বক ও চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখে এবং শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।

অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড

অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের শরীর নিজে তৈরি করতে পারে না। তাই খাবারের মাধ্যমে এগুলি পেতে হয়।

  • ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: এটি হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। মাছ, আখরোট, চিয়া বীজে এটি পাওয়া যায়।
  • ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড: এটি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেলে এটি পাওয়া যায়।

সুস্থ তেলের বাছাই

সুস্থ তেল বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তেলের মান আমাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।

তেলের নামগুণাবলি
অলিভ তেলহৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
ক্যানোলা তেলওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটি কোলেস্টেরল কমায়।
নারিকেল তেলত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। এটি মেটাবলিজম বাড়ায়।

জল এবং তরল পানীয়

জল এবং তরল পানীয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ। সুস্থ থাকার জন্য সঠিক পরিমাণে জল এবং স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজ আমরা জানব কতটা জল এবং কোন ধরনের পানীয় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

দৈনিক জলের চাহিদা

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা অত্যন্ত জরুরি। একটি পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য সাধারণত দিনে ৮ গ্লাস জল প্রয়োজন।

বয়সপ্রয়োজনীয় জল (লিটার)
শিশু (১-৩ বছর)১.৩
শিশু (৪-৮ বছর)১.৭
নারী২.৭
পুরুষ৩.৭

স্বাস্থ্যকর পানীয়

সবাই জানি যে জল পান করা সবচেয়ে ভালো। তবে আরও কিছু পানীয় আছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

  • তুলসী চা: তুলসী চা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • লেবু জল: লেবু জল শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
  • ডাবের জল: ডাবের জল প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট সরবরাহ করে।
  • আলুভেরার রস: আলুভেরার রস ত্বক এবং হজমের জন্য ভালো।

প্রতিদিন এই ধরনের স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করলে শরীর সুস্থ এবং সতেজ থাকে।

অতিরিক্ত চিনি ও লবণ এড়িয়ে চলা

সুস্থ থাকার জন্য অতিরিক্ত চিনি ও লবণ এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত চিনি ও লবণ শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। চিনি ও লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখলে বিভিন্ন রোগ এড়ানো সম্ভব।

চিনির প্রভাব

অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিনির কারণে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। এছাড়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিনির অতিরিক্ত ব্যবহার হৃদরোগের কারণ হতে পারে।

  • ওজন বৃদ্ধি
  • ডায়াবেটিস
  • হৃদরোগ

লবণের সীমিত ব্যবহার

লবণ বেশি খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। উচ্চ রক্তচাপ থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। লবণ কম খেলে কিডনির সমস্যা কমে।

  1. উচ্চ রক্তচাপ
  2. হৃদরোগ
  3. কিডনি সমস্যা
প্রভাবচিনিলবণ
ওজন বৃদ্ধিহ্যাঁনা
ডায়াবেটিসহ্যাঁনা
হৃদরোগহ্যাঁহ্যাঁ
কিডনি সমস্যানাহ্যাঁ

ওজন নিয়ন্ত্রণে খাবারের প্রভাব

ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক খাবার বেছে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। খাবারের প্রভাব আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ক্যালোরি গণনা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

ক্যালোরি গণনা

ওজন কমাতে ক্যালোরি গণনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন কত ক্যালোরি গ্রহণ করছেন তা জানা প্রয়োজন। নিচের টেবিলটি আপনাকে সাহায্য করবে প্রতিদিনের ক্যালোরি চাহিদা নির্ধারণ করতে:

বয়সপুরুষের ক্যালোরি চাহিদামহিলার ক্যালোরি চাহিদা
১৮-৩০২৫০০২০০০
৩১-৫০২৩০০১৮০০
৫০+২১০০১৬০০

সুষম খাদ্যাভ্যাস

সুষম খাদ্যাভ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। সুষম খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করা হয়। নিচের তালিকাটি সুষম খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান:

  • প্রোটিন: মাছ, মুরগি, ডিম, ডাল
  • কার্বোহাইড্রেট: চাল, রুটি, আলু
  • ফ্যাট: বাদাম, তেল, মাখন
  • ভিটামিন: ফল, সবজি
  • মিনারেল: দুধ, দই, চিজ

প্রতিদিন সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে শরীর সুস্থ থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়।

খাবার তালিকা তৈরির কৌশল

সুস্থ থাকার জন্য সঠিক খাবার নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের তালিকা তৈরির কৌশল জানলে আপনি সহজেই সুস্থ থাকতে পারেন। এখানে আমরা দেখব কীভাবে সাপ্তাহিক খাবারের পরিকল্পনা করতে হয় এবং কেনাকাটা ও খাবার সংরক্ষণ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারি।

সাপ্তাহিক খাবারের পরিকল্পনা

সপ্তাহের শুরুতেই খাবারের পরিকল্পনা করুন। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়।

  • সপ্তাহের প্রতিদিনের জন্য মেনু তৈরি করুন।
  • প্রতিটি খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করুন।
  • বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি ও ফল যুক্ত করুন।
  • প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের সুষম মিশ্রণ রাখুন।

কেনাকাটা এবং খাবার সংরক্ষণ

খাবারের পরিকল্পনা করার পর কেনাকাটা করতে যাবেন। এজন্য একটি তালিকা তৈরি করে নিন।

  1. তালিকা অনুযায়ী বাজার করুন।
  2. তাজা সবজি ও ফল কিনুন।
  3. প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও দুধজাত পণ্য সংগ্রহ করুন।
খাবারের ধরনসংরক্ষণের পদ্ধতি
তাজা সবজিফ্রিজের নিচের তাক
ফলফ্রিজের মাঝের তাক
মাংস ও মাছফ্রিজের ফ্রিজার অংশ
দুধ ও দুধজাত পণ্যফ্রিজের উপরের তাক

এভাবে খাবার সংরক্ষণ করলে তা দীর্ঘদিন সতেজ থাকে।

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের সুফল

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের সুফল: সুস্থ থাকার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আমাদের শরীর ও মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই অভ্যাস পরিবর্তন করলে আপনি পাবেন দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য উপকারিতা।

অভ্যাস পরিবর্তনের পদ্ধতি

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা খুব সহজ নয়। তবে কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করলে এটি সম্ভব। প্রথমে, আপনার বর্তমান খাদ্যাভ্যাস পর্যালোচনা করুন। এরপর সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিন।

  • প্রতিদিন শাকসবজি ও ফল খাওয়া: শাকসবজি ও ফল আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে।
  • প্রচুর পানি পান করুন: পানি শরীরকে সুস্থ রাখে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে।
  • পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করুন: প্রোটিন শরীরের কোষ গঠনে সাহায্য করে।
  • চিনি ও চর্বি কমান: অতিরিক্ত চিনি ও চর্বি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য উপকারিতা

সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে আপনি পাবেন অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।

  1. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যকর খাদ্য শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।
  2. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ: সঠিক খাদ্যাভ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  3. শক্তি বৃদ্ধি: পুষ্টিকর খাবার শরীরকে শক্তি দেয় এবং ক্লান্তি দূর করে।
  4. মনের সুস্থতা: স্বাস্থ্যকর খাদ্য মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

Frequently Asked Questions

সুস্বাস্থ্যের জন্য কি কি খাবার খাওয়া উচিত?

স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে শাকসবজি, ফল, বাদাম, বীজ, পূর্ণ শস্য, মাছ, লীন প্রোটিন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।

মানুষের সুস্থ থাকার জন্য কি করতে হবে?

মানুষের সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। মানসিক চাপ কমাতে হবে।

নিরাপদ ও সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন কেন?

নিরাপদ ও সুষম খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। দেহে শক্তি ও উদ্যম বজায় থাকে।

সুষম খাদ্যের অভাবে কী কী রোগ হয়?

সুষম খাদ্যের অভাবে অ্যানিমিয়া, অপুষ্টি, রিকেটস, স্কার্ভি, এবং হৃদরোগ হতে পারে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

মন্তব্য

সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাদ্য আপনাকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখবে। প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি, ফলমূল ও প্রোটিন যুক্ত করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন। এই অভ্যাসগুলো আপনার শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে সহায়ক হবে।

Bangla Alo

Recent Posts

মানসিক সুস্থতার সাথে খাবারের কোনো যোগসূত্র আছে কি?

শরীর ভালো তো মন ভালো” ছোটবেলা থেকে আমরা এই কথায় অভ্যস্ত হলেও ঠিকঠাকভাবে মানতে নারাজ। মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক স্বাস্থ্য…

1 month ago

Jodi Bare Bare Eki Sure Prem Tomay Kadai Lyrics | যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায় লিরিক্স

লাললালালালালালালালালালালালালালালালালালালালা যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায়তবে প্রেমিকা কোথায় আর প্রেমই বা কোথায়?যদি দিশেহারা ইশারাতে প্রেমই ডেকে যায়তবে…

1 month ago

কাতার সাজছে বাংলাদেশি গাছে

ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে। কাতারে ফুটবল…

1 month ago

কুয়াশা ও বন্যার পানির বিষয়ে সতর্ক করবে গুগল ম্যাপস

এআইয়ের সাহায্যে সরু রাস্তার নির্দেশনাও দেখতে পারবেন চালকরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কুয়াশা ও বন্যার পানি রয়েছে কি-না, তা গুগল ম্যাপসের…

1 month ago

হঠাৎ রেগে যাচ্ছেন, কী ভাবে মেজাজ ঠান্ডা রাখবেন

রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে একটুতেই রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে কটূ কথা বলে আফসোস করতে হয়? এবার একটু…

1 month ago

বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের যে ১০টি বিষয় জানা প্রয়োজন

সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং দুদেশের জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে ১. ইসলামপন্থি কিংবা জঙ্গিরা নয় সম্প্রতি যে আন্দোলনের মুখে শেখ…

1 month ago

This website uses cookies.