–
সম্প্রতি সৌদি আরবের ভিসা করিয়েছেন এবং জানতে চাচ্ছেন যে আপনার করা ভিসা কি আদৌও ঠিক আছে কিনা! তাহলে সৌদি আরবের ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে অনলাইনে যেকোনো সময় উক্ত কাজটি করতে পারবেন। এই আর্টিকেলে জানাবো সেই সকল প্রসেস গুলো যা অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনিও সৌদি আরবের ভিসা চেক করতে পারবেন।
এটা সকলেরই জানা যে, এশিয়া মহাদেশে সব বৃহত আরব দেশ হিসেবে সৌদি আরব বিখ্যাত। দেশটিতে বর্তমানে বসবাসকৃত লোকসংখ্যা হচ্ছে ৩,৪৭,৬০,০০০ জন। যার মধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখের মত সৌদিয়ান আর বাকি ৯৭,৬০,০০০ জন বিদেশী।
বুজতেই পারছেন বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরবে ব্যবসা, কর্মসংস্থান ও বসবাসের জন্য কত লোক যায়। বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে পারি জমায় তাদের মধ্যে বড় সংখ্যক লোকই যাচ্ছে সৌদি আরব। দেশটিতে থাকা তেলের খনির কারনে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ সমৃদ্ধ। দেশটির প্রায় ৯০% আয়ের উৎসই হলো তেল রপ্তানি।
তাছাড়াও তাদের রয়েছে বেশ কিছু স্বর্ণ ও গ্যাসের খনিও। যার কারনে কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারনে লোকে যেতে চায় অন্যতম শীর্ষ ধনী দেশ গুলোর মধ্যে থাকা একটি দেশ “সৌদি আরব” এ। এবার জানবো সে দেশের ভিসা সম্পর্কে।
বাংলাদেশের মানুষও উক্ত বিষয়ে অবগত এবং এদেশ থেকে সৌদি আরব যাচ্ছে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ। আমরা জানি যেকোনো দেশে যেতে প্রয়োজন সে দেশের ভিসা। সৌদি আরবের ভিসা করার নিয়মে আমরা জেনেছি কিভাবে একটি দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা করতে হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। তবে এবার আলোচনা খুবই In Deep পর্যায়ের। এবার বললো সৌদি আরবের ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে।
আমরা যারাই সৌদি আরবের ভিসা করে থাকি বিভিন্ন কারনে ও সম্ভব্য সমস্যার থেকে রেহাই পেতে আগে ভাগেই ভিসা চেক করাটাকে যুক্তিসংগত কাজ বলে মনে করি, এবং এই কাজটিই যথাযথ। আমাদের উচিৎ যেকোনো দেশে পারি জমানোর আগে সেই দেশের জন্য করা ভিসাকে অবশ্যই চেক করে নেয়া।
যার কারনে প্রতিটি দেশের ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে আমরা জানাচ্ছি, যাতে করে আপনি যে দেশে পারি জমাত চাচ্ছেন সে দেশে ভ্রমণের আগেই উক্ত দেশের ভিসা চেক করে নিতে পারেন। তারই পেক্ষিতে উক্ত আর্টিকেলে জানানো হচ্ছে সৌদি আরবের ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে। বিস্তারিত জানা যাক..
সৌদি আরবের ভিসা চেক করার নিয়ম (বিস্তারিত প্রসেস)
বর্তমানে কেবল সৌদি আরব নয়, বরং যেকোনো দেশের ভিসা অনলাইনের মাধ্যমেই চেক করা যায়। আমাদের ওয়েবসাইটে ভিসা চেক নামক সেকশনে প্রতিটি দেশের ভিসা চেকিং প্রসেস সম্পর্কে জানানো রয়েছে। তারই পেক্ষিতে আজ রয়েছে সৌদি আরব ভিসা চেক করার নিয়ম। উক্ত কাজের জন্য আপনাকে প্রথমেই চলে যেতে হবে সৌদি আরবের ভিসা প্লাটফর্মের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।
যেহেতু সৌদি আরবের মূল ভাষা আরবি তাই এখানের সকল লিখা গুলো আরবী হরফেই দেখতে পারবেন। তবে আপনি যদি আরবি ভাষা না জেনে থাকেন তবে সেখানে থাকা E বাটনে ক্লিক করে পুরো পেজটিকে ইংরেজিতে ট্রান্সলেশন করে ফেলতে পারবেন। বুঝার সুবিধার্থে নিম্মে একটি স্ক্রিনশটের মাধ্যমে বিষয়টি ধরিয়ে দিচ্ছি।
পিক
এই পর্যায়ে দেখতে পারছেন একটি ফর্ম যেখানে রয়েছে বেশ কিছু অপশন। আপনাকে একেক করে সব গুলো পুরন করে সাবমিট করতে হবে ভিসা চেক করার জন্য। অপশন গুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য দিচ্ছি:
- Passport Number – ভিসা চেক করার জন্য পাসপোর্ট একান্তই জরুরি। আপনার পাসপোর্টের নাম্বারটি যথাযথ ভাবে এখানে টাইপ করুন।
- Current Nationality – আপনি যে দেশের অফিসিয়াল নাগরিক সে দেশের নাম সিলেক্ট করুন। যেহেতু আপনি বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন তাই এখানে বাংলাদেশ সিলেক্ট করুন
- Visa Type – সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য রয়েছে মোট ২৪ টি ভিসা। আপনি যে উদ্দেশ্যে ভিসাটি করেছেন বা যে উদ্দেশ্যে সৌদি যাবেন সেটি সিলেক্ট করুন। যেমন: আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে বা Laybor হিসেবে সৌদিতে যেতে চাচ্ছেন তবে Work অপশন সিলেক্ট করুন। অথবা আপনি যদি হজ করার জন্য যেতে চান তবে অপশন থেকে Hajj অপশন সিলেক্ট করুন।
- বাংলাদেশ থেকে সৌদি যাওয়ার জন্য অথোরিটি হচ্ছে Saudi Mission in Dhaka তাই আপনাকে ঢাকা সিলেক্ট করে দিতে হবে অপশন থেকে।
- সবশেষে থাকবে একটি নাম্বার কোড, যা নির্ধারিত বক্সে টাইপ করতে হবে। এবং শেষের দিকে Search অপশনে ক্লিক করুন।
পিক
আপনার দেয়া তথ্য গুলো যদি সব সঠিক হয়ে থাকে তবে উপরে দেয়া ছবির মত আপনার ভিসাটি দেখানো হবে যেখানে আপনার ভিসা সংক্রান্ত সকল তথ্য যেমন নাম, কোম্পানি নাম, ভিসা নাম্বার সহ সকল তথ্য দেখতে পারবেন।
সৌদি আরব ভিসা চেক করায় সতর্কতা
১) প্রথমেই যে বিষয়ে না বললেই নয়, যেহেতু ভিসা সংক্রান্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো আরবী হরফে হয়ে থাকে তাই আপনার নাম, স্পন্সরের বা কোম্পানির নাম গুলো যাচাই করার জন্য গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করুন।
২) ভিসা চেক করার সময় যদি দেখে থাকেন উক্ত ভিসাটি এপ্রুভ হয় নি বা কোনো তথ্য দেখাছে না তবে প্রথম দেখতে হবে ভিসা প্রসেসিং এর যে সময় বলে দেয়া হয়েছে তার আগেই চেক করেছেন কিনা। কারন একটি নিদিষ্ট সময়ের পরেই আপনি ভিসা চেক করতে পারবেন।
৩) তাছাড়া ভিসা সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে কোনো প্রকার ৩য় পক্ষের কাছে না গিয়ে সরাসরি ভিসা অফিসে চলে যান, অন্যথায় প্রতারণার স্বীকার হতে পারেন।
৪) অবশ্যই পাসপোর্ট – ভিসা এর মত ব্যাপার গুলোতে সাথে কোনো দক্ষ লোক রাখা জরুরি যদি আপনি একান্তই সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত না হয়ে থাকেন।
আর্টিকেল থেকে যা শিখলেন
এই ছিলো সম্পূর্ণ আর্টিকেল সৌদি আরবের ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে যেখানে দেখানো হয়েছে ঘরে বসে অনলাইনে কিভাবে একটি ভিসা চেক করতে পারবেন। পাশাপাশি দেয়া আছে কিছু সতর্কবার্তা যা অনুসরণ করার মাধ্যমে কোনো ধরনের অবাঞ্ছিত কোনো ঘটনা ঘটা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ভিসা সংক্রান্ত আরো অন্য তথ্য জানতে বাংলা আলো ওয়েবসাইটে থাকা ভিসা নামক ক্যাটাগরিটি অনুসরণ করুন। ধন্যবাদ।