হঠাৎ রেগে যাচ্ছেন, কী ভাবে মেজাজ ঠান্ডা রাখবেন

0
7

রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে

একটুতেই রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে কটূ কথা বলে আফসোস করতে হয়? এবার একটু সতর্ক হোন। রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে। মাত্রাতিরিক্ত রাগে শুধু সম্পর্ক নয়, খারাপ হয় শরীরও। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেনে চলতে পারেন কিছু টোটকা।

স্পষ্ট কথায় কষ্ট নেই পাবেন না: যদি কাছের কোনো মানুষের উপর রাগ হয়, তবে তাকে খুলে বলুন আপনার মনের কথা। রাগ পুষে রাখলে কষ্ট বাড়ে। সঙ্গে বেড়ে যায় রাগের মাত্রাও। মন খুলে কথা বললে কিন্তু রাগ অনেকটাই বশে রাখা সম্ভব।

লিখে রাখুন: এক বার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলে অনেকেই দীর্ঘ ক্ষণ অন্য কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন না। এমন সমস্যায় নিজের মনের কথা লিখে রাখার অভ্যাস করতে পারেন। রাগ-দুঃখ-অভিমান নিয়ম করে ডায়েরিতে লিখে রাখলে নিজেকে বুঝে ওঠা সহজ হয়।

সহ্যের মাত্রা: কোন পরিস্থিতিতে গিয়ে হঠাৎ রেগে যাচ্ছেন, তা বোঝার চেষ্টা করুন। মনোবিদদের ভাষায়, এই অবস্থাগুলোকে বলা হয় ‘ট্রিগার পয়েন্ট’। কিছু বিষয় সহ্য করা সম্ভব হয় না। তেমন পরিস্থিতিতে পৌঁছালে সহ্যের সীমা ছাড়ায়। রাগ হয়। তাই ‘ট্রিগার পয়েন্ট’ পর্যন্ত যাতে না পৌঁছাতে হয়, তাই কিছু পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন। যে কথা শুনে রাগ হয়, সে কথায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো।

হাসিখুশি থাকুন: মানসিক চাপ কমাতে হাসি-ঠাট্টার জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত দেখতে পারেন হাসির ছবি, ব্যাঙ্গাত্মক টেলিভিশন শো বা ওয়েব সিরিজ। পড়তে পারেন হাসির গল্পের বই। তবে অনেকে মজা করতে গিয়ে মাত্রা হারিয়ে ফেলেন। খেয়াল রাখবেন, নিজের চাপ বা রাগ কমাতে গিয়ে অন্যের অনুভূতিকে আঘাত করে ব্যঙ্গ না করাই বাঞ্ছনীয়।

মনোবিদের সাহায্য নিন: প্রয়োজন হলে সাহায্য নিন মনোবিদের। যদি কোনো ভাবেই আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে না আসে, তা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অনেক সময় হরমোন কিংবা স্নায়ুর সমস্যা থেকেও হতে পারে মাত্রাতিরিক্ত রাগ।

Visited 1 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here