১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন | কম দামে ভালো ৫ টি গেমিং ফোন রিভিউ 

0
18

বাজেট কম তবে চাচ্ছেন একটি গেমিং ফোন কিনতে তবে ১২ হাজার টাকার গেমিং ফোন গুলোর তালিকা ও শর্ট রিভিউ দেখে নিন যা আপনার সিন্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। 

 

আমরা বরাবরই গ্রাহকের চাহিদা বুজে তার পেক্ষিতে বিশেষ কিছু নিয়ে আসতে আর তাই ১২ হাজার টাকার গেমিং ফোন এর তালিকার মাধ্যমে কম বাজেটি গেম লাভারদের জন্য লিখেছি এই ইনফরমেটিভ আর্টিকেলটি। যেখানে পাবেন শতভাগ সত্য কথার ভিত্তিতে তৈরি করা রিভিউ তাই এখান থেকে জানা কোনো তথ্যের উপর ভিত্তি করে খুব সহজেই আপনার সিন্ধান্ত গ্রহন করতে পারেন। 

 

এবার টপিক ১২ হাজার টাকার গেমিং ফোন এর তালিকা ও রিভিউ তাই দ্রুত শুরু করে দেই গেম লাভারদের চাহিদা সম্পন্ন রিভিউ আর্টিকেলটি। 

১২ হাজার টাকার গেমিং ফোন এর তালিকা ও শট রিভিউ

Tecno Pova (Unofficial)

 

মোবাইলের ডিজাইন : মোট৩ টি কালারে (magic blue, Speed purple, Dazzle black) ৬.৮ ইঞ্চির বড় ডিসপ্লে যেখানে থাকছে এইচডি রেজুলেশন যা থেকে দিবে 90.45% স্ক্রীন রেশিও। 

 

ক্যামেরা সেটআপ : রেয়ার প্যানেলে 13 মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা + 2 মেগাপিক্সেল ডিপ সেন্সর + 2 মেগাপিক্সেলের মাইক্রো লেন্স এবং AI লেন্স সহ একটি ফ্ল্যাশ থাকছে। এবং সামনে সেলফি শুটার হিসেবে থাকছে 8 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যেখানে ডে টাইম এবং নাইট টাইম ফিচারস যুক্ত। 

 

প্রসেসর ও অন্যান্য :  টেকনো প্রভা ফোনটিতে করা হয়েছে গেম খেলার জন্য। বেকার ট্রেনিং এক্সপিরিয়েন্সের জন্য ফোনটিতে প্রসেসর সাথে থাকছে Helio G80 octa core প্রসেসর। ফোন টিতে থাকছে 6gb রম 128gb রম। যেহেতু এটি একটি গেমিং ফোন, তাই স্মুথ ভাবে গেম খেলার জন্য এখানে রয়েছে গেমিং মুড, যা অন করার পরে অব্যবহৃত অ্যাপ থামিয়ে দিয়ে অদরকারি ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রেস্ট্রিকশন দিয়ে রাখবে যার ফলে পারফরম্যান্স এর দিক থেকে থেকে সম্পূর্ণ এফোর্ড গেমিং এর দিকে পড়বে।

 

ব্যাটারি ও চার্জার : ফোনটির সাথে আসছে 6 হাজার এম্পিয়ার এর ব্যাটারি যেটি চার্জ করতে দেওয়া হবে 18w এর চার্জার। এবং সম্পূর্ণ ফোনটি চার্জ করতে মাত্র 10 মিনিট সময় নিবে। ফোনটি যেনো গরম না হয়ে যায়, সেজন্য thermal conductive material এবং 3D layer craftsmanship ব্যবহার করা হয়েছে। 

 

মোবাইলের ধরন ও দাম : টেকনো এর পক্ষ থেকে গেমিং ফোনটি বাংলাদেশের বাজারে আন-অফিসিয়ালি পাওয়া যাবে ১২ হাজার থেকে ১২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। 

Symphony Z45 

 

বক্সের সাথে যা থাকবে : বক্সের সাথে পাচ্ছেন ইউজার ম্যানুয়াল, সফট প্লাস্টিং ব্যাক কভার, ইয়ারফোন, একটি চার্জার, USB type C চার্জিং ক্যাবল এবং Symphony Z45 মোবাইলটি। 

মোবাইলের ডিজাইন : 

পলি কার্বনে তৈরি মোবাইলটির ব্যাক সাইটে রয়েছে মেকটেকচারের ফিনিসিং সাথে ফিংগারপ্রিন্ট স্ক্যানার, সাইডে থাকছে ডুয়েল ক্যামেরা সেটাপ। মোবাইলটি পাওয়া যাবে দুইটা কালার ভ্যারিয়ান্টে (Pine Green & Light Blue Gradient) ৬.৫২ ইঞ্চির ফোনটির প্রায় ৮.৬ মিলি মিটার  এবং ওজন ১৯০ গ্রাম। ফোনটিতে এক সাইডে রয়েছে ভলিউম বাটন ও পাওয়ার বাটন এবং অন্য সাইটে রয়েছে সিম স্লট যেখানে দুইটি সিম ব্যবহার সহ এক্সট্রা একটা মেমোরি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। 

ক্যামেরা সেটআপ : 

পিছনে ১৩ মেগাপিক্সেলের ডুয়েল ক্যামেরা সেটাপ ও সামনে রয়েছে ওয়াটার ড্রপ ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। আউট ডোর কন্ডিশনে যদি ভালো লাইটিং এর ব্যবস্থা থাকে তাহলে খুব ভালো ছবি ডেলিভার করছিলো। এবং ফোনটির ডায়নামিক রেঞ্জটিও ভালো কাজ করে এই ফোনে। ভিডিও এর ক্ষেত্রে ফোনটি আহামরি পারফোর্মেন্স দিচ্ছিলো না কিছুটা সেক সেক টাইপ ফিল আসছিলো ভিডিও করার সময়। ওভারল যেহেতু এটি একটা গেমিং ফোন সেই হিসেবে এর এই ক্যামেরা সেটাপ এই বাজেটে মেনে নেয়া যায়। 

গেমিং পারফোর্মেন্স : 

যেহেতু ফোনটিতে রয়েছে Unisoc এর  T610 প্রসেসরটি তাই গেমিং করা যাচ্ছিলো খুবই ভাল ভাবে। PUBG, COD সহ বেশ কিছু গেম খেলেছি হাই পারফোমেন্সে এবং খুবই স্মুথ আউটপুট পাওয়া যাচ্ছিলো। তবে কিছুটা ল্যাগিং ও ফ্রেম ড্রপের দেখা পেয়েছি যা এই বাজেটের ফোনে কন্সিডার করাই যায়। তাছাড়া ফোনটিতে FF9 গেমটি খেলেছি যাতে শুরুতে কিছুটা ল্যাগিং দেখা দিচ্ছিলো তবে পরে গিয়ে সেটা ঠিক ভাবে যাচ্ছিলো। ফোনটিতে হিটিং ইস্যু আসে তবে সেটা অবশ্যই কম। লং টাইপ গেম খেলা বা ভিডিও দেখতে গেলে কিছু টা গরম হয় তবে কিছুক্ষন সময় দিলে তা রিকোভার করে ফেলতে পারে। 

সিকিউরিটি : 

ফোনটিতে সিকিউরিটি হিসেবে থাকছে প্যাটেন লক, পাসওয়ার্ড এবং রেয়ার সাইডে ফিংগার প্রিন্ট সেন্সর যা ছিলো খুবই ফাস্ট তবে যাদের হাতের আঙুল একটু ছোট তাদের কিছুটা সমস্যা হতে পারে ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সরটি ব্যবহার করতে। এবং আরো রয়েছে ফেস আনলক যা মোটামোটি রকমের কাজ করছিলো যা বাজেট অনুযায়ী বেস্ট। 

প্রসেসর ও অন্যান্য :  

মোবাইলটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে থাকছে এন্ড্রোয়েড ১১ ভার্সন। এবং Unisoc এর শক্তিশালী প্রসেসর T610 ব্যবহার করা হয়েছে। এবং ফোনটিতে GPU হিসেবে রয়েছে MALI G52 যা খুবই দারুন। বাংলাদেশের বাজারে এটি একটি ভ্যারিয়েন্টেই পাওয়া যাচ্ছে তা হলো ৪ জিবি র‍্যাম ও ৬৪ জিবি রম। 

ব্যাটারি ও চার্জার : 

ফোনটিতে রয়েছে ৫০০০ এম্পিয়ারের ব্যাটারি যা চার্জ করার জন্য আছে ১০ ওয়াটের চার্জার। এই চার্জারটি দিয়ে ফোনটি সম্পুর্ন চার্জ করতে সময় নিয়েছে ৩ ঘন্টার মত তবে একবার চার্জ দিলে সেটাতে হাল্কা ইউজে দেড় দিন ইজিলি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। আর যদি হ্যাভি গেমিং করা হয় তাহলে এরাউন্ড ৫ ঘন্টার মত ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাচ্ছিলো। 

 

মোবাইলের ধরন ও দাম : Symphony Z45 এর অফিসিয়াল দাম হচ্ছে ১০,১৯০ টাকা এবং এটিকে গেমিং ফোন হিসেবেই হাইলাইট করা হয়। 

ভালো দিক গুলো : 

আউট ডোর কন্ডিশনে এই ফোনটি ওভারল ভালো ব্রাইটনেস ধরে রাখতে সক্ষম। অনলাইনে ক্লাস বা অনলাইনে মিটিং করার ক্ষেত্রে এর স্কিন পার্ফোমেন্স খুব ভালো দিবে ১০ হাজারের মধ্যে অন্যান্য ফোন গুলো থেকে। ২য় ব্যাপারটি হচ্ছে এর ব্যাটারি ব্যাকআপ। যদিও চার্জ নিতে একটু সময় নেয় তবুও এর ব্যাটারি ব্যাকআপ খুবই ভালো পেয়েছি। এই মোবাইলটির প্রসেসর দ্বারা গেমিং পারফর্মেন্স খুবই ভালো অনেক ১৫ হাজার টাকা দামের ফোন থেকে তাই ভালো গেমিং ফোন এর তালিকায় এর স্থান রয়েছে। 

মন্দ দিক গুলো : 

স্পিকারের গঠন টা বরাবরের মত ফোনের পিছনে দেয়া আছে যা হাতে ব্যবহারের সময় অথবা আউট ডোরে থাকা কালীন সময় সাউন্ড নিয়ে সমস্যা পোহাতে হবে। যেহেতু ফোনটিতে Type C port দেয়া আছে তবে সেই হিসেবে চার্জার দেয়া হয়নি, যদি এটির সাথে ১৮ ওয়ার্টের চার্জার দেয়া হতো তাহলে অবশ্যই ভালো হতো। Symphony এর এই UI টা বেশ অনেক পুরোনো, যদিও খুব রিফ্রেশিং তবুও একই UI দেখতে দেখতে অনেকটা বিরক্ত ভাব চলে আসছিলো। 

Tecno Spark 6 (Official)

মোবাইলের ডিজাইন : 

৬.৮ ইঞ্চির ডিসপ্লে ওয়ালা ফোনটিতে থাকছে এইচডি প্লাস রেগুলেশন। পিছন দিকে থাকছে ক্যামেরা সেটাপ একটু নিচে থাকছে ফিংগার প্রিন্ট সেন্সর। যেহেতু ব্যাক সাইট প্লাস্টিকের তাই অবশ্যই বক্সে থাকা কভারটি ব্যবহার করবেন। ফোনের রাইট সাইটে পাওয়ার ও ভলিউম বাটন রয়েছে এবং লেফট সাইটে আছে সিম স্লট। যেখানে দুইটা সিম ও একটা মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। তবে এটিতে রয়েছে USB type B port. 

ক্যামেরা সেটআপ : 

মূলত ফোনটিতে থাকছে কোয়াড ক্যামেরা সেটাপ। পিছনে মাঝখানে রয়েছে মেইন ক্যামেরা যা কিনা ১৬ মেগাপিক্সেলের এবং আশেপাশে রয়েছে ২ মেগাপিক্সেলের মাইক্রো ও ২ মেগাপিক্সেলের ডিপ সেন্সর ক্যামেরা ও একটি AI ক্যামেরা। মেইন ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার পর ছবি গুলো বেশ ভালোই আসছিলো এই বাজেটের অন্যান্য ফোন গুলোর তুলনায় কারন এখানে থাকা AI ক্যামেরাটি ভালোই কাজ করছিলো। ফন্ট ক্যামেরা হিসেবে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা যা দিয়ে মোটামোটি ভালো ছবি আসছিলো। মূলত এটি যেহেতু গেমিং ফোন তাই ক্যামেরা সেটাপের ক্ষেত্রে এটি মানিয়ে নেয়া যায়। 

 

সিকিউরিটি : ফিংগার প্রিন্ট সেন্সর, ফেস আনলক সহ প্রায় সব ধরনের সিকিউরিটি ফোনটিতে লক্ষ্যনীয়। 

প্রসেসর ও অন্যান্য :  

ফোনটিতে থাকছে Mediatek Helio G70 প্রসেসর এবং Octa core CPU সাথে GPU হিসেবে থাকছে Mali G52 ফোনটিতে ৪ জিবি র‍্যাম ও ১২৮ জিবি রম সহকারে পাওয়া যাচ্ছে। এই বাজেটে ১২৮ জিবি রম সত্যিই দারুন ব্যাপার। যেহেতু এটা গেমিং ফোন হিসেবে পরিচিত তাই গেম প্লে এর সময় তেমন কোনো ইস্যু ফেস করিনি। ওভারল দিক থেকে এই বাজেটে গেমিং এক্সপ্রিরিয়ান্স ছিলো ভালো। ফোনটিতে ব্যবহার হচ্ছে Tecno এর নিজস্ব কাস্টম UI এবং এটি রান করছে এন্ড্রোয়েড ১০ ভার্সনে। 

ব্যাটারি ও চার্জার : 

এটা মূলত ১৮ ওয়াট চার্জার সাপোর্টেড তবে বক্সের সাথে দেয়া হয়েছে ১০ ওয়াটের চার্জার। ব্যাটারি হিসেবে রয়েছে ৫০০০ এম্পিয়ারের বড় সড় ব্যাটারি। মধ্যম ব্যবহারে দুই দিনের মত ব্যাকআপ পাওয়া যাচ্ছিলো এবং হ্যাভি ইউজেও মোটামোটি একদিনের মত কভার হয়ে যাচ্ছিলো। বক্সে থাকা চার্জার থেকে ফোনটি ফুল চার্জ করতে ২ ঘন্টা ৪০ মিনিটের মত সময় নিয়েছে। 

মোবাইলের ধরন ও দাম : 

Tecno spark 6 ফোনটিকে গেমিং ফোন বললে ভুল হবে না কারন এর প্রসেসর ও পারফোর্মেন্স ওভারলের দিকে খেয়াল করলে এটিকে গেমিং ফোন বলাই যায়। ফোনটিতে থাকা গেম মুড যেকোনো গেম ওপেন করলেই অন হয়ে যায় যা একটা দারুন ব্যাপার এবং ফোনটি বাজারে ১৩৯৯০ টাকায় যেকোনো শো রুম থেকে পাওয়া যাবে। 

Infinix Hot 10 

উপরের কোনো ফোন যদি আপনার মন জয় করতে সক্ষম না হয়ে থাকে তবে এবারের ফোনটি অবশ্যই আপনার পছন্দ হবে। কারন এই বাজেটে সবচেয়ে ভালো গেমিং ফোন হচ্ছে infinix hot 10. ১২ হাজার টাকার গেমিং ফোন এর থেকে একটু বেশি দাম হলেও এই বাজেটে থাকা আপনি অবশ্যই ভেবে দেখবেন infinix hot 10 এর ব্যাপারে। আসুন জেনে নেই এর কিছু ফিচার্স সম্পর্কে। 

 

বক্সের সাথে যা থাকবে : বক্সে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে এখানে রয়েছে একটি সিলিকন ব্যাক কভার, একটি চার্জার, একটি ক্যাবল , একটি হেডফোন ও সয়ং ফোনটি। মূলত এগুলোই হচ্ছে এর কন্টেন্ট

মোবাইলের ডিজাইন  

ইনফিনিক্স বরাবরই সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের ফোন অফার করে সব ধরনের বাজেটেই। প্লাস্টিক বিল্ড এর এই ফোনটিও বেশ ভালো ছিলো যার ব্যাক সাইট গ্লোসো ফিনিসিং দেয়া হয়েছে যার ফলে হাল্কা স্ক্রাচ পরার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া অন্য সব ফোনের ন্যায় এটাতেও রাইট সাইটে ভলিউম ও পাওয়ার বাটন, লেফট সাইটে সিম স্লট ও নিচে Micro USB post রয়েছে। ফোনটি হাল্কা বড়সড় হওয়ায় এক হাতে ইউস করা কিছুটা কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হলেও হতে পারে যদি আপনার হাত ছোট হয়ে থাকে। মোবাইলটিতে রয়েছে ৬.৭৮ পয়েন্ট ISP LCD ডিসপ্লে। আর ডিসপ্লেতে রয়েছে সিংগেল পাঞ্চ হোল। 

 

ক্যামেরা সেটআপ : 

এটিতে ১৬ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা দেয়া হয়েছে যা কিনা কোয়াড ক্যামেরা সেটাপের মধ্য অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া অন্যান্য ক্যামেরা গুলো হলো ২ মেগাপিক্সেলের ডিপ সেন্সর ও ২ মেগাপিক্সেলের মাইক্রো সেন্সরের এবং একটি AI ক্যামেরা সেটাপ। এবং ফন্ট সাইটে সেলফি শুটের জন্য আছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। 

 

সিকিউরিটি : ফিংগার প্রিন্ট সেন্সর, AI ফেস আনলক সহ কমন সব সিকিউরিটির ব্যাপার ফোনটিতে আছে। 

প্রসেসর ও অন্যান্য :  

ইনফিনিক্স তাদের হট ১০ ফোনটি একটি ভ্যারিয়েন্টেই বাংলাদেশের বাজারে এনেছে যা হচ্ছে ৪ জিবি র‍্যাম ও ১২৮ জিবি রম। প্রসেসর হিসেবে থাকলে Helio G70 যা এই বাজেটে কেবল এই ডিভাইসে অফার করছে। গেমিং পারফোর্মেন্স এটিতে বেশ ভালো দেখেছি, এখানে ব্যবহার করা প্রসেসরটি গেমিং পারফোর্মেন্স খুব ভালো ভাবে দিতে পারছে। PUBG এর মত গেম গুলো HD high ফ্রেমে খেলা যাচ্ছিলো। তো যারা গেমার আছেন তাদের অবশ্যই সাজেস্ট করা যায় এই ফোনটি। 

ব্যাটারি ও চার্জার : 

ব্যাটারি হিসবে আমরা ৫২০০ এম্পিয়ার পাচ্ছি যা চার্জ করতে আছে ১০ ওয়াটের চার্জার যদিও আরেকটু বড় চার্জার আশা করাই যেতো। তবে ব্যাটারি ব্যাকআপ খুব ভালো পাওয়া যাচ্ছিলো হ্যাভি ইউজের পরেও ১ দিনের মত ব্যাকআপ পাচ্ছিলাম এবং নর্মাল ইউজে আরো বেশি। 

মোবাইলের ধরন ও দাম : 

অনায়াসে এটি একটি গেমিং ফোন, যারা গেমার আছেন এবং বাজেট যদি এরাউন্ড ১২ থেকে ১৩ হাজারের মধ্যে হয়ে থাকে তবে এটি হবে আপনার জন্য বেস্ট চয়েস। কারন ১২ হাজার টাকার গেমিং ফোন না হলেও কিছু টা বাড়তিতে ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে ১২৯৯০ টাকায়। 

 

পরিশেষে, এই ছিলো ১২ হাজার টাকার গেমিং ফোন গুলো যদিও কিছু ফোন ১২ হাজারের একটু কম বেশি হয়েছে তবুও যাদের বাজেট ১২০০০ টাকা এবং গেমিং ফোন খুজছেন তাদের উচিৎ হবে এই ফোন গুলো ব্যাপারে অবশ্যই ভেবে দেখা। তাছাড়া ১১ হাজার টাকায় সেরা ফোন গুলোর তালিকাও দেখে নিতে পারেন।

Visited 2 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here