মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স । অনলাইনে মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করার নিয়ম 

0
7

আপনি কি মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করানো নিয়ে চিন্তিত? অনেক খুজেছেন কিন্তু অনলাইনে মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারছেন না? তবে এখান থেকে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর মেলার পাশাপাশি মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

আপনি যদি একটি মোটরসাইকেল থেকে থাকে তবে অবশ্যই সেটির ইন্সুরেন্স করা খুব জরুরি। কেননা রাস্তাঘাটে চলতে গিয়ে দূর্ঘটনাবশত অ্যাক্সিডেন্ট ঘটতেই পারে। সেই অ্যাক্সিডেন্টে ক্ষতি হওয়া মোটরসাইকেলের ক্ষতিপূরণ এর জন্য ইন্সুরেন্স ভূমিকা পালন করে। 

মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স মূলত মোটর সাইকেলের মালিক এবং  ইন্সুরেন্স কোম্পানির মধ্যে সংঘটিত হওয়া একটি চুক্তি যাতে একটি দুর্ঘটনার কারণে মোটরসাইকেলের কোন ক্ষতি সাধন হলে ইন্সুরেন্স কোম্পানি আর্থিকভাবে উক্ত ক্ষতি পূরণ করার দায়িত্ব পালন করে।

সহজভাবে বলতে গেলে, মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স একটি চুক্তি এই চুক্তির আওতায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনাবশত কোন ক্ষতি সাধন হয় তবে উক্ত ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিবে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। এই শর্তে মোটরসাইকেলের মালিক মাসিক অথবা বাৎসরিক হারে একটি প্রিমিয়াম প্রদান করে ইন্সুরেন্স কোম্পানির কাছে। 

এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে পুরো আর্টিকেলট জুড়ে। তবে প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স সংক্রান্ত আইনগুলো। 

মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স আইন 

মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স আইন ২০২৩ এর আলোকে বলতে গেলে, সর্বপ্রথম ১৯৮৮ সালের আইন অনুযায়ী মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটা আমরা সকলেই জানি যে ফ্লোরিডায় মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স কতটা কঠিন এবং সকলের জন্য বাধ্যতামূলক। তবে বাংলাদেশে ইন্সুরেন্স তেমনভাবে হয় না।তবে আপনার যদি মোটরসাইকেল থেকে থাকে তবে অবশ্যই সেটির ইন্সুরেন্স করে রাখা ভালো কেননা দূর্ঘটনাবশত আপনার মোটরসাইকেলের অ্যাক্সিডেন্ট বা অন্য কোন ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি আপনাকে পর্যাপ্ত অর্থ প্রদান করবে।  

মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করা কি বাধ্যতামূলক 

সত্যি কথা বলতে বর্তমানে মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করা বাধ্যতামূলক নয়। অন্ততপক্ষে বাংলাদেশ এখন অব্দি মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করা বাধ্যতামূলক করা হয়নি। যার কারনে আপনার যদি মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করা না থাকে তবে এক্ষেত্রে কোন প্রকার আইনিভাবে মামলা খাবেন না। তবে আর্থিক সুরক্ষার সুবাদে অনেকেই মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কম্প্রিহেনসিভ ইন্সুরেন্স গাড়ির মালিকের ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। এই পলিসির আওতায় কোন গাড়ি বা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়লে অথবা প্রাকৃতিক ভাবে বিপর্যয়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতি হলে উক্ত গাড়ির বা মোটরসাইকেলের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ আর্থিক সুবিধা প্রদান করবে ইন্সুরেন্স কোম্পানী গুলো। তবে এই ধরনের পলিসির প্রিমিয়াম রেট তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।  

অনলাইনে মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করার নিয়ম 

বর্তমান অনলাইন চোখে প্রায় সব ধরনের কাজই ঘরে বসে ইন্টারনেটে করা যায়। সেই সুবাদে অনলাইনে মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করা খুব বড় কোন বিষয় নয়। ঘরে বসেই কিছু মিনিটের মধ্যেই করে নেওয়া যাবে মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স। এ ক্ষেত্রে কি কি করতে হবে? কত টাকা প্রয়োজন হবে? সে বিষয়ে এখন বিস্তারিতভাবে জানানো হবে। 

অনলাইনে মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করার জন্য প্রথমে চলে যেতে হবে নিটল ইন্সুরেন্স কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। সেখানে অনলাইন মোটর ইনসিওরেন্স নামক অপশন এ ক্লিক করে আবেদন প্রক্রিয়া সচল রাখতে হবে।  

এই পর্যায়ে আপনাকে বাইকের যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হবে যেমন:  

  • Plan Name – Act Liability, 
  • Vehicle Type – Motorcycle, 
  • Capacity CC
  • Insurance Date 
  • Passenger 

এই পর্যায়ে আপনাকে নিজের তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন:

  • Name
  •  national ID number
  •  geographical area
  •  registration mark and number
  •  mailing address
  •  email address
  •  City

এই তথ্যগুলো প্রধান করে কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করলেই আপনাকে পেমেন্ট মেথড এ নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট (২৩০ টাকা)  পরিশোধ করতে হবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। 

অবশেষে উক্ত কোম্পানি থেকে আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে। এবং আপনার জিমেইল এড্রেস ইন্স্যুরেন্সের একটি কপি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া তিন থেকে চার দিনের মধ্যে কুরিয়ারের মাধ্যমে ইন্স্যুরেন্সের হার্ডকপি আপনার কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।

মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা লাগে?

মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স কস্ট ক্যালকুলেটর এর তথ্য মোতাবেক, 100 cc এর জন্য ৪২০০ টাকা এবং এর বেশি হলে ৫৬০০ টাকা করে প্রিমিয়াম প্রদান করতে হয়। তাছাড়া অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে ২৩০ টাকা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।

মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করা থাকার সুবিধা 

অনেকে ধারনা মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করা হয় শুধুমাত্র মামলার হাত থেকে বাঁচার জন্য তবে এই ধারনাটি সম্পুর্ন ভুল কেননা বর্তমানে বাংলাদেশ মোটরসাইকেলের উপর বাধ্যতামূলক কোন ইন্সুরেন্স পলিসি নির্ধারণ করা হয়নি, যাতে করে আপনার যদি মোটরসাইকেলের ইন্সুরেন্স করা না থাকে তবে আপনাকে কোনভাবে মামলা দিতে পারবে না।

তবে ১৯২৩ সালের ওয়াকম্যান’স কম্পেন্সেশন এবং ১৮৫৫ সালের ফাটল অ্যাক্সিডেন্ট আইন অনুযায়ী, বিমাকারী অধীনস্থ ব্যক্তি কে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ প্রদান বাধ্যতামূলক করতে হবে। যে ব্যক্তি মোটর সাইকেলের মালিক বা মোটরসাইকেলের দেখাশোনা করার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং পরিচিত প্যাসেঞ্জারের দুর্ঘটনা ঘটলে তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। এক্ষেত্রে তার বয়স 16 থেকে 65 এর মধ্যে হতে হবে। 

লিটল ইন্সুরান্স কম্পানিজ নিরাপদ পলিসির ফিচারস গুলো

১) ইনস্টিটিউট গাড়ির সম্পূর্ণ বীমা কভারেজ যেমন মোটর গাড়ির সামঞ্জস্য করা ব্যাপক বীমা।

২) বিদ্যমান ব্যক্তিগত গাড়ি বীমা পলিসি প্রিমিয়ামের তুলনায় প্রায় 10% কম প্রিমিয়াম প্রদান

৩) ইন্সটলেশন, ডিভাইস এবং ১২ মাসের সাবস্ক্রিপশনের মধ্যে ভেহিক্যাল ট্র্যাকার দ্বারা 24/7 ঘন্টা ট্র্যাকিং নিরাপদ নীতির আওতায় থাকবে।

৪) চালক সহ পাঁচজন যাত্রীর জন্য ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা নীতিতে ৫ জনের জন্য সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা।

৫) ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে EMI দ্বারা প্রিমিয়াম পেমেন্ট প্রদানের সুবিধা। 

গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য 

এই ছিলো অনলাইনে মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স করার নিয়ম সংক্রান্ত বিস্তারিত আর্টিকেল যেখানে মোটরসাইকেল ইন্সুরেন্স আইন ও কিভাবে অনলাইনে সহজে ইন্সুরেন্স পলিসি গ্রহন করা যায় সেই বিষয়ে জানানো হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত ইন্সুরেন্স সংক্রান্ত সকল বিষয়ে জানাচ্ছি বাংলা আলো ওয়েবসাইটের ইন্সুরেন্স নামক ক্যাটাগরিতে। 

Visited 1 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here