ইসমে আজম কিভাবে পড়তে হয় । মনের আশা পূরনের আমল 

0
63

অনেকেই ইসমে আজম সম্পর্কে শুনেছেন? মনের আশা পূরণ করা ও বিপদ থেকে মুক্তির আমল হিসেবে ইসমে আজম পাঠ করা হয়ে থাকে। তবে অনেকেই রয়েছে ইসমে আজম পড়ার সঠিক নিয়ম জানেন না, তাই এবারের বিশেষ আর্টিকেলে কভার করবো ইসমে আজম কিভাবে পড়তে হয় সেই নিয়ম। জানাবো বেশ কিছু ইসমে আজম সম্পর্কে যা বিজ্ঞ আলেমগন দ্বারা চিহ্নিত ও বর্ণিত হয়েছে। 

বিপদ মানুষের জীবনে ঘটা খুব সহজ ও ভয়ানক একটি ঘটনা যা জীবন যাপনের পথে অনেকবার ঘটে। এমন অনেক পরিস্থিতির খপ্পরে মানুষ পড়ে যায় যেখান থেকে বেরিয়ে আসা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এমতাবস্থায় প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মানুষ সৃষ্টিকর্তার শরণাপন্ন হয়। ঠিক এই মুহুর্তে আল্লাহ এর নিকট এক বিশেষ আমলের মাধ্যমে  নিজের জীবনের সব বিপদ কাটিয়ে উঠা সম্ভব। বলছিলাম মনের আশা পূরণ করার মত বিশেষ এক আমলের কথা যার নাম “ ইসমে আজম “ 

ইসমে আজমের কথা উল্লেখ্য রয়েছে হাদিসে, আল্লাহর নিকট করা এই আমল সম্পর্কে জানাবো আজ পুরোপুরি। ইসমে আজম কি, কিভাবে ও কখন করবেন সেই বিষয়েও থাকছে বিস্তারিত। 

মানুষের মনে আশা বাঁধে, এবং সেই আশা পূরণ করতে মানুষ করতে চায় সব কিছু। কিন্তু সকল চেষ্টার পরেও যখন আশানুরূপ ফলাফল পায়না, তখন একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো উপায় থাকে না বিপদ থেকে বেরিয়ে আসা কিংবা মনের আশা পূরণ করার ক্ষেত্রে। এই সময় অনেকেই ছুটে ইসলামের বিভিন্ন স্কলারসদের কাছে সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য।

কিন্তু একটু ঠিক ভাবে লক্ষ করলেই দেখা যায় এরুপ বিপদ কাটানো, মনের আশা পূরনের জন্য যা করনীয় তা আমাদের নবী (সাঃ)  বলে গিয়েছেন সেই ১৪০০ বছর আগেই। যে বিষয়ে উল্লেখ্য রয়েছে বিভিন্ন হাদিসে। তিনি সুস্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছেন কি করতে হবে এবং কোন উপায়ে করতে হবে এই আমল যার দ্বারা আল্লাহ মনের সকল বাসনা পূরণ করে দিবেন। 

তাহলে প্রথমেই জেনে নেয়া যাক কি এই ইসমে আজম, মানে কি এই শব্দের আর রয়েছে কি এই আমলের মধ্যে। 

ইসমে আজম কি? এবং কেনো? 

ইসমে আজম শব্দ দুইটির অর্থ যথাক্রমে নাম ও মহান বা শ্রেষ্ঠ। এবং একত্রে দুইটি শব্দের অর্থ দাঁড়ায় “আল্লাহর সবচেয়ে মহান বা শ্রেষ্ঠ নাম“। আল্লাহ এর অনেক গুলো নামের মাঝে যে নাম গুলো সবচেয়ে বেশি মহান, সবচেয়ে বেশি শ্রেষ্ঠ সেই নাম গুলোকেই ইসমে আজম বলা হয়। 

অন্য অর্থে,

ইসমে আজম হলো এমন এক দোয়া যার মধ্যে আল্লাহ এর শ্রেষ্ঠ বা মহান নাম গুলো লিপিবদ্ধ করা থাকে এবং উক্ত নামের মাধ্যমে তৈরি দোয়ার মাধ্যমে কোনো বান্দা যদি শুদ্ধ মনে আল্লাহ এর কাছ থেকে কিছু চায় বা পার্থনা করে তবে আল্লাহ অবশ্যই সেই দোয়া কবুল করে নেয়। 

ইসলামী আলেমদের মতে, ইসমে আজম সহকারে আল্লাহর নিকট দোয়া করলে অবশ্যই আল্লাহ্‌ এই দোয়া কবুল করে থাকেন []

অনেকের মতে ইসমে আজম একটি রহস্যময় দোয়া যেটা খুবই শক্তিশালী। বিশিষ্ট আলেমগনের মতে এটি একটি বিশেষ দোয়া তবে হলফ করে কেউ দাবি করতে পারেনি। কারন আল্লাহ স্বয়ং এই দোয়াকে লুকাহিত করে রেখেছেন। কেননা, স্থান ভেদে উক্ত দোয়ার অপব্যবহার করতে পারে কিছু মানুষ। ঠিক এমনই একটা ঘটনা ঘটটে দেখা গিয়েছিলো বালয়াম ইবনে বাউরাব এর ক্ষেত্রে। 

ইসমে আজম পড়ার উপযুক্ত সময় 

আমরা জানি যে, নামাজ পড়াকালীন সময়ে আমরা আল্লাহ এর সবচেয়ে নিকট অবস্থান করি, এক্ষেত্রে নামাজ পড়ার পরপরই, মানে – সালাম ফেরানোর পরেই যদি ইসমে আজম পড়া হয় তবে সেটি বেশি উত্তম বলে বিবেচনা করা হয়। 

বিশেষ করে ফজরের ওয়াক্তে এবং মাগরিবের ওয়াক্তে ইসমে আজম পড়া বেশি কার্যকর হয়ে থাকে বলে ধারনা করা হয়। এই সময়ে বেশি বেশি আল্লাহ তায়ালার বেশি বেশি স্মরন ও ইবাদত করতে হয়। তাই এই সময়ে ইসমে আজম পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহ নিকট থেকে দোয়া কবুল করানো যায়। 

ইসমে আজম পাঠের সময় অবশ্যই সুষ্ট ও সুন্দর ভাবে নরম মনে খাস মনে একান্তে আল্লাহর নিকট শরণাপন্ন হয়ে আস্থা ও ভরসার মাধ্যমে আল্লাহর জিকির করতে হয়। 

ইসমে আজম কিভাবে পড়তে হয়?  

ইসমে আজম পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ এর নিকট নিজেকে আত্মসমার্পন করে আল্লাহ এর কাছে খাস মনে যেকোনো বিপদ থেকে উদ্ধার এবং মনের বাসনা পূরণ করতে পারেন। ইসমে আজম পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে মনের আশা প্রকাশ করলে আল্লাহ তার বান্দার সকল সখ – আশা পূরণ করে দেন। 

যার কারনে প্রতিটি মুমিন মুসলমানদের উচিৎ ইসমে আজম শিক্ষা গ্রহন করা এবং এর মাধ্যমে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া করা আল্লাহ এর নিকট এবং পাশাপাশি মনের সকল আশা দু হাত তুলে আল্লাহ এর নিকট জানানো। আর তাই তো আমাদের প্রিয় নবী হযরত (সাঃ) বলেছেন, ইসমে আজমের মাধ্যমে যদি কোনো বান্দা আল্লাহ এর নিকট দোয়া যায় তবে আল্লাহ তা অবশ্যই পূরণ করবেন।

এক্ষেত্রে এক বিশেষ দোয়াকে পৃথিবীর সকল আলেমগন সম্মত দিয়েছেন…

হযরত আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ আল-আসলামি রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মতে, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এক ব্যক্তিকে আল্লাহ এর ইবাদত করা কালীন এক বিশেষ উপায়ে আল্লাহ এর নিকট দোয়া করতে শুনেছেন যা ছিলো: 

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্নি আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।’

যার অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আর সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমিই একমাত্র আল্লাহ, তুমি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, তুমি একক সত্তা, স্বয়ংসম্পূর্ণ, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি, আর তার সমকক্ষ কেউ নেই।’

এমতাবস্থায় প্রিয় নবী ওই ব্যক্তির মুখে এই দোয়াটি বলতে শুনে সাহাবিদের বলছেন, – 

“ মহান সত্তার শপথ! যার হাতে আমার জীবন, কোনো সন্দেহ বিহীন ঐ ব্যক্তি আল্লাহ এর সেই সকল মহান নামের উসিলায় আল্লাহ এর কাছে প্রার্থনা করছেন, যে নামের উসিলায় প্রার্থনা করলে আল্লাহ দোয়া কবুল করে নেন, এবং যে নামের উসিলায় দোয়া করলে বান্দা যা চান আল্লাহ সেটাই দান করে।” 

– তিরমিজি, ইবনে মাজাহ 

ইসমে আজম সংক্রান্ত হাদিস 

মাত্রই যে ইসমে আজমটি উল্লেখ করা হলো সেটি এখন অব্দি সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য এবং বেশির ভাগ আলেমগন দ্বারা স্বীকৃত ইসমে আজম। তাছাড়া ইসমে আজম রয়েছে অনেক গুলো যা আমরা এখন অব্দিও জানি না, কেননা আল্লাহ স্বয়ং উক্ত দোয়া গুলো গোপন করেছেন। তারপরেও বেশ কিছু হাদিসের পেক্ষিতে আরো কিছু ইসমে আজম সম্পর্কে জানা গিয়েছে যা নিম্মে উল্লেখ্য রইলো। 

هُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ أَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না আসআলুকা আন্না আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতা আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ

– সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নংঃ ১৪৯৩ 

اللَّهُمَّ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ ‏

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা ইলাহা ইল্লা আংতা মান্নানু বাদিয়্যুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি যাল জালালি ওয়াল ইকরাম

– সুনানে নাসাঈ, হাদিস নংঃ ১৩০০

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لك الْمَنَّانُ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ يَا ذَا الْجَلالِ وَالإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ

যার অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার নিকট এই অসীলায় চাই যে, (আমি বলি) কেবল আপনারই প্ৰশংসা, আপনি ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই, আপনি এক, আপনার কোন শরীক নেই, অনুগ্রহ প্রদর্শনকারী হে আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা, হে মর্যাদা ও সম্মান দানের অধিকারী। হে চিরঞ্জীব ও সর্বনিয়ন্তা। তখন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বললেন, ‘তুমি জানো, তুমি কি দিয়ে দোয়া করেছ? তুমি দোয়া করেছ ‘ইসমে আজম’ দিয়ে, যা দ্বারা দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন এবং তা দ্বারা কিছু চাইলে আল্লাহ তা প্রদান করেন।” 

– সুনানে তিরমিজিঃ ৩৫৪৪

ইসমে আজম সংক্রান্ত ঘটনা (হাদিস থেকে) 

রাসুল (সাঃ) একদা ইবনে সামেত (রাঃ) এর পাশ থেকে যাওয়ার সময় নিম্মে উল্লেখিত দোয়াটি পড়তে শুনেন,

আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকা বি-আন্না লাকাল হা’মদু লা-ইলা-হা ইল্লা-আনতা ওয়াহ’দাকা লা-শারিকা লাকাল মান্না-ন, ইয়া বাদিআ’স্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম। ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম। ”

তখন রাসুল (সাঃ) বলেন, “তুমি আল্লাহর দরবারে ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করেছ, যার মাধ্যমে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা দান করেন।”

– মুসনাদে আহমদ: ১২২০৫ 

একদা রাসুল (সাঃ) দুইজন লোককে এই দোয়াটি বলতে শুনেন, 

“আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা, বিআন্নি আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাদুস সামাদ, আল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ”

এবং পর সময়ে তিনি বলে উঠেন, “তোমরা আল্লাহ এর কাছে ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া চেয়েছো, উক্ত কাজের মাধ্যমে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন, এটি (ইসমে আজম) এমন এক দোয়া যার দ্বারা আল্লাহর কাছে কোনো বান্দা কিছু চাইলে তার আশা পূরণ করেন।

– আবু দাউদঃ ১৪৯৩ 

ইসমে আজম চিহ্নিতকরণ

সত্যি কথা বলতে আল্লাহ এর কোন নামের মাধ্যমে ইসমে আজম হয় এটা হলফ করে বলা অসম্ভব। আল্লাহ এর অনেক গুলো নামের মধ্যে আমরা ৯৯ টি নামই জানি, এই বাইরে তার নামের সম্পর্কে জানা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে এই ব্যাপারে বিজ্ঞ আলেমগন ইসমে আজমের বিষয়ে ৪০ টির মত মতামত প্রদান করেছেন। যার মধ্যে “আল দুরবুল মুনাজ্জাম ফিল ইসমিল আজম” নামক এক গ্রন্থে ২০ টির মত মতামত উল্লেখ করেছেন। 

হযরত আবদুল কাদের জিলানি এর মতে, “আল্লাহ (الله) শব্দটি হলো ইসমে আজম, তবে এক্ষেত্রে শর্ত রয়েছে যা হলো – এটাকে পূর্ণ একাগ্রতা ও এখলাসের সাথে বলতে হবে।”

আসমা বিনতে ইয়াজিদ সূত্র মোতাবেক, রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, সুরা বাকারা এর ১৬৩ নাম্বার আয়াত, এবং সুরা আল ইমরানের ১ থেকে ৩ নাম্বার আয়াতের মধ্যেই ইসমে আজম নিহিত রয়েছে। 

আবু উমামা আল বাহিলি থেকে জানা যায়, রাসুল (সাঃ) বলেন, ইসমে আজম রয়েছে কুরআনের তিন সূরায় (আল বাকারা, আল ইমরান, ত্বোয়া-হার)। আল্লামা মুহাম্মাদ ইবনে সালেহ আল-উসায়মিন বলেন, “ইসমে আ’যম হচ্ছে আল-হা’ইয়্যু (চিরঞ্জীব) এবং আল-ক্বাইয়্যুম (চিরস্থায়ী)। 

সচেতনতা 

ইসমে আজম কিভাবে পড়তে হয় – বিষয়ক আর্টিকেলে জানিয়েছি ইসমে আজম পড়ার সঠিক নিয়ম ও প্রকাশ হওয়া বিশ্বস্ত কিছু ইসমে আজম সম্পর্কে। তবে বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে ইসমে আজম এর নাম করে বিভিন্ন ভন্ড ব্যক্তি অনেক মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশে বেশ কিছু আজিফার বইতে অনেক গুলো বানোয়াটে নামকে ইসমে আজম বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে সেই গুলো সত্যতা প্রমানিত হয়নি [ তথ্য সূত্রঃ কালের কন্ঠ ] তাই কখনই এমন বিজ্ঞাপন দেখে প্রতারিত না হয়ে ইসলামী বিজ্ঞ আলেমের শরণাপন্ন হয়ে মানসম্মত কিতাব পাঠের পরামর্শ রইলো।  

Visited 1,001 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here