ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড সম্পর্কে জানতে চান? আপনি ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সাথে ডুয়েল কারেন্সির কার্ড গ্রহন করতে ইচ্ছুক? তবে উক্ত আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। এখানে ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রদাদের মাধ্যমে পুরো বিষয়টিকে সহজ ভাবে উপস্থাপন করা হবে। তবে সবার আগ জেনে নেই ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড কি সেই সম্পর্কে।
ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড কি ?
ইসলামী ব্যাংক এর পক্ষ থেকে নতুন কার্ডের সার্ভিস চালু করেছে যার নাম দেয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড। কার্ডটি হবে এক প্রকার ডুয়েল কারেন্সি কার্ড তবে এটি পরিচালিত হবে সম্পূর্ণ ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক। সেই সুবাদে কার্ডটি পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পুর্ণ সুদ মুক্ত শক্তিশালী শরিয়াহ নিয়মে বিভিন্ন খরচ নির্ধারন করা হবে। কার্ডটি ব্যবহার ও পরিচালনার কাজে যতটুকু খরচ হবে সেই পরিমাণেই অর্থ গ্রহন করা হবে।
ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ডের প্রকারভেদ ও লিমিটেশন
খিদমাহ কার্ডটি মোট ৩ প্রকারের। এগুলো হলো : ১) সিলভার কার্ড ; ২) গোল্ড কার্ড ; ৩) প্লাটিনাম কার্ড। এবার আসুন জেনে নেয়া যাক কোড কার্ডের ক্ষেত্রে কত টাকা অব্দি লিমিটেশন ধার্য করা হয়েছে।
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিলভার | ৫০,০০০ টাকা |
গোল্ড | ১,০০,০০০ টাকা |
প্লাটিনাম | ২,০০,০০০ টাকা |
ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড এর হাইলাইটেড ফিচার্স
- “উজরাহ ধারণা” (নির্ধারিত ফি ভিত্তিক ধারণা) এর উপর ভিত্তি করে একটি শরীয়াহ সম্মত কার্ড।
- বিশ্বব্যাপী ব্যবহারের বিশেষাধিকার।
- কেনার ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নেই।
- গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ওয়াসার বিল পরিশোধ।
- VISA গ্লোবাল অফারের মধ্যে এক্সক্লুসিভ শপিং এবং ট্রাভেল ডিসকাউন্ট।
- হোটেল এবং হাসপাতাল বুকিং, বাস, ট্রেন এবং বিমানের টিকিট।
- সুপারস্টোরে কেনাকাটায় একচেটিয়া ছাড়।
- সর্বনিম্ন চার্জ।
- প্রথম সম্পূরক কার্ড বিনামূল্যে।
- কার্ড চেক সুবিধা।
- অগ্রিম বেতন সুবিধার
ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড এর সুবিধা
এই কার্ডটির মূল এবং সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটি রয়েছে তা হলো এটা সম্পূর্ণ সুদ মুক্ত। বাংলাদেশে মূলত অনেক গুলো ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক চলা ব্যাংক রয়েছে তবে সেই সকল ব্যাংক থেকে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সবচেয়ে বেশি সুবিধা প্রদান করে। আপনি যদি জানতে চান বাংলাদেশের ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক লেনদেন করা ব্যাংক সম্পর্কে তবে লিংক থেকে আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন।
যাই হোক মূল পয়েন্টে আসা যাক, বলছিলাম ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড এর সুবিধা সমূহ নিয়ে। নিম্মের এর বেশ কিছু সুবিধা সম্পর্কে জানান দেয়া হলো :
- এই কার্ডটি দিয়ে দেশের যেকোনো অনলাইন, অফলাইন শপিং প্লাটফর্ম থেকে কেনাকাটা করা যাবে খুব সহজে।
- প্রতিটি কার্ডের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমা অব্দি ধারে পণ্য কেনাকাটা করা যাবে।
- কার্ড ব্যবহার করে ধারে ক্রয় কৃত মূল্য পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মত সময় দেয়া হয়ে থাকে যদি আপনার ক্রেডিট কার্ডে বিন্দুমাত্রও অর্থ না থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পুর্ণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
- যদি কোনো কারনে উক্ত সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করতে না পারা যায় তবে ব্যাংকে নূন্যতম টাকা জমা দানের মাধ্যমে ব্যাপারটি ফিক্স করা হবে এতে পরবর্তীতে ব্যাংকে এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে।
- বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে অনলাইন/ অফলাইন মার্কেটে যেসকল ডিস্কাউন্ট, গিফট, ক্যাশব্যাক দিয়ে থাকে এই কার্ডের ব্যবহারের মাধ্যমে সেসব গ্রহন করা যাবে।
- ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড এর মাধ্যমে বাস, ট্রেন, প্লেনের টিকিটের কাটা পরিশোধ করা যাবে।
- এটিএম বুথ থেকে নিদিষ্ট করে দেয়া সীমার ২৫% টাকা নগদে তোলা যাবে। যদিও এই ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ কাটা হবে।
- ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড এর বিল পরিশোধের ক্ষেতে i-banking ব্যবহার করা যাবে।
- শুধু বাংলাদেশেই নয় বরং দেশের বাইরেও যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে এই কার্ড ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন করা যাবে কারন কার্ডটিতে থাকছে ডুয়েল কারেন্সি ব্যবহারের সুবিধা।
- প্রথম বারের মত সাপ্লিমেন্টরি কার্ড ফ্রি করে দেয়া হয়েছে।
- অন্যান্য ব্যাংকের কার্ডের সাথে তুলনা করলে এই কার্ডের চার্জের পরিমাণ কম
- উক্ত কার্ডের মাধ্যমে বেতনের টাকা অগ্রিম ব্যবহার করা যায়।
ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ডের জন্য কি কি প্রয়োজন?
ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ডের বেশ কিছু সুবিধা থাকলেও সবাই কি এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবে? অবশ্যই না। আমরা প্রতিনিয়ত দেখে থাকি যে ডেবিট কার্ড যেকাউকে খুব সহজে দিয়ে দেয়া হয়ে থাকলেও ক্রেডিট কার্ড সহজেই কাউকে দেয়া হয়না। কারন এখানে যেহেতু একটি লিমিটেশন অব্দি যেকোনো সময় ঋন দেয়া যায় তাই ব্যাংক নিজেদের সুরক্ষার খাতিরে খুব বাছাই করে ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে। চলুন দেখে নেয়া যাক ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড নিতে হবে কি কি প্রয়োজন হবে।
ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড হোল্ডারের যোগ্যতা যা থাকতে হবে তা হলো
- চাকরিতে থাকা সরকারী কর্মচারী (মাসিক ন্যূনতম আয়ের স্তর সিলভার কার্ডের জন্য ২০ হাজার টাকা, গোল্ড কার্ডের জন্য ৫০ হাজার টাকা ও প্লাটিনাম কার্ডের জন্য ১ লক্ষ টাকা)।
- স্বনামধন্য প্রাইভেট কোম্পানির চাকরিরত কর্মচারীরা (মাসিক ন্যূনতম আয়ের স্তর হল ২০,০০০ টাকা সিলভার কার্ডের জন্য, টাকা ৫০ হাজার টাকা গোল্ড কার্ডের জন্য এবং প্লাটিনাম কার্ডের জন্য ১ লক্ষ টাকা)।
- সন্তোষজনক লেনদেন এবং ব্যালেন্স সহ IBBL এর আমানতকারীরা উক্ত কার্ডটি গ্রহন করতে পারবে।
- বিদেশী প্রেরক/সুবিধাভোগী যারা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ঘন ঘন বিদেশী রেমিট্যান্স পাঠান/গ্রহণ করেন।
- যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকে সন্তোষজনক ব্যালেন্স সহ গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
- TIN দ্বারা সন্তোষজনক টার্নওভার প্রমাণ সহ ব্যবসায়ীরা (মাসিক আয়ের স্তর সিলভার কার্ডের জন্য টাকা ৫০,০০০ টাকা গোল্ড কার্ডের জন্য ১ লক্ষ টাকা এবং প্লাটিনাম কার্ডের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা)।
- শিক্ষক, ডাক্তার, প্রকৌশলী এবং অন্যান্য পেশাজীবিরা উক্ত কার্ডটি গ্রহন করতে পারবে।
- অন্য কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড থাকা গ্রাহকদের কিন্তু একটি কার্ডের এর বেশি নয় এমন।
- পর্যটন, ব্যবসা, এবং বিদেশে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভ্রমণকারীরা কার্ডটি গ্রহন করতে পারবে।
- বিদেশী খামারের সাথে চুক্তিবদ্ধ বাংলাদেশী নাগরিকরাও কার্ডটি ব্যবহারের সুযোগ পাবে।
চাকরিজীবিদের ক্ষেত্রে কি কি প্রয়োজন হবে?
১) দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি
২) জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রয়োজন পড়বে ডকুমেন্টস হিসেবে।
৩) যেখানে চাকরি করছেন সেখানের আইডি কার্ড ( ছবি যুক্ত থাকা জরুরি, তবে ক্ষেত্র বিশেষে নাও থাকতে পারে )
৪) যদি ই-টিন সার্টিফিকেট থেকে থাকে তবে সেটি সাবমিট করতে হবে।
৫) গত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে।
৬) আপনি যেখানে চাকরি করেন সেইখানের কতৃপক্ষের কাছ থেকে বেতনে স্বাক্ষারিত সার্টিফিকেট দেখাতে হতে পারে।
৭) CIB রিপোর্ট এর প্রয়োজন হবে। আপনি যদি না জানেন CIB রিপোর্ট কি তবে লিংকে ক্লিক করুন।
ব্যবসায়িক কর্মী/ব্যক্তি/পেশাদারের জন্য কি কি প্রয়োজন হবে?
- দুইটি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট (১ম ৭ পৃষ্ঠা এবং নবায়ন পৃষ্ঠা)
- আপ টু ডেট ই-টিআইএন সার্টিফিকেট অথবা সর্বশেষ ট্যাক্স রিটার্ন স্বীকৃতি স্লিপ (ব্যক্তিগত ও কোম্পানি) এর কপি।
- গত ছয় মাসের জন্য আসল ব্যাংক স্টেটমেন্ট আবেদনকারীর দ্বারা যথাযথভাবে স্বাক্ষরিত
- বৈধ ট্রেড লাইসেন্সের কপি (সর্বশেষ/নবায়ন)।
- বিজনেস কার্ড।
- ক্লিন সিআইবি রিপোর্ট।
- বসবাসের প্রমাণ (অর্থাৎ হোল্ডিং ট্যাক্স পেমেন্টের রসিদ বা বিদ্যুৎ/গ্যাস/ওয়াসা/বিটিটিবি টেলিফোন বিলের মতো যেকোনো ইউটিলিটি বিলের পেমেন্টের একটি সত্যায়িত কপি)।
- পেশাদারের ক্ষেত্রে, পেশাদার সংস্থা/সক্ষম কর্তৃপক্ষের সদস্যতা শংসাপত্র
ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড ব্যবহারের নিয়ম ও খরচ সমূহ
ইসলামী ব্যাংকের এই কার্ডটি ব্যবহার করার জন্য বেশ কিছু সেক্টরে সার্ভিস চার্জ ও খরচ বহন করতে হবে। যা নিম্মে উপস্থাপন করা হলো।
বার্ষিক ফি (প্রাথমিক কার্ড)
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ৫০০ |
গোল্ড | ১০০০ |
প্লাটিনাম | ১৫০০ |
(ক) কার্ডধারী বছরে ন্যূনতম ২ লক্ষ টাকার পণ্য/সেবা ক্রয় করলে কোনো বার্ষিক ফি প্রযোজ্য হবে না, (খ) IBBL-এর পেশাদার এবং কর্মচারীদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রথম বছরের জন্য কোন বার্ষিক ফি প্রযোজ্য হবে না। এখানে পেশাদার মানে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, সিএ এবং সিএমএ।
বার্ষিক ফি (পরিপূরক কার্ডৎ
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | বিনামূল্যে |
গোল্ড | বিনামূল্যে |
প্লাটিনাম | বিনামূল্যে |
প্রথম সম্পূরক কার্ড বিনামূল্যে। দ্বিতীয় সম্পূরক কার্ড এবং পরবর্তী: প্রতিটি কার্ডের জন্য ৫০০ টাকা।
মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ খরচ
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ৫০০ |
গোল্ড | ১০০ |
প্লাটিনাম | ১৫০০ |
কার্ডধারীকে কোনো রক্ষণাবেক্ষণ ফি দিতে হবে না, যদি বর্তমান ব্যালেন্সের অর্থ পরিশোধের নির্ধারিত তারিখে বা তার আগে ব্যাংক সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্ত হয় এবং পরিষেবা অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা হয় নি এবং কোনো ব্যালেন্স প্রতিফলিত না হয়।
মাসিক ওভার লিমিট চার্জ
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ৫০০ |
গোল্ড | ৫০০ |
প্লাটিনাম | ৫০০ |
সীমাতিরিক্ত পরিমাণ চলে গেলে ৫০০০ টাকা অব্দি চার্জ ধার্য করা যেতে পারে
বিলম্বে পেমেন্ট চার্জ
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ৫০০ |
গোল্ড | ৫০০ |
প্লাটিনাম | ৫০০ |
যদি ন্যূনতম বকেয়া পরিমাণ অর্থ প্রদানের তারিখের মধ্যে পরিশোধ না করা হয়।
কার্ড প্রতিস্থাপন ফি
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ২০০ |
গোল্ড | ৩০০ |
প্লাটিনাম | ৫০০ |
নগদ উত্তোলনের ফি
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ১৫০ |
গোল্ড | ১৫০ |
প্লাটিনাম | ১৫০ |
প্রতিটি লেনদেনের জন্য
ডুপ্লিকেট স্টেটমেন্ট ফি
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ৩০০ |
গোল্ড | ৩০০ |
প্লাটিনাম | ৩০০ |
৬ (ছয়) মাসের মধ্যে
কার্ড চেক বুক ইস্যু ফি
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ১৫০ |
গোল্ড | ১৫০ |
প্লাটিনাম | ১৫০ |
টাকা 150/- (দ্বিতীয় বার এবং পরবর্তী ২০ (বিশ) পাতার একটি চেক বইয়ের জন্য।
কার্ড চেক লেনদেন ফি
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ৫০০ |
গোল্ড | ৫০০ |
প্লাটিনাম | ৫০০ |
প্রতিটি লেনদেনের জন্য
অন্যান্য চার্জ সমূহ
ফেরত চেক ফি
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ২০০ |
গোল্ড | ২০০ |
প্লাটিনাম | ২০০ |
অপর্যাপ্ত তহবিলের জন্য, ভিন্ন স্বাক্ষর, অর্থ প্রদান বন্ধ করা ইত্যাদি।
আউটস্টেশন চেক প্রসেসিং ফি
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ৫০ |
গোল্ড | ৫০ |
প্লাটিনাম | ৫০ |
বিক্রয় ভাউচার পুনরুদ্ধার ফি
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ৫০০ |
গোল্ড | ৫০০ |
প্লাটিনাম | ৫০০ |
সর্বোচ্চ ৩ মাস পর্যন্ত)।
মাসিক হিসাব বিবরণী
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ১০০ |
গোল্ড | ১০০ |
প্লাটিনাম | ১০০ |
দ্বিতীয় বার এবং পরবর্তী প্রতি স্টেটমেন্ট অনুযায়ী
সিআইবি প্রসেসিং ফি
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | ১০০ |
গোল্ড | ১০০ |
প্লাটিনাম | ১০০ |
ইন্টারনেট ব্যাংকিং
কার্ডের নাম | টাকার পরিমাণ |
সিল্ভার | বিনামূল্যে |
গোল্ড | বিনামূল্যে |
প্লাটিনাম | বিনামূল্যে |
ফি এবং চার্জের জন্য সাধারণ নিয়ম গুলো
১) পরিশোধযোগ্য তারিখ : বিবৃতি তারিখ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময়
২) ন্যূনতম পরিমাণ পরিশোধ করতে হবে : ব্যবহৃত পরিমাণের ৫% বা স্লাইভার কার্ডের জন্য ১২০০ টাকা, গোল্ড কার্ডের জন্য ২৪০০ এবং প্ল্যাটিনাম কার্ডের জন্য ৪০০০ টাকা
৩) তৃতীয় পক্ষের আউটলেটে ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট : প্রকৃত চার্জ অনুযায়ী + টাকা 10/- পর্যন্ত
৪) নগদ তোলার সুবিধার পরিমাণ প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
৫) অতিরিক্ত খরচ যেমনঃ ডাক, কেবল, কুরিয়ার, ফ্যাক্স, আইনি ফি, ইত্যাদির জন্য চার্জ করা হবে।
–
পরিশেষে, এই ছিলো যাবতীয় তথ্য ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড সংক্রান্ত যেখানে আলোচনা করা হয়েছে কার্ডটি দিয়ে কি কি করা যাবে, কারা ব্যবহার করতে পারবে, কার্ডটি গ্রহন করার ক্ষেত্রে কোন কোন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে এবং সবশেষে উক্ত কার্ডটি ব্যবহার করলে কত টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে প্রদান করতে হবে সেই তথ্য। আশা করি সকল তথ্য গুলো ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি ও উক্ত কার্ড ব্যবহার করা না করা বিষয়ক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। বাংলা আলো সব সময় চায় আপনারা সবচেয়ে ভালোটা গ্রহন করুন সব দিক থেকে যাচাই বাছাই করে। সর্বোপরি, ব্যাংকে লেনদেন অবশ্যই সুদ যুক্ত যা হারাম। তাই ভেবে চিন্তে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন। ধন্যবাদ।