কানাডা যাওয়ার ইচ্ছা? বাংলাদেশ থেকে কানাডা ভিসা পেতে হলে কি করতে হবে, কত টাকা খরচ, কোথায় আবেদন করবেন, কি কি লাগবে সব বিষয়ে জানুন এই আর্টিকেল থেকে।
কানাডা উত্তর আমেরিকার একটি দেশ। এর দশটি প্রদেশ এবং তিনটি অঞ্চল আটলান্টিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত এবং উত্তর দিকে আর্কটিক মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত, ৯. ৯৮ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার জুড়ে, এটি মোট আয়তন এর ভিত্তিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ।
প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক নাগরিক কানাডা ভ্রমন করে। তবে ভ্রমন এর আগেই কানাডা ভিসা সংক্রান্ত অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেওয়া জরুরী। যেমনঃ ভিসার ধরন, কোন ভিসার মাধ্যমে কানাডা যেতে কেমন পরিমান এর টাকা খরচ হতে পারে, সেই ভিসার মেয়াদ কাল কতো দিন থাকবে৷
কোথায় এবং কিভাবে আবেদন করবেন সে সকল নিয়ম গুলো জেনে নেওয়া খুব জরুরি। আজকের এই আর্টিকেল এ আমরা আপনাদের জানাবো কানাডা ভিসার ধরন, কানাডা ভিসার খরচ, কানাডা ভিসার মেয়াদ কাল, কানাডা ভিসার আবেদন এর নিয়ম সমূহ নিয়ে এবং অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক…
কানাডা ভিসার ধরন, সময়, মেয়াদ
কানাডা ভিসার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি ধরন। সাধারণত ভিসার ধরন অনুযায়ী ভিসার প্রসেসিং এর সময় কাল এবং মেয়াদ কাল পরিবর্তন হয়ে থাকে তাহলে চলুন এই পর্যায়ে জেনে নেই কানাডা ভিসার ধরন, সময় এবং মেয়াদ সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
ক) কানাডা ভিজিটর ভিসাঃ
ভিজিটর ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলে এই ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন এর মতো।
ভিজিটর ভিসার মেয়াদ কালঃ এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকবে প্রায় ৬ মাস থেকে ১০ বছর পর্যন্ত।
খ) কানাডা স্টুডেন্ট ভিসাঃ
স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলে এই ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে প্রায় ১ সপ্তাহ থেকে ১৬ সপ্তাহ এর মতো।
স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ কালঃ এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকবে প্রায় যতদিন শিক্ষার্থী দের স্টাডি প্রোগ্রাম চলবে ততদিন। কিছু সময় এক্সট্রা ৯০ দিন সময় দেওয়া থাকতে।
গ) কানাডা ওয়ার্ক ভিসাঃ
ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং এর সময় কালঃ সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলে এই ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে প্রায় ১ মাস থেকে ৯ মাস এর মতো।
ওয়ার্ক ভিসার মেয়াদ কালঃ এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকবে প্রায় ১ বছর থেকে ২ বছর সময় পর্যন্ত।
কানাডা ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন
যেহেতু কানাডা যাওয়ার জন্য রয়েছে বেশ কয়েক রকম এর ভিসা। তাই আলাদা ভিসার জন্য ডকুমেন্টস এর প্রয়োজনীয়তা ও আলাদা হতেই পারে। এখন আপনাদের জানাবো কানাডার ভিসা সমুহের জন্য এপ্লাই করতে আপনার কি কি ডকুমেন্টস লাগতে পারে সেই সম্পর্কেঃ
ক) কানাডা ভিজিটর ভিসাঃ
১. লিগেল ডিজিটাল পাসপোর্ট।
২. লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস।
৩. কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।
৪. কানাডা ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম।
৫. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
৬. বাংলাদেশী ভোটার আইডি কার্ড।
৭. পাসপোর্ট সাইজ এর সদ্য তোলা কয়েক কপি রঙিন ছবি।
৮. ডিক্লারেশন এর কাগজ।
৯. সকল কাগজ পত্র সমূহ সত্যায়িত হওয়া বাঞ্চনীয়।
খ) কানাডা স্টুডেন্ট ভিসাঃ
১. লিগেল ডিজিটাল পাসপোর্ট।
২. চার কপি পাসপোর্ট সাইজ এর রঙিন ছবি।
৩. আপনার পছন্দ মতো কানাডা এর যে কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয় এর অফার লেটার।
৪. স্কুল এবং কলেজ এর সকল মেইন সার্টিফিকেট, তার পাশাপাশি আগের সকল পরীক্ষার মার্কশিট।
৫. IELTS স্কোর এর সার্টিফিকেট।
৬. এপ্লিকেশন ফর্ম।
৭. ব্যাংক সলভেন্সির কাগজ পত্র।
৮. কানাডা ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম।
৯. শিক্ষার্থী দের সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র গুলো অবশ্যই ইন্টান্যাশনাল অরগানাইজেশান ফর মাইগ্রেশান থেকে ভেরিফিকাশন করে নিতে হবে।
১০. স্টুডেন্ট এর লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস।
১১. রিকমেন্ডেশন লেটার অথবা মোটিভেশনাল লেটার।
১২. সিভি এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
১৩. কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।
১৪. আগের স্কুল কলেজ এর সকল সার্টিফিকেট এর মেইন কপি এবং ফটোকপি। অবশ্যই সকল সার্টিফিকেট গুলো শিক্ষাবোর্ড এবং কানাডা এর অ্যাম্বাসি থেকে সঠিক উপায়ে সত্যায়িত করে নিতে হবে।
গ) কানাডা ওয়ার্ক ভিসাঃ
১. ডিজিটাল পাসপোর্ট।
২. আসল জন্ম নিবন্ধন সনদ।
৩. লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস।
৪. কানাডা ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম।
৫. পাসপোর্ট সাইজ এর রঙিন ছবি।
৬. কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।
৭. সকল কাগজ পত্র সমূহ সত্যায়িত হওয়া বাঞ্চনীয়।
৮. সরকার থেকে স্বীকৃত দেওয়া মেডিকেল ফিটনেস এর সনদ পত্র।
৯. কানাডা ভিসা স্পনসর কারীর আকামার ফটো কপি।
১০. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর কপি।
১১. বাংলাদেশী ভোটার আইডি কার্ড।
কানাডা ভিসা করতে কত টাকা লাগে
প্রতিটি ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রেই বিভিন্ন পেমেন্ট এর দরকার হয়। আর আলাদা আলাদা ভিসার ক্ষেত্রে পেমেন্ট আলাদা হওয়া টা একদমই স্বাভাবিক। চলুন জেনে নেই কানাডা ভিসা করতে কত টাকা লেগে থাকেঃ
ক) কানাডা ভিজিটর ভিসাঃ
কানাডা ভিজিটর ভিসা – জন প্রতি একক বা একাধিক প্রবেশ- ৬০০০ টাকা
কানাডা ভিজিটর ভিসা – প্রতি পরিবার (৫ বা তার বেশি লোকের পরিবার প্রতি ১ ফি)। একই সময়ে এবং স্থানে ৫ বা তার বেশি লোকের একটি পরিবার এর জন্য সর্বোচ্চ ফি- ৩৩০০০ টাকা।
খ) কানাডা স্টুডেন্ট ভিসাঃ
বাংলাদেশের স্টুডেন্ট জন্য আবেদন এর ফি প্রায় ১৩০০০ টাকা। কানাডা ভিসার আবেদনের জন্য নিচের উল্লেখিত নথিগুলির প্রয়োজন: তালিকাভুক্তির প্রমাণ: স্টাডি পারমিটের আবেদনের সঙ্গে চিঠির একটি ইলেকট্রনিক কপি সংযুক্ত করুন।
গ) কানাডা ওয়ার্ক ভিসাঃ
কানাডা ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে পেমেন্ট লাগে প্রায় ১৫৫$।
কানাডা ভিসা কিভাবে করতে হয় বা নিয়ম
১ম ধাপঃ ভিসার ধরন সনাক্ত করুন
আপনার ভ্রমণ এর জন্য সঠিক ভিসা নির্বাচন করুন।
প্রথম ধাপ হল আপনার কোন ধরনের ভিসার প্রয়োজন তা নির্ধারণ করা এবং আপনি এটির জন্য আবেদন করার যোগ্য কিনা তা পরীক্ষা করুন। আপনাকে আপনার আবেদনের সাথে যে নথিগুলি জমা দিতে হবে, আবেদনটি কতক্ষণ নিতে পারে এবং আপনাকে ফি দিতে হবে তাও আপনাকে জানতে হবে।
প্রতিটি আবেদন অবশ্যই আপনার ভিসা বিভাগের জন্য প্রযোজ্য নির্দেশিকা মেনে চলবে। বিস্তারিত নির্দেশনার জন্য ইমিগ্রেশন, রিফিউজি এবং সিটিজেনশিপ কানাডার (I R C C) ওয়েবসাইট দেখুন। অস্থায়ী আবাসিক ভিসা, স্টাডি পারমিট, কাজের অনুমতি, স্থায়ী বাসিন্দা, ভ্রমণ নথি আপনার আবেদনের সাথে একটি যথাযথ ভাবে সম্পূর্ণ এবং স্বাক্ষরিত V F S সম্মতি ফর্ম জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
২য় ধাপঃ আপনার আবেদন শুরু করুন
আপনার ভিসা আবেদন শুরু করুন।
আপনি ভিসা আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করতে পারেন, এটি পূরণ করতে পারেন, সম্পূর্ণ ফর্মটি মুদ্রণ করতে পারেন এবং জমা দেওয়ার জন্য ভিসা আবেদন কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার অনলাইন আবেদন সরাসরি ইমিগ্রেশন, রিফিউজি এবং সিটিজেনশিপ কানাডা (I R C C) এ জমা দিতে পারেন।
ইলেকট্রনিক ভাবে আবেদনপত্র পূরণ করুন। সম্পূর্ণ ফর্মটি (বারকোডযুক্ত শীট সহ) একটি লেজার প্রিন্টার ব্যবহার করে একটি সাদা, বন্ড মানের, অ-চকচকে কাগজে প্রিন্ট করতে হবে। দয়া করে নিশ্চিত করুন যে 2 D বারকোড (2 কপি) পরিষ্কারভাবে এবং উচ্চ মানের কাগজে মুদ্রিত হয়েছে। হাতে লেখা ফরম গ্রহণ করা হবে না।
আপনার ভিসা বিভাগের সাথে প্রাসঙ্গিক I R C C ডকুমেন্ট চেকলিস্ট অনুসারে আপনাকে সমর্থনকারী নথিগুলি সম্পূর্ণ করতে হবে। আপনি যদি অফিসিয়াল IRCC ডকুমেন্ট চেকলিস্টে উল্লিখিত সমস্ত সমর্থনকারী নথি প্রদান করতে অক্ষম হন, তাহলে আপনাকে দাবিত্যাগ ফর্মটি পূরণ করতে হবে, এটিতে স্বাক্ষর করতে হবে এবং আপনার আবেদন পত্রের সাথে এটি সংযুক্ত করতে হবে।
আপনাকে গোপনীয়তা নীতি পড়তে হবে এবং সম্মতি ফর্মটি পূরণ করতে হবে এবং তারপর আপনার আবেদন পত্রের সাথে এটি সংযুক্ত করতে হবে। আপনি যদি আপনার আবেদনের সাথে একটি সম্পূর্ণ এবং স্বাক্ষরিত সম্মতি ফর্ম অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হন তবে আমাদের কর্মীরা আপনাকে সহায়তা করতে সক্ষম হবে না এবং আপনার আবেদনটি আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে।
৩য় ধাপঃ সাক্ষাৎকার লিপিবদ্ধ করুন
একটি ভিসা আবেদন কেন্দ্র চয়ন করুন এবং একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট করুন একবার আপনি আপনার ভিসার জন্য আবেদন করলে, আপনাকে একটি ভিসা আবেদন কেন্দ্রে আপনার আঙ্গুলের ছাপ এবং ছবি তোলার জন্য একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। এটি ‘বায়োমেট্রিক তথ্য’ নামে পরিচিত।
একবার আপনি আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করে নিলে, আপনি অ্যাপয়েন্টমেন্টের চিঠি সহ একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিশ্চিতকরণ ইমেল পাবেন। আপনি যদি একটি পরিবার বা গোষ্ঠীর অংশ হন তবে আপনাকে পরিবার বা গোষ্ঠীর প্রতিটি সদস্যের জন্য পৃথক অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে।
আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দেওয়ার প্রয়োজন না হলে, আপনার স্থানীয় কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আপনাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করার দরকার নেই। আপনার পাসপোর্ট, ছবি, পূরণকৃত ফর্ম, কানাডা সরকারের ফি এবং IRCC ডকুমেন্ট চেকলিস্টে তালিকাভুক্ত সমস্ত সহায়ক নথি সহ আপনার সুবিধামত ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যান। আপনাকে বায়োমেট্রিক্স দিতে হবে কিনা তা জানতে, অনুগ্রহ করে http://www.cic.gc.ca/english/visit/biometrics.asp দেখুন।
৪র্থ ধাপঃ আপনার ফি প্রদান করুন
আপনাকে যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে তা খুঁজে বের করুন একবার আপনি আপনার আবেদন সম্পূর্ণ করলে, আপনাকে আপনার ভিসা আবেদনের ফি দিতে হবে। আপনি যদি প্রিন্ট করার জন্য ফর্মটি ডাউনলোড করতে চান এবং আপনার সাথে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে চান, তাহলে আপনি আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় অর্থ প্রদান করতে পারেন। IRCC ওয়েবসাইটে দেওয়া নির্দেশাবলী অনুযায়ী আপনাকে কানাডা সরকারের ফি এবং বায়োমেট্রিক ফি (যদি প্রয়োজন হয়) দিতে হবে।
৫ম ধাপঃ ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যান
আপনার নির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টে যোগ দিন আপনি যদি অনলাইনে আপনার আবেদন জমা না দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে আপনার সম্পূর্ণ ভিসা আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। ভিসা আবেদন কেন্দ্রে কী হয় তা জানুন। যদি আপনাকে বায়োমেট্রিক্স জমা দেওয়ার প্রয়োজন না হয়, অনুগ্রহ করে ব্যবসার সময় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যান।
একবার আপনি কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্রে পৌঁছালে, আপনার আবেদন এবং বায়োমেট্রিক্স (যদি প্রযোজ্য হয়) সংগ্রহ করা হবে। প্রযোজ্য ভিসা আবেদন কেন্দ্র পরিষেবা চার্জ পরিশোধ করুন এবং একটি রসিদ পান। এই রসিদে আপনার অনন্য ট্র্যাকিং নম্বর থাকবে, যা আপনাকে অনলাইনে আপনার আবেদনের অগ্রগতি ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে।
৬ষ্ঠ ধাপঃ আপনার আবেদন ট্র্যাক করুন
আপনার আবেদন এর অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত থাকুন যখন আপনার সিদ্ধান্ত ভিসা আবেদন কেন্দ্রে ফেরত দেওয়া হবে তখন আপনি একটি ইমেল আপডেট পাবেন। আপনি যদি সহজে ইমেল অ্যাক্সেস করতে না পারেন, বা আরও বিস্তারিত ট্র্যাকিং তথ্য চান, তাহলে আপনি সরাসরি আপনার ফোনে পাঠানো SMS-এর মাধ্যমে আপডেট পেতেও সক্ষম হতে পারেন। আপনি যে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যাচ্ছেন সেখানে এই পরিষেবাটি উপলব্ধ কিনা তা পরীক্ষা করুন৷ আরও তথ্য সংগ্রহ করতে আপনার আবেদন ট্র্যাক পৃষ্ঠাতে যান।
৭ম ধাপঃ আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন
ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে আপনার পাসপোর্ট গ্রহণ করুন ভিসা আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে, আপনি ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে আপনার নথিগুলি নিতে পারেন বা অতিরিক্ত ফি দিয়ে আপনার নথিগুলি কুরিয়ারের মাধ্যমে আপনাকে ফেরত দিতে পারেন। আপনি যে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যাচ্ছেন সেখানে এই পরিষেবাটি উপলব্ধ কিনা তা পরীক্ষা করুন৷ ভিসা আবেদন কেন্দ্রে ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্তের খাম সংগ্রহ করার জন্য।
আপনাকে অবশ্যই নিম্নলিখিত তথ্য গুলি প্রদান করতে হবে:
আপনার পাসপোর্ট এর স্ট্যাম্পযুক্ত জীবনী পৃষ্ঠার একটি অনুলিপি ভিসা আবেদন কেন্দ্র দ্বারা জারি করা। আসল ভিসা আবেদন কেন্দ্র পরিষেবার রসিদ, সরকারি পরিচয় এর একটি ফর্ম আপনি ভিসা, আবেদন কেন্দ্রে আপনার সিদ্ধান্তের খাম সংগ্রহ করার জন্য কাউকে অর্পণ করতে পারেন।
আপনার প্রতিনিধিকে অবশ্যই প্রদান করতে হবে: কানাডায় প্রস্তাবিত প্রবেশের তারিখ, প্রয়োজনীয় এন্ট্রির সংখ্যা এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্যে এটি বৈধ কিনা তা নিশ্চিত করতে ইস্যু করা ভিসার বিবরণ পরীক্ষা করা আপনার দায়িত্ব। আপনার সিদ্ধান্তের খাম সংগ্রহ করার সাথে সাথে আপনাকে এই বিবরণগুলি পরীক্ষা করতে হবে। বৈধতার সময়কাল এবং প্রবেশের সংখ্যা শুধুমাত্র ভিসা অফিস দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং আপনার আবেদনে যা অনুরোধ করা হয়েছিল তার থেকে ভিন্ন হতে পারে।
কানাডা ভিসার আবেদন কেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য
আজকের আর্টিকেল এর এই ধাপে আপনারা জানতে পারবেন বাংলাদেশ এর কোন কোন ভিসা আবেদন কেন্দ্র এর মাধ্যমে আপনি কানাডা ভিসা -র জন্য আবেদন করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেই কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্র এর বিস্তারিত তথ্য সমূহঃ
ঢাকায় কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্র, বাংলাদেশ এর ঠিকানা, ফোন নম্বর, অবস্থান, খোলার সময়, ইমেল।
বাংলাদেশ থেকে কানাডার ভিসার আবেদন করুন।
১. ঠিকানা: ভিএফএস কানাডা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার- ঢাকা ৪র্থ তলা, ডেল্টা লাইফ টাওয়ার, প্লট নং – ৩৭, রোড নং – ৯০, উত্তর গুলশান এভিনিউ, গুলশান -২, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ।
ফোন নাম্বার: (+)88 09 666 911 380 (শুধুমাত্র মোবাইল ব্যবহারকারী দের জন্য)
(+)88 09606 777 888 (09: 00 – 17: 00)
ইমেইল: info.canadabd@vfshelpline.com খোলার সময়: ভিসা এপ্লিকেশন এর দিন আমরা রবিবার- বৃহস্পতিবার (ঘোষিত ছুটির দিন ব্যতীত) থেকে খোলা।
CVAC খোলার সময়: 09: 00 – 17: 00
আবেদন জমা: 09:0 0 – 17: 00
পাসপোর্ট সংগ্রহ: 15: 00 – 17: 00 কানাডা ইমিগ্রেশন এবং সিটিজেনশিপ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট: https://www.canada.ca/en/services/immigration-citizenship.html
কানাডিয়ান সরকারী অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: http://www.cic.gc.ca/
২. ঢাকায় কানাডিয়ান হাই কমিশন, বাংলাদেশ
ঠিকানা: জাতিসংঘ সড়ক, বারিধারা, ঢাকা -12 12, বাংলাদেশ।
টেলিফোন নাম্বার: (+88 0) 2 55 66 84 44
ফ্যাক্স নাম্বার: (+8 80) 2 55 66 84 23
ইমেইল এড্রেস: dhaka@international.gc.ca
ওয়েবসাইট এড্রেস: www.international.gc.ca/country-pays/bangladesh/index.aspx?lang=eng
অফিস এর সময় সোমবার থেকে রবিবার: 08: 00 – 12: 30 (ওয়াক- ইন)
ইমেইল এড্রেস: dhaka.consular@international.gc.ca
কানাডা ভিসা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা
ক) আমি কিভাবে বাংলাদেশ থেকে কানাডার ভিসা পেতে পারি?
বাংলাদেশ থেকে কানাডা ভিজিটর ভিসার জন্য আবেদন করে কানাডা ভ্রমন করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য, আপনার ইমিগ্রেশন, রিফিউজি, সিটিজেনশিপ কানাডা (I R C C) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করা উচিত অথবা আপনি যদি ব্যক্তিগত ভাবে আবেদন করতে চান তবে আপনি চট্টগ্রাম, ঢাকা বা সিলেটে অবস্থিত ভিএফএস গ্লোবাল এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। এভাবেই বাংলাদেশ থেকে কানাডার ভিসা পেতে পারেন।
খ) আমি কি চাকরি ছাড়া কানাডা যেতে পারি?
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো নয়, কানাডা বিদেশি দের জন্য প্রথম চাকরির অফার না নিয়েই অভিবাসনের সুযোগ প্রদান করে থাকে। যদিও কানাডার সবচেয়ে সাধারণ এবং লোভনীয় অভিবাসন রুট টি এক্সপ্রেস এন্ট্রি সিস্টেম হিসাবে পরিচিত, সেখানে প্রাদেশিক নমিনি প্রোগ্রাম (P N P) নামে একটি সমান প্রতিশ্রুতি শীল রুট রয়েছে।
গ) আমি কিভাবে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট পেতে পারি?
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার মাধ্যমে আপনি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট পেতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় নথি পত্র গুলো হলোঃ
১. কানাডায় আগমনের পরিকল্পিত তারিখ থেকে 6 মাসের বেশি মেয়াদ সহ একটি বৈধ পাসপোর্ট।
২. দুটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট আকারের ছবি।
৩. শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
৪. কাজের অভিজ্ঞতা সহ পেশাদার যোগ্যতার প্রমাণ।
৫. কানাডায় থাকার সময় তাদের খরচ মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সংস্থান থাকার প্রমাণ।
৬. নিবন্ধিত হাসপাতাল থেকে মেডিকেল পরীক্ষা করা আবশ্যক।
৭. আবেদন ফী।
৮. আবেদনকারী দের ও অভিবাসন কর্মকর্তা দের বোঝাতে সক্ষম হওয়া উচিত যে তারা তাদের কর্মসংস্থান শেষ হওয়ার পরে তাদের দেশে ফিরে যাবে।
ঘ) বাংলাদেশ থেকে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কত ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স প্রয়োজন?
কানাডিয়ান স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয়তার মধ্যে নিজেকে সমর্থন করার জন্য ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স এর প্রমাণ পত্র সমুহ ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বর্তমানে এটি আপনার থাকার প্রতি বছর এর জন্য CA $ 10,000 (~US $ 7,650) হিসাবে বিবেচিত হয় (CA $ 11,000 /~US $ 8,400 যদি আপনি ক্যুবেকে পড়ার জন্য আবেদন করেন) আপনার টিউশন ফি এর উপরে।
ইতিকথা
আমরা আশা করি এই কানাডা ভিসা সংক্রান্ত আর্টিকেল টি সম্পুর্ন ভাবে পড়ার মাধ্যমে আপনি কানাডা ভিসা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুব সহজে -ই জানতে পেরেছেন। তাছাড়াও এর পাশাপাশি এ সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সমুহ অবশ্যই আপনার অনেক কাজে লাগবে যখন আপনি ভবিষ্যত এর দুবাই ভ্রমণ এর জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করবেন।
তবে আমরা এডভাইস করবো, অবশ্যই আপনার উচিত হবে কানাডা ভ্রমণ করার পূর্বেই বাংলাদেশ থেকে কানাডা ভিসা সংক্রান্ত সকল প্রকার বিস্তারিত তথ্য সমূহ অবশ্যই সরাসরি যাচাই- বাছাই করে নিয়ে নিবেন। এরপর কানাডা ভিসা এর প্রসেসিং সংক্রান্ত অন্যান্য সকল কাজ শুরু করবেন এবং তাহলেই আপনার কানাডা এর বৈধ ভ্রমন টি হবে আরও আনন্দময়।