সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কুমিল্লা শহরে হিন্দুদের ধর্মীয় পূজা পবিত্র কোরআন শরীফ নিয়ে কথা বলেছেন মিজানুর রহমান আজহারী তার ফেসবুক পেজে, সম্পন্ন তুলে ধরা হলো।
কুমিল্লা শহরে অবস্থিত নানুয়ার দিঘীর পাড়— আমার একটি অতি পরিচিত এবং প্রিয় জায়গা। দেশে আসলেই নানুয়ার দিঘীর পাড়ে বিকেল বেলা আমি নিয়ম করেই হাটতাম।
দিঘীর চারপাশে হিন্দু মুসলিম মিলেমিশে একাকার। যে যার ধর্ম কর্ম নিয়ে শান্তিপূর্ণ বসবাস। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশই দেখেছি সব সময়।
আজ নানুয়ার দিঘীর পাড়ে একটি পূজা মন্ডপে হনুমানের মূর্তির উরুর উপর পবিত্র কোরআন রাখার দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছি।
হিন্দু হোক চাই মুসলিম হোক, এধরণের কাজে কোনো প্রকৃত ধার্মিকের হাত থাকার কথা না। এটা বকধার্মিকের কাজ, যা কিনা স্পষ্ট উস্কানিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আজকের ঘটনাটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে ফায়দা হাসিলের একটা পরিকল্পিত নীলনকশা হতে পারে।
এগুলো বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার গভীর চক্রান্তের অংশ। দু-এক বছর পর পর পুজার সময় এলেই কিছু দুষ্কৃতিকারী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়িয়ে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে।
আলহামদুলিল্লাহ, সেই অর্থে বাংলাদেশে কোন দাঙ্গা নেই। রয়েছে ধর্মীয় সহাবস্থান এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
এ সম্প্রীতিতে শকুনের চোখ পড়া অস্বাভাবিক কিছু না। তাই, সজাগ থাকতে হবে। ধীরেসুস্থে মোকাবিলা করতে হবে।
ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।