প্রথম পক্ষের কোন পণ্য অথবা ডকুমেন্টস যদি আপনি পৌছিয়ে দেন এবং এর বিনিময়ে অর্থ গ্রহন করেন, তখন সেটাকেই কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা বলে।
—
বর্তমানে পৃথিবীতে অসংখ্য ধরনের ব্যবসা রয়েছে। অফলাইনে হোক অথবা অনলাইনে; হরহামেশাই পণ্যকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে থাকে।
পণ্যের এই পরিবহনের এবং কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌছানোর দায়িত্ব যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পালন করে, তাদেরকে কুরিয়ার সার্ভিস বলে। আর এই কুরিয়ারের যাবতীয় কাজ যারা অর্থ আয়ের জন্য করে থাকে, তখন সেটা কুরিয়ার ব্যবসা হিসেবে পরিগনিত হয়।
কিভাবে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করবেন এবং খুটিনাটি বিভিন্ন বিষয় নিয়েই আজকের এই লেখাটি। তো চলুন, কথা না বাড়িয়ে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা সম্বন্ধে জেনে নেয়া যাক।
কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা কেন করবেন?
প্রথমে আপনার জেনে রাখা দরকার যে, কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা কেন করবেন? বর্তমানে এ ব্যবসাটি অহরহ মানুষ করছে – বিষয়টা এমন নয়। বরং প্রয়োজনের তুলনায় এখনো সেরকম ভাবে কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান হয়নি বাংলাদেশে।
যারা বিভিন্ন পণ্য পাইকারি দরে বিক্রয় করে থাকেন, এমন বাজার সংলগ্ন জায়গায় কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা লাভজনক একটি ব্যবসা। কেননা, পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য পণ্য পৌছানো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
এছাড়াও ইন্টারনেট কে কেন্দ্র করে যারা ব্যবসা পরিচালনা করছেন, তারা বিশ্বস্ত কুরিয়ারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। আর এখনকার সময়ে অনলাইন ব্যবসার পরিমান বাড়ায় কুরিয়ার অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
নিজের কাছে যদি মোটামুটি অঙ্কের মূলধন এবং পরিবহনের জন্য কমপক্ষে একটি বড় ট্রাক ধরনের গাড়ি থাকে, তাহলেই কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা তে নামা সম্ভব।
তো আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বিভিন্ন কারণ বিবেচনায় কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাই কেন এ ব্যবসা করবেন না আপনি? এসব বেনিফিটের কথা ভেবে আপনিও শুরু করতে পারেন কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা।
কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করার নিয়ম
সাধারণত দুই পদ্ধতিতে কুরিয়ার সার্ভিস ব্ডবসা করা যায়। তা হলো – প্রসিদ্ধ কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা হিসেবে এবং ব্যক্তিগতভাবে। প্রসিদ্ধ কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা হিসেবে কুরিয়ার ব্যবসা করাটা তুলনামূলক কম ঝামেলাপূর্ণ এবং বেশি সুবিধাজনক।
শাখা হিসেবে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অল্প বিনিয়োগ এবং কম প্রেসারে অনেক ভাল ব্যবসা করা যায়। ব্যক্তিগতভাবে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করার জন্য যদি বৃহৎ মূলধন বিনিয়োগ করার সামর্থ্য থাকে, তাহলে সেটাও লাভজনক পদ্ধতি।
আপনি এই দুই পদ্ধতিতে কি কি নিয়ম অনুসরণ করে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করবেন, সে ব্যাপারে নীচে উল্লেখ করা হলোঃ
শাখা হিসেবে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা
করতোয়া, সুন্দরবন এবং এসএ পরিবহনের মতো প্রসিদ্ধ কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের শাখা হিসেবে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যদি আপনার কাছে কমপক্ষে আড়াই লক্ষ টাকা পুঁজি থাকে তাহলেই এই কুরিয়ার ব্যবসা করতে পারবেন ইনশা আল্লাহ্।
এজন্য আপনাকে প্রথমে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি শাখা হিসেবে কুরিয়ার ব্যবসা করবেন। এরপর আপনাকে পরিকল্পনা করতে হবে যে, কোথায়, কিভাবে কুরিয়ার সার্ভিস কেন্দ্রটি স্থাপন করবেন।
সাধারণত, জনবহুল মার্কেট অথবা বাজার সংলগ্ন এলাকা কুরিয়ার ব্যবসার জন্য বেশি উপযোগী। আপনাকে পরিকল্পনা করতে হবে ধারাবাহিকতা বিচার করে। যাতে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ হয়। তবে অবস্থা ভেদে কিছু আগপিছ করে নিতে পারেন। আপনি নিম্নোক্ত চার্ট টি ফলো করবেনঃ
- মূলধন নির্ধারণ
- স্থান নির্বাচন
- কুরিয়ার কেন্দ্রের অফিস বুকিং
- পরিবহন ব্যবস্থা
- কর্মী নিয়োগ
- অফিসের জন্য ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ
- কুরিয়ার কোম্পানি নির্বাচন
- চুক্তিপত্র স্বাক্ষর
- কাজ মনিটরিং
উপরোক্ত চার্ট বা সারণীর ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে আপনি সহজে কুরিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে সবকিছু হিসাব করে মূলধন নির্ধারণ করতে হবে। ধারণা অনুযায়ী মূলধন নিয়ে ব্যবসাতে নামবেন না।
আপনি কয়টি গাড়ি নিয়ে কুরিয়ার ডেলিভারি দিবেন তার পরিমাণ, অফিস প্লেসের জন্য অ্যাডভানস এবং মাসিক ভাড়া, কর্মী খরচ, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট সব কিছু হিসেব করে তারপর সে অনুযায়ী মূলধন নির্ধারণ করবেন।
মূলধন নির্ধারণ হলে সেটা আপনার হাতে রাখুন যাতে প্রয়োজন মাফিক ব্যয় করতে পারেন। তারপর এমন স্থান নির্বাচন করবেন, যেখানে পাইকারি বৃহৎ বাজার বা মার্কেট রয়েছে।
কেননা, পাইকারি ব্যবসায়ীদের জন্য কুরিয়ার একটি জরুরি বিষয়। তাদের এ জরুরিয়ত পূরণ করার মাধ্যমে আপনাকে ব্যবসা করতে হবে। মনে রাখবেন, নির্জন এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা এর জন্য উপযুক্ত নয়।
তাই আপনাকে ঘনবসতিপূর্ণ বাজার সংলগ্ন স্থান নির্বাচন করে সেখানে অফিস বুকিং দিতে হবে। অফিস বুকিং এর জন্য চুক্তিপত্র সই করে এডভান্সড দিয়ে দিবেন। চুক্তি সাধারণত ২ বছরের করা যায়। আপনি কমবেশি করতে পারেন।
অফিস বুকিং এরপর একে স্বল্প খরচে রুচিসম্মত ভাবে ডেকোরেশন করে ফেলবেন। এরপর সেখানে কম্পিউটার, ইলেক্ট্রিসিটি বা বিদ্যুৎ লাইন এবং ইন্টারনেট সংযোগ আনবেন।
এরপর বিশ্বস্ত প্রসিদ্ধ কোন কুরিয়ার কোম্পানি বাছাই করবেন এবং ডকুমেন্টস স্বাক্ষর করার মাধ্যমে তাদের শাখা হবেন। এর সাথে আপনি কয়টি গাড়ি বা ট্রাক নিয়ে পরিবহন ব্যবসা শুরু করবেন সেটা নির্ধারণ করে গাড়ির ব্যবস্থা করবেন।
তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। সবকিছু হয়ে গেলে তারপর আস্তে আস্তে কুরিয়ারের কাজ চালু করবেন। পণ্য প্যাক করা, পণ্য চেকিং, টাকা বুঝে নেয়া, কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না তা নিয়মিত মনিটরিং করার মাধ্যমে আপনাকে এ ব্যবসাটি পরিচারনা করতে হবে।
ব্যক্তিগত কুরিযার সার্ভিস ব্যবসা
ব্যক্তিগতভাবে যদি কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করতে চান তাহলে এটার নিয়মের অনেক কিছুই শাখা কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার নিয়মের মতই। তবে কিছু ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য রয়েছে।
যেমন মূলধনের বিষয়ে পার্থক্য রয়েছে। কুরিযার এজেন্সি বা শাখা কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষরঠার জন্য আগাই লক্ষ টাকা যথেষ্ট হলেও ব্যক্তিগত কুরিয়ারের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।
ব্যক্তিগত কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা দেয়ার জন্য মূলধন অনেক বেশি প্রয়োজন। তবে আপনার কাছে যদি নূন্যতম ১৫ লক্ষ টাকা থাকে, তাহলে সেটা সম্ভব হবে ইনশা আল্লাহ্।
এছাড়া আপনার ব্যবসার জন্য বাড়তি সুবিধা এবং জনসাধারণের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পাওয়ার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে ভাল পরিমানে পরিবহনযোগ্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া সরকারিভাবে কাজ শুরু করা সম্ভব নয়।
যত বেশি পরিবহন সামর্থ্য অর্জন করতে পারবেন, তত বেশি ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হতে পারবেন ইনশা আল্লাহ্। ব্যক্তিগত কুরিয়ার ব্যবসা দিতে হলে এর সমস্ত বিষয়ের দায়িত্ব সম্পূর্ণ মালিক পক্ষকেই বহন করতে হয়।
ব্যক্তিগত ভাবে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করার জন্য নীচের নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে পারেনঃ
- মূলধন নির্ধারণ
- স্থান নির্বাচন
- পরিবহনের গাড়ি নির্ধারণ
- ট্রেড লাইসেন্স
- কম্পিউটার, ইলেক্ট্রিসিটি এবং ইন্টারনেট সংযোগ
- কর্মী নিয়োগ
- কাজ মনিটরিং
- সুষ্ঠু পরিচালনা
উপরোক্ত নিয়মগুলো ফলো করার মাধ্যমে নিজের মালিকানায় কুরিয়ার ব্যবসা সহজেই প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। তবে প্রাথমিকভাবে উত্তম হলো, ছোট পরিসরে ডেলিভারি দেয়ার মাধ্যমে কাজ শুরু করা। ব্যবসায় প্রফিট বাড়ার সাথে সাথে নিজের ব্যবসার পরিধিও বাড়িয়ে নিতে পারেন।
কিছু কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা আইডিয়া
কিছু টেকনিক ফলো করলে কম সময়ে কুরিয়ার ব্যবসা তে সফল হওয়া সম্ভব। টেকনিক রিলেটেড কিছু আইডিয়া নিম্নে দেয়া হলঃ
১। নামকরা বা প্রসিদ্ধ কুরিয়ার সার্ভিসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া
যদি শাখা হিসেবে কুরিয়ার সার্বিস ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে এমন কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হোন, যেটি মানুষের কাছে বহুল পরিচিত, বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয়।
যেমনঃ এসএ পরিবহন এর কথা বলা যায়। যারা বিশ্বস্তার সাথে মানসম্পন্ন ডেলিভারি সার্ভিস দিয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। তাই এমন কোম্পানি নির্বাচন করুন। এর ফলে কম সময়ে ভার পরিমানে লাভ অর্জিত হবে ইনশা আল্লাহ্।
২। বিশ্বস্ত কর্মচারী নিয়োগ
কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন। পরিচিত কারো রেফারেন্সের ভিত্তিতে বিশ্বস্ত কাউকে নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করুন। যদি এর সাথে অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে ভাল।
তবে নিয়োগকৃত কর্মী যেন সৎ হয়, সেটা যাচাই করে নিবেন। সেই সাথে সে পরিশ্রমী কি না তাও খতিয়ে দেখবেন। কেননা, একটি কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসাতে সফলতার জন্য বিশ্বস্ত এবং পরিশ্রমী কর্মী খুব জরুরি একটি বিষয়।
৩। আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য ডেলিভারির সুবিধা রাখা
শুধুমাত্র কোন জেলা থেকে জেলাতেই মানুষ কুরিয়ার করে না; বরং দেশ থেকে বিদেশেও পণ্য বা বিভিন্ন ডকুমেন্টস পাঠানোর দরকার পড়ে।
এ চাহিদার বিষয়টি লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সেবাটিও আপনার রাখা উচিত। যেমন ধরুন, ফক্স পার্সেল এর কথা। তারা দেশ বিদেশের মধ্যে কুরিয়ারের পণ্য পৌছিয়ে থাকে।
তবে আপনাকে আপনার ব্যবসার শুরুতেই এটা নিযে চিন্তিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে ব্যক্তিগত মালিকানায় কুরিয়ার ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসাতে পর্যাপ্ত লাভ আসলে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সেবাটি চালু করতে পারেন।
৪। কম সময়ে ডেলিভারি কমপ্লিট করা
অনেক সময় বিভিন্ন কারণে পণ্য বা ডকুমেন্টস দ্রুত পাঠানোর প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া ব্যস্ত মানুষেরা সাধারণত দ্রুত তার কাঙ্খিত পণ্যটি পৌছাতে এবং পেতে চায়।
সুতরাং, শহরের ভিতরে হোক বা বাইরে, হোক কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে; আপনি কম সময়ে পণ্য বা ডকুমেন্টস পৌছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করুন। ধরুন, ঢাকা থেকে রাজশাহী একটি প্রোডাক্ট কেউ পাঠাতে চাচ্ছে।
সে পণ্যটি ১দিনের মধ্যে যেন পৌছে, তার জন্য ব্যবস্থা রাখুন। যদি ডেলিভারিতে কয়েকদিন সময় লেগে যায়, তাহলে সেটা গ্রাহকদের জন্য পজিটিভ কোন বিষয় নয়। তাই এরবিষয়টি খেয়াল রাখুন।
৫। গ্রাহক আকর্ষণ করা
সাধারণত, কুরিয়ার সার্ভিস নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন পাইকারি ব্যবসায়ী এবং অনলাইন ব্যবসায়ীরা। তাই তারা যেন আপনার কাছ থেকে সেবা গ্রহন করতে আকর্ষন বোধ করেন, সে বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
তাদের জন্য বিভিন্ন অফার বা উপহার দিতে পারেন। এছাড়াও দিতে পারেন কিছু ছাড়ও! এর পাশাপাশি এসএমএস মার্কেটিং এবং ই-মেইল মার্কেটিং করার মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে পারেন।
এর ফলে গ্রাহকরা পজিটিভ হবে এবং আপনার কাছ থেকে নিয়মিত সেবা গ্রহন করবে, ফলে আপনার ব্যবসাতে ভাল পরিমাণে মুনাফা হবে ইনশা আল্লাহ্।
কিছু জনপ্রিয় কুরিয়ার সার্ভিস
আপনার জানার সুবিধার্থে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যতম সেরা কিছু কুরিয়ার সার্ভিস এর নাম নীচে উল্লেখ করা হলোঃ
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস
- এসএ পরিবহন
- জননী এক্সপ্রেস
- ইউএসবি এক্সপ্রেস
- ডিএইচএল বাংলাদেশ
- কারাতোয়া কুরিয়ার সার্ভিস
- ইউনাইটেড এক্সপ্রেস বাংলাদেশ
- ফক্স পার্সেল
- ফেডএক্স পার্সেল
- ইউনাইটেড পার্সেল সার্ভিস
উপরের কুরিয়ার সার্ভিস গুলো ছাড়াও আরও অনেক কোম্পানি রয়েছে। তবে বর্তমানে অনেক অপরিচিত কুরিয়ার সার্ভিস প্রোভাইডার নতুন হয়েছে, যারা মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। তাই অপরিচিত যেকোন কুরিয়ার সার্ভিসের সাথে কাজ করার পূর্বে তাদের সম্বন্ধে ভাল করে জেনে নিবেন।
যদি আপনি কুরিয়ারের শাখা হিসেবে ব্যবসা করতে চান, তাহলে সুপরিচিত, জনপ্রিয় এবং ট্রেড লাইসেন্স আছে – এমন কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানি সিলেক্ট করুন। এতে নিরাপদ থাকবেন ইনশা আল্লাহ্।
দৃঢ় সিদ্ধান্ত, গোছানো পরিকল্পনা, পর্যাপ্ত মূলধন ব্যবহার করে আপনি কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা টি তে প্রবেশ করতে পারেন। প্রবেশ করলেই আপনার কাজ শেষ নয়। বরং এর পাশাপাশি সততা, দৃঢ়তা, ধৈর্য্যশীলতা এবং পরিশ্রমের সাথে আপনাকে এ ব্যবসাটি কন্টিনিউ করে যেতে হবে।
আপনার সার্ভিসের মান যেন গুণগতসম্পন্ন এবং দায়িত্বসম্পন্ন হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে অল্প সময়েই কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা করে আপনি সফলতা লাভ করতে পারবেন ইনশা আল্লাহ্।