নামাজের গুরুত্বপূর্ণ দোয়া | নামাজ পড়ার আগে ও পরে যেসব দোয়া পড়া উচিৎ 

0
34
নামাজের গুরুত্বপূর্ণ দোয়া | নামাজ পড়ার আগে ও পরে যেসব দোয়া পড়া উচিৎ 

আসসালামুআ’লাইকুম। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমরা অনেকেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি; কিন্তু নামাজের আগের ও পরের সুন্নাহ্ দ্বারা সাব্যস্ত দুআগুলো সম্পর্কে হয়তো ভালভাবে জানিনা; তাদের জন্য নামাজের গুরুত্বপূর্ণ দোয়া বিষয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল।

 

নামাজকে আরবীতে বলা হয় সলাত। নামাজের আগে ও পরে রয়েছে বিভিন্ন রকমের দুআ – যেগুলো ঈমান-আক্বিদা ঠিক রেখে, অর্থ বুঝে এবং মন থেকে যদি আমরা পাঠ করতে পারি; তাহলে অনেক ইতিবাচক ফল পাবো ইনশা আল্লাহ্।

 

তাই নামাজের গুরুত্বপূর্ণ দোয়া সম্পর্কে গ্রহনযোগ্য হাদিসের আলোকে আমাদের জেনে নেয়া খুব জরুরি একটি বিষয়। নামাজ শুরু করার সময়, নামাজের মাঝখানে এবং নামাজের শেষে অনেক দুআ রয়েছে; যা আমাদের পড়া উচিৎ। তো চলুন, গ্রহনযোগ্য হাদিসের রেফারেন্স সহ সেগুলো জেনে নিইঃ

 

নামাজ শুরুর আগে যে দুআ পড়বেন

 

একটা কথা এখানে বলা প্রয়োজন আর তা হলো – আমাদেরকে অবশ্যই শুদ্ধ আরবি উচ্চারণ শিখে নিতে হবে। কারণ, আরবি সঠিক এবং বিশুদ্ধ উচ্চারণ বাংলায় সম্ভব নয়। আরবি উচ্চারণের ভুলের কারণে অর্থের বিকৃতি ঘটে যায়। তাই এ ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি দেয়া খুব জরুরি।

 

নামাজ শুরু হওয়ার আগে কিছু দুআ ও আমল রয়েছে। যেমনঃ আযানের জবাব দেয়া। এছাড়াও আযানের সময় এবং আযান ও ইক্বামতের মাঝখানের সময়ে দুআ করলে সে দুআ কবুল হয়।

 

আযান শুরু হলে চুপ থেকে শুনে তার জওয়াব দেওয়া বিধেয় (সুন্নত)। মুআযযিন ‘আল্লাহু আকবার’ বললে, শ্রোতাও তার জবাবে ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে। মুআযযিন ‘আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্‌’ বললে শ্রোতা বলবে, ‘অআনা, অআনা।’ অর্থাৎ আমিও সাক্ষি দিচ্ছি, আমিও। (আবূদাঊদ, সুনান ৫২৬নং)

এই সময় নিম্নের দুআও বলতে হয়:-

 

وَ أَنَا أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَ (أَشْهَدُ) أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ، رَضِيْتُ بِاللهِ رَباًّ وَبِمُحَمَّدٍ  رَسُوْلاً وَّ بِالإِسْلاَمِ دِيْناً

 

উচ্চারণ:- ওয়া আনা আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহ্‌, ওয়া (আশহাদু) আন্না মুহাম্মাদান আ’বদুহু ওয়া রসূলুহ্‌। রাযীতু বিল্লাহি রা ব্বাঁ ওয়াবিমুহাম্মাদিন (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামা) রাসূলাঁউওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা।

 

অর্থাৎ, আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রসূল। আল্লাহ আমার প্রতিপালক হওয়ার ব্যাপারে, মুহাম্মাদ (ﷺ) রসূল হওয়ার ব্যাপারে এবং ইসলাম আমার দ্বীন হওয়ার ব্যাপারে আমি সন্তুষ্ট।

 

এই দুআ পড়লে গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যায়। (মুসলিম, সহীহ ৩৮৬, আবূদাঊদ, সুনান ৫২৫নং, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান)

 

আযানে মহানবী (ﷺ) এর নাম শুনে চোখে আঙ্গুল বুলানো বিদআত। এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদীসটি জাল। (তাযকিরাহ্‌, ইবনে তাহের, রিসালাতুন ইলা মুআযযিন ৫৬পৃ:) অনুরূপ সেই সময় আঙ্গুলে চুমু খাওয়াও বিদআত। কেননা, রসূল (সঃ) আমাদের এ নির্দেশ দেননি এবং সাহাবীরাও তা করেছেন বলে প্রমাণ নেই।

 

মুআযযিন ‘হাইয়্যা আলাস স্বালাহ্‌’ ও ‘—ফালাহ্‌’ বললে জওয়াবে শ্রোতা বলবে,

 

لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِالله

 

উচ্চারণ:- লা হাওলা ওয়ালা ক্বু ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্‌।

 

অর্থাৎ, আল্লাহর তওফীক ছাড়া পাপকর্ম ত্যাগ করা এবং সৎকর্ম করার সাধ্য কারো নেই। (মুসলিম, আবূদাঊদ, সুনান ৫২৭নং)

 

মুআযযিন ‘আসস্বলাতু খাইরুম মিনান নাউম’ বললে অনুরূপ বলে জওয়াব দিতে হবে। এর জওয়াবে অন্য কোন দুআ (যেমন ‘স্বাদাকতা অবারিরতা বা বারারতা–’ বলার হাদীস নেই। (সুবুলুস সালাম ৮৭পৃ:, তুহ্‌ফাতুল আহওয়াযী ১/৫২৫)

 

আযান শেষ হলে মহানবী (ﷺ) এর উপর দরুদ পাঠ করে নিম্নের দুআ পড়লে কিয়ামতে তাঁর সুপারিশ নসীব হবে;

 

اَللّهُمَّ رَبَّ هذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّداً الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَاماً مَّحْمُوْداً الَّذِيْ وَعَدْتَّهُ

 

উচ্চারণঃ “আল্লাহুম্মা রাব্বাহা-যিহিদ দা’ওয়াতিত তা-ম্মাতি ওয়াসসালা-তিল ক্ব-ইমাহ্‌, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়ালফাযীলাহ্‌, ওয়াবআসহু মাক্বা-মাম মাহ্‌মূদানিল্লাযী ওয়াআ’দত্তাহ্‌।”

 

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! হে এই পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠালাভকারী নামাযের প্রভু! তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ) কে অসীলাহ্‌ (জান্নাতের সুউচ্চ স্থান) এবং মর্যাদা দান কর। আর তাঁকে সেই মাক্বামে মাহ্‌মূদ (প্রশংসিত স্থানে) প্রেরণ করো যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দান করেছ। (বুখারী ৬১৪নং, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান)

 

আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, “মুআযযিনকে আযান দিতে শুনলে তোমরাও ওর মতই বল। অতঃপর আমার উপর দরুদ পাঠ কর; কেননা, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার উপর দশবার রহ্‌মত বর্ষণ করেন। অতঃপর তোমরা আমার জন্য আল্লাহর নিকট অসীলা প্রার্থনা কর।

 

কারণ, অসীলা হল জান্নাতের এমন এক সুউচ্চ স্থান, যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে একটি বান্দার জন্য উপযুক্ত। আর আমি আশা রাখি যে, সেই বান্দা আমিই। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার জন্য ঐ অসীলা প্রার্থনা করবে, তার জন্য আমার শাফাআত (সুপারিশ) অবধার্য হয়ে যাবে।” (মুসলিম, সহীহ প্রমুখ, মিশকাত ৬৫৭নং)

নামাজ চলাকালীন সময়ে যে দুআ পড়বেন

 

নামাজ শুরুর সময় তাকবীরে তাহরীমা “আল্লহু আকবার” বলার পর বিভিন্ন দুআ রয়েছে; যা হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। তারমধ্যে কয়েকটি তুলে ধরা হলোঃ

 

এক.  আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (ﷺ) যখন নামাজে (তাহ্‌রীমার) তাকবীর দিতেন, তখন ক্বিরাআত শুরু করার পূর্বে কিছুক্ষণ চুপ থাকতেন। আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আপনি তাকবীর ও ক্বিরাআতের মাঝে চুপ থেকে কি পড়েন আমাকে বলে দিন।’ তিনি বললেন, “আমি বলি,

اَللّــهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِيْ وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَـمَا بَاعَــدْتَّ بَيْنَ الْمَشــْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اَللّهُمَّ نَقِّنِيْ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اَللّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَاىَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ

 

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা বা-ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খাত্বা-য়্যা-য়্যা কামা বা-আ’দ্ ত্তা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব, আল্লা-হুম্মা নাক্বিনী মিনাল খাত্বা-য়্যা, কামা য়্যুনাক্বাস সাওবুল আবয়্যাযুমিনাদ দানাস, আল্লাহু-ম্মাগসিল খাত্বা-য়্যা-য়্যা বিল মা-ই ওয়াসসালজি ওয়াল বারাদ।

 

অর্থ- “হে আল্লাহ! তুমি আমার মাঝে ও আমার গুনাহসমূহের মাঝে এতটা ব্যবধান রাখো যেমন তুমি পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে ব্যবধান রেখেছ। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে গুনাহসমূহ থেকে পরিষ্কার করে দাও যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়।

 

হে আল্লাহ! তুমি আমার গুনাহসমূহকে পানি, বরফ ও করকি দ্বারা ধৌত করে দাও।” (বুখারী ৭৪৪, মুসলিম, সহীহ ৫৯৮, আবূদাঊদ, সুনান ৭৮১, নাসাঈ, সুনান, দারেমী, সুনান, আআহমাদ, মুসনাদ ২/৯৮, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান ৮০৫, আহমাদ, মুসনাদ ২/২৩১, ৪৯৪, ইআশা: ২৯১৯৯ নং)

 

লক্ষ্যণীয় যে, উক্ত দুআটি তিনি ফরয নামাজে বলতেন। (সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ৯১পৃ:)

 

দুই. আবূ সাঈদ ও আয়েশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (ﷺ) নামাযের শুরুতে এই দুআ পাঠ করতেন,

 

سُبْحَانَكَ اللّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالى جَدُّكَ وَلاَ إِلهَ غَيْرُكَ

 

উচ্চারণ:- সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়াবিহামদিকা ওয়াতাবা-রাকাসমুকা ওয়াতাআ’-লা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলা-হা গায়রুক।

 

অর্থ:- তোমার প্রশংসার সাথে তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি হে আল্লাহ! তোমার নাম অতি বর্কতময়, তোমার মাহাত্ম অতি উচ্চ এবং তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। (আবূদাঊদ, সুনান ৭৭৬, তিরমিযী, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান ৮০৬, ত্বাহাবী ১/১১৭, দারাক্বুত্বনী, সুনান ১১৩, বায়হাকী ২/৩৪,হাকেম, মুস্তাদরাক ১/২৩৫, নাসাঈ, সুনান, দারেমী, সুনান, ইআশা:)

 

মহানবী (ﷺ) বলেন, “নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় কথা হল বান্দার ‘সুবহানাকাল্লাহুম্মা—’ বলা।” (তাওহীদ, ইবনে মাজাহ্‌, নাসাঈ, সুনান, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৯৩৯ নং)

 

নামাজ শেষে যে দুআ পড়বেন

 

أَسْتَغْفِرُ الله 

 

আস্তাগফিরুল্লহ্‌, (অর্থাৎ আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি) ৩ বার ।

اَللّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ

 

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা আন্তাস সালা-মু অমিন্‌কাস সালা-মু তাবা-রকতা ইয়া যাল জালা-লি অল ইকর-ম।

 

অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি শান্তি (সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র) এবং তোমার নিকট থেকেই শান্তি। তুমি বরকতময় হে মহিমময়, মহানুভব! (মুসলিম ১/৪১৪)

لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

 

উচ্চারণ:- “ লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহ্‌, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুলহা’মদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই ইন ক্বদীর।

 

অর্থ:- আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই, তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব, তাঁরই সমস্ত প্রশংসা এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।

 

প্রকাশ করা জরুরি যে, তাসবীহ গণনায় বামহাত বা তাসবীহ মালা ব্যবহার না করে কেবল ডানহাত ব্যবহার করাই বিধেয়। (সহীহুল জামে’ ৪৮৬৫নং)

 

সূরা ইখলাস,ফালাক্ব ও নাস ১ বার করে পাঠ করা। (আবু দাঊদ২/৮৬, সহীহ তিরমিযী ১/৮, নাসাঈ ৩/৬৮)

 

আয়াতুল কুরসী ১বার পাঠ করা। প্রত্যেক নামাজের পর এই আয়াত পাঠ করলে মৃত্যু ছাড়া জান্নাত যাওয়ার পথে পাঠকারীর জন্য আর কোন বাঁধা থাকে না। (সহীহ জামে’ ৫/৩৩৯, সি: সহীহাহ্‌ ৯৭২)

 

لآ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

 

উচ্চারণ:- লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুলহা’মদু য়্যুহ্‌য়ী ওয়া ইউমিতু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই ইন ক্বদীর।

 

অর্থ- আল্লাহ ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁরই, তিনি জীবিত করেন, তিনিই মরণ দান করেন এবং তিনি সর্বেfপরি শক্তিমান।

 

এটি ফজর ও মাগরিবের নামাজে সালাম ফিরার পর দশবার পড়লে দশটি নেকী লাভ হবে, দশটি গুনাহ ঝরবে, দশটি মর্যাদা বাড়বে, চারটি গোলাম আযাদ করার সওয়াব লাভ হবে এবং শয়তান থেকে নিরাপদে থাকবে। (সহীহ তারগীব ২৬২- ২৬৩ পৃ:)

 

নামাজ ধীরস্থিরভাবে আমাদেরকে আদায় করতে হবে। নামাজের আগে, মাঝে এবং পরে যে দুআ ও আমলগুলো আছে; সেগুলোর প্রতি আমাদের মনোযোগী হতে হবে। নামাজের গুরুত্বপূর্ণ দোয়া করার মাধ্যমে এবং দুআর অর্থানুযায়ী চেষ্টার মাধ্যমে আমরা সফলতা পাবো ইনশা আল্লাহ্।

 

এজন্য আমাদেরকে নামাজের গুরুত্বপূর্ণ দোয়া গুলো যা নামাজের আগে, মধ্যে এবং পরে রয়েছে; শুদ্ধ আরবী উচ্চারণে শিখতে হবে এবং এর অর্থ বুঝে আমলের অভ্যাস করতে হবে। আল্লাহ্ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমীন।

 

Visited 17 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here