বাংলা বর্ষপঞ্জি বা বাংলা ক্যালেন্ডার যা বঙ্গাব্দ নামেও পরিচিত, একটি ঐতিহ্যবাহী সৌর ক্যালেন্ডার যা বাঙালি সম্প্রদায়ের দ্বারা প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরা রাজ্যে ব্যবহৃত হয়। এই ক্যালেন্ডার পদ্ধতিটি বাঙালি জনগণের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে, যা টাইমকিপিংয়ের একটি অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। এই আর্টিকেলে, আমরা বাংলা বর্ষপঞ্জি কিভাবে এলো তার ইতিহাস সম্পর্কে জানবো। থাকবে উক্ত বিষয় সম্পর্কে জড়িত আরো অনেক তথ্য। বাংলা আলো ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে এক্সক্লুসিভ বিষয়ের আর্টিকেলটি উৎসর্গ করা হচ্ছে বাংলা বর্ষপঞ্জি ব্যবহারকারী সকল মানুষকে। তবে আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক বাংলা বর্ষপঞ্জি কিভাবে এলো সংক্ষেপে তার ইতিহাস।
বাংলা সনের ইতিহাস (সংক্ষেপে)
বাংলা ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি ভারতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের শাসনামলে খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে পাওয়া যায়। গুপ্ত সাম্রাজ্য শিল্প, বিজ্ঞান এবং সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য পরিচিত ছিল। এই সময়েই সাকা যুগের উপর ভিত্তি করে একটি ক্যালেন্ডার পদ্ধতির ধারণা চালু হয়েছিল।
এই সময়কালে, সূর্য সিদ্ধান্ত ছিলো প্রাচীন হিন্দু জ্যোতির্বিজ্ঞানের পাঠ্য বিষয় যা ক্যালেন্ডারের বিকাশের ভিত্তি প্রদান করে। বাংলা ক্যালেন্ডার হলো একটি চন্দ্র-সৌর ক্যালেন্ডার। তারিখ নির্ধারণের জন্য সৌর ও চন্দ্র উভয় পরিমাপকে অন্তর্ভুক্ত করে।
বঙ্গাব্দ ক্যালেন্ডারের সূচনা বিন্দু 594 CE বছর বলে মনে করা হয়, যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে 1400 সালের সাথে মিলে যায়। এই সূচনা বিন্দুটি শশাঙ্ক নামে একজন কিংবদন্তি রাজার রাজত্বকে কেন্দ্র করে দাবী করা হয়, যিনি বাংলাকে একীভূত করেছিলেন এবং ক্যালেন্ডার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে কথিত আছে। বঙ্গাব্দ ক্যালেন্ডার প্রাথমিকভাবে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়। যেমন, বাঙালির উৎসব পালনের তারিখ নির্ধারণ।
উইকিপিডিয়া এর তথ্য মতে, “কিছু ইতিহাসবিদ ৭ম শতাব্দীর হিন্দু রাজা শশাঙ্ককে বাংলা বর্ষপঞ্জি প্রবর্তনকারী বলে মনে করেন, যার শাসনকাল ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু হয়েছে বলে মনে করা হয়। বঙ্গাব্দ (বাংলা সন) শব্দটি আকবরের সময়কালের চেয়ে বহু শতাব্দী পুরনো দুটি শিব মন্দিরেও পাওয়া যায়, যা থেকে বোঝা যায় যে আকবরের সময়ের অনেক আগে থেকেই একটি বাংলা বর্ষপঞ্জি বিদ্যমান ছিল।”
মোট কথা হচ্ছে, মুঘল আমলে বাংলা ক্যালেন্ডার আরও পরিমার্জিত হয়েছিল। সম্রাট আকবর, জ্যোতির্বিদ্যায় তার আগ্রহের জন্য পরিচিত, প্রশাসনিক কার্যক্রমের সুবিধার্থে ক্যালেন্ডারের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ চালু করেছিলেন। এই সংশোধিত সংস্করণ “তারিখ-ই-ইলাহী” নামে পরিচিত যা ইসলামী ও হিন্দু উপাদানগুলিকে মিশ্রিত করেছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রগতি এবং সাংস্কৃতিক অভিযোজনকে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলা ক্যালেন্ডার সময়ের সাথে সাথে বিবর্তিত হতে থাকে। ১৯৮৭ সালে, বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা ক্যালেন্ডারকে তার সাংস্কৃতিক তাত্পর্য রক্ষার জন্য জাতীয় ক্যালেন্ডার হিসাবে গ্রহণ করে।
কি? অল্পের মধ্যে অনেক বড় বিষয়টি ঠিক ভাবে ধরতে পারলেন না তাইতো? যদি আপনার পূর্বে এই বিষয়ে জ্ঞান না থেকে থাকে তবে ইতিহাসটা ধরতে পারার কথা। চিন্তা নেই, এবারের আর্টিকেলে একদম সহজ ভাবে সময়ের জটিল বিষয়টি বুজিয়ে দিবো। পড়ুন পরের ধাপটি।
বাংলা বর্ষপঞ্জি কিভাবে এলো?
সত্যি কথা বলতে বাংলা বর্ষপঞ্জি ঠিক কবে থেকে কিংবা কিভাবে এলো তার সঠিক তথ্য এখন অব্দি কোনো ইতিহাসবিদ জানাতে সক্ষম হয়নি। কেনো বলুন তো? কারন হলো একটা শব্দ। শব্দটি হলো “বঙ্গাব্দ” এটির ব্যবহার দেখা গেছে অনেক গুলো আমলে অনেক গুলো যুগে। যার কারণে ঠিক কখন থেকে বাংলা বর্ষপঞ্জির ব্যবহার শুরু হয় তা হলফ করে কেউ জানাতে সক্ষম হয়নি। তবে ফ্যাক্ট এন্ড সোর্সের আলোকে এমন অনেক তথ্য জানা গিয়েছে যা থেকে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য আমলটি খুজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। আসুন সেটি নিয়েই জানা যাক।
অধিকাংশ ইতিহাসবিদ এই বিষয়টিতে সম্মতি প্রদান করেছে যে, ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর বাংলা বর্ষপঞ্জি প্রবর্তন করেন। প্রথম দিকে এর নাম ছিলো তারিখ-ই-এলাহী যা ১০ কিংবা ১১ মার্চ নাম পরিবর্তন করে বঙ্গাব্দ রাখা হয়। কিন্তু ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় এই বঙ্গাব্দ শব্দটি আরো অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন স্থানে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। তাহলে কি পূর্বেই বাংলা বর্ষপঞ্জি ছিলো? এই তর্কে আপাতত না যাই, কেননা তার উত্তর সঠিক করে কারো কাছেই নেই।
যাই হোক, মুগল আমলে বর্ষপঞ্জির অতিক্রান্ত ৪৪৫ বছরের মধ্যে হিজরি ও বাংলা বর্ষপঞ্জির মধ্যে ১৪ বছরের পার্থক্য সৃষ্টি হয়। যার কারণ হলো হিজরি বর্ষ নির্ভর করে চন্দ্রের উপর অন্যদিকে বাংলা বর্ষপঞ্জি নির্ভর করে সূর্যের উপর। এক্ষেত্রে সৌরবর্ষ থেকে চান্দ্রবর্ষ ১১ দিন কম।
তবে প্রচলিত ইংরেজি সাল, যাকে গ্রেগরিয়ান বর্ষ নামেও চিনে থাকি – তার সাথে বাংলা বর্ষপঞ্জির পার্থক্য বেশি একটা নেই। কেননা উভতই সূর্য নির্ভর গণনা করে থাকে। ক্যালকুলেশনে দেখা যায়, যখন বাংলা বর্ষপঞ্জি শুরু করা হয় তখনের সাথে ৫৯৩ বর্ষ যোগ করলেই খ্রিস্টীয় সাল পাওয়া যায়।
বাংলা বর্ষপঞ্জি কি কাজে ব্যবহার করা হয়
হিজরি বর্ষপঞ্জির ব্যবহার ছিল কৃষক শ্রেণির জন্য একটি ক্লেশকর ব্যাপার, কারণ চান্দ্র ও সৌর বর্ষের মধ্যে ১১/১২ দিনের ব্যবধান এবং এ কারণে ৩১ চান্দ্রবর্ষ ৩০ সৌরবর্ষের সমান ছিল। সে সময় চান্দ্রবর্ষ অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করা হতো, কিন্তু ফসল সংগ্রহ করা হতো সৌরবর্ষ অনুযায়ী।
বাংলা ক্যালেন্ডারের উৎপত্তি হিন্দু বিক্রমী ক্যালেন্ডারে রয়েছে, তবে এটি ইসলামী হিজরি ক্যালেন্ডারের উপাদানগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে যা ১৬ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের সময় বাংলায় আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছিল। ক্যালেন্ডারটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় বছরের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এবং এই অঞ্চলের কৃষি ঋতু এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসবের সাথে সারিবদ্ধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল উৎসব, পবিত্র দিন এবং বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য শুভ সময় সহ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলি নির্ধারণ করা। এটি বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর দ্বারা উদযাপন করা হিন্দু, বৌদ্ধ এবং ইসলামিক ধর্মীয় উৎসবের তারিখ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাংলা ক্যালেন্ডারে ১২ টি মাস রয়েছে, প্রতিটির নিজস্ব নির্দিষ্ট নাম রয়েছে এবং বছর শুরু হয় বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে (সাধারণত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে 14 বা 15 এপ্রিল পড়ে)।
ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উদ্দেশ্য ছাড়াও, বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ও প্রশাসনিক কার্যক্রমেও বাংলা ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা হয়। এটি সরকারী ছুটির দিন, স্কুলের সময়সূচী এবং অন্যান্য অফিসিয়াল ইভেন্ট নির্ধারণের জন্য সরকারী ক্যালেন্ডার হিসাবে কাজ করে।
সামগ্রিকভাবে, বাংলা বর্ষপঞ্জি বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং প্রশাসনিক গুরুত্ব বহন করে এবং সারা বছর ধরে সামাজিক, ধর্মীয় এবং কৃষি কার্যক্রম সংগঠিত করতে সহায়তা করে।
বাংলা বর্ষপঞ্জি বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা?
আকবর তাঁর রাজত্বের শুরু থেকেই দিন-তারিখ গণনার একটি বিজ্ঞানভিত্তিক, কর্মোপযোগী ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি চালুর জন্য বর্ষপঞ্জি সংস্কারের প্রয়োজন অনুভব করেন। উক্ত উদ্দেশ্যে তিনি বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ আমির ফতুল্লাহ শিরাজীকে প্রচলিত বর্ষপঞ্জিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাধনের দায়িত্ব অর্পণ করেন।
তাঁর প্রচেষ্টায় ৯৬৩ হিজরির মুহররম মাসের শুরু থেকে বাংলা বর্ষের ৯৬৩ অব্দের সূত্রপাত হয়। যেহেতু ৯৬৩ হিজরির মুহররম মাস বাংলা বৈশাখ মাসের সঙ্গে সামজ্ঞস্যপূর্ণ ছিল, সেহেতু চৈত্র মাসের পরিবর্তে বৈশাখ মাসকেই বাংলা বর্ষের প্রথম মাস করা হয়। চৈত্র ছিল শক বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস, যা সে সময় বঙ্গে ব্যবহৃত হতো।
বাংলা বর্ষপঞ্জির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি যাচাই করা সম্ভব নয়, কেননা বাংলা বর্ষপঞ্জি কোনো ভাবেই বিজ্ঞানসম্মত নয়, হ্যাঁ এটা ঠিক যে এই বর্ষপঞ্জি জ্যোতিসবিদ্যাকে অনেক ভাবেই প্রভাবিত করে তবে এখানে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আসুন এবার জ্যোতিবিজ্ঞানের ভিত্তিতে বাংলা বর্ষপঞ্জি কেমন।
জ্যোতিবিজ্ঞানের ভিত্তি
বাংলা বর্ষপঞ্জি জ্যোতির্বিদ্যার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। যদিও এটি প্রাথমিকভাবে একটি চন্দ্র-সৌর ক্যালেন্ডার, তবে এটির গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এবং ঘটনাগুলির তারিখ নির্ধারণের জন্য জ্যোতির্বিদ্যার গণনাকে অন্তর্ভুক্ত করে।
বঙ্গাব্দ ক্যালেন্ডারটি মেটোনিক চক্র অনুসরণ করে, যা একটি ১৯ বছরের চন্দ্র চক্র। এই চক্রটি একই তারিখে চাঁদের একই পর্যায়ে ফিরে আসতে সময় লাগে। মেটোনিক চক্রের প্রতি বছর ১২ টি চন্দ্র মাস নিয়ে গঠিত, প্রতিটি মাস নতুন চাঁদের সাথে শুরু এবং শেষ হয়।
চন্দ্র ক্যালেন্ডারকে সৌর বছরের সাথে সিঙ্ক্রোনাইজ করার জন্য, “আধিক মাস” বা “পুরুষোত্তম মাস” নামে একটি অতিরিক্ত মাস মোটামুটিভাবে প্রতি তিন বছর অন্তর ঢোকানো হয়। অতিরিক্ত মাস ঢোকানোর সিদ্ধান্তটি ঋতুর সাথে সারিবদ্ধতা নিশ্চিত করতে জ্যোতির্বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষণ এবং গণনার উপর ভিত্তি করে।
বঙ্গাব্দ ক্যালেন্ডার রাশিচক্রের মাধ্যমে সূর্যের গতিবিধি বিবেচনা করে। ক্যালেন্ডারের প্রতিটি মাস একটি নির্দিষ্ট রাশিচক্রের সাথে যুক্ত, যা “রাশি” নামে পরিচিত। প্রতিটি মাসের শুরু রাশিচক্রের সাথে সম্পর্কিত সূর্যের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।
অধিকন্তু, ক্যালেন্ডারটি জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত ঘটনা যেমন চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণকে বিবেচনা করে। এই স্বর্গীয় ঘটনাগুলিকে বাঙালি সংস্কৃতিতে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয় এবং ক্যালেন্ডারে এই ঘটনার তারিখগুলি চিহ্নিত করা হয়।
আধুনিক সময়ে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের গণনা এবং সফ্টওয়্যারগুলি বাংলা ক্যালেন্ডারে উৎসব, পালন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের তারিখ এবং সময় নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি নিশ্চিত করে যে ক্যালেন্ডারটি জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত ঘটনার সাথে সুসংগত থাকে এবং এর সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় তাতপর্য বজায় রাখে।
সাংস্কৃতিক তাৎপর্য:
বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলা ক্যালেন্ডারের অপরিসীম সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে। এটি উত্সব, ধর্মীয় পালন, কৃষি অনুশীলন এবং গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনাগুলির জন্য চিহ্নিতকারী হিসাবে কাজ করে। ক্যালেন্ডার সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ উপাদান হিসাবে কাজ করে এবং তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও উদযাপনে সহায়তা করে।
যদিও বাংলা ক্যালেন্ডার প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞানের নীতিগুলি থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে এবং সৌর ও চন্দ্র ব্যবস্থার উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে, এটি স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ যে এটি একটি কঠোরভাবে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থেকে বিবর্তিত এবং বিচ্যুত হয়েছে। এর তাৎপর্য মূলত এর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নিহিত। বাংলা ক্যালেন্ডারটি বাংলা অঞ্চলের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং পরিচয়ের একটি প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে এবং এর অব্যাহত ব্যবহার এর জনগণের গভীর-মূল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।
বাংলা মাসের নামের উৎপত্তি কিভাবে হলো?
বাংলা বর্ষপঞ্জি বারো মাসের একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে, যার প্রত্যেকটির নিজস্ব স্বতন্ত্র নাম রয়েছে। এই মাসগুলোর নাম বাংলার সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত।
প্রথমদিকে মাসগুলি ফারওয়ারদিন, উর্দিবাহিশ, খোরদাদ, তীর, মুরদাদ, শাহারিবার, মেহের, আবান, আজার, দে, বাহমান এবং ইসফান্দ নামে পরিচিত ছিল। তারকামন্ডলীর নামানুসারে বাংলা মাসগুলির নামকরণ করা হয়। এখানে বাংলা ক্যালেন্ডারের বারো মাসের নামকরণের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া রয়েছে:
১) বৈশাখ: বিশাখা থেকে বৈশাখ নামটি এসেছে। এটি এপ্রিলের মাঝামাঝি এবং মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের সাথে মিলে যায়।
২) জৈষ্ঠ: জৈষ্ঠ সংস্কৃত শব্দ “জ্যেষ্ঠ” থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা হিন্দু জ্যৈষ্ঠ মাসকে বোঝায়। এটি সাধারণত মধ্য মে এবং মধ্য জুনের মধ্যে পড়ে।
৩) আষাঢ়: আষাঢ় শব্দটি সংস্কৃত শব্দ “আষাঢ়া” থেকে এর নাম পেয়েছে। এই মাসটি সাধারণত জুনের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকে।
৪) শ্রাবণ: সংস্কৃত শব্দ “শ্রবণা” থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা হিন্দু মাস শ্রাবণকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটি মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের মাঝামাঝি সময় জুড়ে থাকে।
৫) ভাদ্র: ভাদ্র সংস্কৃত শব্দ “ভাদ্রপদ” থেকে এর নামটি এসেছে। এই মাসটি সাধারণত মধ্য-আগস্ট এবং মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে পড়ে।
৬) আশ্বিন: সংস্কৃত শব্দ “অশ্বিনী” থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এটি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
৭) কার্তিক: কার্তিক হিন্দু মাস কৃত্তিকা থেকে এর নাম পেয়েছে। এই মাসটি সাধারণত মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
৮) অগ্রহায়ণ: সংস্কৃত শব্দ “অগ্রাইহনী” থেকে এর নামটি এসেছে। এটি নভেম্বরের মাঝামাঝি এবং মধ্য ডিসেম্বরের মধ্যে পড়ে।
৯) পৌষ: পৌষ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ “পুষ্যা” থেকে এসেছে। এটি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় জুড়ে থাকে।
১০) মাঘ: মাঘ নামটি মঘা থেকে পেয়েছে। এই মাসটি সাধারণত জানুয়ারির মাঝামাঝি এবং মধ্য ফেব্রুয়ারির মধ্যে পড়ে।
১১) ফাল্গুন: ফাল্গুন সংস্কৃত শব্দ “ফল্গুনী” থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা হিন্দু মাস ফাল্গুনকে বোঝায়। এটি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
১২) চৈত্র: সংস্কৃত শব্দ “চিত্রা” থেকে চৈত্রের নাম এসেছে, যা হিন্দু মাসকে বোঝায় চৈত্র। এটি সাধারণত মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
এই বারো মাসের নামকরণে হিন্দু ঐতিহ্যের প্রভাব এবং প্রাচীন বৈদিক রীতির সাথে বাংলা ক্যালেন্ডারের সম্পর্ক প্রতিফলিত হয়। এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, বাংলা অঞ্চলে মাসগুলির নামগুলির সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক তাতপর্য রয়েছে, এবং তারকামন্ডলীর মিলকরণ রয়েছে তবে তাদের সরাসরি বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
বাংলায় সাত দিনের নামের উৎপত্তি যেভাবে হলো
আকবরের সময় কালে মাস ব্যাপি প্রতিটা দিনের জন্য একটি করে নাম ছিলো। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই এই নামগুলো মনে রাখা কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিলো বিধায়, সম্রাট শাহজাহান তাঁর ফসলি সনে সেগুলিকে সাপ্তাহিক পদ্ধতিতে রূপান্তরিত করেন। ধারণা করা হয় যে, একজন পর্তুগীজ পন্ডিতের সহায়তায় তিনি সাত দিনের সমন্বয়ে এই সপ্তাহ-পদ্ধতি চালু করেন।
বাংলা ভাষায় সপ্তাহের সাত দিনের নামের উৎপত্তি প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞানের ধারণা, পৌরাণিক উল্লেখ এবং বিদেশী প্রভাবের সমন্বয়ে। বাংলা ভাষায় সপ্তাহের সাত দিনের নামকরণের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ এখানে দেওয়া হল:
রবিবার: সংস্কৃত শব্দ “রবি” থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা সূর্যকে বোঝায় এবং “বার” অর্থ দিন। এটি সূর্যের সাথে যুক্ত দিনের প্রতিনিধিত্ব করে এবং হিন্দু ঐতিহ্য দ্বারা প্রভাবিত অন্যান্য ক্যালেন্ডারের নামকরণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইংরেজিতে এটি Sun Day হিসেবে রয়েছে।
সোমবার: সংস্কৃত শব্দ “সোম” থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা চাঁদকে বোঝায় এবং “বার” অর্থ দিন। এটি চাঁদের সাথে সম্পর্কিত দিনের প্রতিনিধিত্ব করে। ইংরেজির ক্ষেত্রে এটি Monday যা english word Moon কে রিপ্রেজেন্ট করে।
মঙ্গলবার: সংস্কৃত শব্দ “মঙ্গল” থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা মঙ্গলকে বোঝায় এবং “বার” অর্থ দিন। এটি মঙ্গল গ্রহের সাথে সম্পর্কিত দিনের প্রতিনিধিত্ব করে। Mars (Tuesday, or Tiwes Daeg, the day of Tiw, Mars, the god of war)-এর সঙ্গে মঙ্গলের
বুধবার: তেমনি বুধ গ্রহের সাথে সম্পর্কিত দিনের প্রতিনিধিত্ব করে বুধবার। Mercury (Wednesday)-এর সঙ্গে বুধের।
বৃহস্পতিবার: এটি বৃহস্পতি গ্রহের সাথে সম্পর্কিত দিনের প্রতিনিধিত্ব করে। ইংরেজিতে Jupiter (Thursday)-এর সঙ্গে মিল রেখে বৃহস্পতির
শুক্রবার: শুক্র (Venus) গ্রহের সাথে সম্পর্কিত দিনের প্রতিনিধিত্ব করে। ইংরেজিতে এটা Friday.
শনিবার: শনি (Saturn) গ্রহের সাথে সম্পর্কিত দিনের প্রতিনিধিত্ব করে।
বাংলা ভাষায় এই নামগুলি গ্রহণ করা প্রাচীন বৈদিক ঐতিহ্যের দ্বারা প্রভাবিত বলে মনে করা হয়, যেখানে সপ্তাহের দিনগুলি গ্রহের সাথে যুক্ত ছিল। ভাষার উচ্চারণ এবং ধ্বনিতত্ত্বের সাথে সামঞ্জস্য করার জন্য বাংলা ভাষায় দিনের নামগুলি সময়ের সাথে সাথে সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে।
বাংলা বর্ষপঞ্জি প্রচলিত কুসংস্কার
অন্যান্য অনেক বর্ষপঞ্জির মতো, বাংলা ক্যালেন্ডারের সাথে বিভিন্ন কুসংস্কার রয়েছে। এখানে বাংলা বর্ষপঞ্জির সম্পর্কিত কিছু সাধারণ কুসংস্কার সম্পর্কে জানানো রয়েছে:
শুভ নববর্ষ: শুভ নববর্ষ হল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে পালিত হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনটি যেভাবে কাটে তা সারা বছরের জন্য সেভাবেই কাটবে। লোকেরা ইতিবাচক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে দিনটি পালন করে, তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে চলে এবং একটি সমৃদ্ধ বছর নিশ্চিত করতে বড়দের কাছ থেকে আশীর্বাদ চায়। তবে এটা সম্পূর্ণ একটি অন্ধবিশ্বাস।
একাদশী: একাদশী, চন্দ্র মাসের একাদশ দিন, বাংলা ক্যালেন্ডার সহ অনেক হিন্দু ক্যালেন্ডারে উপবাস এবং ধর্মীয় পালনের জন্য একটি শুভ দিন হিসাবে বিবেচিত হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে একাদশীর উপবাস পালন করলে মন ও শরীর শুদ্ধ হয় এবং সৌভাগ্য হয়।
অমাবস্যা এবং পূর্ণিমা: অমাবস্যা অমাবস্যার দিনকে বোঝায়, আর পূর্ণিমা পূর্ণিমার দিনকে বোঝায়। বাংলা ক্যালেন্ডারে এই দিনগুলোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে আচার-অনুষ্ঠান করা, প্রার্থনা করা এবং দান করা আশীর্বাদ আনতে পারে, অশুভ আত্মাকে দূরে রাখতে পারে এবং আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে।
তারা পাঞ্জি: তারা পঞ্জি হল একটি পঞ্জিকা বা জ্যোতিষশাস্ত্রীয় ক্যালেন্ডার যা বাংলায় ব্যাপকভাবে অনুসরণ করা হয়। এটি জীবনের বিভিন্ন দিক যেমন বিবাহ, ব্যবসা, ভ্রমণ এবং নতুন উদ্যোগ শুরু করার জন্য শুভ সময়গুলির জন্য ভবিষ্যদ্বাণী এবং নির্দেশিকা প্রদান করে। অনেক লোক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বা অনুকূল ফলাফল নিশ্চিত করার জন্য ইভেন্টের পরিকল্পনা করার আগে তারা পাঞ্জির সাথে পরামর্শ করে।
গৃহপ্রবেশ: গৃহপ্রবেশ বলতে একটি নতুন বাড়িতে প্রবেশের অনুষ্ঠানকে বোঝায়। বাংলা ক্যালেন্ডারে, গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট তারিখগুলিকে আরও শুভ বলে মনে করা হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই তারিখগুলিতে একটি নতুন বাড়িতে চলে যাওয়া সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি এবং নেতিবাচক প্রভাব থেকে সুরক্ষা নিয়ে আসে।
সংক্রান্তি: সংক্রান্তি বলতে সূর্যের এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে স্থানান্তরকে বোঝায়। বাংলা ক্যালেন্ডারে মকর সংক্রান্তির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়ে পবিত্র নদীতে ডুব দেওয়া বা দাতব্য কাজ করা পাপগুলিকে পরিষ্কার করতে এবং আশীর্বাদ নিয়ে আসতে পারে।
জন্ম নক্ষত্র (নক্ষত্র): বাংলা ক্যালেন্ডার, অন্যান্য হিন্দু ক্যালেন্ডারের মতো, তাদের জন্ম তারিখের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন নক্ষত্র বা জন্ম নক্ষত্র নির্ধারণ করে। এটি বিশ্বাস করা হয় যে নক্ষত্র একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য, অন্যদের সাথে সামঞ্জস্য এবং সামগ্রিক ভাগ্য নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিবাহ বা ক্যারিয়ার পছন্দের মতো গুরুত্বপূর্ণ জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অনেকে নক্ষত্রকে বিবেচনা করে।
সচরাচর জিজ্ঞাসা করা কিছু প্রশ্নের উত্তর
বাংলা সালের প্রচলন করেন কে?
বাংলা সাল যা বঙ্গাব্দ নামেও পরিচিত, মহান মুঘল সম্রাট আকবর দ্য গ্রেট প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি একদল পণ্ডিতকে একটি নতুন বর্ষপঞ্জি তৈরি করার নির্দেশ দেন যা বাংলার কৃষি চক্রের সাথে সারিবদ্ধ হবে এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করবে। ১৬ শতকে নতুন ক্যালেন্ডার চালু হয়েছিল।
কিভাবে বাংলা মাসের নামের উৎপত্তি হয় (সংক্ষেপে)
বাংলা মাসের নামের উৎপত্তি সংস্কৃত এবং আরবি উভয় ভাষাতেই। বাংলা ক্যালেন্ডার একটি চান্দ্র সৌর সিস্টেম অনুসরণ করে, যেখানে মাসগুলি চন্দ্র চক্রের উপর ভিত্তি করে, তবে সৌর বছরের সাথে এটিকে সমন্বয় করার জন্য সামঞ্জস্য করা হয়। মাসগুলোর নামকরণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে সংস্কৃত ভাষায়, যা এই অঞ্চলে প্রাচীন ভারতীয় প্রভাব প্রতিফলিত করে।
বাংলা সন চালু হয় কোন খ্রিস্টাব্দে?
সম্রাট আকবর দ্য গ্রেটের শাসনামলে (১৬) ষোড়শ শতাব্দীতে চালু হয়েছিল। এটির প্রবর্তনের নির্দিষ্ট বছরটি লিপিবদ্ধ করা হয়নি, তবে এটি জানা যায় যে এই অঞ্চলের কৃষি চক্র এবং স্থানীয় ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলায় ক্যালেন্ডারটি চালু করা হয়েছিল।
কত হিজরীতে বাংলা সন চালু হয়?
হিজরি বাংলা বর্ষ পদ্ধতি ইসলামিক হিজরি ক্যালেন্ডারের উপর ভিত্তি করে, যা চন্দ্র চক্র অনুসরণ করে। মূলত হিজরি ক্যালেন্ডার বছর 354 বা 355 দিন নিয়ে গঠিত, যা সৌর বছরের চেয়ে ছোট। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে হিজরি সন প্রায়শই বঙ্গাব্দের সমান্তরালে ব্যবহৃত হয়। যাইহোক, দুটি ক্যালেন্ডারের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট রূপান্তর হার নেই। হিজরি সনগুলি অনুরূপ বঙ্গাব্দের সাথে সহজভাবে উল্লেখ করা হয়।
বাংলা সনের প্রবর্তক কোন আমলে শুরু হয়?
ষোড়শ শতাব্দীতে সম্রাট আকবর দ্য গ্রেটের শাসনামলে বাংলা সন বা বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রচার ও বিকাশ শুরু হয়। আকবর ছিলেন মুঘল সম্রাট যিনি বাংলা ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেছিলেন এবং এটি তৈরি করার জন্য একদল পণ্ডিতকে নিয়োগ করেছিলেন। বাংলা অঞ্চলের কৃষি চক্র এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ক্যালেন্ডারটি তৈরি করা হয়েছিল। তাই ষোড়শ শতাব্দীতে সম্রাট আকবরের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা পুত্রের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা ঘটে।
আর্টিকেলে ব্যবহৃত তথ্যের Sources
“Bengali Calendar” – Wikipedia, en.wikipedia.org/wiki/Bengali_calendar
“Bangla Calendar” – Banglapedia, en.banglapedia.org/index.php/Bangla_Calendar
“Surya Siddhanta” – Indian National Science Academy Link: [https://www.insaindia.res.in/BM/BM2_3_15_M_Srikrishna.pdf]