ব্যালন ডি অরের সাত কাহন

0
22

ব্যালন ডি অরের সাত কাহন

গতকাল দিবাগত রাতে ব্যালন ডি অর জিতেছেন লিওনেল মেসি। এটি তার ক্যারিয়ারের ৭ম ব্যালন ডি অরের শিরোপা।

গতকাল এই শিরোপা জয়ের পর অনেকের চোখেই তিনি হয়ে গেছেন সর্বকালের সেরা ফুটবলার।

লিওনেল মেসির ৭ম বারের মত শিরোপা জয়ের গল্প কে বিশেষায়িত করতে গিয়ে ব্যালন ডি অর নিয়ে থাকছে ৭ টি বিশেষ তথ্য, যা সাত কাহন হিসেবে পরিচিত হবে।

১. প্রথমবারের মত ব্যালন ডি অর পুরষ্কার দেয়া হয় ১৯৫৬ সালে। সেবার পুরষ্কার টি ঘরে তোলেন ইংলিশ ফুটবলার স্টানলি ম্যাথিউস।

২. প্রাথমিক পর্যায়ে এই পুরষ্কার টি দেয়া হত শুধু ইউরোপিয়ান ফুটবলারদের। অর্থাৎ যারা ইউরোপে জন্মেছে এবং ইউরোপের নাগরিকত্ব আছে তারাই এই পুরষ্কারের যোগ্য হবে।

৩. ১৯৯৫ সালে এসে পরিবর্তন আসে এই নিয়মে। সেবার নিয়ম করা হয় ইউরোপের বাইরে থেকেও খেলোয়াররা এসে জিততে পারবে পুরষ্কার টি।

তবে তাদের খেলতে হবে ইউরোপে। পরিবর্তিত আসরে প্রথমবার অর্থাৎ ১৯৯৫ সালে এই পুরষ্কার টি জয় করেন জর্জ ওয়াহ।

এখনও পর্যন্ত একমাত্র আফ্রিকান হিসেবে ব্যালন ডি অর জয় করেছেন তিনি।

৪. ২০০৭ সালে ২য় পরিবর্তন আসে যেখানে বলা হয় পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের খেলোয়ারই গন্য হবে পুরষ্কারের জন্য,

যদিও এখনও কেউই ইউরোপের বাইরে থেকে খেলে জয় করেনি কিংবা সংক্ষিপ্ত তালিকায় মনোনীত হয়নি।

৫. ২০১০ সালে ফিফার সাথে মিশে নতুন নামকরন করা হয় ফিফা ব্যালন ডি অর। তবে মাত্র ৬ বছর একত্রে থাকার পর ২০১৬ সাল থেকে আবারও

ফ্রেঞ্চ ম্যাগাজিন আলাদা হয়ে ব্যালন ডি অর দেয় ও ফিফা বেস্ট হিসেবে পুরষ্কার প্রদান করে ব্যালন ডি অর।

৬. একই ক্লাবের থেকে মাত্র ৩ বার সংক্ষিপ্ত তালিকার ৩ জন সুযোগ পায়।

প্রথমবার ১৯৮৮ সালে এসি মিলান থেকে মার্কো ভ্যান বাস্তেন (উইনার), রুড গুলিত ও ফ্রাংক রাইকার্ড মনোনীত হন।

পরের বছর ভ্যান বাস্তেন (উইনার), ফ্রাংকো বারেসি ও ফ্রাংক রাইকার্ড মনোনীত হন।

সবশেষ ২০১০ সালে বার্সেলোনা থেকে সুযোগ পান লিওনেল মেসি (উইনার), আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও জাভি হার্নানদেজ।

৭. সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি অর জিতেছেন লিওনেল মেসি ৭ বার।

গোলকিপার হিসেবে একমাত্র ব্যালন ডি অর জয় করেছেন লেভ ইয়াসিন।

Visited 1 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here