বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।
বাগেরহাট জেলার, রামপালে তীব্র লবনাক্ততার মধ্যেও মৎস্যঘেরের আইলের উপার সবজি চাষ করে ভাগ্য বদল করেছেন হতদরিদ্র দিনমজুর মোঃ হাসেম আলী শেখ।
অন্যের জমি বরগা নিয়ে ও নিজের সামান্য জমির আইলে স্বল্প পুজি নিয়ে ৩ বছর ধরে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষ করে আসছেন।
তার দেখাদেখি অন্যরাও উদ্ভদ্ধ হয়ে আইলের উপর সবজি চাষ শুরু করেছেন।
সরোজমিনে উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের চিত্রা-খামঘাটা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, হাসেম আলী তার সবজি বাগান থেকে সবজি তুলছেন।
তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি কি কি সবজি লাগিয়েছেন।
এ সময় তিনি বলেন, আজ (রবিবার) খেত থেকে মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স, ঝিঙ্গা, লাউ ও ধুন্ধল তুলছি বিক্রির জন্য।
এসব বিক্রয় করে তিনি প্রতি সপ্তাহে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা আয় করেন।
কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়া সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করে আসছেন। সরকারি কোন সাহায্য সহযোগীতা তিনি পাননি।
সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ পেলে আরও সফলতা মিলবে বলে তিনি দাবি করেন।
করোনার মধ্যে উচ্চমূল্যে বীজ, কীটনাশক ও সার কিনতে হয়েছে। তারপর ও প্রতি বছর আশানুরূপ ফলন পেয়ে সবজি চাষে তার আরও আগ্রহ বেড়েছে।
“সরোজমিনে আরও দেখা গেল, আইলের পাশে তীব্র লবন পানির সরকারি খাল”
তার পাড়েই সবজি চাষ করে কাংক্ষিত সফলতা পেয়েছেন হাসেম আলী।
বর্তমানে তার খেতে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, ঢেঁড়স, ঝিঙ্গা, বরবটি ও ধুন্ধল ছাড়াও অসময়ের বাঙ্গি ও তরমুজ চাষ করে সফলতা মিলেছে।
সবজি চাষে ভাগ্য বদল হওয়ায় তিনি বেশ ভাল ভাবেই পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছেন।
বাজারে সবজির দাম ভাল পাওয়ায় এবছর তিনি বেশ লাভবান ও হয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন গবাদি পশু ছেড়ে দেওয়ায় তার খেত নষ্ট হয়।
আগামীতে তার খেত সম্প্রসারণ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করে বলেন, সরকারি সহযোগীতা ও প্রশিক্ষণ পেলে আমি আরও সফলতা পাব।
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণীর দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন,
আমরা প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রনোদনা ও প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সবজি চাষে উদ্ভদ্ধ করে আসছি।
সকল কৃষক যাতে সবজি চাষে সফলতা পেতে পারেন এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে চাষিদের সহযোগীতা করা হচ্ছে।
আগামীতে রামপাল উপজেলাকে কৃষিবান্ধব করতে মাঠ পর্যায়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।