সেঞ্জেন ভিসা রিফিউজ হওয়ার ১২টি সাধারণ কারণ। বাংলা আলো

0
48

সেঞ্জেন ভিসা রিফিউজ ইউরোপ সেনজেন হওয়ার ১২টি সাধারণ কারণ

উত্তরঃ সেঞ্জেন দেশগুলোর ভিসা কেনো রিফিউজ হয় এই প্রশ্ন অনেকের মনেই
কারণগুলো নিচে বর্ণনা করা হলোঃ

১. অতীত বা বর্তমান অপরাধমূলক কর্ম: সেঞ্জেন ভিসা ইস্যু করার ক্ষেত্রে কনস্যুলার অফিসারের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর অতীত এবং বর্তমান পরিস্থিতি এবং ক্রিয়াকলাপ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

এই ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যান ঘটতে পারে কারণ আবেদনকারীকে পাবলিক পলিসি, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বা সেঞ্জেন এলাকার জনসম্পদ (যেমন সন্ত্রাস, মাদকের অপব্যবহার, শিশু নির্যাতন, আসক্তি, অন্যান্য গুরুতর অপরাধ) জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আর এই কারণে সেঞ্জেন ভিসা রিফিউজ হতে পারে।

২. ফেইক ট্রাভেল ডকুমেন্টসঃ ফেইক ট্রাভেল ডকুমেন্টস / যে-কোনো ধরনের ফেইক ডকুমেন্টস প্রদান করার কারণে ভিসা রিফিউজ হবে, কারণ ফেইক ডকুমেন্টস দিয়ে ভিসা হয় না, ডকুমেন্টস ভেরিফাই অবশ্যই করবে দূতাবাস। তাই ফেইক ডকুমেন্টস প্রদান থেকে বিরত থাকবেন।

৩. পরিকল্পিত থাকার উদ্দেশ্যের জন্য অপর্যাপ্ত ব্যাখ্যাঃ  উপস্থাপিত আর্থিক পরিস্থিতির সাথে মেলে এমন একটি কর্মসংস্থান এবং পেশাদার যোগ্যতা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হওয়া।

সেঞ্জেন এলাকায় ভ্রমণ এবং থাকার উদ্দেশ্য সমর্থন করে এমন নথি সরবরাহ করতে অক্ষমতা / ব্যর্থ হলে ভিসা রিজেক্ট হবে।

রাজস্ব পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভিসার জন্য আবেদন করতে না পারলে ভিসা রিফিউজ হয় সাধারণত।

ভ্রমণ এবং থাকার উদ্দেশ্য সম্পর্কে যথেষ্ট কারণ উপস্থাপন না করতে পারলে রিফিউজ হবে।

৪. পাসপোর্ট এর মেয়াদঃ সচরাচর দূতাবাসের নিয়ম অনুযায়ী রেখে জমা করা উচিত, যদি দূতাবাস কর্তিক ঘোষিত মেয়াদ থেকেও কম সময় মেয়াদ রেখে জমা করেন তাহলে ভিসা রিফিউজ হবে।

৫. পাসপোর্ট অবৈধতা: সেঞ্জেন এলাকা পরিদর্শন থেকে ফিরে আসার পর বাকি তিন মাসেরও কম মেয়াদ নেই এমন একটি পাসপোর্ট উপস্থাপন করা, যেটা সচরাচর অনেকেই করে থাকেন, এই কারণ এ রিফিউজ হবে।

দুটি ভিন্ন ফাঁকা ভিসা পৃষ্ঠা নেই এমন একটি পাসপোর্ট উপস্থাপন করা।

৬. ভ্রমন যাত্রাপথের প্রমাণ ডকুমেন্টস এর অভাবঃ সেঞ্জেন এলাকার ভুল দূতাবাসে আবেদন করা, অনেকেই যেটা করে থাকেন।

সেঞ্জেন যে এরিয়াতে যাচ্ছেন, সে এরিয়াতে বসবাস এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করতে না পারলে।

৭. অবৈধ রেফারেন্স চিঠি/ ইনভাইটেশন লেটার প্রদানঃ কোম্পানীর ঠিকানা এবং যোগাযোগের বিশদ সহ একটি আসল লেটারহেড বা এটি প্রদানকারী লেখকের একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রদান এ ব্যর্থ হলে ভিসা রিফিউজি হবে।

আবেদনের দিন থেকে ৩ মাস এর চেয়ে বেশি সময় পুরোনো ইনভাইটেশন লেটার প্রদান করলে ভিসা রিফিউজ হবে।

আনুষ্ঠানিক চিঠিতে লেখকের স্ট্যাম্প এবং স্বাক্ষর অনুপস্থিত থাকলে।

৮. জীবিকা নির্বাহের অপর্যাপ্ত উপায়ঃ  আবেদনের তারিখ থেকে এক মাসের বেশি পুরনো আর্থিক বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হলে রিফিউজ হবে।

একটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট এর অভাব।

প্রার্থীর নাম নেই এমন একটি ভ্রমণকারীর চেক উপস্থাপন করলে রিফিউজ হবে।

৯. অগ্রহণযোগ্য জন্ম বা বিবাহ শংসাপত্রঃ

সরকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত একটি শংসাপত্র অফার করতে ব্যর্থ হওয়া, যেমন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অনুমোদিত অনুবাদকের দ্বারা অনূদিত অ-ইংরেজি ভাষায় একটি শংসাপত্র অফার করতে ব্যর্থ হলে।
নাগরিক সনদ প্রমাণের অভা।
সন্তানের বাবা-মা উভয়কে দেখানো একটি শংসাপত্র দিতে না পারলে।
সন্তানের জন্য আইনি ডকুমেন্টস প্রদান করতে না পারলে রিফিউজ হবে।

১০. নকল ভ্রমণ বীমাঃ
➤ প্রত্যাশিত পরিমাণে একটি ভ্রমণ বীমা কভার প্রদান করতে ব্যর্থ হলে।
➤ বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসা সময় পর্যন্ত যদি ইন্সুইরেন্স এর মেয়াদ না থাকে সে ক্ষেত্রে ভিসা রিফিউজ হবে।

১১. আবাসন এর প্রমাণঃ
হোটেল রিজার্ভেশনের প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারলে রিফিউজ হবে।
হোস্ট থেকে আমন্ত্রণ প্রদান করতে না পারলে।
একটি প্রি-পেইড সফরের প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে।

১২. প্রতিকূল সেঞ্জেন ভিসা পরিস্থিতিঃ আগে শেনজেন ভিসার সীমাবদ্ধতা মানতে ব্যর্থ হওয়।।

✍️ Fardin Ahsan Rifat

 

Visited 7 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here