–
সত্যিই কি মাত্র ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা করা সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব, কিন্তু এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এই ধরনের সীমিত বাজেট দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে আপনাকে সৃজনশীল হতে হবে, ব্যাপক রিসার্চ করতে হবে এবং প্রচুর পরিশ্রম করার মত ইচ্ছুক হতে হবে।
হ্যাঁ আপনি ৫ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন এটা ভুল কোন পদক্ষেপ নয় তবে এটা স্মরণ রাখা জরুরী যে যেহেতু আপনার ব্যবসায় মূলধন কম তাই মুনাফা জেনারেট করতে ব্যাপক সময়ের প্রয়োজন রয়েছে, তাছাড়া যথাযথ শ্রম দেওয়ার মাধ্যমে মুনাফা প্রাপ্তির সময় কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
যথাযথ পণ্য বাছাই, গ্রাহককে ট্রাক করা, এবং যথাযথই মার্কেটিং কার্যক্রম চালানোর মাধ্যমে আপনার ব্যবসার সফলতার দিকে অগ্রসারিত হওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনাকে বাজার সম্পর্কে সতর্কতার সাথে গবেষণা করতে হবে, সম্ভাব্য গ্রাহকদের শনাক্ত করতে হবে এবং প্রতিযোগিতা থেকে আলাদা হওয়ার জন্য একটি অনন্য বিক্রয় প্রস্তাব তৈরি করতে হবে।
সঠিক মানসিকতা, দক্ষতা এবং কৌশল থাকলে ৫ হাজার টাকার মতো অল্প বিনিয়োগে একটি সফল ব্যবসা শুরু করা এবং বৃদ্ধি করা সম্ভব। তাহলে চলুন জেনে নেই বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে এমন কোন কোন ব্যবসা গুলো শুরু করা যাবে ৫ হাজার টাকার মধ্যে।
৫ হাজার টাকায় ব্যবসা । ১৫ টি ব্যবসা আইডিয়া
মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসা
বাংলাদেশে ৫ হাজার টাকার বাজেটে “মোবাইল ফোন এক্সেসরিজ ব্যবসা” শুরু করা একটি ভালো অপশন। বিশেষ করে যখন দেশে মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি মোবাইল ফোন এক্সেসরিজ ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করে দেয়া রয়েছে। অনুসরণের মাধ্যমে ভালো আইডিয়া পেয়ে যাবেন যে আপনি কিভাবে মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসা শুরু করবেন।
প্রয়োজন গবেষণা এবং পরিকল্পনা
বাজার গবেষণা করে এবং আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সদের সনাক্ত করে শুরু করুন। কম্পিটেটররা কোন পণ্য বিক্রি করছে এবং কোন দামে বিক্রি করছে তা খুঁজে বের করুন। আপনি যে ধরনের মোবাইল ফোন এক্সেসরিজ বিক্রি করতে চান তা শনাক্ত করুন। এখানে কিছু পণ্যের নাম দেয়া হলো যেগুলো আপনার ব্যবসার প্রোডাক্ট হিসেবে বাছাই করতে পারেন –
- Phone cases and covers
- Screen protectors
- Power banks
- Chargers and cables
- Headphones and earphones
- Wireless earbuds
- Phone stands and holders
- Bluetooth speakers
- Selfie sticks
- Memory cards and USB drives
- Car chargers and holders
- Phone grips and rings
- Armbands and sport cases
- Cleaning kits and wipes
- Protective skins and films
- Replacement batteries
- Phone camera lenses
- Portable Bluetooth keyboards
- Phone pouches and wallets
- Anti-radiation stickers and shields
ব্যবসায়ের কাচামাল বা পণ্য পাইকারি যেখানে পাবেন
ব্যবসা করার জন্য ও কম খরচে পণ্য আনায়নের জন্য পাইকারি সরবরাহকারীদের সন্ধান করা জরুরি। আপনি Alibaba থেকে এইসব পণ্য খুব কম প্রাইজে আনতে পারেন। ওয়েট, আপনি যদি প্রথম দিকেই ইম্পোর্ট করতে ভয় পান তবে অন্যান্য অনুরূপ প্ল্যাটফর্মে সরবরাহকারীদের খুঁজে নিতে হবে।
আপনি ঢাকার বঙ্গো বাজার বা গুলিস্তানের মতো পাইকারি বাজারগুলিও দেখতে পারেন। এই জায়গা গুলো কম দামের মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজ বিক্রি করার জন্য পরিচিত এবং বেশ জনপ্রিয়। ধারণা মোতাবেক সারা দেশে যত গুলো স্থানে এগুলো বিক্রি হয় তার বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই সোর্সিং হয় গুলিস্থানের মত জায়গা থেকে।
ব্যবসার সেটাপ করবেন যেভাবে । ব্যবসা শুরু করার ধাপ
শুরুর দিকে ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইনে মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজ বিক্রি করে শুরু করতে পারেন। আর যদি আপনি একটি দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করতে চান তবে একটি ব্যস্ত এলাকায় একটি ছোট জায়গা ভাড়া করুন এবং আপনার প্রদর্শনী সেট আপ করুন। বিকল্পভাবে, আপনি আপনার বাড়ি থেকেও বিক্রি করতে পারেন। কুরিয়ার সেবার মাধ্যমে অর্ডার ডেলিভার করতে পারেন বা পিকআপ সেবা প্রদান করতে পারেন। বিষয়টি হচ্ছে আপনি যেকোনো একটি উদ্যোগ নিলে বাকি সুযোগ গুলো এমনিতেই ধিরে ধিরে শুরু হয়ে যাবে।
যেভাবে মার্কেটিং করবেন
Facebook, Instagram, এবং TikTok-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্যবসার প্রচার করুন। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এবং Bikroy.com এর মত অনলাইন শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপন সাইটগুলি ব্যবহার করুন৷ গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে ডিসকাউন্ট প্রদান এবং প্রচারের অফার করুন।
ব্যবসা পরিচালনা চলাকালীন সময়
আপনার ব্যবসার কর্মক্ষমতা বুঝতে ব্যবসায়ে ইনভেন্টরি এবং বিক্রয় ট্র্যাক রাখুন। অবিলম্বে গ্রাহকের জিজ্ঞাসার উত্তর দিন এবং সময়মত পণ্য সরবরাহ করুন। বিশ্বাস স্থাপন এবং আনুগত্য গড়ে তুলতে আপনার সরবরাহকারী এবং গ্রাহকদের সাথে একটি ভাল সম্পর্ক বজায় রাখুন।
৫ হাজার টাকার বাজেটে একটি মোবাইল ফোন এক্সেসরিজ ব্যবসা শুরু করার জন্য সতর্ক পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার প্রয়োজন। বাজার নিয়ে গবেষণা করা, সম্ভাব্য গ্রাহকদের চিহ্নিত করা এবং প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে আলাদা করার উপায় খুঁজে বের করা অপরিহার্য। এই রোডম্যাপ অনুসরণ করে, আপনি একটি সফল মোবাইল ফোন এক্সেসরিজ ব্যবসা চালাতে পারেন।
ঘরে তৈরি খাবার
বাংলাদেশে ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা হিসেবে ঘরে তৈরি খাবার ব্যবসা শুরু করা একটি দুর্দান্ত সুযোগ হতে পারে যদি আপনার রান্নার প্রতি আগ্রহ থাকে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে ইচ্ছুক হোন। এখানে একটি বাড়িতে তৈরি খাদ্য ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি রোডম্যাপ রয়েছে যা আপনার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে।
গবেষণা এবং পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা
বাজার গবেষণা করে এবং আপনার গ্রাহকদের প্রথমে সনাক্ত করুন। এরপর আপনার পথের কাটা (রসিকতা) মানে, আপনার প্রতিদন্ধী কি ধরনের খাবার বিক্রি করছে, কোন দামে এবং কিভাবে তারা তাদের ব্যবসার বাজারজাত করছে সে তথ্য খুজে বের করুন। এবার এসবের পর আপনি যে ধরনের খাবার বিক্রি করতে চান তা নির্ধারণ করুন।
আইনি প্রয়োজনীয়তা: খাবারের ব্যবসা করতে নিবন্ধন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এতে করে ভবিষ্যতে আইনি ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকা যায়। প্রয়োজনীয় লাইসেন্স এবং BSTI পারমিট যদি সম্ভব হয় তবে সংগ্রহ করুন। মনে রাখতে হবে যে, আপনাকে খাদ্য নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে হবে এবং স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স পেতে হবে।
উপাদান সোর্সিং: কম খরচে উচ্চ-মানের উপাদানগুলি সন্ধান করুন। আপনি পাইকারি বাজারে কাচামাল গুলো খুঁজে পেতে পারেন। কিংবা দারাজ, চালডাল এবং স্বপ্নোর মতো প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন৷
ব্যবসা সেট আপ করা ও পরিচালনার পদ্ধতি
ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইনে খাবারের অর্ডার গ্রহন করে ঘরে তৈরি খাবার বিক্রি করা শুরু করতে পারেন। আপনি মোবাইল শপ, ছোট দোকান বা স্থানীয় খাদ্য বিক্রেতাদের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমেও বিক্রি করতে পারেন। সরাসরি বিক্রির ক্ষেত্রে একটি ব্যস্ত এলাকায় একটি ছোট জায়গা ভাড়া করুন এবং সুন্দর করে সাজান।
Facebook, Instagram, এবং TikTok-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্যবসার প্রচার করুন। তাছাড়া ফুডপান্ডার সাথে কন্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল শপ দিন এবং সেখানে নিজের খাবারের প্রচার ও অর্ডার গ্রহন করুন। প্রথম দিকে কাস্টমার গ্রাব করতে বিভিন্ন অফার প্রদান করুন।
আপনার ব্যবসার কার্যকারিতা বোঝার জন্য আপনার ইনভেন্টরি, বিক্রয় এবং ব্যয়ের উপর নজর রাখুন। অবিলম্বে গ্রাহকের জিজ্ঞাসার জবাব দিন এবং সময়মত খাবার সরবরাহ করুন। বিশ্বাস স্থাপন এবং আনুগত্য গড়ে তুলতে আপনার সরবরাহকারী এবং গ্রাহকদের সাথে একটি ভাল সম্পর্ক বজায় রাখুন। নিশ্চিত করুন যে আপনি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুসরণ করুন।
স্টেশনারি দোকান
আপনার কি মনে হয়? বাংলাদেশে ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগে একটি স্টেশনারি দোকান শুরু করা সম্ভব? হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব। তবে ব্যবসার সাফল্য নির্ভর করবে সঠিক অবস্থান বাছাই, টার্গেট করা বাজার, আপনার প্রতিযোগি এবং মূল্য নির্ধারণের কৌশলের মতো বিভিন্ন কারণের উপর।
প্রথমত, আপনাকে আপনার দোকানের জন্য একটি উপযুক্ত অবস্থান খুঁজে বের করতে হবে। বাজার, স্কুল এবং ইউনিভার্সিটির মতো উচ্চ লোকসমাগম যুক্ত এলাকাগুলি সন্ধান করুন। উক্ত এলাকার প্রতিযোগিতা এবং স্টেশনারি পণ্যের চাহিদা রয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেন।
এরপরে, আপনাকে আপনার টার্গেট বাজার নির্ধারণ করতে হবে। আপনি কি ছাত্র, পেশাদার বা উভয়ের জন্য পণ্য সরবরাহ করবেন? এটি আপনাকে কোন ধরণের পণ্যের স্টক আপ করতে হবে তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে।
একবার আপনি আপনার টার্গেট মার্কেট এবং অবস্থান চিহ্নিত করলে, আপনি আপনার পণ্যগুলি সোর্সিং শুরু করতে পারেন। আপনি প্রাথমিক স্টেশনারি পণ্য যেমন কলম, পেন্সিল, নোটবুক এবং ফোল্ডারগুলি দিয়ে শুরু করতে পারেন। পাশাপাশি প্রতিযোগী মূল্য এবং ভাল মানের পণ্য সরবরাহকারী সরবরাহকারীদের সন্ধান করুন।
আপনার লাভ সর্বাধিক করার জন্য, আপনাকে একটি মূল্য নির্ধারণের কৌশল নিয়ে আসতে হবে যা প্রতিযোগিতামূলক কিন্তু পাশাপাশি আপনাকে লাভ করতে দেয়। আপনার ব্যয় এবং আয়ের ট্র্যাক রাখা এবং সেই অনুযায়ী আপনার কৌশল সামঞ্জস্য করা গুরুত্বপূর্ণ। নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম এবং একটি ভালো ব্যবসায়িক কৌশলের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা হিসেবে স্টেশনারি দোকান শুরু করা সম্ভব। তবে এটা অবশ্যই করবেন যে, ব্যবসা থেকে আয়কৃত অর্থ অন্য কোথাও খরচ না করে রি-ইনভেস্ট করতে হবে এই ব্যবসাতেই।
স্ট্রিট ফুড
বাংলাদেশে মাত্র ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগে স্ট্রিট ফুড ব্যবসা শুরু করা একটু চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, কিন্তু এটা অসম্ভব নয়। স্ট্রিট ফুড বলতে আমরা সাধারণত ফুচসা, ঝালমুড়ি, চটপটি, হালিম, নুডুলস, পপকর্ণ, স্যুপ, চাওমিন, পাস্তা ইত্যাদি গুলোকে বুঝে থাকি। এখানে বেশ কিছু কৌশল রয়েছে যা আপনি স্ট্রিট ফুড ব্যবসা শুরু করতে অনুসরণ করতে পারেন:
বাজার নিয়ে গবেষণা ও স্থান বাছাই
যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে, বাজার নিয়ে গবেষণা করা এবং আপনার গ্রাহকদের চিহ্নিত করা অপরিহার্য। আপনি বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন যেখানে স্ট্রিট ফুড বিক্রি হয় এবং কী দেওয়া হচ্ছে এবং কী দামে তা পাওয়া যাচ্ছে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এছাড়াও, আপনি যে এলাকায় আপনার ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করছেন সেখানে বিভিন্ন ধরনের রাস্তার খাবারের চাহিদা চিহ্নিত করুন।
আপনার ব্যবসার সাফল্যের জন্য তার অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির পাশে, বাজারে বা এমন কোনো স্থান যেখানে লোক সমাগম অনেক বেশি আছে এমন এলাকাগুলি সন্ধান করুন। আপনার কার্ট বা স্ট্যান্ড সেট আপ করার জন্য আপনার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা আছে এমন একটি জায়গা সুরক্ষিত করা নিশ্চিত করুন।
প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ ও মেনু তৈরি
স্ট্রিট ফুড ব্যবসা শুরু করতে আপনার কয়েকটি প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রয়োজন হবে, যেমন – একটি কার্ট বা স্ট্যান্ড বা গাড়ি বা ছোট দোকান, রান্নার পাত্র, কাঁচামাল এবং উপাদান। টাকা বাঁচাতে আপনি স্থানীয় বাজার বা পাইকারি দোকান থেকে এগুলি কিনতে পারেন।
গ্রাহক সেবা আরেকটু উন্নত মানের করতে মেনু তৈরি করা উচিত। খাবারের দাম সাশ্রয়ী মূল্যের রাখুন। ফুচকা, চটপটি, ঝাল মুড়ির মতো কয়েকটি জনপ্রিয় আইটেম দিয়ে শুরু করতে পারেন প্রথমদিকে এবং ধীরে ধীরে আপনার মেনু প্রসারিত করুন।
পুর্ণাঙ্গ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা (মূল্য নির্ধারণ, মার্কেটিং, পরিবেশনা)
গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য আপনার খাদ্য আইটেমগুলিকে যুক্তিসঙ্গতভাবে মূল্য নির্ধারণ করুন। তবে নিশ্চিত করুন যে আপনি লাভও করছেন। অন্যান্য রাস্তার বিক্রেতারা অনুরূপ খাদ্য আইটেম এবং সেই অনুযায়ী মূল্যের জন্য কি চার্জ নিচ্ছে তা নিয়ে কিছু গবেষণা করুন।
যে কোনো খাদ্য ব্যবসার জন্য একটি পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার খাবার তৈরির জায়গা পরিষ্কার রাখুন এবং পরিষ্কার পাত্র ও প্লেট ব্যবহার করুন। খাবার তৈরি ও পরিবেশনের সময় গ্লাভস এবং মাস্ক ব্যবহার করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বা এলাকায় ফ্লায়ার বা পোস্টার দিয়ে আপনার ব্যবসার প্রচার করুন। আপনার রাস্তার খাবার ব্যবসার প্রচারের জন্য মুখের কথাও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে। এবং এটাই বেশির ভাগ কার্যকর হয় এই ব্যবসা গুলোতে।
মূলত ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা এর ক্ষেত্রে সবকিছু পরিচালনা করা কিছুটা কঠিন হতে পারে, তবে সতর্ক পরিকল্পনার সাথে এটি সম্ভব। এখানে কয়েকটি টিপস রয়েছে:
- টাকা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় উপদান গুলো একত্রে প্রচুর পরিমাণে কিনুন।
- খরচ কমাতে একটি সেকেন্ড-হ্যান্ড কার্ট বা স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন।
- উপাদানের খরচ কমাতে আপনার মেনু ছোট রাখুন।
- আপনার খরচের সাথে মিতব্যয়ী হোন এবং সাবধানে আপনার খরচ ট্র্যাক করুন।
- ছোট থেকে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে প্রসারিত করার জন্য ব্যবসায় আপনার লাভ পুনরায় বিনিয়োগ করুন।
বাংলাদেশে একটি স্ট্রিট ফুড ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে যদি কেউ স্বল্প বিনিয়োগে ব্যবসা শুরু করতে চায় তবে তার জন্য একটি চমৎকার সুযোগ। কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং একটি ভালো ব্যবসায়িক কৌশলের মাধ্যমে আপনি আপনার রাস্তার খাবার ব্যবসা সফল করতে পারেন।
ফ্লেক্সিলোড ও টেলিকম ব্যবসা
দৈনিক আয়ের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকার ব্যবসা ক্যাটাগরিতে ফ্লেক্সিলোড ও টেলিকম ব্যবসা সেরা পছন্দ গুলোর মধ্যে একটি। কেননা ছোট্ট একটি জায়গাতে এমনকি একটা টেবিল ও চেয়ার বসিয়ে ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করে যেতে পারেন।
বাংলাদেশের বর্তমানে পাঁচ ধরনের সিম রয়েছে। এই পাঁচটি অপারেটরের রিচার্জ করে দেওয়ার মাধ্যমে মূলত ব্যবসাটি পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে আপনার পাঁচটি অপারেটর এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের কাছ থেকে কাঙ্খিত রিচার্জিং সিম গ্রহণ করতে হবে।
যদিও বর্তমানে একটি সিমের মাধ্যমেই সব ধরনের সিমের রিচার্জ করা যায় তবে সে জনে থাকা এটাই উত্তম যে প্রতিটা কোম্পানির সাথে আলাদা আলাদা ভাবে যোগাযোগ করে নেওয়া। এক্ষেত্রে প্রতিটি কোম্পানির এসআর এর সাথে যোগাযোগ করে সিম তুলতে হবে।
ফেক্সিলোড ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতি হাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকা এক্সট্রা পাওয়া যায়। তাছাড়া রিচার্জ করে দেওয়ার সময় এক টাকা এবং ক্ষেত্রবিশেষে দুই টাকা অব্দি বেশি গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া হয়। আবার কিছু কিছু স্থানে গ্রাহক সেবা ভালো রাখার জন্য কোন অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ ছাড়াই রিচার্জ দেওয়া হয়। এই তিনটির মধ্যে আপনি যেটি নির্ধারণ করুন না কেন প্রতি হাজারে আপনার 25 থেকে 30 টাকা আয় হবে কোম্পানির পক্ষ থেকেই। এটা ছাড়াও এর মাধ্যমে ব্যবসা করার আরেকটি ভালো মাধ্যম হলো বিভিন্ন ড্রাইভ বা যেগুলোকে আমরা প্যাকেজ বলি সেগুলো সেল করা। বিভিন্ন মিনিট এমবি কিংবা বান্ডেল অফারগুলোর রেগুলার প্রাইস যদি ৫০০ টাকা হয় তবে দোকানদার ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকাতে সেই প্যাকেজগুলো ক্রয় করে এবং গ্রাহকের কাছে ৫০০ টাকাতেই বিক্রি করে। এক্ষেত্রে একটি রিচার্জ এর মাধ্যমেই ১০০ থেকে ১২০ টাকা অব্দি লাভ হয়ে থাকে তাই যত বেশি একটি দোকানে অফার সেল হবে তত বেশি লাভ।
ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা শুরু করতে বেশি অর্থের প্রয়োজনও হয় না একটি স্মার্ট ফোন, দুই তিনটি বাটন ফোন, চেয়ার, টেবিল এবং কোম্পানির কাছ থেকে লোড নেওয়ার জন্য ক্যাশ টাকা। আপনি ৫ হাজার টাকার মধ্যেই এই ব্যবসাটি নিশ্চিন্তে পরিচালনা করতে পারবেন। উক্ত ব্যবসা থেকে যে অর্থ আয় হবে সেটাকে আবার পুনরায় বিনিয়োগ করতে হবে।
কাপড় ইস্ত্রি ও লন্ডরি সার্ভিস
বাংলাদেশে ৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি ইস্ত্রি এবং লন্ড্রি ব্যবসা শুরু করার জন্য সতর্কতার সাথে পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এখানে কিছু পদক্ষেপ আপনি শুরু করতে নিতে পারেন:
১) যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার সেবার বাজারের চাহিদা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার এলাকায় টার্গেট গ্রাহক এবং প্রতিযোগীদের সনাক্ত করতে বাজার গবেষণা পরিচালনা করুন। উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং লন্ড্রি সেবার অভাব রয়েছে এমন অঞ্চলগুলি সন্ধান করুন৷
২) একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন যা আপনার সেবা, টার্গেটেড অডিয়েন্স, মূল্য এবং মার্কেটিং এর কৌশলগুলির রূপরেখা দেয়। আপনার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করুন। এর মধ্যে রয়েছে:
- ইস্ত্রি বা আইরন মেশিন
- টেবিল
- কাপুড় রাখার ঠাক
- বৈদ্যুতিক সংযোগ ও
- ধোপা খানার সাথে যোগাযোগ
আপনার বাজেটের মধ্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং সরবরাহ করুন। অর্থ সাশ্রয়ের জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জাম কেনার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সহজে যাতে করে লোকেরা আপনার কাছে পৌছাতে পারে এমন একটা স্থান বাছাই করুন। আপনার যদি দোকান ভাড়া দেওয়ার বাজেট না থাকে, তাহলে হোম ডেলিভারি সেবা দেওয়ার কথা বিবেচনা করুন।
লোক মুখ কথা ও স্থানীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার মার্কেটিং করুন। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে বিশেষ ছাড় অফার করুন। তাছাড়া মানসম্পন্ন সেবা প্রদান করুন। একটি বিশ্বস্ত গ্রাহক বেস তৈরি করতে আপনার গ্রাহকদের চমৎকার সেবা প্রদান করুন। দ্রুত পরিবর্তনের সময় এবং সাশ্রয়ী মূল্যের মূল্য প্রদান করুন। এভাবেই ধিরে ধিরে আপনার ব্যবসা সফল্যের দিকে অগ্রসর হবে।
হস্তনির্মিত কারুশিল্প (Handmade crafts)
হ্যাঁ, বাংলাদেশে ৫ হাজার টাকায় হস্তনির্মিত কারুশিল্প তৈরির ব্যবসা শুরু করা সম্ভব, তবে ব্যবসার পরিসর সীমিত হতে পারে। এই বাজেটে আপনি ছোট আকারে শুরু করতে পারেন এবং সহজ কারুশিল্প তৈরির দিকে ফোকাস করতে পারেন যাতে করে কম উপকরণ এবং সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। একটি সীমিত বাজেটের সাথে একটি হস্তনির্মিত কারুশিল্পের ব্যবসা শুরু করার জন্য এখানে কয়েকটি টিপস রয়েছে:
১) সাধারণ কারুশিল্প দিয়ে শুরু করুন: এমন কারুশিল্প চয়ন করুন যা তৈরি করা সহজ এবং ন্যূনতম উপকরণ এবং সরঞ্জামগুলির প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি কাগজের কারুকাজ, পুঁতিযুক্ত গয়না বা ক্রোশেট আইটেম দিয়ে শুরু করতে পারেন।
২) স্বল্পমূল্যের উপকরণ ব্যবহার করুন: সাশ্রয়ী মূল্যের উপকরণের উৎস যেমন থ্রিফ্ট স্টোর, অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং পাইকারি সরবরাহকারীদের সন্ধান করুন। অর্থ সাশ্রয়ের জন্য আপনি ফ্যাব্রিক স্ক্র্যাপ, কার্ডবোর্ড বাক্স এবং পুরানো ম্যাগাজিনের মতো আইটেমগুলি পুনরায় ব্যবহার করতে পারেন।
৩) অনলাইনে বিক্রি করুন: ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বা Daraz এর মতো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনার পণ্য বিক্রি করে শুরু করুন। এই প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য ন্যূনতম বিনিয়োগ প্রয়োজন এবং এটি আপনাকে আরও বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে।
৪) মানের উপর ফোকাস করুন: এমনকি আপনার পণ্যগুলি সহজ হলেও, উচ্চ-মানের কারুশিল্প তৈরিতে ফোকাস করুন যা প্রতিযোগিতা থেকে আলাদা। এটি আপনাকে একটি বিশ্বস্ত গ্রাহক বেস তৈরি করতে এবং সময়ের সাথে সাথে আপনার বিক্রয় বাড়াতে সহায়তা করবে।
৫) মুনাফা পুনঃবিনিয়োগ করুন: আপনার ব্যবসার বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার পণ্যের লাইন প্রসারিত করতে বা অতিরিক্ত সরঞ্জাম এবং উপকরণ ক্রয় করতে আপনার মুনাফা আবার ব্যবসায় বিনিয়োগ করুন।
একটি সীমিত মূলধনের সাথে একটি হস্তনির্মিত কারুশিল্পের ব্যবসা শুরু করার জন্য সৃজনশীলতা এবং সম্পদের প্রয়োজন। এবং কঠোর পরিশ্রমের সাথে, আপনি সময়ের সাথে সাথে একটি সফল ব্যবসা তৈরি করতে পারেন।
ফটোগ্রাফি
বাংলাদেশে ৫ হাজার টাকার মূলধন দিয়ে ফটোগ্রাফি সেবা ব্যবসা শুরু করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে, কারণ ফটোগ্রাফির জন্য বিশেষ সরঞ্জাম এবং দক্ষতা প্রয়োজন। তবে ছোট আকারে শুরু করা এবং সময়ের সাথে ব্যবসার আগ্রসর করে তোলা সম্ভবব । সীমিত বাজেটের সাথে ফটোগ্রাফি পরিষেবা ব্যবসা শুরু করার জন্য এখানে কয়েকটি টিপস রয়েছে:
১) আপনার যা আছে তা দিয়ে শুরু করুন: আপনার কাছে ইতিমধ্যেই থাকা ক্যামেরা সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করুন, তা স্মার্টফোন হোক বা একটি মৌলিক পয়েন্ট-এন্ড-শুট ক্যামেরা। আপনার ফটোগ্রাফি দক্ষতা উন্নত করতে বিভিন্ন আলো, কোণ এবং সেটিংস নিয়ে পরীক্ষা করুন।
২) একটি নির্দিষ্ট নিশে ফোকাস করুন: ফটোগ্রাফি সেবাগুলির বিস্তৃত পরিসরের প্রদান করার চেষ্টা করার পরিবর্তে, পণ্য ফটোগ্রাফি, প্রকৃতি ফটোগ্রাফি বা ইভেন্ট ফটোগ্রাফির মতো একটি নির্দিষ্ট নিশে উপর ফোকাস করুন। এটি আপনাকে একটি নির্দিষ্ট দর্শকদের লক্ষ্য করতে এবং প্রতিযোগীদের থেকে নিজেকে আলাদা করতে সহায়তা করবে।
৩) কম খরচে প্যাকেজ অফার করুন: ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে, কম খরচের প্যাকেজগুলি অফার করুন যাতে সীমিত সংখ্যক ফটো বা পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত থাকে। আপনি আরও অভিজ্ঞতা অর্জন এবং আপনার পোর্টফোলিও তৈরি করার সাথে সাথে আপনি ধীরে ধীরে আপনার দাম বাড়াতে পারেন।
৪) আপনার পোর্টফোলিও তৈরি করুন: আপনার পোর্টফোলিও তৈরি করতে বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে বা কম খরচে আপনার ফটোগ্রাফি সেবা প্রদান করুন। সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজ শেয়ার করুন।
৫) শেখার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করুন: আপনার দক্ষতা উন্নত করতে এবং আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ফটোগ্রাফি শিক্ষার মতো অনলাইন কোর্স বা কর্মশালায় আপনার বাজেটের কিছু বিনিয়োগ করার কথা বিবেচনা করুন।
একটি সীমিত বাজেটের সাথে ফটোগ্রাফি সেবা ব্যবসা শুরু করার জন্য সৃজনশীলতা এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন হবে, তবে উত্সর্গ এবং ধৈর্যের সাথে, আপনি সময়ের সাথে সাথে একটি সফল ব্যবসা তৈরি করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং
৫ হাজার টাকায় ব্যবসা? তাও আবার ডিজিটাল মার্কেটিং আদৌও কি সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব। ৫ হাজার টাকা দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করা সম্ভব, তবে এর জন্য প্রয়োজন যথাযথ পরিকল্পনা এবং সম্পদের দক্ষ ব্যবহার। সীমিত বাজেটে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করার জন্য এখানে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:
১) একটি নিশ বাছাই করুন: ডিজিটাল বিপণনের একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র সনাক্ত করুন যেটিতে আপনি দক্ষতা অর্জন করেছেন। যেমন – সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO), ইমেল মার্কেটিং কিংবা কন্টেন্ট মার্কেটিং৷
২) একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন: ওয়ার্ডপ্রেস বা উইক্সের মতো একটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার ব্যবসার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন। খরচ কম রাখতে আপনি একটি বিনামূল্যের টেমপ্লেট ব্যবহার করতে পারেন।
৩) বিনামূল্যের মার্কেটিং টুলস ব্যবহার করুন: অনেকগুলি বিনামূল্যের Marketing Tools রয়েছে, যেমন Google Analytics, Google কীওয়ার্ড প্ল্যানার এবং Hootsuite, যা আপনি আপনার ডিজিটাল বিপণন প্রচারগুলি পরিচালনা করতে ব্যবহার করতে পারেন।
৪) নেটওয়ার্ক তৈরি করুন: বিদ্যমান নেটওয়ার্কের সাথে যোগাযোগ করুন এবং আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা গুলি অফার করুন৷ নতুন ক্লায়েন্টদের জন্য রেফারেল এবং অফার ডিসকাউন্ট জন্য জিজ্ঞাসা করুন.
৫) সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা প্রদান করুন: নতুন ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে সাশ্রয়ী মূল্যের সেবা প্রদান করুন৷ আপনি আপনার খ্যাতি তৈরি করতে এবং আরও ক্লায়েন্ট অর্জন করার সাথে সাথে আপনি আপনার দাম বাড়াতে পারেন।
৬) মূল্যবান কন্টেন্ট তৈরি করুন: মূল্যবান কন্টেন্ট তৈরি করুন যা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আপনার দক্ষতা প্রদর্শন করে। আপনি নতুন ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে আপনার ওয়েবসাইট, সামাজিক মিডিয়া চ্যানেল এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে এই বিষয়বস্তু শেয়ার করতে পারেন।
সীমিত বাজেটের সাথে একটি ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করার জন্য সৃজনশীলতা এবং অধ্যবসায়ের প্রয়োজন হবে, তবে সময়ের সাথে সাথে একটি সফল ব্যবসা গড়ে তোলা সম্ভব।
ফলের জুসের দোকান
৫ হাজার টাকায় ব্যবসা হিসেবে ফলের রসের দোকান ব্যবসা শুরু করা যেতেই পারে। তবে খরচ কম রাখতে কিছু সৃজনশীল কৌশল অবলম্বন করতে হবে। এখানে কিছু পদক্ষেপ রয়েছে যা আপনি শুরু করার ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে পারেন:
১) বাজার গবেষণা করুন: আপনার স্থানীয় এলাকায় ফলের জুসের চাহিদা নির্ধারণ করুন। আপনার টার্গেটেড গ্রাহকের পছন্দ সনাক্ত করুন। সাধারণত এই ধরনের ব্যবসা বেশির ভাগ সিজনাল হয়ে থাকে।
২) ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করুন: আপনার লক্ষ্য, কৌশল এবং বাজেটের রূপরেখা দিয়ে একটি বিশদ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন। কাঁচামাল, সরঞ্জাম এবং ওভারহেড খরচের খরচ নির্ধারণ করুন।
৩) অবস্থান সিলেক্ট করুন: হাট বাজার কিংবা বাস স্ট্যান্ডের সামনে যেখানে কম খরচের জায়গা পাওয়া যায় সেটি সিলেক্ট করুন। দালানের দোকানের পরিবর্তে একটি ছোট টিন কিংবা কাঠের দোকান ভাড়া নেয়ার কথা চিন্তা করুন৷
৪) সরঞ্জাম কিনুন: একটি ব্লেন্ডার, একটি জুসার, একটি ফ্রিজ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলির মতো মৌলিক সরঞ্জাম কিনুন। আপনি অর্থ সঞ্চয় করার জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জাম কেনার কথা বিবেচনা করতে পারেন।
৫) ফল সংগ্রহের উৎস নির্ধারণ করুন: আপনার এলাকায় তাজা ফল এবং সবজির একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারীর সন্ধান করুন। একত্রে অনেক পরিমাণের ক্রয়ের জন্য মূল্য আলোচনা করার চেষ্টা করুন। এতে খরচ কিছুটা কম হবে।
৬) মূল্য নির্ধারণ করুন: উপাদানের খরচ, ওভারহেড খরচ এবং লাভ মার্জিনের উপর ভিত্তি করে আপনার পণ্যের দাম নির্ধারণ করুন। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য মূল্য প্রতিযোগিতামূলক রাখা নিশ্চিত করুন।
৭) ব্যবসার প্রচার করুন: আপনার ব্যবসার প্রচার করতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, স্থানীয় সম্প্রদায় গোষ্ঠী এবং মুখের কথা ব্যবহার করুন। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে খাবারের মান ভালো করার পাশাপাশি মাঝে মাঝে মূল্য ছাড় দিন।
উক্ত মূলধনে দোকানে যে ধরনের জুস তৈরি করতে পারেন
কমলার রস: কমলা বাংলাদেশে সহজলভ্য একটি জনপ্রিয় ফল। আপনি এগুলি প্রচুর পরিমাণে ক্রয় করতে পারেন এবং তাজা কমলার রস তৈরি করতে পারেন, যা গ্রাহকদের জন্য একটি ক্লাসিক এবং জনপ্রিয় পছন্দ৷
লেমনেড: লেমনেড একটি সতেজ পানীয় যা লেবু, জল এবং চিনি দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে। আপনি বিভিন্ন স্বাদ তৈরি করতে অন্যান্য ফল যেমন স্ট্রবেরি বা রাস্পবেরি যোগ করতে পারেন।
তরমুজের রস: তরমুজ একটি গ্রীষ্মকালীন ফল যা বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। আপনি ফল মিশ্রিত করে তাজা তরমুজের রস তৈরি করতে পারেন এবং যে কোনও সজ্জা অপসারণের জন্য একটি চালুনি দিয়ে ছেঁকে নিতে পারেন।
আনারসের জুস: আনারস হল আরেকটি ফল যা বাংলাদেশে সহজলভ্য। আপনি ফল ব্লেন্ড করে এবং প্রয়োজনে কিছু জল বা চিনি যোগ করে তাজা আনারসের রস তৈরি করতে পারেন।
আমের জুস: আম বাংলাদেশের একটি প্রিয় ফল, এবং আমের জুস গ্রাহকদের কাছে একটি জনপ্রিয় পছন্দ। ফলের সাথে কিছু পানি বা চিনি মিশিয়ে তাজা আমের রস তৈরি করতে পারেন।
হোম ডেলিভারি সার্ভিস
বাংলাদেশে ৫ হাজার টাকার মধ্যে হোম ডেলিভারি সার্ভিস শুরু করা সম্ভব। তবে এটি আপনার ব্যবসার পরিধি নির্ভর করবে আপনি যে পণ্যগুলি সরবরাহ করবেন এবং ডেলিভারি এলাকার মতো বিভিন্ন কারণের উপর। এখানে কিছু ধারণা রয়েছে যা আপনাকে কম বাজেটে হোম ডেলিভারি সেবার ব্যবসা শুরু করতে সাহায্য করবে:
১) ছোট থেকে শুরু করুন: একটি নির্দিষ্ট পণ্যের শ্রেণীতে ফোকাস করে শুরু করুন। যেমন, মুদি বা বেকড পণ্য এবং একটি ছোট ডেলিভারি এলাকা। এটি আপনাকে খরচ কম রাখতে এবং ক্রিয়াকলাপকে স্ট্রিমলাইন করতে সহায়তা করবে।
২) বিদ্যমান প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করুন: আপনি আপনার ডেলিভারি সেবা শুরু করতে ফুড পান্ডা, পাঠাও, বা অন্যান্য কুরিয়ার সার্ভিস এর মতো বিদ্যমান প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করতে পারেন৷
৩) স্থানীয় ব্যবসার সাথে অংশীদার: আপনি স্থানীয় মুদি দোকান, রেস্তোরাঁ বা অন্যান্য ব্যবসার সাথে অংশীদারি করতে পারেন যাদের পণ্য ডেলিভারি করাতে পারবেন।
৪) সাশ্রয়ী মূল্যের ডেলিভারি করুন: ডেলিভারি গাড়ি কেনার পরিবর্তে, আপনি ডেলিভারি করার জন্য একটি সাইকেল, মোটরসাইকেল বা এমনকি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন।
৫) ফ্রি ডেলিভারি অফার: ফ্রি ডেলিভারি অফার নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার এবং বিক্রয় বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত উপায়। আপনি বৃহত্তর অর্ডারের জন্য বা আপনার নিকটবর্তী এলাকার বাইরে ডেলিভারির জন্য একটি ছোট ফি চার্জ করতে পারেন।
যেকোনো ব্যবসাতেই লাভের অংশ অন্য কোথাও খরচ না করে সেটাকে আবার রি-ইনভেস্ট করলে তা হয় উত্তম সিদ্ধান্ত। আপনি যেহেতু খুবই অল্প মূলধনে ব্যবসা শুরু করেছেন তাই আপনার ইন্টেনশন থাকা উচিৎ দীর্ঘ সময় মুনাফা ভোগ না করার।
পুরোনো বইয়ের দোকান
বাংলাদেশে মাত্র ৫০০০ টাকা দিয়ে অনলাইনে বইয়ের দোকান শুরু করতে পারেন। এটা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে এটি একটি ভাল কৌশল এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে গড়ে তোলা সম্ভব। এখানে কিছু পদক্ষেপ উল্লেখ্য করা রয়েছে যা শুরু করতে সাহায্য করবে:
১) আপনার টার্গেট মার্কেট শনাক্ত করুন: আপনি কোন ধরনের ব্যবহৃত বই বিক্রি করতে চান এবং আপনার টার্গেট মার্কেট কে তা নির্ধারণ করুন। আপনি একটি নির্দিষ্ট ধারা বা বিভাগে ফোকাস করতে পারেন, যেমন পাঠ্যপুস্তক, শিশুদের বই, বা উপন্যাস, বা বিভিন্ন ধরনের বই অফার করতে পারেন।
২) উৎস খোজা: আপনি বিভিন্ন উৎস যেমন: লাইব্রেরি, অনলাইন মার্কেটপ্লেস বা এমনকি আপনার ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে ব্যবহৃত বইগুলি খুঁজে পেতে পারেন। এছাড়াও আপনি Facebook এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন এবং লোকেদের জানাতে পারেন যে আপনি ব্যবহৃত বই কিনতে ইচ্ছুক।
৩) আপনার বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করুন: আপনার বইগুলির অবস্থা, বিরলতা এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করে একটি যুক্তিসঙ্গত মূল্য নির্ধারণ করুন। আপনি গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে বাল্ক ক্রয়ের উপর ডিসকাউন্ট বা প্রচারমূলক ডিল চালানোর কথাও বিবেচনা করতে পারেন।
৪ ব্যবসার প্রচার করুন: আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং স্থানীয় কমিউনিটি গ্রুপগুলি ব্যবহার করুন। আপনার বন্ধুদের রেফার করা গ্রাহকদের ডিসকাউন্ট অফার করার মাধ্যমে মার্কেটিং জোরদার করতে পারেন।
৫) ভাল গ্রাহক সেবা প্রদান করুন: গ্রাহকদের তারা যা খুঁজছেন তা খুঁজে পেতে এবং আপনার বিক্রি করা বই সম্পর্কে জ্ঞানী হওয়ার মাধ্যমে ভাল গ্রাহক পরিষেবা অফার করুন।
অনলাইনে নতুন কিংবা ব্যবহৃত বই বিক্রি করে আপনি যে পরিমাণ আয় করবেন তা নির্ভর করবে বইয়ের গুণমান, ধারার চাহিদা এবং মূল্য নির্ধারণের কৌশলের মতো। একটি ভাল ব্যবসায়িক পরিকল্পনা এবং ধারাবাহিক প্রচেষ্টার সাথে, আপনি আপনার ব্যবহৃত বইয়ের দোকান থেকে একটি যুক্তিসঙ্গত লাভের আশা করতে পারেন।
হাউস পেইন্টিং সার্ভিস
হাউস পেইন্টিং সার্ভিস, আবাসিক সম্পত্তির অভ্যন্তরীণ বা বাইরের দেয়ালে পেইন্টিং বা পুনরায় রঙ করার পেশাদার সেবাকে বোঝায়। হাউস পেইন্টিং সেবাগুলি সাধারণত পেশাদারদের একটি দলকে তৈরি করে যাদের দক্ষতা এবং কার্যকরভাবে কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্য জ্ঞান, দক্ষতা এবং সরঞ্জাম রয়েছে।
একটি হাউস পেইন্টিং পরিষেবা ব্যবসা শুরু করতে, আপনার নিম্নলিখিত মৌলিক পেইন্টিং সরঞ্জাম এবং সরবরাহ থাকতে হবে যা ৫ হাজার টাকার মধ্যেই সব করতে পারবেন:
ব্রাশ: বিভিন্ন পৃষ্ঠে বিভিন্ন ধরণের পেইন্ট প্রয়োগ করতে আপনার বিভিন্ন ধরণের পেইন্টব্রাশের প্রয়োজন হবে, যার মধ্যে কোণীয়, সোজা এবং ফোম ব্রাশ রয়েছে।
রোলার: রোলারগুলি দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে বড় এলাকা পেইন্ট করার জন্য ব্যবহৃত হয়। পেইন্ট করা পৃষ্ঠের আকারের উপর নির্ভর করে আপনার বিভিন্ন আকারের রোলার এবং ফ্রেম থাকতে হবে।
পেইন্ট ট্রে: রোলার এবং ব্রাশের জন্য পেইন্ট ধরে রাখতে আপনার পেইন্ট ট্রে লাগবে।
ড্রপ ক্লথ: ড্রপ ক্লথ ব্যবহার করা হয় আসবাবপত্র, মেঝে এবং অন্যান্য পৃষ্ঠকে পেইন্ট স্পিল এবং স্প্ল্যাটার থেকে রক্ষা করতে।
স্যান্ডপেপার: পেইন্টিংয়ের আগে রুক্ষ পৃষ্ঠগুলিকে মসৃণ করতে স্যান্ডপেপার ব্যবহার করা হয়।
পেইন্টারের টেপ: পেইন্টারের টেপ এমন জায়গাগুলিকে মুখোশ করতে ব্যবহৃত হয় যা আঁকা উচিত নয়।
মই: পেইন্টিংয়ের জন্য উচ্চ এলাকায় পৌঁছানোর জন্য আপনাকে বিভিন্ন উচ্চতার মইয়ের প্রয়োজন হবে।
স্ক্যাফোল্ডিং: কাজের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে, উচ্চ এলাকায় নিরাপদে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে ভারাতে বিনিয়োগ করতে হতে পারে।
পেইন্ট: আপনাকে প্রাইমার, বেস কোট এবং টপকোট সহ বিভিন্ন ধরণের এবং রঙের পেইন্ট কিনতে হবে।
সুরক্ষা সরঞ্জাম: সুরক্ষা সরঞ্জাম যেমন গ্লাভস, গগলস এবং শ্বাসযন্ত্রগুলি পেইন্টিং করার সময় নিজেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করা উচিত।
এখানের অনেক উপকরণ যাদের বাড়ি ঘর তারা খরচ বহন করবে আর যদি না করে সেগুলো চার্জ করে আপনি নিজের মত করে কিনে নিতে পারেন। এবং এভাবেই ব্যবসায় রি-ইনভেস্ট করে ব্যবসা প্রসারিত করবেন।
কম্পিউটার মেরামত সার্ভিস
মাত্র ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগে একটি কম্পিউটার মেরামত সেবা ব্যবসা শুরু করা চ্যালেঞ্জিং, তবে এটি অসম্ভব নয়। আপনাকে শুরু করতে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু পদক্ষেপ রয়েছে:
ব্যবসার ক্যাটাগরি নির্ধারণ করুন: আপনি কোন ধরনের কম্পিউটার মেরামত সেবা প্রদান করবেন, যেমন – হার্ডওয়্যার মেরামত, সফ্টওয়্যার ইনস্টলেশন, ভাইরাস অপসারণ, বা ডেটা পুনরুদ্ধার করবেন তা নির্ধারণ করুন।
২) ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন: একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন যাতে আপনার লক্ষ্য, কৌশল, লক্ষ্য বাজার, মূল্য এবং খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
৩) টুলস এবং উপকরণ কিনুন: প্রাথমিক কম্পিউটার মেরামতের সরঞ্জাম এবং সরবরাহ, যেমন স্ক্রু ড্রাইভার, প্লায়ার, তার এবং একটি কম্পিউটার মেরামতের টুলকিট কিনুন। মেরামত করার জন্য আপনার একটি ওয়ার্কস্পেস যেমন ডেস্ক বা টেবিলের প্রয়োজন হতে পারে।
৪) ব্যবসায়ের মার্কেটিং করুন: মুখের কথা, সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রচার করুন।
একটি কম্পিউটার মেরামত পরিষেবা ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে যে মৌলিক সরঞ্জাম এবং সরবরাহের প্রয়োজন হবে তার একটি তালিকা এখানে রয়েছে:
স্ক্রু ড্রাইভার: বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটার খুলতে এবং মেরামত করতে আপনার বিভিন্ন ধরণের স্ক্রু ড্রাইভারের প্রয়োজন হবে।
প্লায়ার: প্লায়ারগুলি তার, সংযোগকারী এবং স্ক্রুগুলির মতো উপাদানগুলি সরাতে এবং প্রতিস্থাপন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তার: কম্পিউটারের বিভিন্ন উপাদান এবং ডিভাইস সংযোগ করতে আপনার তারের প্রয়োজন হবে।
কম্পিউটার মেরামত টুলকিট: একটি কম্পিউটার মেরামত টুলকিটে সাধারণত কম্পিউটার মেরামত করার জন্য অ্যান্টি-স্ট্যাটিক রিস্টব্যান্ড, টুইজার এবং ফ্ল্যাশলাইটের মতো বিভিন্ন সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত থাকে।
ডেস্ক বা টেবিল: কম্পিউটার মেরামত করার জন্য আপনার একটি ডেস্ক বা টেবিলের মতো একটি কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজন হবে।
সফ্টওয়্যার: কম্পিউটার সমস্যাগুলি সমাধান এবং সনাক্ত করতে বিভিন্ন ফ্রী ও পেইড সফ্টওয়্যারের প্রয়োজন, সেখানে যথাযথ বিনিয়োগ করতে হবে।
খুচরা যন্ত্রাংশ: ত্রুটিপূর্ণ উপাদান প্রতিস্থাপন করার জন্য আপনাকে কিছু খুচরা যন্ত্রাংশ হাতে রাখতে হবে, যেমন হার্ড ড্রাইভ, মেমরি এবং পাওয়ার সাপ্লাই।
অনলাইনে পারফিউম বিক্রি
অনলাইনে পারফিউম ব্যবসা শুরু করা পারফিউম শিল্পে আগ্রহীদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ হতে পারে। অনলাইনে পারফিউম ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু পদক্ষেপ রয়েছে:
১) বাজার গবেষণা করুন: বর্তমান প্রবণতা এবং জনপ্রিয় পারফিউম কোন গুলো সেটি জানুন। পাশাপাশি অনলাইনে পারফিউম বাজারে প্রতিযোগীদের উপর গবেষণা পরিচালনা করুন।
২) ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরি করুন: একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন যাতে আপনার লক্ষ্য, কৌশল, লক্ষ্য বাজার, মূল্য এবং ব্যয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।
৩) নিদিষ্ট নিশ বাছাই করুন: আপনার অনলাইন পারফিউম ব্যবসার জন্য নিশ নির্ধারণ করুন। যেমন আপনি কর্পোরেট পারফিউম এর মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করবেন নাকি আতর বা এমন কিছু নির্ধারণ করুন।
৪) পারফিউম এর উৎস: গুণমান এবং সত্যতা নিশ্চিত করতে সম্মানিত সরবরাহকারী এবং নির্মাতাদের কাছ থেকে পারফিউম কিনুন।
৫) একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন: একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করুন যা নেভিগেট করা সহজ, পরিষ্কার পণ্যের বিবরণ এবং ছবি রয়েছে এবং রয়েছে একটি নিরাপদ চেকআউট প্রক্রিয়া।
৬) ব্যবসার মার্কেটিং করুন: সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রচার করুন।
অনলাইন পারফিউম ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে এমন কিছু সরঞ্জাম এবং সরবরাহের তালিকা এখানে রয়েছে:
সুগন্ধি: আপনার গ্রাহকদের মানসম্পন্ন এবং খাঁটি পারফিউম অফার করার জন্য আপনাকে সম্মানিত সরবরাহকারী এবং প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে সুগন্ধি সংগ্রহ করতে হবে।
প্যাকেজিং উপকরণ: আপনার পারফিউম প্যাকেজ এবং শিপ করার জন্য আপনার প্যাকেজিং উপকরণ যেমন বোতল, লেবেল এবং বাক্সের প্রয়োজন হবে।
শিপিং সাপ্লাই: আপনার পারফিউমের নিরাপদ ও নিরাপদ ডেলিভারি নিশ্চিত করতে আপনার শিপিং সাপ্লাই, যেমন বাক্স, প্যাকিং ম্যাটেরিয়াল এবং লেবেল লাগবে।
ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট টুলস: আপনার অনলাইন স্টোর তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে আপনার ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট টুলস, যেমন ওয়েবসাইট হোস্টিং, ই-কমার্স সফটওয়্যার এবং ওয়েব ডিজাইন পরিষেবাগুলির প্রয়োজন হবে।
বিপণন সরঞ্জাম: আপনার অনলাইন পারফিউম ব্যবসার প্রচারের জন্য আপনার বিপণন সরঞ্জামগুলির প্রয়োজন হবে, যেমন ইমেল বিপণন সফ্টওয়্যার, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার এবং বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম।
পরিশেষে কিছু কথা
ব্যবসা করতে অবশ্যই ভালো পরিমাণের মূলধনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে যদি যথাযথ পরিকল্পনার পাশাপাশি যথাযথ সেক্টর বাছাই করা যায় তবে ব্যবসা শুরু করতে অতোটা অর্থের প্রয়োজন হয় না। হ্যাঁ, এটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে শুরু করা আর পরিচালনা করে যাওয়া এক রকম কাজ নয়। আপনাকে অবশ্যই প্রতিনিয়ত ব্যবসায় ইনভেস্ট করে যেতে হবে। বহুল চাহিদা সম্পন্ন আর্টিকেল যার টপিক “৫ হাজার টাকায় ব্যবসা” তে এবার ১৫ টি ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা সম্পর্কে জানিয়েছি যেগুলো করার ক্ষেত্রে বেশি একটা অর্থের প্রয়োজন হয় না। আশা করি উক্ত আর্টিকেলটি আপনাকে কিছুটা হলেও উক্ত বিষয়ে ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছে। এর পাশাপাশি আপনি যদি আরো নিত্য নতুন ব্যবসার আইডিয়া ও কিভাবে শুরু করবেন সেই বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক হোন তবে বাংলা আলো ওয়েবসাইটের ব্যবসা বাণিজ্য ক্যাটাগরিটি অনুসরণ করতে পারেন। ধন্যবাদ।