অনলাইন বিজনেস কিভাবে করবো? A to Z পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন

0
49

কোটি কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সেখানে তৈরি হয়েছে অনলাইন বিজনেস করার দারুণ এক প্ল্যাটফর্ম, জানুন বিস্তারিত।

অনলাইন বিজনেস কিভাবে করে? এ প্রশ্নটির উত্তর জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইন বিজনেসে সফল হতে হলে সঠিক গাইডলাইন জানা জরুরি। ভুল পদ্ধতিতে বিজনেস করলে আপনার মূলধন নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যারা অনলাইন বিজনেস শুরু করার কথা ভাবছেন – মূলত তাদের জন্যই আজকের এই লেখাটি। তো চলুন, পর্যায়ক্রমে সেগুলো জেনে নিইঃ

 

পরিকল্পনা করুন আগে

যদি অনলাইন এ বিজনেস করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে ধীরেসুস্থে পরিকল্পনা করুন যে, কিভাবে শুরু করবেন ও কাজ পরিচালনা করবেন।

আপনার কোন কোন পণ্য নিয়ে বিজনেস করার আগ্রহ আছে, সেটা ভাবুন। শুধু আগ্রহ থাকলেই হবে না বরং সে কাজ সম্পর্কে আপনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে কি না সেটাও বিবেচনা করতে হবে।

অনেকেই হুট করে অনলাইন বিজনেসে নেমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটার কারণ হতে পারে যে, তাদের পরিকল্পনা তেমন ছিলো না বা ভুল পরিকল্পনা করেছিলো। তাই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।

আরো পড়ুন : ১০ টি অনলাইনে ব্যবসার আইডিয়া 

আগ্রহের পাশাপাশি উক্ত পণ্যের ব্যবসা সস্পর্কিত জ্ঞান আছে কি না সেটা যাচাই করুন। যদি আপনার জ্ঞান তেমন একটা না থাকে তাহলে সময় নিন। জানুন, পড়াশোনা করুন এবং অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন।

ভালমতো জেনে বুঝে তারপর পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন।

 

চাহিদাসম্পন্ন পণ্য বাছাই করুন

একটি ব্যবসায়ের কেন্দ্রবিন্দুই হলো তার পণ্য। তাই এটা নির্বাচনে বেশি গুরুত্ব দিন। অনলাইনে কোন সমস্ত মানুষদেরকে টার্গেট করে বিজনেস করতে চান, সে অনুযায়ী সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন পণ্য বাছাই করে নিন।

বর্তমানে কাপড় বা পোশাকের বিজনেসের চাহিদা অনেক বেশি পরিমাণে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এছাড়াও হোম মেড ফুড এবং খাঁটি খাদ্যপণ্যের চাহিদাও বেশ ভালো। এরকম চাহিদা বিবেচনা করে অনলাইন বিজনেস করার জন্য আপনার ব্যবসায়ীক পণ্যটি বাছাই করে নিন।

 

মূলধন নির্ধারণ করুন

বিজনেস করতে গেলে অর্থ বিনিয়োগ করতে হয় – এটা আমরা কমবেশি প্রায় সবাই জানি। তবে নিজের ইচ্ছামতো একটা পরিমাণ ধরে মূলধন নির্ধারণ করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

অনলাইন বিজনেস করার জন্য সাধারণ স্বল্প মূলধন প্রয়োজন হয়। কেননা, দোকান ভাড়া, অ্যাডভানস, ইলেক্ট্রিসিটি বিল এবং কর্মচারীর বেতনের টাকা এখানে প্রয়োজন পড়ে না।

কিন্তু অনলাইন বিজনেস পরিচালনা করার জন্য এবং আপনার বিজনেসকে মানুষের নিকট পরিচিত করার জন্য দরকার প্রচুর মার্কেটিং। এজন্য পেইড মার্কেটিং এর বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া আপনার ব্যবসায়িক পণ্য যদি দ্রুত বিক্রয় হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী স্টকে আরো বেশি পরিমাণে পণ্য আনার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দরকার এইসব বিষয়গুলো সম্মিলিতভাবে হিসাব করে সে অনুযায়ী মূলধন নির্ধারণ করা।

 

পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করুন

আপনার বিজনেস এর প্রোডাক্ট বা পণ্যটি যেন মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, সে লক্ষ্যে উদ্যোগ নিন। এজন্য দরকার কিছু মার্কেটিং কৌশল। সেগুলো হলোঃ

আপনার পণ্যটির একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় শিরোনাম দিন। তবে খেয়াল রাখবেন যে, আপনার শিরোনামের সাথে পণ্যের যেন মিল বজায় থাকে।

এই পণ্যটি মানুষ কেন ক্রয় করতে পারে – সে ব্যাপারে স্বল্প কথায় স্পষ্ট বিবরণ দিন। যেন মানুষ কিনতে আগ্রহবোধ করে।

আপনার পণ্যের সাথে গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টি যুক্ত করুন, যাতে মানুষ নির্দ্বিধায় কিনতে পারে।

অবশ্যই আপনি বিশ্বস্ততা বজায় রেখে ক্রেতাদের সাথে কাজ করবেন। বিভিন্ন সময়ে ডিসকাউন্ট অফার করবেন।

কোনো ক্রেতা আপনার পণ্য কিনে ভাল ফিডব্যাক দিলে সেটা প্রচার করুন, যাতে মানুষ আগ্রহী হয়।

লিমিটেড টাইম অফার করতে পারেন। এতে অল্প সময়ে অধিক বিক্রয়ের সম্ভাবনা থাকে।

 

ওয়েবসাইট তৈরি করুন

মানুষ সাধারণত প্রচুর পরিমাণে ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকে। বিভিন্ন কারণে ওয়েবসাইটে পাবলিক রিচ বা মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি থাকে।

যেহেতু আপনি অনলাইন বিজনেস করতে চাচ্ছেন সেজন্য একটি ভালো ওয়েবসাইট তৈরি করুন। বর্তমানে বিজনেস রিলেটেড প্রচুর ওয়েবসাইট রয়েছে।

মানুষ সাধারণত যেসব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যেগুলো তথ্যবহুল এবং ওয়েল ডেকোরেটেড। তাই আপনার ওয়েবসাইটে তথ্যবহুল পোস্ট করুন এবং সুন্দর মত ডিজাইন করুন। এক্ষেত্রে প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন করে নিতে পারেন।

এছাড়াও যা যা করবেনঃ

আপনার ওয়েবসাইটের পোষ্ট গুলোতে উপকারী তথ্য রাখার চেষ্টা করবেন সবসময়। কেননা গ্রাহকরা সাধারণত কয়েক সেকেন্ড দেখেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা বা না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়।

কাজের তথ্য না পেলে তারা সাধারণত যেসব ওয়েবসাইটে ঢুকতে আগ্রহী হয় না। তাই আপনাকে ওয়েবসাইটের পোস্টগুলোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

আপনি যখন ওয়েবসাইট তৈরি করবে তখন যেন আপনার ওয়েবসাইটের পেজ গুলো দ্রুত লোড হয় সে ব্যবস্থা করে নিবেন।

কেননা অনেক সময় তথ্য বহুল কিছু প্রিয় মানুষ ওয়েবসাইটে ঢুকেও বের হয়ে যায় এই ধীরগতিসম্পন্ন লোডিং এর কারণে। তাই আপনার ওয়েবসাইটের থিমটা অপেক্ষাকৃত লাইট রাখার চেষ্টা করবেন যেন সহজে দ্রুত লোড হয়।

ওয়েবসাইটের সব পেজ গুলো যেন এক রকম থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। এছাড়া নেভিগেশন বাটন গুলো যেন সেটা বুঝতে সুবিধা হয় সেরকম সিস্টেম করে নিবেন।

ওয়েবসাইটে বিজনেস রিলেটেড পোষ্ট গুলোতে দরকারি ছবি যুক্ত করুন। ছবিগুলো যেন সুন্দর দেখায় সেজন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন। তবে ছবির সাথে পন্যের যেন হুবহু মিল থাকে।

এছাড়া প্রয়োজনীয় অডিও যুক্ত করতে পারেন। মানুষ অনেক সময় অডিওর কারনে আগ্রহ বোধ করে।

ওয়েবসাইটে অপ্রয়োজনীয় তথ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করুন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো অনলাইন বিজনেস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ব্যবহার করেই অনলাইন বিজনেস এ সফল হয়েছেন অনেক মানুষ।

তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজনেস করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান আপনার থাকা জরুরি। বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনলাইন বিজনেস করা যায়।

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ

ফেসবুক মার্কেটিং

বর্তমানে অসংখ্য মানুষ ফেসবুকে যুক্ত হয়েছে। অনেক মানুষ ফেসবুক থেকে কেনাকাটাও করছে।

তাই আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হবে। এজন্য প্রথমে একটা বিজনেস পেজ খুলবেন তারপর সেখানে আপনার পণ্যগুলো আপলোড দিবেন।

আপনার পরিচিত মানুষদের কাছে মার্কেটিং দিয়ে শুরু করতে পারেন। ফেসবুক পেজ এর পাশাপাশি ফেসবুক গ্রুপেও মার্কেটিং করবেন। পেজ থেকে গ্রুপ মার্কেটিংয়ে সাধারণত বেশি লাভ পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রে।

আপনার ফেসবুক পেইজ জনপ্রিয় হয়ে গেলে সেটাকে বুস্ট করতে পারেন। এছাড়াও গ্রুপে বিজনেস করে রেসপন্স ভালো পেলে সেখানে বিভিন্ন কনটেস্ট এর আয়োজন করতে পারেন। সাধারণত কনটেস্ট করার ফলে গ্রুপ একটিভ থাকে ও বিক্রয় বৃদ্ধি পায়।

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং

যদি আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থাকে এবং সেটাতে ভালো পরিমাণে ফলোয়ার থাকে তাহলে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করতে পারেন।

সাধারণত মানুষ যখন ইনস্টাগ্রামে একটিভ থাকে তখন আপনার অনলাইন বিজনেস সম্পর্কিত পোস্ট করতে পারেন। ইনস্টাগ্রামে আপনার আপলোডকৃত পিকচারটি যেন ভালো কোয়ালিটির হয়, সেটা খেয়াল রাখবেন।

হোয়াটসঅ্যাপ মার্কেটিং

বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে না এমন মানুষের সংখ্যা কম। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ মার্কেটিং করতে পারেন।

টুইটার মার্কেটিং

টুইটার মার্কেটিং অনেকটাই ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর মত। আপনার টুইটার অ্যাকাউন্টে ভালো পরিমাণে ফলোয়ার থাকলে আপনার বিজনেস সম্পর্কিত টুইট করতে পারেন। এর ফলে টুইটার থেকে ক্রেতা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইন বিজনেস করার জন্য অবশ্যই একটা বা একাধিক বিজনেস কন্টাক্ট নম্বর ব্যবহার করবেন। আর সাথে বিজনেস ইমেইলও ব্যবহার করবেন।

 

সার্চ ইঞ্জিনে টপে আসার জন্য পদক্ষেপ নিন

মূলত, ইন্টারনেট কে কেন্দ্র করে অনলাইন বিজনেস পরিচালিত হয়। আর গুগল সার্চ ইঞ্জিন আমরা প্রায় সবাই ব্যবহার করি। মানুষ সাধারণত গুগল সার্চ করে যেটা আগে পায় সেই ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়ে।

কষ্ট করে নিচে গিয়ে বা পেজ পাল্টিয়ে কাংখিত তথ্য কম মানুষই খুঁজে থাকে। অনলাইন বিজনেস করার সময় এ কথাটি আপনাকে মনে রাখতে হবে। আপনার অনলাইন বিজনেস সম্পর্কিত পোস্ট যেন সার্চ ইঞ্জিনে টপ এ শো করে সে বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে।

গ্রাহকদেরকে আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসার জন্য সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তা নিতে পারেন। এজন্য Pay per click advertisement সিস্টেমটি ব্যবহার করতে পারেন।

ওয়েবসাইট ট্রাফিক বা ভিজিটর পাওয়ার জন্য এই সিস্টেমটি হলো সহজ। অর্গানিক ভাবে ট্রাফিক পাওয়ার তুলনায় এটি বেশি সুবিধাজনক। পিপিসি (pay per click advertisement) সাধারণত সার্চ পেজকে শীর্ষে আসতে সাহায্য করে।

এর ফলে মানুষ আপনার পন্য বেশি পরিমাণে দেখার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। পিপিসি ছাড়াও কি-ওয়ার্ড গুলো সার্চ ইঞ্জিনে টপে আসতে কাজ করে। এর ফলে ভালো পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়া যায় এবং বিক্রয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।

 

এসএমএস মার্কেটিং কে অবহেলা করবেন না

অনলাইন বিজনেস এর জন্য এসএমএস মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই মোবাইল স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে থাকে।

এসএমএস আসলে অধিকাংশ মানুষই তা চেক করে থাকে। এই সুযোগে আপনার অনলাইন বিজনেস কে আপনি এসএমএস মার্কেটিং দ্বারা প্রচার করতে পারেন সহজেই।

এসএমএস মার্কেটিং সফটওয়্যার দিয়ে করতে হয়। ফলে অল্প সময়ে অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছানো যায়। তাছাড়া এসএমএস মার্কেটিং এ খরচ তুলনামূলক অনেক কম।

আপনার অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে মানুষকে জানাতে এসএমএস মার্কেটিং করা কে গুরুত্ব দিতে হবে। এসএমএস মার্কেটিং কিভাবে করবেন – এ ব্যাপারে ভালোভাবে জানার জন্য গুগল এবং ইউটিউব সার্চ করতে পারেন।

 

ই-মেইল মার্কেটিং করুন

আপনার অনলাইন বিজনেস কে অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ই-মেইল মার্কেটিং করতে পারেন। ই-মেইল মার্কেটিং সাধারণত টার্গেট অডিয়েন্স করে করলে বেশি লাভের সম্ভাবনা থাকে।

ধরুন, আপনার অনলাইন বিজনেস রিলেটেড পণ্যটি হচ্ছে ছেলেদের পোশাক। ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ছেলেদের পোশাক নিয়ে বিজনেস করছেন ও তাদেরকে লক্ষ্য করেই কাজ করছেন। তাহলে এই বয়সি ছেলেদের কে টার্গেট করে যে মার্কেটিং করছেন, তাই হল টার্গেট অডিয়েন্স।

বিভিন্ন জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস থেকে ই-মেইল সংগ্রহ করে টার্গেট অডিয়েন্স ভিত্তিক ই-মেইল মার্কেটিং করতে পারে এর ফলে অনলাইন বিজনেস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রসিদ্ধি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া বিনা খরচে অর্গানিক ভাবে গ্রাহকদের ই-মেইল এড্রেস সংরক্ষণের জন্য আপনার ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রাইব করার অপশন রাখতে পারেন। এর ফলে ফ্রিতে ই-মেইল অ্যাড্রেস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ই-মেইল মার্কেটিং সাধারণত বিভিন্ন সফটওয়্যারের সাহায্যে করা হয়। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল – Sender, Drip, Converkit, Mailchimp সহ ইত্যাদি সফটওয়্যার গুলো।

 

অ্যাফিলিয়েট পার্টনার নিয়োগের ব্যবস্থা রাখুন

বর্তমানে অনেকেই বেকার আছেন। তারা ব্যবসা করতে চান কিন্তু মূলধন নেই। তাদের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম চালু করতে পারেন। এখন জানার বিষয় হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কি?

ধরুন, আপনার অনলাইন বিজনেস এর কোনো পণ্য কোন একজন বিক্রয়ের জন্য কাস্টমার এনে দিল আর আপনি বিক্রয় করার মাধ্যমে লাভবান হলেন।

এই বিক্রয় থেকে কিছু লভ্যাংশ উক্ত ব্যক্তি যে কিনা বিক্রেতা এনেছিল তাকে দিলেন। এটাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনার বিজনেসের প্রফিট বাড়ানোর জন্য এরকম অ্যাফিলিয়েট পার্টনার নিয়োগের ব্যবস্থা করতে পারেন।

 

অনলাইন বিজনেস করা হয় ইন্টারনেট জুড়ে। তাই ইন্টারনেটের সাথে জড়িত বিভিন্ন বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে। যদি অনলাইন বিজনেস এ নামার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য পরামর্শ হলো – আগে জানুন এবং বুঝুন। সময় নিন, তাড়াহুড়া করবেন না।

ভালমতো প্রস্তুতি গ্রহন করুন। সততা, পরিশ্রম এবং ধৈর্য্যের সাথে কাজ করুন। তাহলে এ প্ল্যাটফর্মে সফল হতে পারবেন ইনশা আল্লাহ্।

Visited 8 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here