Warning: ftp_pwd() expects parameter 1 to be resource, null given in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 230

Warning: ftp_pwd() expects parameter 1 to be resource, null given in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 230

Warning: ftp_mkdir() expects parameter 1 to be resource, null given in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 580

Warning: fopen(/tmp/index-ZZMQc8.tmp): failed to open stream: Disk quota exceeded in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 190

Warning: unlink(/tmp/index-ZZMQc8.tmp): No such file or directory in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 193
ইন্ডিয়ান ভিসা | ধরন, খরচ, আবেদন নিয়ম | বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ান ভিস
Categories: ভিসা - Visa

ইন্ডিয়ান ভিসা | ধরন, খরচ, মেয়াদ, আবেদন নিয়ম | বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ান ভিসা

ইন্ডিয়া যাওয়ার ইচ্ছা? বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে হলে কি করতে হবে, কত টাকা খরচ, কোথায় আবেদন করবেন, কি কি লাগবে সব বিষয়ে জানুন এই আর্টিকেল থেকে।

 

ভ্রমণ পিপাসু মানুষ দের জন্য ইন্ডিয়া যেনো এক স্বপ্নের দেশ। আবার অনেকেই রোগ সংক্রান্ত জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ইন্ডিয়াতে ভ্রমন করে থাকে। আমাদের মধ্যে এমন অনেক বাংলাদেশী নাগরিক রা আছেন যারা তাদের বিয়ে এর শপিং, বিভিন্ন কসমেটিকস কেনাকাটা কিংবা বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাজ এর জন্য ও ইন্ডিয়াতে গিয়ে থাকেন।

 

ঠিক এভাবে বিভিন্ন ধরনের কাজের উদ্দেশ্যে লিগেল ইন্ডিয়ান ভিসা নিয়ে প্রতিদিন -ই অনেক বাংলাদেশী নাগরিক রা ইন্ডিয়াতে ভ্রমন করছেন। ইন্ডিয়াতে যেতে হলে সবার প্রথম যেই জিনিস গুলো প্রয়োজন হয় তা হল লিগেল পাসপোর্ট এবং ইন্ডিয়ান ভিসা। তাই ভ্রমণের আগে সবার প্রথমে ইন্ডিয়ান ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া খুবই প্রয়োজন।

 

ইন্ডিয়ান ভিসার কয়টি ধরন রয়েছে, কিংবা তাদের খরচ কেমন অথবা মেয়াদ কালীন সময় কতটুকু। আর সেই সকল ভিসা তে আবেদন করতে হলে কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে তা জেনে নেওয়া জরুরী।  আপনাদের মধ্যে যারা ইন্ডিয়া যাওয়ার প্ল্যান করছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই প্রয়োজনীয় হতে চলেছে।

 

কারণ এই আর্টিকেলটি তে আমরা ইন্ডিয়ান ভিসা সম্পর্কিত সকল প্রকার বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-

 

ইন্ডিয়ান ভিসার ধরন, সময়, মেয়াদ

 

আলাদা আলাদা ধরন এর ভিসার সময় এবং মেয়াদ আলাদা হয়ে থাকে। আর্টিকেল এর প্রথম পর্যায়ে আমরা আপনাদের জানাবো ইন্ডিয়ান ভিসার কয়েকটি ধরন নিয়ে, সেই সকল ভিসা প্রসেসিং এর  সময়কাল এবং মেয়াদকাল সম্পর্কে-

 

ক. ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসাঃ

 

ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র এর মাধ্যমে বা সরাসরি ভিসা আবেদন প্রাপ্তি -র পরে, ভারতীয় মিশন/ পোস্ট এর ক্ষেত্রে জাতীয়তা -র উপর নির্ভর করে থাকে। বিভিন্ন বিশেষ ক্ষেত্র গুলো বাদ দিয়ে একটি ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসা ইস্যু করার জন্য ন্যূনতম তিন কার্য দিবস পরিমান সময় প্রয়োজন হতে পারে।

 

ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসার মেয়াদ থাকে প্রায় দুই বছর থেকে শুরু করে পাচ বছর পর্যন্ত। পরবর্তীতে চাইলে এক্সট্রা ফি এর মাধ্যমে এই ভিসা রিনিউ করা যেতে পারে এবং ভিসার সময় কাল বাড়ানো যেতে পারে। 

 

খ. ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসাঃ

 

বাংলাদেশী নাগরিকরা যখন বিজনেস সংক্রান্ত কাজ এর জন্য ইন্ডিয়া গমন করে থাকে তখন ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসার প্রয়োজন হয়। ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা -র ক্ষেত্রে এপ্লাই করার চার দিন এর মধ্যেই ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হয়ে যায়। বিজনেস ট্রিপ এর ১ সপ্তাহ আগেই ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আবেদন শুরু করে দেওয়া উচিত। এই ভিসার মেয়াদ কাল থাকে প্রায় ৩০ দিন থেকে শুরু করে ৬০ দিন পর্যন্ত।

 

গ. ইন্ডিয়ান প্রজেক্ট ভিসাঃ

 

প্রজেক্ট সংক্রান্ত কাজ এর ক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে প্রায় ৩ থেকে ৫ কার্য দিবস এর মতো।

প্রজেক্ট চলা কালীন ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন ইন্ডিয়া তে বৈধ ভাবে থাকতে পারবেন। যদি আরও বেশি দিন থাকার দরকার হয় তারা ভিসার মেয়াদ কাল এক্সট্রা ফি এর মাধ্যমে বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

 

ঘ. ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসাঃ

 

বাংলাদেশী নাগরিকরা যখন ইন্ডিয়া তে টুর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে তখন ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন হয়। এই ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে প্রায় ৩ দিন এর মতো। টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কাল থাকে প্রায় ৩০ দিন পর্যন্ত। কিছু কিছু বিশেষ টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ থাকে। 

 

ঙ. ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসাঃ

 

চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ এর ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া ভ্রমন করতে হলে ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা -র প্রয়োজন হয়ে থাকে। এই ভিসা প্রসেস হতে সময় লেগে থাকে প্রায় ১ থেকে ৪ দিন এর মতো। এই ভিসা টির মেয়াদ কাল থাকে প্রায় ৬০ দিন পর্যন্ত। যদি রোগী -র আর ও বেশি সময় লাগে তাহলে ভিসা র মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।

 

ইন্ডিয়ান ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন

 

প্রত্যেক ধরন এর ভিসা করতে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর দরকার হয়। আলাদা ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে সেই সকল ডকুমেন্ট এর ও বিভিন্ন ভিন্নতা থাকে। চলুন এই পর্যায়ে আমরা জেনে নেই ইন্ডিয়ান ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে-

 

ক. ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসাঃ

 

১. বৈধ পাসপোর্টঃ

 

আপনার পাসপোর্ট টি আপনার ইন্ডিয়া ভ্রমণ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এর পরে ছয় মাসের জন্য বৈধ হতে হবে এবং দুটি খালি মুখোমুখি পৃষ্ঠা থাকতে হবে। 

 

২. ছবিঃ 

 

দুটি সামনের দিকে, পাসপোর্ট আকার এর রঙিন ছবি প্রয়োজন। ছবি গুলো স্ক্যান করা যাবে না, ছবি গুলো আবেদন পত্রে নির্দেশিত স্থানে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে।

 

৩. ভিসা আবেদনপত্রঃ

 

ভারতীয় কনস্যুলেট শুধুমাত্র সেই ফর্মগুলি গ্রহণ করে যা অনলাইনে পূরণ করা হয়েছে এবং তারপর মুদ্রিত এবং স্বাক্ষর করা হয়েছে।

 

৪. একটি সম্পূর্ণ ভিসা আবেদন প্রয়োজনঃ

 

ফর্মটি অবশ্যই এক তরফা প্রিন্ট করতে হবে এবং ফর্ম এর পিছন এর অংশটি খালি হতে হবে।

 

৫. মূল কোম্পানির চিঠিঃ 

 

ভিসা সমর্থন চিঠিটি অবশ্যই ইন্ডিয়া সংস্থা -র কোম্পানি- র লেটার হেডে লিখতে হবে যার জন্য আবেদন কারী কাজ করেন। চিঠিতে অবশ্যই সমস্ত কোম্পানির নিবন্ধন এবং ভ্যাট নম্বর, কোম্পানি টির সম্পূর্ণ ঠিকানা এবং থাকার সময় কাল অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।

 

৬. অতিরিক্ত তথ্য ফর্মঃ

 

ভারতীয় কনস্যুলেটের প্রয়োজন একটি অতিরিক্ত তথ্য ফর্ম পূরণ করা, স্বাক্ষর করা এবং একটি কর্মসংস্থান ভিসার আবেদনের সাথে জমা দেওয়া। কর্মসংস্থান চুক্তির অনুলিপি। উভয় অংশগ্রহণ কারী সংস্থার মধ্যে কর্মসংস্থান চুক্তির একটি অনুলিপি জমা দিতে হবে। চুক্তিটি উভয় পক্ষের দ্বারা স্বাক্ষরিত হতে হবে, কর্মচারীর বেতন রুপিতে উল্লেখ করতে হবে এবং ভারতে আয়কর প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।

 

৭. কোভিড – ১৯ ভ্যাকসিন ডোস এর ফর্মঃ

 

করোনা -র ভ্যাকসিন না নেওয়া হলে বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে অর্থাৎ ইন্ডিয়া তে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া যাবে না। তাই অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে

 

খ. ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসাঃ

 

১. লিগেল ডিজিটাল পাসপোর্ট।

২.  পাসপোর্ট সাইজ এর রিসেন্ট তোলা রঙিন ছবি।

৩. বাংলাদেশ এর নাগরিকত্ব সনদপত্র।

৪. কোভিড-১৯ এর  ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।

৫. স্পনসর এর আকামার কপি।

৬. জন্ম নিবন্ধন পত্র।

৭. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।

৮. বিজনেস সংক্রান্ত সকল কাগজ পত্র।

৯. লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস। 

১০. ব্যাংক এর পেপারস।

১১. ইন্সুইরেন্স এর কাগজ পত্র।

 

গ. ইন্ডিয়ান প্রজেক্ট ভিসাঃ

 

১. লিগেল ডিজিটাল পাসপোর্ট।

২.  পাসপোর্ট সাইজ এর রিসেন্ট তোলা রঙিন ছবি।

৩. বাংলাদেশ এর নাগরিকত্ব সনদপত্র।

৪. কোভিড-১৯ এর  ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।

৫. স্পনসর এর আকামার কপি।

৬. জন্ম নিবন্ধন পত্র।

৭. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।

৮. প্রজেক্ট সংক্রান্ত সকল কাগজ পত্র।

৯. লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস। 

১০. ব্যাংক এর পেপারস।

১১. ইন্সুইরেন্স এর কাগজ পত্র।

১৩. অফিসিয়াল এপ্লিকেশন পেপার। 

 

ঘ. ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসাঃ

 

১. লিগেল ডিজিটাল পাসপোর্ট।

২.  পাসপোর্ট সাইজ এর রিসেন্ট তোলা রঙিন ছবি।

৩. বাংলাদেশ এর নাগরিকত্ব সনদপত্র।

৪. কোভিড-১৯ এর  ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।

৫. লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস। 

৬. জন্ম নিবন্ধন পত্র।

৭. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।

 

ঙ. ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসাঃ

 

১. লিগেল ডিজিটাল পাসপোর্ট।

২.  পাসপোর্ট সাইজ এর রিসেন্ট তোলা রঙিন ছবি।

৩. বাংলাদেশ এর নাগরিকত্ব সনদপত্র।

৪. কোভিড-১৯ এর  ভ্যাকসিন এর ডোসের ফর্ম।

৫. স্পনসর এর আকামার কপি।

৬. জন্ম নিবন্ধন পত্র।

৭. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।

৮. ডাক্তার এর প্রেশক্রিপশন।

৯. লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস। 

১০. ব্যাংক এর পেপারস।

১১. ইন্সুইরেন্স এর কাগজ পত্র।

 

ইন্ডিয়ান ভিসা করতে কত টাকা লাগে

 

প্রত্যেক টি ভিসার ধরন পাল্টানোর ফলে সেই ভিসা তৈরি করার জন্য পেমেন্ট ও পাল্টাতে পারে, এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। এখন আপনারা জানবেন ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে কত টাকা লেগে থাকে-

 

ক. ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসাঃ

 

ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসা ফি (ছয় মাস পর্যন্ত) – ৩৯, ১০০ টাকা.

 

ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসা ফি (এক বছর পর্যন্ত) – ৪২, ৫০০ টাকা

 

ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসা ফি (এক বছরের বেশি)- ৫০,৭৪৫ টাকা

 

ইন্ডিয়ান এম্প্লয়মেন্ট ভিসা এপ্লিকেশন ফি বাবদ এক্সট্রা লেগে থাকে ১০০ ডলার থেলে ২০০ ডলার পর্যন্ত। আলাদা আলাদা কম্পানির এম্প্লয়মেন্ট ভিসা র ফি আলাদা হতে পারে।

 

খ. ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসাঃ

 

ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা/ ৩০ দিন (একাধিক প্রবেশ) – ২, ১২৫ টাকা।

ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা/ ৯০ দিন (একক প্রবেশ) – ২, ২৯৫ টাকা।

ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা/ ৯০ দিন (একাধিক প্রবেশ) – ৩,৪০০ টাকা

ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা/ ৬ মাস (মাল্টিপল এন্ট্রি) – ৬,৮০০ টাকা

ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা/ ১ বছর (একাধিক প্রবেশ) – ৬, ৮০০ টাকা

ইন্ডিয়ান বিজনেস ভিসা/ ৫ বছর (মাল্টিপল এন্ট্রি) – ১০, ২০০ টাকা

 

গ. ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসাঃ

 

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা/ ৩০ দিন (ডাবল এন্ট্রি) – ১, ২৭৫ টাকা

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা / ৯০ দিন (একক প্রবেশ)- ১, ২৭৫ টাকা

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা/ ৯০ দিন (ডাবল এন্ট্রি) – ২, ২৭৫ টাকা

ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা/ ৬ মাস (ডাবল/ মাল্টি পল এন্ট্রি) – ২, ১২৫ টাকা

 

ঘ. ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসাঃ

 

ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা প্রসেসিং ফি

বাংলাদেশ এর নাগরিক দের জন্য ভিসা ফি নেওয়া হয় না। SBI ব্যাঙ্ক (স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া) দ্বারা মেডিকেল ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা (৭ – ৯ USD) খরচ হয় যা আমাদের IVAC-তে জমা দিতে হবে।

 

ইন্ডিয়ান ভিসা কিভাবে করতে হয় বা নিয়ম

 

ইন্ডিয়ান ভিসা করার বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে তবে তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নিয়ম টি আপনাদের জানাব আজকে। এই নিয়মটি ফলো করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ইন্ডিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন-

 

১ম ধাপঃ যেই ধরন এর ভিসা র মাধ্যমে ইন্ডিয়া ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন সেটি প্রথমে বাছাই করে নিন

 

ভিসার আবেদন পত্রের সাথে যে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবেন সেগুলো সঠিকভাবে বাছাই করে এটাচ করে দিন। তার পাশাপাশি অ্যাপ্লিকেশন টি কত সময় এর মধ্যে প্রসেসিং সম্পন্ন করবে তা জেনে নিবেন। 

 

ভিসার ফি বাবদ আপনাকে কত টাকা জমা দিতে হবে সে সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। তার সাথে ইন্ডিয়াতে ভ্রমণ এর জন্য আপনি করোনার ভেক্সিন নিয়েছেন কিনা, সেই সংক্রান্ত পত্রটি ও জমা দিবেন।

 

২য় ধাপঃ ইন্ডিয়া ভিসা -র জন্য আবেদন -টি শুরু করবেন

 

যেহেতু আপনি অনলাইন এর মাধ্যমে ভিসার আবেদন করছেন। তাই, সবার প্রথমে আপনাকে ভিসা আবেদন ফর্ম টি সঠিক ভাবে ডাউনলোড করে নিতে হবে। ডাউনলোড করা ফর্ম টি সকল সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে পূরন করে নিবেন।

 

তারপর মেইন কপি মুদ্রণ করে নিবেন এবং সেই আবেদন ফরম এর মুদ্রণ কপিটি আপনাকে ভিসা আবেদন কেন্দ্র সাথে করে নিয়ে যেতে হবে। সম্পুর্ন ফর্ম এবং তার সাথে বারকোড এর সাথে ভালো ভাবে সংযুক্ত করা শিট, তার সাথে একটি উন্নত মান এর পরিষ্কার এবং চকচকে কাগজ এর সাহায্য নিয়ে কপি করে বের করে নিবেন।

 

তাছাড়াও আপনাকে আরও একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যেনো ভিসা সম্পর্কিত সকল প্রকার গোপনীয়তা মূলক নীতি এবং এর সাথে সম্মতি মূলক ফর্ম টিও পূরণ করে আমেরিকার ভিসা আবেদন ফর্ম টির সাথে যুক্ত করতে হবে।

 

আপনি যদি আপনার ভিসা আবেদন ফর্ম টি সঠিক ভাবে এটাচ করতে না করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার আবেদন টি গ্রহন করা হবে না। ভিসা অফিস থেকে সেটা আপনাকে পুনরায় ফেরত দিয়ে দিতে পারে।

 

৩য় ধাপঃ আপনার ইন্ডিয়া ভিসার জন্য প্রযোজ্য পেমেন্ট অথবা ফি ভিসা অফিসে প্রদান করুন

 

আমেরিকার ভিসা বাবদ যে পরিমাণ ফি আপনাকে জমা দান করতে হবে তা অবশ্যই সঠিক ভাবে জমা দিবেন। ফি আপনাকে ভিসা আবেদন শেষ হবার পর পরই জমা দিতে পারবেন। ফি প্রদান করার পর  আপনার মানি রিসিট নিয়ে নিতে কখনও ভুলবেন না।

 

৪র্থ ধাপঃ পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিন

 

সবশেষ স্টেপে আপনি ভিসা আবেদন অফিস থেকে আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিবেন। পাসপোর্ট এর সাথে আপনাকে দেওয়া হবে সেগুলো সঠিকভাবে চেক করে সংগ্রহ করে নিবেন। আপনি যদি মনে করেন সরাসরি ভিসা আবেদন অফিস এ যেতে চাচ্ছেন না,তাহলে পাসপোর্ট এবং অন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ অতিরিক্ত চার্জ এর মাধ্যমে কুরিয়ার করে নিয়ে নিতে পারেন।

 

ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য

 

আর্টিকেল এর এই পর্যায়ে বাংলাদেশ এ অবস্থিত  ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্র গুলো তে যোগাযোগ এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সমূহ জানাবোঃ

 

১. ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্র, ঢাকা (জেএফপি)

 

ঠিকানাঃ ফ্লোর – জি 1, সাউথ কোর্ট, যমুনা ফিউচার পার্ক, প্রগতি স্বরণি, বারিধারা, ঢাকা- ১২২৯, বাংলাদেশ।

হট লাইন: 09 612 333 666, 09 614 333 666 ই-মেইল: info@ivacbd.com 

ওয়েবসাইট: www.ivacbd.com

 

২. আইভিএসি, মিরপুর ব্রাঞ্চ

 

ঠিকানাঃ আলামিন আপন হাইটস ২৭/ ১/ বি (১ম তলা) শ্যামলী, (শ্যামলী সিনেমা হল এর বিপরীতে) মিরপুর রোড, ঢাকা- ১২০৭

 হট লাইন: 09612 333 666, 09614 333 666 ইমেল: info@ivacbd.com ওয়েবসাইট: www.ivacbd.com

 

৩. আইভিএসি, উত্তরা ব্রাঞ্চ

 

ঠিকানাঃ ঢাকা সেক্টর # ৭, রোড # ১৮, বাড়ি # ৫৬ উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, বাংলাদেশ।

হট লাইন: 09 612 333 666, 09 614 333 666

ই-মেইল: info@ivacbd.com

ওয়েবসাইট: www.ivacbd.com

 

ইন্ডিয়ান ভিসা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা

 

১. ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি?

 

ভারতে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়ার জন্য ইন্ডিয়া ই ভিসার প্রয়োজনীয়তাগুলি অপরিহার্য। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তার মধ্যে আছে, আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট, একটি ইমেল এড্রেস এবং একটি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন হবে৷ আপনার পাসপোর্টের বৈধতা পরীক্ষা করতে কখনও ভুলবেন না।

 

২. বাংলাদেশ থেকে কি ইন্ডিয়ান ভিসা পাওয়া যায়?

 

বাংলাদেশে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দ্বারা পরিচালিত বারোটি ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (IVAC) রয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদনকারী বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী দের জন্য কোন ভিসা ফি নেই। অন্যান্য বিদেশী নাগরিক দের ভিসা ফি দিতে হবে যদি না তারা ভারত সরকার এর আদেশ এর অধীনে ভিসা ফি প্রদান থেকে অব্যাহতি পায়।

 

৩. একজন বাংলাদেশি কি ভারতে চাকরি পেতে পারেন?

 

বৈধ নথি এবং উদ্দেশ্য সহ যেকোন বিদেশী কে ভারতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্ত এর কাছা কাছি কিছু রাজ্যে এই বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক প্রবণতা রয়েছে। বাংলাদেশ পূর্ব বাংলা হিসেবে ব্রিটিশ ভারতের অংশ ছিল।

 

৪. ইন্ডিয়ান ভিসা পাওয়ার বিষয়ে আমি আরও তথ্য কোথায় পেতে পারি?

 

ইন্ডিয়ান ভিসার বিষয়ে আরও তথ্য সংশ্লিষ্ট ভারতীয় মিশন এবং ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (IVAC) এর পাশাপাশি অনলাইন ভিসা পোর্টাল এ

( https://indianvisaonline.gov.in/visa/index.html) পাওয়া যাবে।

 

ফর্মটি পূরণ করার এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট এর সময় নির্ধারণের নির্দেশাবলী নিয়মিত ভিসা আবেদনের জন্য নির্দেশাবলীতে দেখা যেতে পারে। অনলাইন ভারতীয় ভিসা আবেদন পূরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত তথ্য প্রযুক্তিগত নির্দেশাবলীতে উল্লেখ করা যেতে পারে। ভিসা অনুসন্ধানের জন্য ভিসা আবেদনের স্ট্যাটাস https://indianvisaonline.gov.in/visa/VisaEnquiry.jsp-এ দেখা যাবে।

 

ইন্ডিয়ান লিগেল ভিসার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ইন্ডিয়া ভ্রমণ করতে পারেন। তবে ভিসা প্রসেসিং এর আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে নেবেন অবশ্যই, তা না হলে প্রতারিত হবার একটি সম্ভাবনা থাকতে পারে।

আশা করি আজকের আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার পর ইন্ডিয়ান ভিসা সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যা আপনার ভিসা প্রসেসিং এর সময়ে আপনাকে সাহায্য করবে। এছাড়া আপনি যদি অন্যান্য দেশের ভিসা পেতে ইচ্ছুক হোন এবং জানতে চান কিভাবে সেসব ভিসা পেতে হয় তাহলে এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

Bangla Alo

Recent Posts

মানসিক সুস্থতার সাথে খাবারের কোনো যোগসূত্র আছে কি?

শরীর ভালো তো মন ভালো” ছোটবেলা থেকে আমরা এই কথায় অভ্যস্ত হলেও ঠিকঠাকভাবে মানতে নারাজ। মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক স্বাস্থ্য…

2 months ago

Jodi Bare Bare Eki Sure Prem Tomay Kadai Lyrics | যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায় লিরিক্স

লাললালালালালালালালালালালালালালালালালালালালা যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায়তবে প্রেমিকা কোথায় আর প্রেমই বা কোথায়?যদি দিশেহারা ইশারাতে প্রেমই ডেকে যায়তবে…

2 months ago

কাতার সাজছে বাংলাদেশি গাছে

ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে। কাতারে ফুটবল…

2 months ago

কুয়াশা ও বন্যার পানির বিষয়ে সতর্ক করবে গুগল ম্যাপস

এআইয়ের সাহায্যে সরু রাস্তার নির্দেশনাও দেখতে পারবেন চালকরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কুয়াশা ও বন্যার পানি রয়েছে কি-না, তা গুগল ম্যাপসের…

2 months ago

হঠাৎ রেগে যাচ্ছেন, কী ভাবে মেজাজ ঠান্ডা রাখবেন

রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে একটুতেই রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে কটূ কথা বলে আফসোস করতে হয়? এবার একটু…

2 months ago

বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের যে ১০টি বিষয় জানা প্রয়োজন

সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং দুদেশের জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে ১. ইসলামপন্থি কিংবা জঙ্গিরা নয় সম্প্রতি যে আন্দোলনের মুখে শেখ…

2 months ago

This website uses cookies.