বাংলাদেশের বাজারে খেজুরের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার সাথে বাড়ছে খেজুরের সাথে যুক্ত ব্যবসাও। মূলত খেজুর ব্যবসা বর্তমান বাজার অনুযায়ী খুবই লাভজনক।
পরিসংখ্যান বলে প্রতিবছর বাংলাদেশে খেজুরের চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার টন এবং এর চেয়েও ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে কেবল রমজান মাসেই এর চাহিদা ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন হয়ে থাকে।
এতো বড় মাত্রার বাজার থাকার কারন অনেক ব্যবসায়ী খেজুর ব্যবসা করার দিকে ঝুকছেন। যদিও অনেকে এটাকে স্রেফ সিজনাল ব্যবসা হিসেবে দেখে, অবশ্য দেখার কারনও আছে কারন রমজান মাসেই খেজুরের প্রয়োজনীয়তা মানুষ বেশি অনুভব করে। তবে এমনিতেও সারা বছর বিভিন্ন কারনে ও প্রয়োজনে বাংলাদেশের বাজারে ভালো ব্যবসা করার পন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে সিজনাল হোক বা বারোমাসি, খেজুর ব্যবসা করার সঠিক নিয়ম ও দিকনির্দেশনার অভাব থাকলে কখনই এই ব্যবসায় নামা ঠিক না। এক্ষেত্রে খেজুর ব্যবসা করার জন্য যাবতীয় ইনফোরমেশন যা আপনার জানার প্রয়োজন তা সাজিয়ে উপস্থাপন করছি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
দেখুন একটা ব্যবসা করা হয় কেন? কারন ভোক্তারা সে পন্য অর্থের বিনিময়ে গ্রহন করতে ইচ্ছুক। এটা ভোক্তার চাহিদা পুরন করে। খেজুরের ক্ষেত্রেও বিষয়ই একই হবে। পৃথিবীতে যেমন খেজুরের ভেরিয়েন্টের অভাব নেই তেমনই অভাব নেই এর ব্যবহারের।
বছরের অন্য সব মাস যেমনই যাক রমজান মাস আসলেই খেজুরের চাহিদা থাকে আকাশ চুম্বু কারন আমাদের নবী (সঃ) সয়ং খেজুর পছন্দ করতেন খুব বেশি। তাই এটা ছাড়া রমজান মাস কল্পনাই করতে পারা যায় না।
তাছাড়াও আরো একটি বিশেষ কারণ আছে কেন আপনি খেজুর এর ব্যবসা। জানা গেছে আরবের আজওয়া চুলের বাংলাদেশের পেক্ষাপটে চাহিদা খুব খুব খুব বেশি এমনকি শুধু চাহিদার কথাই নয় কথা হচ্ছে ব্যবসা করার আর পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই জাতের খেজুর আরবের যেতাম তার থেকে অনেক অনেক বেশী বাংলাদেশি বাজারের মূল্য পাওয়া যায়।
যূথীর পাইকারি ও খুচরা বাজারের পার্থক্যটা কথা ধরি তাহলে ও বলতে হয় পাইকারি ও খুচরা খেজুরের বাজারে আজওয়া দামের পার্থক্য 1200 টাকার কাছাকাছি।
দেখুন কেবলমাত্র পাইকারি দরে আপনি যে খেজুর টা 1 কেজি 1000 টাকায় কিনতে পারছেন সেটা বাংলাদেশের বাজারে এসে এক কেজির দাম হবে 2200 টাকা। কাছে প্রশ্ন কেন করবেন না খেজুরের ব্যবসা?
অনলাইনে চাইতো আপনাকে কোন দোকানের ভাড়া দিতে হচ্ছে না, না অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ। বেশকিছু বাই এন্ড সেল কমিউনিটিতে প্লাটফর্মে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনার প্রাথমিক খরচ অনেকাংশেই কমে যাবে কারণ আপনাকে দোকান ভাড়া অ্যাডভান্স এবং যাবতীয় যে অন্যান্য খরচ দোকানের রিলেটেড সেগুলো করতে হচ্ছে না।
১০ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে আপনি প্রাথমিকভাবে খেজুরের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি তে মূলধন লাগছে খুব কম তাই ব্যাপক সাড়া মিলেছে খেজুরের ব্যবসার উপরে অন্যদিকে বাংলাদেশ ও ভারতে এমনকি পাকিস্তানেও খেজুরের চাহিদা খুব বেশি।
আপনি প্রাথমিকভাবে আমদানি না করতে পারলেও যারা আমদানি করে এবং পাইকারি মূল্যে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে তাদের কাছ থেকে নিয়ে সহজেই ব্যবসাটি পরিচালন করতে পারেন।
অনলাইনে খেজুরের ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনি খেজুরগুলো পাইকারি মূল্যে কিনে এবং সেগুলো কে নতুন করে কাস্টমাইজ এর মাধ্যমে একটা নতুন প্যাকেট ও মোড়কীকরণ এর মাধ্যমে খেজুরগুলো কে আপনার ব্র্যান্ডের নাম এ ব্যবহার করতে পারবেন।
খেজুর কেনা বাজে কিছু খরচ যদি মার্কেটিংয়ের করতে পারেন এবং প্যাকেট বা মোড়কীকরণ এ করেন দ্রুতই আপনার ব্যবসা লাভজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।
এবার আসুন অফলাইনে বাজারে, দুইটা সম্ভাবনা দাঁড় করানো যায়। প্রথমত আপনার একটি ফলের দোকান ইতিমধ্যে রয়েছে এবং আপনি চাচ্ছেন নতুন করে খেজুর এড করতে। এক্ষেত্রে খুব সহজ আপনি পাইকারি মূল্যে বিক্রেতার কাছ থেকে খেজুর কিনবেন এবং নিজ দোকানে সেই খেজুর গুলো কে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করবেন।
অবশ্যই খেজুরগুলো এমন একটা বক্সের রাখার চেষ্টা করবেন যেটা খুবই স্বচ্ছ উপর থেকে খেজুরগুলো কে ভালোভাবে দেখা যায়।
আপনার যদি কোন দোকান না থাকে তাহলে প্রথমদিকেই বড় করে দোকান নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনি চেষ্টা করুন কোন এক দোকানের পাশে অথবা বাজারে কোন নির্দিষ্ট স্থানে, যেখানে মূলত লোকসমাগম আছে এমন একটি স্থানে আপনি কিছু খেজুর নিয়ে ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন।
তো মোটামুটি বেশ কিছু তথ্য দেওয়া হল অনলাইন ব্যবসা অনলাইন ব্যবসা উভয় ভাবে কিভাবে শুরু করা যায় সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এবার মূলত বলব আপনি কোথা থেকে পাইকারি মূল্যে খেজুর কিনে খেজুরের ব্যবসা করতে পারেন।
বাংলাদেশি খেজুর পাইকারি মোবাইলের পাওয়ার জন্য যে জায়গাটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সেটা হচ্ছে ঢাকার বাদামতলী। ওই স্থান থেকে খেজুর এনে বিক্রি করতে পারেননি তবে সেটা খুবই লাভজনক একটি উদ্যোগ হবে।
তবে সেটা যদি সম্ভব না হয় আপনি আপনার এরিয়া ভিত্তিক লোকাল ফলের দোকান কে জিজ্ঞেস করে তাদের কাছ থেকে ইনফরমেশন নেওয়ার চেষ্টা করবেন যে উনারা মূলত কোথা থেকে ফলগুলো কিনে থাকে।
যদি আপনার এরিয়ার আশেপাশে লোকাল ভাবে পাইকারি মূল্যে খেজুর পাওয়া যায় তাহলে সেখান থেকে নিন অন্যথায় কোনভাবে কুরিয়ার হোক বা অন্য কোন উপায়ে ঢাকার বাদামতলী যেসকল পাইকারি বিক্রেতা আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে সেখান থেকে খেজুর নেয়াই উত্তম হবে বলে মনে করছে।
পরিশেষে বলবো যে, খেজুরের বর্তমান ব্যবসা খুবই ভালো বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সহ বেশ কিছু মুসলিম কান্ট্রি তে খেজুরের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। মাছকে কেন্দ্র করেই হোক বা সারা বছরের জন্যই হোক খেজুর বর্তমানে মানুষের চাহিদা সম্পন্ন একটি পণ্য। তাই এখন থেকে যদি এই ব্যবসাটি শুরু করেন ইনশাল্লাহ আপনি খুব শীঘ্রই এই সেক্টরে আপনি লাভবান ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন।
শরীর ভালো তো মন ভালো” ছোটবেলা থেকে আমরা এই কথায় অভ্যস্ত হলেও ঠিকঠাকভাবে মানতে নারাজ। মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক স্বাস্থ্য…
লাললালালালালালালালালালালালালালালালালালালালা যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায়তবে প্রেমিকা কোথায় আর প্রেমই বা কোথায়?যদি দিশেহারা ইশারাতে প্রেমই ডেকে যায়তবে…
ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে। কাতারে ফুটবল…
এআইয়ের সাহায্যে সরু রাস্তার নির্দেশনাও দেখতে পারবেন চালকরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কুয়াশা ও বন্যার পানি রয়েছে কি-না, তা গুগল ম্যাপসের…
রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে একটুতেই রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে কটূ কথা বলে আফসোস করতে হয়? এবার একটু…
সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং দুদেশের জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে ১. ইসলামপন্থি কিংবা জঙ্গিরা নয় সম্প্রতি যে আন্দোলনের মুখে শেখ…
This website uses cookies.