Warning: ftp_pwd() expects parameter 1 to be resource, null given in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 230

Warning: ftp_pwd() expects parameter 1 to be resource, null given in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 230

Warning: ftp_mkdir() expects parameter 1 to be resource, null given in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 580

Warning: fopen(/tmp/index-Inghhv.tmp): failed to open stream: Disk quota exceeded in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 190

Warning: unlink(/tmp/index-Inghhv.tmp): No such file or directory in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 193
জন্ডিস হলে করনীয় । লক্ষন, চিকিৎসা ও খাবার । জন্ডিস দূর করার উপায়

জন্ডিস হলে করনীয় । লক্ষন, চিকিৎসা ও খাবার । জন্ডিস দূর করার উপায়

জন্ডিস নামক শব্দটার সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। মানুষ হিসেবে জন্মে এখন অব্দি একবার হলেও জন্ডিসে আক্রান্ত হয়নি এমনটা বিরল বললেও ভুল হবে না। জন্ডিসকে আমরা অনেকেই রোগ হিসেবে চিহ্নিত করলেও এটা মূলত কোনো রোগ নয়, যার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে পুরো আর্টিকেলে। তাছাড়া সকলেই জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার পর জন্ডিস হলে করনীয় কি সেই বিষয়ে জানতে চায়, আবার অনেকে উক্ত লক্ষনের আগেই প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উক্ত বিষয়ে জ্ঞান রাখতে চায়। প্রয়োজন যাই হোক না কেনো, এবারের আর্টিকেলের মাধ্যমে জন্ডিস সংক্রান্ত সকল খুঁটিনাটি সহ জন্ডিস দূর করার উপায় সম্পর্কে পুরো ধারনা দেয়া হবে। বাংলা আলো ওয়েবসাইটের স্বাস্থ্য টিপস ক্যাটাগরির এবারের আর্টিকেলের বিষয়ে থাকছে জন্ডিস হলে করনীয় কি সেই বিষয়ে বিস্তারিত।  

জন্ডিস কি?

ফরাসি শব্দ Jaunisse (বাংলায় যার অর্থ হলুদাভ) থেকে এসেছে ইংরেজি শব্দ Jaundice যাকে আবার ইক্টেরাস (icterus) নামেও চিনে থাকি। সাধারণত জন্ডিসকে আমরা রোগ হিসেবে বুঝে থাকলেও তা মূলত কোন রোগ নয়। বরং জন্ডিস হল রোগের কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ। মানব শরীরে জন্ডিসের প্রভাবে রক্তে বিলরবিনের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলস্বরূপ – ত্বক, চোখের সাদা অংশ এবং অন্যান্য মিউকাস ঝিল্লি দেখতে অনেকটা হলুদ হয়ে যায়। 

মানব শরীরে বিলিরুবিনের ঘনত্ব ১.২ এমজি / ডিএল এর নিচে থাকে। যখনই এর মাত্রা বৃদ্ধিপায় তখনই জন্ডিসের উপসর্গ গুলো শরীরে লক্ষনীয় হয়। মূলত রক্ত যখন বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় তখন, যখন রক্তের লৌহ কণিকা গুলো একই সময়ে স্বাভাবিক নিয়মে ভেঙে যায়। যা পরবর্তীতে লিভার প্রক্রিয়াজাত হয়ে পিত্তরাসের সাথে পিত্তনালীর মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রে প্রকাশ করে। আর যখনই বিলিরুবিনের স্বাভাবিক  পথ পরিক্রমায় অসঙ্গতি কোন কিছুর সংস্পর্শে আসে তখনই এর মাত্রা শরীরে বৃদ্ধি পায় এবং তা জন্ডিস আকারে আউটপুট দেয়। 

যেহেতু জন্ডিস হওয়ার ফলে চামড়া ফ্যাকাসে দেখায় তাই অনেকে এটিকে পান্ডু রোগও বলে থাকে। 

জন্ডিস এর লক্ষন বা উপসর্গ গুলো কি কি?

জন্ডিস কি সে বিষয় জানার পর জন্ডিস এর  উপসর্গগুলো জানা খুব জরুরি। কোন একজনের জন্ডিস হয়েছে কি না তা বোঝার জন্য উক্ত ব্যক্তির মধ্যে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো থাকা জরুরি। 

১) জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তির চোখ ও প্রস্রাবের রঙ হলুদ হয়ে যাবে। এটা খুব স্বাভাবিক ও সাধারণ লক্ষন। 

২) চোখের পাশাপাশি মুখ ও ত্বক হলুদ হয়ে থাকে। 

৩) অরুচি ক্ষুধামন্দা ও বমি বমি ভাব বা বমি হয়ে থাকে। 

৪) কাজে অবসাদ জ্বর জ্বর ভাব এবং পেট ব্যথা অনুভূত হয়। 

৫) কিছু কিছু পর্যায়ে শরীরের চুলকানি  হতে পারে। 

শরীরে জন্ডিস হয়েছে কিনা তা বোঝার সর্বোত্তম পন্থা হলো রক্তে বিলিরুপিনের মাত্রা পরীক্ষা করা ও লিভারের অ্যানসাইম গুলো পরীক্ষা করা। যখন হেপাটাইটিস রোগের সাথে জন্ডিসের কোলাবরেট হয় তখন উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো উক্ত ব্যক্তির শরীরে দেখা দেয়।  তবে  জন্ডিস কেন হয়ে থাকে সে বিষয়ে পরের ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

জন্ডিস কেনো হয়?

মানব শরীরে রক্তের সাথে যুক্ত লৌহিত রক্তকণিকা স্বাভাবিকভাবেই ১২০ দিন পর ভেঙে যায়। এবং ভেঙে যাওয়া রক্ত কণিকার প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশই হচ্ছে এক একটি বিলিরুবিন। এইগুলো নিয়মে লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়।যার মধ্যে কিছু অংশ কিডনি দিয়ে প্রস্রাব ও মলের মাধ্যমে শরীর থেকে পুরোপুরি ভাবে বেরিয়ে যায়। 

এই পর্যায়ে যদি কোন কারণে রক্ত ভাঙ্গার হার অধিক হয়, কিংবা লিভার আক্রান্ত হয়, অথবা বিলিরুবিনের প্রক্রিয়াজাত পথে বাধা সৃষ্টি হয় তবে সেটির মাত্রা বেড়ে যায় এবং জন্ডিস দেখা দেয়। তাহলে সংক্ষেপে বলা যায় জন্ডিস হওয়ার কারণ কি আমরা তিনটি পর্যায়ে দিতে পারে।

১) হেপোটাইটিস। 

২) পিত্তনালীর ব্লক বা পিত্তরসের পথে বাধা সৃষ্টি।

৩) হিমোলাইসিস বা সময়ের আগে লোহিত রক্ত কণিকার ভেঙে যাওয়া। 

জন্ডিস হলে করনীয় কি?

এই পর্যায়ে জেনে নিবো শরীরে জন্ডিস দেখা দিলে করনীয় কি হবে সেই বিষয়ে। এখানে থাকছে জন্ডিস ভালো করার চিকিৎসা সম্পর্কে, জন্ডিস থেকে বেঁচে থাকতে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য কি করতে হবে তা, পাশাপাশি কোন কোন খাবার জন্ডিস হওয়ার পর খাওয়া যাবে এবং কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে না সে বিষয়ে। প্রতিটি বিভাগকে পৃথক পৃথকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বোঝার সুবিধার্থে। প্রথমেই থাকছে জন্ডিস হয়ে গেলে তা ভালো করার জন্য চিকিৎসা। 

জন্ডিস ভালো করার চিকিৎসা

খুবই সংক্ষেপে জন্ডিস রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে বলা হলে বলা যায়, জন্ডিসের একমাত্র চিকিৎসা বিশ্রাম নেওয়া। এর কারণ হলো জন্ডিস প্রকৃতপক্ষে কোন রোগ নয়, যার কারণে নির্দিষ্ট কোন ঔষধ এর জন্য বরাদ্দ নেই। মূলত সাত থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়, এবং সে সময় জন্ডিস এমনিতেই সেরে যায়। 

অনেকেই এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যথার ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল, এসপিরিন গ্রহণ করে থাকে। আবার অনেকে অপ্রয়োজনীয় কবিরাজি ঔষধ সেবন করে থাকে – যা করা মোটেও ঠিক নয়। এতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। 

তাই বলা যায় জন্ডিস হয়ে গেলে করার মত কিছু থাকে না যার ফলে জন্ডিস হওয়ার আগেই জন্ডিস থেকে বেঁচে থাকতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। এই পর্যায়ে জন্ডিস থেকে বেঁচে থাকতে সাবধানতা হিসেবে যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত সে সম্পর্কে জানানো হবে। 

জন্ডিস থেকে বেচে থাকতে সাবধানতা

প্রতিরোধ মূলক চিকিৎসা নির্ভর করে কি ধরনের জন্ডিস হয় তার উপর। থেকে বেঁচে থাকতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা উচিত। জন্ডিসের প্রতিকার খোঁজার চেয়ে জন্ডিসের প্রতিরোধ সম্পর্কে জেনে সেই কাজগুলো করাই সর্বোত্তম পন্থা।

১) আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি জন্ডিসের সাথে হেপোটাইটিস রোগের সংযোগ রয়েছে। হেপাটাইটিস বি সি এবং ডি মূলত দূষিত রক্ত, সিরিজ, এবং উক্ত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে শারীরিক সম্পর্কের ফলে ছড়িয়ে থাকে। তাই  যে কোন ব্যক্তি থেকে শরীরের রক্ত গ্রহণ করার সময় অবশ্যই উক্ত রক্ত স্ক্রীনিং করে নিতে হবে। ডিসপসিবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে। সর্বদা বিশুদ্ধ খাদ্য ও পানি গ্রহণ করতে হবে। 

২) মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা মদ জাতীয় পানীয় লিভারকে ক্ষতি সাধন করে।

৩) কলকারখানা থেকে নিশ্চয়ই তোর রাসায়নিক পদার্থ থেকে দূরে থাকাই উত্তম।

৪) নেশা দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে পাশাপাশি ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা যাবে না।

৫) সেলুনে সেভ করার সময় পূর্বে ব্যবহৃত ব্লেড বা ক্ষুর পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না।   

৬) হেপাটাইটিস এ এবং বি হওয়ার আশঙ্কা থেকে বেঁচে থাকতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। 

জন্ডিস হলে যে সব খাবার খাওয়া যাবে / খাওয়া যাবে না

প্রথাগত নিয়মে এটা অনেকেই বলে থাকি যে, জন্ডিস হলে বেশি বেশি পানি খেতে হবে। পাশাপাশি  আখের রস ডাবের পানি গ্লুকোজ শরবত সহ বিভিন্ন তরল জাতীয় খাদ্য খেতে হয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে এমনটা করা ঠিক নয়। বরং স্বাভাবিকভাবেই পানীয় খেতে হবে। কোম্পানি খাওয়ার ফলে এমনিতেই কিডনির ইনজুরি সংক্রান্ত সমস্যার দেখা দেয় যার কারণে রোগীর অরুচি প্রভাবে অনেক সময় রোগের বমি বা বমি বমি ভাব অথবা খাবারের অরুচি অনীহার দেখা দিতে পারে। 

বেশি বেশি পানি বা তরল হওয়ার ফলে প্রস্রাবের রং সাদা হয়ে আসে যার কারণে জন্ডিস রোগীদের এই কাজটি বরাবর করতে বলা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একটি প্রশ্নের রং সাদা বা স্বাভাবিক হলেও জন্ডিস শরীর থেকে যায় না। এত বড় প্রসবের ঘনত্ব কমে যায় যা রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ কমায় না।  

 আমাদের দেশে পানি ছাড়া  আখের রস জন্ডিস চিকিৎসার জন্য বহুল প্রচলিত ওষুধ। তবে সত্যি কথা বলতে, আখের রস তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত আখ সারাদিন রাস্তায় দূষিত পানির সাথে ভিজিয়ে রাখা হয় পরবর্তীতে সে পানি থেকেই আখের রস বয়ে আসে। ঠিক এই কারণটার জন্যই হেপাটাইটিস কে ভাইরাস মানব শরীরের  ছড়াতে পারে। তাই ভুলভাল তথাকথিত দিকনির্দেশনার পিছনে না ছুটে  জন্ডিসের প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও  চিকিৎসকের যথাযৌগি  চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ রইল। 

এদিকে যারা  জন্ডিসের আক্রান্ত হয় তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাদের খাদ্য তালিকায় রাখা হয় না হলুদ জাতীয় কোন খাবার। পাশাপাশি মসলাযুক্ত খাবার না দিয়ে কেবল সেদ্ধ খাবার গুলোই পরিবেশন করা হয়। কিন্তু চিকিৎসা শাস্ত্র বলছে যেহেতু জন্ডিসের আক্রান্ত ব্যক্তির রুচি এমনিতেই কম থাকে তার উপরে সিদ্ধ জাতীয় খাবার পরিবেশন এর ফলে তার খাবারের রুচি একদমই চলে যাবে বা অনীহা আসবে। এতে করে উপকার নয় বরং অপকারই বেশি হবে। তাছাড়া এমন খাদ্য তালিকা কোন ভাবেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। 

জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীদের সর্বদা বাইরের সব ধরনের খাবার পরিহার করা উচিত বিশেষ করে তরল জাতীয়  খাবারের ক্ষেত্রে। পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সেটাকে ফুটিয়ে পান করা সর্বোত্তম। সতর্ক থাকা উচিত চটপটি বোরহানি সালাদের মতো খাবারে।

জন্ডিসে আক্রান্ত হলে কি করবেন

১) পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। ভারি জিনিসের কাজ করা যাবে না। 

২) স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহন করতে হবে, অতিরিক্তের বিধিবিধানের মধ্যে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। 

৩) পান করার ক্ষেত্রে নরমালি যা করতেন সেটিই করবেন, অতিরিক্ত নয়। 

৪) নিয়মিত গোসল করুন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। 

৫) জন্ডিসে আক্রান্ত অবস্থায় যেহেতু যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় থাকে তাই কোনো ভাবে মেডিসিন গ্রহন করা যাবে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। 

জন্ডিসে আক্রান্ত হলে কি কি করা যাবে না

১) কোনো প্রকার কবিরাজের পরামর্শে লতাপাতা, গাছের রস বা অন্য কোনো বড়ি খাওয়া যাবে না। এতে করে যকৃতে সমস্যা হতে পারে। 

২) তাছাড়া রোড সাইডে অনুমতি বিহীন যে জন্ডিসের চিকিৎসা বস্তু যেমন – লিভার টনিক, সালসা সিরাপ, পড়া পানি সহ জন্ডিস সারানোর তরল খাদ্য গ্রহন করা যাবে না, এটা লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। 

৩) জন্ডিসের সময় একাধিক বার গোসল করলে শরীরের হলুদ বেরিয়ে আসবে এটা ভ্রান্ত ধারনা এমনটা করা যাবে না, এতে করে ঠান্ডা জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

জন্ডিসকে ঘিরে ভ্রান্ত ধারণা সমূহ

আমাদের সমাজে প্রচলিত একটি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে এই যে, জন্ডিসের আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে একই প্লেট বাসনে বা গ্লাসে খাবার খাওয়া বা পানি পান করা যাবে না। এতে তার আশে পাশের মানুষের কাছেও জন্ডিস ছড়াতে পারে। আসুন জেনে নেই আসলে কি বিষয়টি সঠিক? আমরা জানি হেপাটাইটিস  রোগের সাথে জন্ডিস সংযুক্ত এবং হেপাটাইটিস এর যেগুলো আছে এবিসিই তাদের মধ্যে বি এবং সি সংক্রামিত হয় রক্তের মাধ্যমে। অন্যদিকে  এ এবং ই সংক্রামিত হয় পানি ও খাবারের মাধ্যমে। তবে হেপাটাইটিস রোগের ক্ষেত্রে এই দুইটি ভাইরাস এর কারণে রোগীর যত দিনে জন্ডিস দেখা দেয় ততদিনে এই দুইটি ভাইরাস ছড়ানোর কোন আশঙ্কা থাকে না। তাই বলা যায় জন্ডিসের আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে একই সাথে খাওয়া দাওয়া করলে বা পানি পান করলে একই গ্লাসে – জন্ডিস সংক্রামিত হবে না। 

একই রকম বিষয় রয়েছে গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে অথবা সন্তান দুধ পান করে এমন মায়ের ক্ষেত্রেও। জন্ডিসের আক্রান্ত মা নিশ্চিন্তে তার শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে পারে। তবে যদি তিনি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে জন্মের সাথে সাথেই শিশুকে হেপাটাইটিস ভাইরাসের টিকা এবং ইমিউনোগ্লোবুনিন ইনজেকশন দেওয়া জরুরি। এতে করে শিশু সুরক্ষিত থাকবে।  

নবজাতক শিশুর ক্ষেত্রে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ তবে এটিকে খুব স্বাভাবিক মাত্রায় ধরা হয়ে থাকে কেননা একজন অবজাতক জন্মগ্রহণের পরপরই তার যকৃত পুরোপুরিভাবে কর্মক্ষম হয়ে উঠে না যার ফলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা কিছু বেড়ে যায় এবং জন্ডিসের আক্রান্ত হয়। এমতাবস্থায় নবজাতক কে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা যাবে না কেননা মায়ের বুকের দুধ দ্বারা জন্ডিস সংক্রামিত হয় না। তবে জন্মের ২৪ ঘন্টার মধ্যে জন্ডিস দেখা দিলে সেটি ৭ বা ১০ দিন পরেও না সারলে, শিশু খাওয়া বন্ধ করে দিলে, জ্বর অথবা সংক্রমনের লক্ষণ থাকলে অবশ্যই তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য

আমরা জেনেছি জন্ডিস কোনো রোগ না তাই জন্ডিসের ভয়ে আতঙ্কিত না হয়ে জন্ডিস হলে করনীয় কাজ গুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে সঠিক উপায়ে জন্ডিস সারিয়ে তুলুন। কোনো প্রকার ভ্রান্ত ধারনায় না পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিদিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহন করলেই জন্ডিস ভালো হয়। এবারের আর্টিকেলে প্রদানকৃত তথ্য গুলো যথেষ্ট রিসার্চ করে তৈরি করা হয়েছে এবং বিশ্বস্ত সোর্স থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে যার কারনে এখানে উল্লেখিত তথ্য গুলোর আলোকে কাজ করা যেতে পারে। তবে সকল কিছুর উর্ধে চিকিৎসকের পরামর্শ সবচেয়ে বেশি গ্রহযোগ্য। 

Bangla Alo

Recent Posts

মানসিক সুস্থতার সাথে খাবারের কোনো যোগসূত্র আছে কি?

শরীর ভালো তো মন ভালো” ছোটবেলা থেকে আমরা এই কথায় অভ্যস্ত হলেও ঠিকঠাকভাবে মানতে নারাজ। মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক স্বাস্থ্য…

1 month ago

Jodi Bare Bare Eki Sure Prem Tomay Kadai Lyrics | যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায় লিরিক্স

লাললালালালালালালালালালালালালালালালালালালালা যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায়তবে প্রেমিকা কোথায় আর প্রেমই বা কোথায়?যদি দিশেহারা ইশারাতে প্রেমই ডেকে যায়তবে…

1 month ago

কাতার সাজছে বাংলাদেশি গাছে

ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে। কাতারে ফুটবল…

1 month ago

কুয়াশা ও বন্যার পানির বিষয়ে সতর্ক করবে গুগল ম্যাপস

এআইয়ের সাহায্যে সরু রাস্তার নির্দেশনাও দেখতে পারবেন চালকরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কুয়াশা ও বন্যার পানি রয়েছে কি-না, তা গুগল ম্যাপসের…

1 month ago

হঠাৎ রেগে যাচ্ছেন, কী ভাবে মেজাজ ঠান্ডা রাখবেন

রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে একটুতেই রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে কটূ কথা বলে আফসোস করতে হয়? এবার একটু…

1 month ago

বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের যে ১০টি বিষয় জানা প্রয়োজন

সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং দুদেশের জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে ১. ইসলামপন্থি কিংবা জঙ্গিরা নয় সম্প্রতি যে আন্দোলনের মুখে শেখ…

1 month ago

This website uses cookies.