পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করার নিয়ম | কিভাবে মিটারের জন্য আবেদন করবো?

0
69

আপনি যদি বাড়িতে বসে থেকেই পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করতে চাইছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

 

আজকে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানবো। আপনি ঘরে বসে থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারবেন। সাধারণত যদি আপনি পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করতে চান তবে আপনাকে বিদ্যুৎ অফিসে যেতে হয় বা অন্যান্য অনেক মানুষের কাছে সাহায্য চাইতে হয় এ ব্যাপারে।

 

তো অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অনেক কিছু করেও কাজ সম্পূর্ণ ভাবে সফল হয় না। তবে এই আর্টিকেলে উল্লেখিত নিয়মগুলো অনুসরণ করে যদি আপনি পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করেন তবে আশা করছি আপনি সফলভাবে আপনার কাজটি করতে পারবেন।

 

অনেক কথা হয়ে গেলো চলুন এইবার স্টেপ অনুসারে আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

 

পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

 

পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করার জন্য আপনার কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। আবেদন করার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে সেগুলো আপনাদের নিচে বলে দিচ্ছি।

 

১. প্রথমত আপনার একটি ছবি লাগবে এবং আপনার ছবিটির রেজুলেশন অবশ্যই ৩০০*৩০০ পিক্সেল এর হতে হবে। আর ছবির সাইজ হতে হবে অবশ্যই ১৫০ কিলোবাইট এর মধ্যে।

 

২. এরপর আপনার প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয় পত্রের। আপনার ভোটার আইডি কার্ডের পিক্সেল হতে হবে অবশ্যই ৬০০*৪৭৫ পিক্সেল এর এবং ছবির সাইজ হতে হবে অবশ্যই ৩০০ কিলোবাইট এর নিচে।

 

৩. এরপর যেটির প্রয়োজন হবে সেটি হচ্ছে খারিজ। যার রেজ্যুলেশন হতে হবে অবশ্যই ৬০০*৪৭৫ পিক্সেল এর এবং ছবির সাইজ হতে হবে ৫০০ কিলোবাইট।

 

পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করার নিয়ম

 

১। মিটারের আবেদন করার জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইটে চলে যেতে হবে, যেটির নাম হচ্ছে 

rebpbs.com। নিচের লিংক থেকে চলে যান ওয়েবসাইটে।

 

  • ওয়েবসাইটের লিংকঃ http://www.rebpbs.com/UI/App/frm_main_application.aspx

 

২. ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে আপনার সামনে একটি বড় ফর্ম ওপেন হবে, যেটিকে আপনার পূরণ করতে হবে। প্রথমেই, “বিদ্যুৎ অফিসের বিবরণ” অপশনের আন্ডারে একটি বক্স পাবেন যেখানে সমিতির নাম নির্বাচন করতে বলা হবে। তো আপনি যে সমিতির আন্ডারে সেটির নাম নির্বাচন করে দিন।

 

৩। দ্বিতীয় অপশনে আপনার জোনাল অফিস নির্বাচন করতে হবে। আপনি যে সমিতির আওতায় রয়েছে সেই সমিতিটি যে জোনাল অফিসের আওতায় রয়েছে সে জোনাল অফিস এর নামটি নির্বাচন করে দিন।

 

৪। তৃতীয় বা “সংযোগ ট্রেরিফ” অপশনে আপনি কোন ধরনের বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করবেন সে মিটার নির্বাচন করে দিন। যদি আপনি আপনার বাড়ির জন্য আবেদন করতে চান তবে এলটি- এ (আবাসিক) নির্বাচন করুন। এটি সিলেক্ট করলে বসতবাড়ির জন্য মিটারের আবেদন টি নির্বাচন করা হয়ে যাবে।

 

৫। এই পর্যায়ে “আবেদনকারীর বিবরণ” এর আন্ডারে আবেদনকারীর যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। যেমন “আবেদনকারীর নাম” ( যে আবেদন করবে তার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্বামী/স্ত্রীর নাম, জন্মতারিখ, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, জাতীয়তা , মোবাইল নাম্বার, ইমেইল ( ইংরেজি), পাসপোর্ট, লিঙ্গ এই কয়েকটি তথ্যগুলো আবেদনকারীর সঠিক তথ্য অনুযায়ী পূরণ করুন।

 

৬। এই পর্যায়ে “স্থায়ী ঠিকানা” অপশনের আওতায় আবেদনকারীর ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে। প্রথমে জেলা নির্বাচন করতে হবে, এরপর একে একে ইউনিয়ন, গ্রাম, উপজেলা, থানা, মহল্লা রোড নম্বর, পোষ্ট কোড , হোল্ডিং নাম্বার এর তথ্যগুলোকে সঠিকভাবে দিয়ে দিতে হবে। যেখানে নির্বাচন করার অপশন থাকবে সেখান থেকে নির্বাচন করবেন আর যেখানে অপশন থাকবে না সেখানে নিজেই পূরণ করবেন তথ্য।

 

৭। এখন “প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগ স্থলের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করুন” অপশনে টিক মার্ক করে দিন।

 

৮। সাত নম্বরের অপশনটিকে টিক মার্ক করে দিলে এর নিচে থাকা “প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগ স্থল এর বিবরণ” অপশনের ঠিকানা দেওয়ার অপশনে স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী ঠিকানা অটোমেটিক নির্বাচন হয়ে যাবে।

 

৯।  এই পর্যায়ে “প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগ স্থল এর বিবরণ” অপশনের ঠিকানা ছাড়া বাকি অপসন গুলোকে পূরণ করতে হবে। প্রথমে মৌজা (মৌজা আপনার খতিয়ানে দেওয়া থাকবে সেখান থেকে দেখে সেটি দিয়ে দিন), দাগ নাম্বার দিতে হবে, খতিয়ান নাম্বার দিতে হবে। যেখানে ইংরেজি দেওয়া থাকবে সেখানে অবশ্যই ইংরেজিতে সেটি পূরণ করতে হবে।

 

১০। এখন জমির মালিকানার ধরনটি নির্বাচন করুন। এখানে আপনি বেশ কয়েকটি অপশন পেয়ে যাবেন সেখান থেকে আপনি আপনার মালিকানার ধরনটি কে নির্বাচন করুন।

 

১১।” জমির আইনগত মালিক” অপশনে আইনিভাবে যে মূল জমির মালিক তার নামটি দিয়ে দিন।

 

১২। এখন নিকটবর্তী সার্ভিস পেল হইতে দূরত্ব কত সেটি দিয়ে দিন। যেখানে আপনি আবেদন করছেন সেখান থেকে বৈদ্যতিক পেল এর দুরত্ব কত সেটি এখানে লিখতে হবে।

 

১৩। এখন গ্রাহকের বই নং দিতে হবে যেটি আপনি যেখানে আবেদন করবেন সেখানে আশেপাশে কারোর বিদ্যুৎ বিল চেক করলেই পেয়ে যাবেন। যদি একই ট্রান্সফরমারের আওতায় হয়। গ্রাহক বই নং এর পর একে একে হিসাব নং দিয়ে দিন যেটি ঐ বিদ্যুৎ বিলের কাগজে পাবেন। এরপর নিচের দুইটি অপশন থাকবে যেগুলো অপশনাল সেগুলো দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

 

১৪। এখন আবেদনের প্রকৃতি কোনটি সেটিকে নির্বাচন করে দিন, যদি স্থায়ী সংযোগ হয় তবে স্থায়ী সিলেক্ট করে দিন।

 

১৫। এই পর্যায়ে লোড এর নাম অপশনের আওতায়, আপনি কোন কোন আইটেম ব্যবহার করবেন সেটি নাম এবং কতটি ব্যবহার করবেন সেটি দিতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ যদি সেটি লাইট হয় তবে লাইট সিলেক্ট করুন, এরপর আইটেমের সংখ্যা অপশনে কতটি সেটি দিন। এরপর আবেদনের লোড হিসেব করে দিয়ে দিন। মাথায় রাখবেন সব মিলিয়ে এক কিলো ওয়াট লোড মিলিয়ে  আবেদন করবেন। 

 

১৬। এখন উপরের বলা তিনটি ছবি, রেজ্যুলেশন এবং সাইজ ঠিক করে আপলোড করে দিন।

 

১৭। একটি ক্যাপচা দেওয়া হবে সেটি পূরণ করে দিন। উপরের চিত্রে যেটি থাকবে সেটিকে বক্সে টাইপ করে দিন তাহলে হয়ে যাবে। এরপর সংরক্ষণ অপশনে চাপ দিন। সংরক্ষণ অপশনে চাপ দিলে আপনার কাছে একটি মেসেজ আসবে সেটিকে সংরক্ষণ করে রাখুন।

 

আবেদনটি সাবমিট করার পূর্বে অবশ্যই সবগুলো তথ্য সঠিক রয়েছে কিনা সেগুলো চেক করে নিবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আপনার কাছে একটি মেসেজ পাঠানো হবে যেটি আপনি অবশ্যই সংরক্ষণ করে রাখবেন। এবং আপনি যে তথ্যগুলো দিয়েছেন সেটি একটি ফাইল আকারে দেখানো হবে। একটু নিচে চলে গেলে আপনি সেটি ডাউনলোড করার অপশন পেয়ে যাবেন, সেটিকে ডাউনলোড করে নিন।

 

শেষ কথা

 

আজকে আমরা বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিলাম। উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজে বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে পারেন। তবু যদি কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হয় অবশ্যই মন্তব্য করবেন।

 

Visited 13 times, 1 visit(s) today

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here