Warning: ftp_pwd() expects parameter 1 to be resource, null given in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 230

Warning: ftp_pwd() expects parameter 1 to be resource, null given in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 230

Warning: ftp_mkdir() expects parameter 1 to be resource, null given in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 580

Warning: fopen(/tmp/index-1TLgFl.tmp): failed to open stream: Disk quota exceeded in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 190

Warning: unlink(/tmp/index-1TLgFl.tmp): No such file or directory in /home/bestirxj/bangla-alo.com/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 193
প্রেশার হাই হলে করনীয় । উচ্চ রক্তচাপ হলে যা করবেন

প্রেশার হাই হলে করনীয় । উচ্চ রক্তচাপ হলে যা করবেন

বাংলা আলো ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য টিপস সংক্রান্ত সিরিজের ধারাবাহিকতায় এবারের আলোচনা ও সমাধানের বিষয় হচ্ছে “প্রেশার হাই হলে করনীয়” এবারের আর্টিকেলে কভার করা হবে প্রেশার হাই বা উচ্চ রক্তচাপ কি? তার পাশাপাশি এর সমস্যা ও সেই সমস্যার সমাধান। 

আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন যাদের বয়স একটু বেশি তাদের প্রায়ই প্রেশার বা রক্তচাপ সংক্রান্ত সমস্যা হয়ে থাকে। বলা হয়ে থাকে একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের প্রেশার ১২০/৮০ হয়ে থাকে। সেটি যখন ১৪০/৯০ এর বেশি হয়ে যায় তখনই সেটিকে হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়।

ভয়াবহ সিচুয়েশনে যদি আপনিও যদি চানতে ইচ্ছুক হোন প্রেশার হাই হলে করনীয় কাজ সম্পর্কে তবে পুরো আর্টিকেলটি ভালো ভাবে অধ্যায়ন করুন এবং উক্ত বিষয়ে নিজেকে স্বাস্থ্য সচেতন হিসেবে গড়ে তুলুন। তাহলে শুরু করা যাক এবারের বিশেষ সমাধান মূলক আর্টিকেল “প্রেশার হাই হলে করনীয় কি”!! 

প্রেশার হাই বলতে কি বুঝায়?

উচ্চ রক্তচাপ, যা হাইপারটেনশন নামেও পরিচিত, এমন একটি অবস্থা যেখানে ধমনীর দেয়ালের বিরুদ্ধে রক্তের বল ক্রমাগতভাবে খুব বেশি থাকে। সহজ ভাবে বলা যায় প্রেশার হাই বলতে হৃদপিন্ড হতে ধমনীতে রক্ত সরবরাহ করা কালীন সময়ে কোনো কারন বসত যদি সেটি সরু হয়ে যায় এবং তার ফলে চাপ সৃষ্টি হয়, তখন সেই চাপটিকেই হাই প্রেশার বলে। 

এটি রক্তনালী এবং অঙ্গগুলির ক্ষতি করতে পারে এবং হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি ব্যর্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপের সঠিক কারণগুলি সর্বদা জানা যায় না, তবে ধূমপান, বেশি লবণযুক্ত খাবার এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাবের মতো কারণগুলি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। 

উচ্চ রক্তচাপকে প্রায়ই “নীরব ঘাতক” হিসাবে কাজ করে। কারণ এতে প্রায়শই কোনও লক্ষণ থাকে না, তাই নিয়মিত চেক-আপ করা এবং রক্তচাপের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। চিকিত্সার মধ্যে জীবনধারার পরিবর্তনগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যেমন ব্যায়াম, খাদ্য, এবং স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, সেইসাথে ওষুধ। আসুন আরো ভাবে জেনে নেয়া যাক প্রেশার হাই হওয়ার কারন গুলো।

উচ্চ রক্তচাপ বা প্রেশার হাই হওয়ার কারন কি?

ইতিমধ্যে বলেছি, উচ্চ রক্তচাপের সঠিক কারণ সর্বদা জানা যায় না। যাইহোক, উচ্চ রক্তচাপের বারিয়ে তুলতে অবদান রাখতে পারে এমন অনেকগুলি ঝুঁকির কারণ রয়েছে। নিম্মে এমন কিছু কারণ উল্লেখ্য করা হলো। 

জেনেটিক্স: উচ্চ রক্তচাপ পরিবারগত ভাবে চলতে থাকে, তাই এখানে একটি জেনেটিক উপাদান থাকতে পারে।

স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

শারীরিক পরিশ্রমের অভাব: অলসতাময় জীবনযাত্রা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমানের শারীরিক শ্রম করা জরুরি। 

অস্বাস্থ্যকর ডায়েট: বেশি পরিমাণে লবণ খাওয়া, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার উচ্চ রক্তচাপে অবদান রাখতে পারে।

স্ট্রেস: দীর্ঘস্থায়ী চাপ নেয়ার ফলেও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।

বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে।

ধূমপান: ধূমপান রক্তনালী গুলির দেয়ালের ক্ষতি করতে পারে, যা উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে।

অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে রক্তচাপ বাড়তে পারে।

তাছাড়া দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং থাইরয়েড সমস্যাও উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে কখনও কখনও উচ্চ রক্তচাপ অন্য অন্তর্নিহিত চিকিৎসা অবস্থার কারণে বা নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে হতে পারে। কারণ নির্ধারণের জন্য একটি ব্যাপক চিকিৎসা মূল্যায়ন প্রয়োজন।

হাই প্রেশার হলে কি সমস্যা হয়?

উচ্চ রক্তচাপ, বা হাই প্রেশার, একটি গুরুতর অবস্থা যা চিকিত্সা না করা হলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের সাথে সম্পর্কিত কিছু উল্লেখযোগ্য সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে:

১) কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ: উচ্চ রক্তচাপ রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

২) কিডনির ক্ষতি: উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং কিডনি ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৩) দৃষ্টিশক্তি হ্রাস: উচ্চ রক্তচাপ চোখের রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা অন্ধত্ব হতে পারে।

৪) স্মৃতিশক্তি হ্রাস: অধ্যয়নগুলি পরামর্শ দেয় যে উচ্চ রক্তচাপ বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং জ্ঞানীয় হ্রাস হতে পারে।

৫) ইরেক্টাইল ডিসফাংশন: উচ্চ রক্তচাপ যৌন অঙ্গের দিকে পরিচালিত রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা পুরুষদের ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হতে পারে।

৬) অ্যানিউরিজম: উচ্চ রক্তচাপের কারণে রক্তনালীগুলির দেয়াল দুর্বল হতে পারে, যা অ্যানিউরিজমের বিকাশের দিকে পরিচালিত করে, যা রক্তনালীতে ফুলে যায় যা ফেটে যেতে পারে এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাত ঘটাতে পারে।

৭) প্রিক্ল্যাম্পসিয়া: উচ্চ রক্তচাপ সহ গর্ভবতী মহিলাদের প্রিক্ল্যাম্পসিয়া হতে পারে, যা মা এবং শিশু উভয়ের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।

এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে উচ্চ রক্তচাপের প্রায়শই কোনও লক্ষণ থাকে না, তাই নিয়মিত চেক-আপ করা এবং রক্তচাপের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং চিকিত্সা এই গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সূত্রপাত প্রতিরোধ বা বিলম্ব করতে পারে।

প্রেশার হাই হওয়ার লক্ষন সমূহ

উচ্চ রক্তচাপ এমন একটি অবস্থা যেখানে ধমনীর দেয়ালের বিরুদ্ধে রক্তের বল খুব বেশি বেড়ে যায়। এটি রক্তনালীগুলির ক্ষতি করতে পারে এবং হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণগুলি সূক্ষ্ম হতে পারে এবং প্রথমে লক্ষ্য করা যায় না। যাইহোক, কিছু ক্ষেত্রে, লোকেরা নিম্ম লিখিত লক্ষন গুলো অনুভব করে থাকে:

  • মাথা ব্যাথা
  • মাথা ঘোরা
  • নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়া
  • বুক ব্যাথা
  • নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
  • ঝাপসা দৃষ্টি
  • ঘুম না হওয়া
  • বমি বমি ভাব
  • মাঝে মধ্যে কানে শব্দ হওয়া

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ থাকে না, এই কারণেই এটিকে প্রায়ই “নীরব ঘাতক” বলা হয়। উচ্চ রক্তচাপ আছে কিনা তা জানার একমাত্র উপায় হল স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর দ্বারা নিয়মিত পরীক্ষা করা। হৃদরোগ বা স্ট্রোকের অন্যান্য ঝুঁকির কারণ থাকলে বছরে অন্তত একবার রক্তচাপ পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।

উচ্চ রক্তচাপ কার্ডিওভাসকুলার রোগ, হার্ট ফেইলিওর, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ এবং স্ট্রোকের জন্য একটি প্রধান নিয়ন্ত্রণযোগ্য ঝুঁকির কারণ। এই গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে আপনার রক্তচাপ পরীক্ষা করা এবং স্বাভাবিক মাত্রায় বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেশার হাই হলে করনীয়

যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে থাকে বা আপনার রক্তচাপ উচ্চ হতে পারে বলে সন্দেহ হয়, তবে পরিস্থিতি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বেশ কিছু জিনিস করা যেতে পারে।

প্রথমত, এমন ভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে লবণ ও চর্বিযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা এবং ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ এড়ানো।

দ্বিতীয়ত, একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর দ্বারা আপনার রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত এবং আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্ধারিত কোনো ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।

তৃতীয়ত, আপনি কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকারও অবলম্বন করে দেখতে পারেন যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে, যেমন:

  • ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান প্রতিনিয়ত।
  • মানসিক চাপ কমিয়ে দিন, চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্ঠা করুন।
  • লবণ খাওয়া কমিয়ে দিন।
  • প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খান।
  • পর্যাপ্ত পটাশিয়াম পান করুন।
  • ক্যাফেইন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দিন।
  • সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণের পানি পান করুন।

এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই প্রতিকারগুলি উপকারী হতে পারে, তবে তাদের চিকিত্সার বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়। আপনার ডায়েট বা ব্যায়ামের রুটিনে কোনো বড় পরিবর্তন করার আগে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা সর্বদা ভাল।

এই পদক্ষেপগুলি ছাড়াও, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের মতো আপনার অন্যান্য স্বাস্থ্যের অবস্থার পরিচালনা করাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা উচ্চ রক্তচাপে অবদান রাখতে পারে।

এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে উচ্চ রক্তচাপ একটি গুরুতর স্বাস্থ্য অবস্থা যা চিকিত্সা না করা হলে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। জীবনধারা পরিবর্তন করে এবং নির্দেশিত ওষুধ গ্রহণ করে, আপনি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আপনার গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারেন।

প্রেশার হাই হলে করনীয় হিসেবে যে খাবার গুলো খেতে হবে

যখন উচ্চ রক্তচাপ কমানোর কথা মাথায় আসে, তখন করনীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য খাওয়া। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে:

ফল ও শাকসবজি: প্রচুর ফল ও সবজি খাওয়া প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমানোর অন্যতম সেরা উপায়। এই খাবারগুলিতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি বেশি থাকে যা রক্তনালীগুলিকে শিথিল করতে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

গোটা শস্য: গোটা শস্য যেমন বাদামী চাল, কুইনোয়া এবং ওটমিল ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ যা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।

চর্বিহীন প্রোটিন: চর্বিহীন প্রোটিন উত্স যেমন মাছ, মুরগির মাংস এবং লেবু খাওয়া আপনাকে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে এবং আপনার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত: দুধ, দই এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত পণ্যগুলি ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টির ভাল উত্স যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ভেষজ এবং মশলা: কিছু ভেষজ এবং মশলা যেমন রসুন, আদা এবং হলুদের রক্তচাপ কমানোর প্রভাব দেখানো হয়েছে।

তাছাড়া বাংলাদেশে কিছু সাধারণভাবে খাওয়া খাবার যা প্রেশার হাই হলে খাওয়া যেতে পারে তা হলো:  

১) মাছ: ইলিশ, পাঙ্গাশ এবং রুই জাতীয় মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

২) শাকসবজি: করলা, বেগুন এবং বোতল করলার মতো সবজি রক্তচাপের জন্য ভালো বলে পরিচিত।

৩) ফল: পেঁপে, কলা এবং আমের মতো ফল পটাশিয়ামের ভালো উৎস, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

৪) মশলা: জিরা, ধনে এবং হলুদের মতো মশলাগুলি সাধারণত বাংলাদেশী খাবারে ব্যবহৃত হয় এবং রক্তচাপ কমানোর প্রভাব রয়েছে বলে জানা গেছে।

এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার খাদ্যে কোনো পরিবর্তন করার আগে আপনার সর্বদা একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা উচিত, বিশেষ করে যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে।

গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য

পরিশেষে বলা যায়, উচ্চ রক্তচাপ, যা হাই প্রেশার নামেও পরিচিত, একটি গুরুতর স্বাস্থ্য অবস্থা যা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যাইহোক, এটি স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম, একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা এবং ধূমপান এবং অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন এড়ানোর মতো জীবনধারার পরিবর্তনগুলির সাথে নিয়ন্ত্রন করা যায়। পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। 

উপরন্তু, আপনার খাদ্য বা জীবনধারায় কোনো পরিবর্তন করার আগে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা খুবই গুরত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে। এই পরিবর্তনগুলি করে, আপনার রক্তচাপ কমানো এবং পরিচালনা করা এবং গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি কমানো সম্ভব। উক্ত আর্টিকেলে জানানো হয়েছে প্রেশার হাই হলে করনীয় কি সেই সকল বিষয়ে, আশা করছি পুরো আর্টিকেলে আপনার বেশ উপকার হয়েছে এবং অনেক নতুন তথ্য জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ। 

Bangla Alo

Recent Posts

মানসিক সুস্থতার সাথে খাবারের কোনো যোগসূত্র আছে কি?

শরীর ভালো তো মন ভালো” ছোটবেলা থেকে আমরা এই কথায় অভ্যস্ত হলেও ঠিকঠাকভাবে মানতে নারাজ। মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক স্বাস্থ্য…

1 month ago

Jodi Bare Bare Eki Sure Prem Tomay Kadai Lyrics | যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায় লিরিক্স

লাললালালালালালালালালালালালালালালালালালালালা যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায়তবে প্রেমিকা কোথায় আর প্রেমই বা কোথায়?যদি দিশেহারা ইশারাতে প্রেমই ডেকে যায়তবে…

1 month ago

কাতার সাজছে বাংলাদেশি গাছে

ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে। কাতারে ফুটবল…

1 month ago

কুয়াশা ও বন্যার পানির বিষয়ে সতর্ক করবে গুগল ম্যাপস

এআইয়ের সাহায্যে সরু রাস্তার নির্দেশনাও দেখতে পারবেন চালকরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কুয়াশা ও বন্যার পানি রয়েছে কি-না, তা গুগল ম্যাপসের…

1 month ago

হঠাৎ রেগে যাচ্ছেন, কী ভাবে মেজাজ ঠান্ডা রাখবেন

রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে একটুতেই রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে কটূ কথা বলে আফসোস করতে হয়? এবার একটু…

1 month ago

বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের যে ১০টি বিষয় জানা প্রয়োজন

সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং দুদেশের জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে ১. ইসলামপন্থি কিংবা জঙ্গিরা নয় সম্প্রতি যে আন্দোলনের মুখে শেখ…

1 month ago

This website uses cookies.