–
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় নিয়ে আর্টিকেলটিতে রয়েছে ১৫ টি সেরা উপায় যেগুলোর মাধ্যমে অনলাইনে ঘরে বসে আয় করতে পারবে যেকেউ। দেখে নিন বর্তমান সময় ও চাহিদা মোতাবেক বেশ কিছু কাজ সম্পর্কে যা শুরু করতে পারবে মেয়েরাও আর আয় করতে পারবে অনলাইনে।
আয় করতে চাওয়ার ইচ্ছা সকলেরই আছে, নিজের জীবনকে ফাইন্যাসিয়ালি ফ্রীডম দেয়ার অধিকার সকলের। বর্তমান অধুনিক যুগে যে সুযোগ করে দিয়েছে ছেলে মেয়ে উভয়কেই। আজকাল অনলাইনের মাধ্যমে যেকেউ আয় করতে পারে।
আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এটুকু আশ্বাস দিতে পারি যে, পুরো আর্টিকেলটি শেষ হলে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে কমপ্লিট গাইডলাইন পেয়ে যাবেন এবং উল্লেখ্যিত উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনি পারবেন অনলাইন থেকে আয় করতে।
শুরু করার আগে আপনার ব্যাসিক কিছু প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে যেগুলো হলো:
- নিজেকে জানুন, আপনার কি করতে বেশি ভালো লাগে সেটা চিহ্নিত করুন
- আপনার যে যে বিষয়ে দক্ষতা আছে সেগুলো নোট ডাউন করে রাখুন
- অনলাইনে যেকোনো কাজ করার জন্য ব্যাসিক কিছু জিনিস যেমন – ডিভাইস, ইন্টারনেট কানেকশন
- প্রবল ইচ্ছা ও পর্যাপ্ত সময় প্রদানের নিশ্চয়তা রাখুন
- অফলাইনে যে সকল কাজ গুলো করবেন তার জন্য যথাযথ পরিবেশ
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় [১৫ টি]
সহজে উপস্থাপন ও আপনার বুঝার সুবিধার্থে সকল উপায় গুলোকে ৩ টি আলাদা ক্যাটাগরিতে ভাগ করে উপস্থাপন করছি। এখানে মোট ১৫ টি আয় করার উপায় সম্পর্কে জানিয়েছি যেগুলো এখনই শুরু করা যাবে এবং দীর্ঘ সময় অব্দি এগুলোর মাধ্যমে আয় করা যাবে।
বাড়িতে বসে আয় করার উপায়ের পাশাপাশি অনলাইনে ও স্কিল সংক্রান্ত কাজের মাধ্যমে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানানো হয়েছে। তাহলে শুরু করা যাক আপনার ব্যাসিক ধারনার যাত্রা।
অফলাইনে আয়ের উপায়
পশু – পাখি পালন
আমরা প্রথমেই রাখছি গৃহপালিত পশু পাখি পালনের মাধ্যমে আয় করার উপায় সংক্রান্ত উপায়টি কারন এটি করার জন্য আপনাকে নিজ বাড়ির বাইরে যেতে হচ্ছে না। তার উপর আপনি যদি একটু গ্রাম অঞ্চলে থেকে থাকেন তবে এটা একেবারেই উপযুক্ত আয়ের উপায়।
আপনি হয়তো দেখে থাকবেন অনেকেই আছে যারা নিজেদের মত করে হাঁস মুরগি পালন করে তবে সেগুলো তেমন বাণিজ্যিক ভাবে হয়ে থাকে না, আপনি চাইলে বাণিজ্যিক ভাবে শুরু করতে পারেন। গৃহপালিত পশু – পাখি পালন করার মাধ্যমে আয় করার উপায় সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে উক্ত লিংকটি অনুসরণ করুন।
বাগান বা নার্সারি তৈরি
পৃথিবী যতই আধুনিক হচ্ছে মানুষের কাছে গাছপালার প্রয়োজনীয়তা তত বেশি লক্ষ্যনীয় হচ্ছে। আপনি যদি interstellar মুভিটি দেখে থাকেন তবে অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন যে মুভিতে একটা উক্তি ছিলো, “আমরা এতোটাই আধুনিক হয়ে গিয়েছি যে আমাদের এখন আর ইঞ্জিনিয়ার দরকার নেই, প্রয়োজন কৃষকের”
বিষয়টি মুভিতে ঘটলেও বাস্তবিক ভাবে কিছুটা মিল কিন্তু আছে, আমাদের পৃথিবীতে যত পরিমাণের গাছ কাটা হচ্ছে এটা ঘটা কেবল সময়ের অপেক্ষা। তবে সে যাই হোক বর্তমানে বাগান ও নার্সারি তৈরি করে চারা গাছ তৈরি ও সেগুলোর বিক্রি করার ব্যবসা বের রমরমা। আপনার বাড়িতে যদি পজিশন মত স্থান থাকে আর নার্সারিতে আপনার ইন্টারেস্ট থাকে তবে এটা শুরু করতে পারবেন।
কাপুড় সেলাই এর কাজ
বস্ত শিল্পে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে তবে এখানে গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে কিছু বলবো না। জানাবো সেলাই কাজ নিয়ে এটাকে ট্রেইলারিং কাজও বলা যেতে পারে। অধিকাংশ মহিলারাই নিজেদের পরিধানের কাপুড় সেলাই করার জন্য বাইরের ট্রেইলার এর কাছে না গিয়ে বাসা বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ পারা মেয়েদের কাছে আসে।
আপনি যদি সুন্দর ভাবে প্রথমে কিছু ক্লাইয়েন্টের কাপুড় সেলাই করে দিতে পারেন তবে তারাই পুরো ব্যাপারটা প্রচার করার মাধ্যমে আপনার আয় বাড়িয়ে দিবে। সেলাইয়ের কাজ জানলে এই সুযোগটা মিস কর উচিৎ হবে না। এটা তুলনা মূলক বেশ লাভজনক একটি কাজ।
টিউশন পড়ানো
আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং অন্য কোনো স্কিল বা হাতের কাজ না জানা থাকে তবে পড়াশোনাকে কেন্দ্র করে নিজের ছোট ক্লাসে পড়ুয়া স্টুডেন্টদের টিউশনি পড়াতে পারেন। আপনার এরিয়ার আশেপাশে থাকা ছোট বাচ্চাদের নিজ বাড়িতে এনে পড়াতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের টিউশন করার প্রবনতা বেশি। তাছাড়া অভিবাবকরাও ছেলেদের থেকে মেয়েদের বেশি পায়োরিটি দিয়ে থাকে টিউশন করানোর জন্য।
বিউটি পার্লার
আপনি যদি বিউটি প্রোডাক্ট ও মেকআপ সংক্রান্ত বিষয়ে ভালো জেনে থাকেন তবে নিদিষ্ট একটা প্লেস ঠিক করে সেখানে বিউটি পার্লার দিতে পারেন। ফ্যাশনের দিকে এখন অধিকাংশ মেয়েরাই ঝুকছে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও ইভেন্টের ক্ষেত্রে বা বিয়ের অনুষ্ঠানের সময় বিউটি পার্লারের শরণাপন্ন হয়ে থাকে।
বিউটি পার্লার এর পাশাপাশি কোনো ইভেন্টে উপস্থিত হয়েও সেখানে কাজ করতে পারেন। মোট কথা হচ্ছে মেয়েদের রূপ চর্চা সংক্রান্ত যাবতীয় সকল বিষয়কে কেন্দ্র করে আপনি ভালো পরিমাণের আয় করতে পারেন।
খাবারের হোম ডেলিভারি
সম্প্রতি লক্ষ্যনীয় হয়েছে যে, খাদ্য পছন্দ করা মানুষরা ও বিভিন্ন কর্মরত মানুষরা খাবারের হোল ডেলিভারি সার্ভিসের উপর বেশি ঝুকছে। বাসায় তৈরি ভালো মানের খাবার সকলের প্রত্যাশা। তাই অনেকেই রেস্টুরেন্টের অস্বাস্থকর খাবারের চেয়ে বাসায় তৈরি খাবারের উপর বেশি ঝুলছে।
আপনি যদি ভালো রান্না করতে পারেন বা বাসায় খাবার তৈরি করে টিফিন সার্ভিস দেয়ার মত কাজ করতে পারেন তবে এই ব্যবসাটি আপনার অবশ্যই ট্রাই করা উচিৎ। এক্ষেত্রে আপনি কেবল খাবার তৈরি করবেন এবং যেকোনো হোম ডেলিভারি সার্ভিসের সাথে ডিল করে তা পৌছে দিবেন কাঙ্ক্ষিত স্থানে।
অনলাইনে আয়ের উপায়
ফেসবুক পেজে প্রোডাক্ট সেল
বর্তমানে ফেসবুকে অনেকেই প্রোডাক্ট সেলিংয়ের ব্যবসা করছে। এবং উক্ত কাজটি বেশিরভাগ মেয়েরাই করছে। ফেসবুকে পেজ ব্যবহারের মাধ্যমে লাইফে এসে বিভিন্ন প্রোডাক্ট দেখানো সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর মাধ্যমে পণ্য কিনতে ইচ্ছুক এমন গ্রাহকের কাছে বিক্রি করছে।
এতে করে আপনার ঘরের বাইরে যেতে হচ্ছে না বা কোনো প্রকার দোকান ভাড়া করতে হচ্ছে না ব্যবসা পরিচালনার জন্য। প্রোডাক্ট দেখানোর মাধ্যমে অর্ডার গ্রহন করে বিভিন্ন ডেলিভারি সার্ভিস প্রদানকারীদের সাথে ডিল করতে পারেন সেসব প্রোডাক্ট আপনার ক্রেতাদের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ের খুব ট্রেন্ডিং আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে একটি। বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোতে বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট আছে তবে সব ক্রেতারা সেসব খুজে পায় না। এমন অবস্থায় আপনি তাদের সাহায্য করার মাধ্যমে মার্কেটিং এর কাজ করে আয় করত পারবেন ঘরে বসেই।
এক্ষেত্রে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকা চাই, পাশাপাশি রেগুলার প্রোডাক্টের রিভিউ ও উপস্থাপনের মাধ্যমে ক্রেতাদের উক্ত প্রোডাক্ট বিক্রি করার ইচ্ছা জাগিয়ে তোলার মাধ্যমে কমিশন ভিত্তিক আয় করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরো জানতে উক্ত লিংকটি অনুসরণ করুন। এখানে বিস্তারিত ভাবে সকল বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং
অনলাইনে আরেক ধরনের কাজ আছে যেট ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেই করা যায় তা হলো ফ্রিল্যান্সিং। উল্লেখ্য যে ফ্রিল্যান্সিং নামক আসলে কোনো কাজ নেই। মূলত অনলাইনে স্কিলগত বিভিন্ন কাজ দেশের ও দেশের বাইরের কোম্পানির হয়ে কর দেয়ার মাধ্যমে আয় করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে বলে। এটা অনলাইন বেসড ওয়ার্ক।
তাই আপনার যদি ইচ্ছা হয় যেকোনো এক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে অনলাইনের সাহায্যে আয় করবেন তাহলে এটি আপনার জন্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন কোন স্কিল আপনার জন্য ঠিক হবে? আসলে বর্তমানে অনেক অনেক স্কিল রয়েছে তবে সহজ ও দ্রুত শেখা যায় এমন কয়েকটি কাজ নিয়ে নিম্মে উল্লেখ্য আছে।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
যেকোনো অফিসের কাজে সাহায্য করার জন্য যেমন অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে থাকে তেমনই কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি পর্যায়ে অনলাইন ভিত্তিক কাজের সাহায্য করার জন্য রয়েছে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। বর্তমান সময়ে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। নিত্যনতুন গড়ে উঠছে বিভিন্ন রকমের প্রতিষ্ঠান, এগুলোর মেইন্টেইন করার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের। মূলত বিভিন্ন ক্যাটাগরি ও সময়ের উপর ভিত্তি করে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের পেমেন্ট ধার্চ করা হয়। গুগল সার্চের মাধ্যমে আপনার আশেপাশে কোন কোম্পানি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের খোজে আছে তা জেনে নিতে পারেন।
সিপিএ মার্কেটিং
সিপিএ মার্কেটিং এর পুরো নাম হচ্ছে Click Per Action. যার মানে এই যে কোনো একটি কাজ সম্পুর্ণ করার ক্ষেত্রে ক্লিক করার বিষয় জরিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ক্লিক হবে কিসে? সেটা বিস্তারিত আলোচনা করবো সিপিসি কাজের অফার নামক হেডিং এ। আপাতত এটুকু ধারনা রাখুন যে সিপিসি এর মূল কাজ হলো কাঙ্ক্ষিত সাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসা। হতে পারে যেটা যেকোনো ধরনের সাইট। এবং এখানে ট্রাফিক বলতে বোঝানো হয়েছে মানুষদের। ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এ আসা লোকজনকে ট্রাফিক বলা হয়।
ব্যাসিক ভাবে সিপিসি মার্কেটিং কি সেটা বললাম এবার কথা হচ্ছে সিপিসি মার্কেটিং কাদের জন্য? এটা মূলত সেই সকল লোকের জন্য যারা নিজের ব্যবসা, পণ্য, সেবা, ওয়েবসাইট, অ্যাপ প্রোমোশনের জন্য ট্রাফিক খুজে থাকে। অন্যদিকে এটা তাদের জন্যও যারা অর্থের বিনিময়ে এই জাতীয় কাজ করতে ইচ্ছা প্রশন করে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে যারা কাজের অর্ডার করে এবং যারা সেই কাজের অর্ডার গ্রহন করে উক্ত কাজ করে থাকে উভয় পক্ষই লাভবান হয়। আপনি সিপিএ মার্কেটিং কিভাবে শুরু করতে পারবেন তা বিস্তারিত রয়েছে আমাদের ওয়েবসাইটেই উক্ত লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে জেনে নিন সে বিষয়ে।
ডাটা এন্ট্রি
ডাটা এন্ট্রির অর্থ কী? ডাটা এন্ট্রি মানে টাইপিস্টের সাহায্যে টাইপ করে যেকোনো হার্ড কপি থেকে সফট কপিতে ডেটা কনভার্ট করা। কম্পিউটারের মাধ্যমে কিছু সফটওয়্যারের সাহায্যে ডেটা যোগ বা আপডেট করা হয়। এখানে ডেটা যেকোনো ধরনের বস্তু, ফাইল, তথ্য, মিডিয়া, ইত্যাদি যেমন- অডিও, ভিডিও, ডকুমেন্ট, ইমেজ, টেক্সট, নম্বর ইত্যাদি।
যেহেতু এটি একটি অনলাইন বেসড কাজ তাই মেয়ে হিসেবে আপনিও সহজে করতে পারবেন। আসলে যে কাজ গুলো হয় স্কিল ভিত্তিক সেখানে আপনি ছেলে নাকি মেয়ে তা দেখা হয় না, আপনি কাজ করতে পারেন কিনা সেটা দেখা হয়। ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে আরো জানুন ও অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করার মধ্য দিয়ে আয় করুন। বিস্তারিত আছে ডাটা এন্ট্রি কেন্দ্রিক এই আর্টিকেলে।
স্কিল ভিত্তিক কাজ করে আয়
কন্টেন্ট রাইটিং
আপনি যদি লেখালিখির মধ্যে থাকতে চান, বিভিন্ন বিষয়ে লেখার মাধ্যমে আয় করতে চান তবে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ আপনার জন্যই। এটা মূলত প্রতিভামূলক কাজ। একাজের জন্য নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। কেবল এই একটি কাজের সাথে জরিত আছে আরো অনেক অনেক কাজ। EverGreen যত গুলো কাজ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কন্টেন্ট রাইটিং অন্যতম।
আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তবে আপনার হাতে প্রচুর সময় রাইট? উক্ত সময়কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি সেগুলোকে লিখে আয় করতে পারবেন। তবে শুধু লিখে গেলেই হবে না, এই বিষয়ের সাথে জরিত অনেক বিষয় এবং কন্টেন্ট রাইটিং এর মধ্যে রয়েছে অনেক ভাগ। সেগুলো জানতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্লাটফর্ম কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর কোর্স করিয়ে থাকে। সেগুলো শিখেও আওনি শুরু করতে পারেন। তবে মূল বিষয় হচ্ছে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে কন্টেন্ট রাইটিং সেরা।
ইউটিউবিং
আমরা জানি ইউটিউভ পৃথিবীর ২য় বৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন। আমরা যেকোনো বিষয়ে জানতে গুগলের পর ইউটিউব ব্যবহার করি। মূলত যেকোনো বিষয়ের উপরে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে ইউটিউবে পাবলিশ ও গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ভিডিওয়ের মাঝে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন জাগতে পারে আপনি কি নিয়ে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করবেন? মনে আছে আর্টিকেলের শুরুতে বলা হয়েছে অনলাইন থেকে আয় করার প্রস্তুতির বিষয়ে? সেখালে বলেছিলাম সেটাই করুন যেটাতে আপনি দক্ষ। আপনি যদি ভালো রান্না করতে পারেন তবে রেসিপি ভিডিও তৈরি করে সেগুলোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন, কুকিং ভিডিও এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। ইউটিউব থেকে আয় করার বিস্তারিত উপায় সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
ব্লগিং
Last but not least. ব্লগিং হলো এমন এক ধরনের কাজ যার মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব। প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব। ইউটিউবে যেমন আপনি ভিডিও কন্টেন্ট প্রকাশ করবেন তেমনই ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে আর্টিকেল প্রকাশ করবেন। এবং উভয় ক্ষেত্রেই আয়ের মূল হাতিয়ার হবে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখানো।
তাছাড়া কিছু আগে কন্টেন্ট রাইটিংয়ের ব্যাপারে বলছিলেন সেখানেও কিন্তু আর্টিকেল লিখার ব্যাপারটি জরিত। মোট কথা হচ্ছে স্কিল ভিত্তিক যে তিনটি কাজের কথা বললাম সেটা পরোক্ষ ভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত। যেকোনো একটা দিয়ে শুরু করার মধ্য দিয়ে অন্যটি করা যাবে যার ফলে আয়ের ক্ষেত্রে একটি সোর্সের বদলে একাধিক সোর্সিং থাকবে যেটা খুবই ভালো দিক।
আর্টিকেল থেকে যা শিখলেন
আজকের মত এখানেই শেষ করছি মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় বিষয়ক আর্টিকেলটি। যেখানে ১৫ টি আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী। আপনি আপনার পছন্দ ও দক্ষতা অনুযায়ী এক বা একাধিক উপায় অনুসরণের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। তাছাড়া অনলাইনে আয় করা নিয়ে আমাদের রয়েছে এক বড় সিরিজ যেখানে আয় করার দারুন সব উপায় বলা হয়েছে, প্রয়োজনে সেগুলোও দেখে নিতে পারেন।