গাড়ি চালাতে কি কি কাগজপত্র লাগে: আমরা সবাই জানি– গাড়ি চালানোর জন্য অবশ্যই গাড়ির লাইসেন্স এর প্রয়োজন পড়ে। আর ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। গাড়ি চালাতে কিছু কাগজ পত্রের প্রয়োজন পড়ে যেগুলো অতীব জরুরী এবং যেকোন সময় দরকার পরতে পারে।
আজকের আলোচনায় আমরা, গাড়ি চালাতে কি কি কাগজপত্র লাগে সে সকল ডকুমেন্ট গুলোর নাম উল্লেখ করবো। পাশাপাশি আলোচনা করব গাড়ির ফিটনেস করতে কি কি প্রয়োজন হয়, বাইক চালাতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং গাড়ির কাগজ করতে কত টাকার প্রয়োজন পড়ে।
গাড়ি চালাতে কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হয়। সেগুলো হলো:
গাড়ি চালানোর সময় অবশ্যই গাড়ির সঙ্গে এই কাগজপত্র গুলো আপনাকে রাখতে হবে। এবার আসুন সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে এই ডকুমেন্টগুলো নিয়ে অল্প কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
ড্রাইভিং লাইসেন্স মূলত একটি অনুমতি পত্র। ১৯৮৩ অধ্যাদেশ অনুযায়ী সড়কে বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য জায়গায় গাড়ি চালানোর জন্য যে অনুমতি পত্র গ্রহণ করা হয় সেটাই হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স।
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। কেননা একজন ড্রাইভার যখন গাড়ি চালায় তখন রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ মানুষসহ অন্য গাড়ি ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সঠিকভাবে গাড়ি চালনার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করার জন্য এই লাইসেন্স অধিক বেশি কার্যকরী।
তাছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্স মূলত সেই সকল মানুষের থেকে থাকে, যারা গাড়ি চালানোতে দক্ষ। আর আমরা প্রত্যেকেই জানি বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রচুর হারে বেড়ে যাচ্ছে। আর এর অন্যতম কারণ হচ্ছে– অদক্ষ ড্রাইভার রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা এবং গাড়ি চালানো। তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স মূলত গাড়ি চালনায় দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিকেও চিহ্নিত করে।
গাড়ির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে আপনাকে। মূলত গাড়ি চালাতে এই কাগজটিও অধিক বেশি জরুরী। এখন কথা হচ্ছে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট গ্রহণের জন্য আপনি কোন পদ্ধতি অবলম্বন করবেন এবং আপনাকে কি কি করতে হবে? এ পর্যায়ে মূলত ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এর জন্য বায়োমেট্রিক্স প্রদানে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট গ্রহণের পদ্ধতি আমরা আপনাদেরকে সাজেস্ট করব। তাহলে আসুন জেনে নেই।
ঠিক একইভাবে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট গ্রহণের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণের পদ্ধতি হলো:
ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট মূলত এমন একটি সার্টিফিকেট যেটা দেখানোর মাধ্যমে আপনি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দান করা থেকে বেঁচে যেতে পারেন। বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে নিচের ইমেজটি মনোযোগ সহকারে এক নজরে পড়ে ফেলুন।
মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ট্যাক্স টোকেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ট্যাক্স টোকেন মূলত বাংলাদেশের রাস্তায় বৈধভাবে বাইক চালানোর অনুমতি পত্র। এত ভিন্ন ভাবে বললে বলা যায় একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বৈধভাবে বাইক চালানোর জন্য সরকারকে যে ট্যাক্স প্রদান করা হয় তার সার্টিফিকেট বা একটি ছোট্ট টোকেন আকারের কাগজটিই ট্যাক্স টোকেন।
যেটার মেয়াদ থেকে থাকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। আর সেই নির্দিষ্ট সময় পরবর্তীতে ১৫ দিনের মধ্যে নতুন ট্যাক্স টোকেন এর জন্য আবেদন করতে হয়। এজন্য প্রয়োজনীয় কিছু ফ্রি প্রদান করতে হয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে। বছরে মূলত ১০০ সিসির ওপরে বাইকের জন্য পেমেন্ট দিতে হয় ১০১৫০ টাকা এবং দুই বছরের জন্য ২৩০০ টাকা।
ফিটনেস সার্টিফিকেট হচ্ছে মোটর কার, জিপ ও মাইক্রো বাস চালানোর একটি নথিপত্র। মূলত দুই বছর অন্তর অন্তর ফিটনেস নবায়নের সুযোগ করা হয়েছে সম্প্রতি। আর এর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদান করতে হয়।
একজন মানুষকে মূলত ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে বি আর টি এর পরিদর্শক সে গাড়িটির যান্ত্রিক অবস্থা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। আইন বিধি অনুযায়ী যদি গাড়ির কোন যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে এবং কাগজপত্রে ভেজাল থাকে তাহলে সেটা পুনরায় নবায়ন করা হয়। তাই ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য ফিটনেস সার্টিফিকেট অবশ্যই কাছে রাখাটা জরুরী।
গাড়ি চালানোর জন্য এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। যেটা আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করার মাধ্যমে। রুপার নেট ইস্যু ও নবায়ন প্রক্রিয়া জানতে এখনই ভিজিট করুন এখানে- লিংক ।
মূলত সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ২৮ ধারা মোতাবেক যে কোন গাড়ি চালানোর জন্য রুট পারমিট থাকতে হবে এমনই বিধান কার্যকর করা হয়েছে। তবে হ্যাঁ এটি মোটরসাইকেল অথবা ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য একেবারেই প্রযোজ্য নয়।
গাড়ির ফিটনেস এর জন্য বেশকিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়। কেননা সেই ডকুমেন্টসগুলো জমা দেওয়ার মাধ্যমে বিআরটিএস অফিস হতে একজন ড্রাইভার বা গাড়ির মালিক তার গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি গুলো হলো:
মোটরসাইকেল চালাতে আপনার কাছে কি কি কাগজপত্র রাখবেন? জানতে হলে নিচের পয়েন্টগুলো মনোযোগ সহকারে দেখুন।
গাড়ির কাগজ করতে মূলত নির্ধারিত পরিমান টাকা লাগে। এ পর্যায়ে আমরা আপনাদেরকে সম্মখ একটি ধারণা প্রদান করব। জানা যায় মূলত প্রাইভেট কার মালিকদের সিসিভিদে গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের জন্য অগ্রিম ১৫ হাজার টাকা প্রদান করতে হয়।
অপরদিকে ১৫০০ থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির ক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা, ২০০০ থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা, ২৫০০ থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত ৭৫ হাজার টাকা, ৩০০০ থেকে ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ১ লাখ টাকা, ৩৫০০ সিসি বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন গাড়ির ক্ষেত্রে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং মাইক্রোবাস ২০ হাজার টাকা দিতে হয়। তবে টাকার এই পরিসীমাটা সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে বাড়তে চলেছে।
পরিশেষে: তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকের আলোচনা পর্ব এখানেই শেষ করছি। যেহেতু এই দেশ আমাদের, দেশের মানুষ গুলো আমাদের তাই সড়ক দুর্ঘটনা থেকে সকলকে বাঁচাতে আমাদের উচিত সঠিক নিয়ম মেনে গাড়ি চালানো এবং আইন অনুযায়ী গাড়ি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সর্বদা নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করা।
শরীর ভালো তো মন ভালো” ছোটবেলা থেকে আমরা এই কথায় অভ্যস্ত হলেও ঠিকঠাকভাবে মানতে নারাজ। মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক স্বাস্থ্য…
লাললালালালালালালালালালালালালালালালালালালালা যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায়তবে প্রেমিকা কোথায় আর প্রেমই বা কোথায়?যদি দিশেহারা ইশারাতে প্রেমই ডেকে যায়তবে…
ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পুরো দেশে সবুজায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার সরকার। বাংলাদেশি নার্সারি ব্যবসায়ীরাও অংশ নিচ্ছে সবুজায়ন প্রকল্পে। কাতারে ফুটবল…
এআইয়ের সাহায্যে সরু রাস্তার নির্দেশনাও দেখতে পারবেন চালকরা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে কুয়াশা ও বন্যার পানি রয়েছে কি-না, তা গুগল ম্যাপসের…
রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে একটুতেই রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে কটূ কথা বলে আফসোস করতে হয়? এবার একটু…
সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং দুদেশের জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে ১. ইসলামপন্থি কিংবা জঙ্গিরা নয় সম্প্রতি যে আন্দোলনের মুখে শেখ…
This website uses cookies.